Announcement

Collapse
No announcement yet.

হে প্রিয় ভাই! যাদের উপর দ্বায়িত্ব ন্যাস্ত করা হয়েছে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হে প্রিয় ভাই! যাদের উপর দ্বায়িত্ব ন্যাস্ত করা হয়েছে

    হে কমান্ডার ও দায়িত্বশীল! তোমার প্রতি নসিহত
    আবু কুদামা আশ-শামী

    অনেক ভাইদেরকেই লক্ষ্য করি, তাদেরকে যখন দ্বায়িত্ব দেয়া হয় তখন তারা তা গ্রহন করেন, এবং বলেন এটা আমি কামনা না করেই পেয়েছি। আল্লাহ তায়ালাই আমাকে এই দ্বায়িত বহনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবেন। আমার কর্তব্য হচ্ছে শুধু মাসূলিয়্যাতের ক্ষেত্রে নিয়্যাতকে শুদ্ধ করা। বাকীটা আল্লাহ তায়ালাই তাউফিক দিবেন ও সাহায্য করবেন।

    হে প্রিয় ভাই! যাদের উপর দ্বায়িত্ব ন্যাস্ত করা হয়েছে যাতে অন্যেরা তাকে মান্য করে, তাদের অনেকেই একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের ব্যপারে অজ্ঞ। তা হচ্ছেঃ {{ তোমাকে যে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নের যোগ্যতা কি তোমার আছে ? }}

    আল্লাহর নবী আলাইহিস সালাম বলেনঃ
    مَن تَطَبَّبَ ولم يُعلَم مِنهُ طِبٌّ فهُو ضامِنٌ ... أبو داوود حديث صححه الحاكم ووافقه الذهبي وأورده الألباني في السلسلة الصحيحة
    যে ডাক্তারী করল, কিন্তু সে তা জানে না তাহলে সেই জামিন বা দায়ী হবে। ( সহীহ হাদীস)

    ইবনে কুদামা রাহিঃ বলেনঃ ( হিজামাকারী, খতনাকারী ও ডাক্তার ক্ষতির ব্যপারে দায়ী হবে না যদি তারা দক্ষ হয় ও চিকিৎসার সময় হাত ঠিক থাকে। ) মোট কথা, যদি তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে তাহলে দুই শর্ত পাওয়া গেলে দায়ী থাকবে না। একটা হলঃ তাদের কাজে তারা দক্ষ হতে হবে। কেননা যদি তারা এমন না হয় (( সরাসরি কোন কিছু কাটা-ছেড়া জায়েজ হবে না। যদি এই অবস্থাতেই করে তো সে হারাম কাজে লিপ্ত হল। এবং সে পরে ক্ষতির জন্যে দায়ী হবে যেমন শুরুতেই কাটলে দায়ী হত )) শরহে কাবীর (৬/১২৪)

    ডক্টর হানী আস-সীবায়ী হাফি: বলেন: ইবনে মুনজির বলেন: যদি ডাক্তার অজ্ঞ হয় তাহলে সমস্ত উলামা একমত, সেই দায়ী হবে। কেননা ইচ্ছা করেই ক্ষতি করেছে। অর্থাৎ সে যদি সেই রোগীকে হত্যা করে তো তার থেকে কিসাস নেয়া হবে অথবা ওয়ারিশরা রাজি থাকলে দিয়্যাত দিবে। " {তাফরি' কাজা আল-জানায়ী (১৪৫)}

    উমার বিন খাত্তাব রাজিয়াল্লাহু আনহু বলেন: যে ওই বেশ ধারণ করল যা তার মধ্যে নেই, আল্লাহ তাকে লাঞ্চিত করেন। ( আবি মুসা আশয়ারী রাজি:কে উমার রাজি: এর চিঠি)

    এই বিষয়টা প্রযোজ্য হবে সমস্ত দ্বায়িত্বের ক্ষেত্রেই। যে ফতোয়া দেয়, অথচ এই বিষয়ে তার ইলম সম্পর্কে জানা নেই, তাহলে সে জামিন থাকবে। যে যুদ্ধের পরিকল্পনা করে, কিন্তু সেই ব্যপারে তার দক্ষতা নেই, তাহলে সেই জামিন থাকবে। যে মুজাহিদীনদেরকে পরিচালনা করেন, কিন্তু এই ব্যপারে তার জানা নেই, তাহলে সে জামিন হবে। হে প্রিয় ভাই, এইভাবেই কিয়াস করতে থাকুন। (( ভাল করে মনে রাখুন, ক্ষতির জন্যে জামিন ব্যাক্তিকেই দায়ী করা হবে))

    (( সাবধান হও, প্রিয় ভাই))

    যদি দুনিয়াতে দায়ী নাও করা হয়, অবশ্যই আখেরাতে জামিন হবেন, এবং আল্লাহর সামনে আপনার থেকে কিসাস নেয়া হবে।

    {{ নসিহাত }}

    যদি উপযুক্ত না হওয়া সত্যেও "বাধ্য" হয়ে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হন, এবং সেখানে আপনার অপেক্ষা অধিক উপযুক্ত কেউ না থাকে। তাহলে যোগ্য ব্যক্তির হাতে সোপর্দ করা বা আপনার থেকে উপযোক্ত ব্যক্তির হাতে দ্বায়িত্ব অর্পন করা পর্যন্ত সুস্থির ও প্রশান্ত হওয়া সম্ভব নয়।

    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার।

  • #2
    যাজাকুমুল্লাহ

    Comment


    • #3
      ya allah aponi amader kaje sahajjo koron, amader vaider poripornot joggo kore din, aponi e to joggota dan koren, ya allah amora aponar kache joggota kamon korchi. ya allha aponi amader ke mahrom o boncito korben na.

      ربنا و آتنا من لدنك رحمة و هيئ لنا من امرنا رشدا

      Comment

      Working...
      X