Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইসলামী ইমারাহ তাদের জনসাধারণের- সম্পদ, মরú

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইসলামী ইমারাহ তাদের জনসাধারণের- সম্পদ, মরú

    ইসলামী ইমারাহ তাদের জনসাধারণের- সম্পদ, মর্যাদা, তাদের রক্ষার্থে নিজেদের বিসর্জন দেয়





    সেই ১৯৯৪ সালের ২৪ শে জুন, ইসলামী আলেম ওলামাদের ঐক্যতা এবং সমর্থনে, আমীর উল মুমিনীন মোল্লাহ মোহাম্মাদ উমার মুজাহিদ (আল্লাহ্* তায়ালা তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস এর উচ্চ মাকাম দান করুন, আমীন!) এর নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন যাত্রা শুরু হয়। গুরুতর দুর্নীতি, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর বেহায়াপনা দমনে, তাদের অনিষ্ট, অত্যাচার, ব্যাপক নৃশংসতা হতে শ্রদ্ধেয় আফগানদের রক্ষায় ছিল এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য। পরবর্তীকালে, কান্দাহারে একটি বৃহৎ আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে কিছু ইসলামী আলেম ওলামাদের উপস্থিতিতে শ্রদ্ধেয় প্রতিষ্ঠাতাকে (আমীর উল মুমিনীন) বিশ্বাসীদের “দলপতি” খেতাবে আখ্যায়িত করা হয়।

    সেই লড়াই, সংগ্রাম, নৈরাজ্য, লুণ্ঠন, সেই বেদনাদায়ক অনৈতিক ঘটনার, সেই সংকটময় মুহূর্তের উপলব্ধিকারক প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জীবিত রয়েছেন। সেই সময়কার মর্মান্তিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করে তাদের হৃদয় সম্পূর্ণ দুঃখ বেদনায় ব্যথিত। ১৯৯২ ২৮ই এপ্রিল অনিষ্টের মূল সাম্যবাদী প্রশাসনগোষ্ঠী থুবড়ে পড়ে। কিন্তু, তখনও মানুষের মধ্যে ইসলামী শরিয়াহ বাস্তবায়নে সেই আকাঙ্ক্ষা প্রবণতা উপলব্ধি করার ছিল না। আফগান মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যতা ও ভ্রাতৃত্বের মাঝে ফাটল উপলব্ধি করা হয়, এবং তা মারাত্মক বিপর্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করে। ব্যক্তিগত স্বার্থে, কুশাসন নিয়ন্ত্রণ, ক্ষমতা হাসিলে অযৌক্তিক একটি যুদ্ধ দেশের সমস্ত আনাচেকানাচে ছেয়ে পড়ে, যা কাবুল রাজধানী তারাও উপলব্ধি করতে পেরেছিল এবং তার সাথে জরজরিত হয়ে পরেছিল। তখনও, পবিত্র জ্বিহাদের মূল উদ্দেশ্য পূর্ণসম্পাদন লাভ করেনি যা সেই সব উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনে দেড় মিলিয়ন শহীদ ও বীর মুজাহিদগণ মরিয়া হয়ে উঠেছিল।

    ইসলামী ইমারাহ খুব সীমিত সময়ের মধ্যে আফগানদের সেই আস্থা ও তাদের বিশ্বাস অর্জন করে এবং সন্ত্রাস নির্মূল ও ছেয়ে যাওয়া দুর্নীতি উপড়াতে ও তার পতন ঘটাতে শুরু করে। ইসলামী শরিয়াহ দেশের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বিস্তার লাভ করে। মহান আল্লাহ্* তায়ালার নুসরায় ও অনুগ্রহে এবং মুসলমান জাতির সহায়তা সমর্থনে- মুসলমানদের জীবন, সম্পদ, মর্যাদা পুনঃরক্ষা করা হয়। মাদকের চাষাবাদ ও ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয় এবং দেশজুড়ে একটি শান্তিময় স্থিতিশীল মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সমাজে ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচার পূর্ণপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।

    দ্বিতীয় অগ্রগতির ধারাই, নৃশংস আগ্রাসী কুফফর সন্ত্রাসদের বিরুদ্ধে ইসলামী ইমারাহ জ্বিহাদ চালিয়ে যায়। মহান আল্লাহ্* তায়ালার অশেষ রহমতে, সহায়তায় ও মুজাহিদীন্দের প্রচুর আত্মত্যাগ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সেই লড়াইয়ে শত্রুরা মারাত্মক পরাজয় উপলব্ধি করে, তাদের সকল ক্ষমতা ও উৎস ধূলিসাৎ হয়ে যায়। আল্লাহ্* তায়ালার ইচ্ছায় এই জ্বিহাদী কাফেলা তার মূল গন্তব্যে আদিষ্ট লাভ করবে, এবং এখন সেই ধারাই চলছে যা দ্বারা আমাদের প্রিয় জাতি পনুরায় মুক্ত ও স্বাধীনতা পুনরস্থাপন করবে। আজ, ইসলামী ইমারাহ তার সমৃদ্ধ ইতিহাসের পরের ধারাটিতে যাত্রা শুরু করছে। মুজাহিদীন্দের সেই মহিমান্বিত বিজয় যা প্রত্যেক মানুষের পুনরাস্থা উজ্জীবিত করেছে, সারা মুসলমান জাতি সেই ইসলামী শরিয়াহ পুনঃপ্রতিষ্ঠার সেই মুহূর্তটির জন্য বিভর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে।

    ইসলামী ইমারাহতের মহিমান্বিত ইতিহাস সারা বিশ্ব জাতির সামনে উপস্থিত। সকলেই সেটির দিকে তাদের দৃষ্টিপাত করতে পারেন। মানুষদের মাঝে ভক্তি ও সততার দিক থেকে ইসলামী ইমারাহতের মুজাহিদগণেরা প্রসিদ্ধ। স্থানীয়দের জীবন, সম্পদ, সম্মান রক্ষণে তারা অতুলনীয়। শান্তি, স্থিতিশীলতা, শুদ্ধতা, ন্যায়পরায়ণতার প্রতীক হিসাবে তারা সুখ্যাত। দুর্নীতি, লুঠতরাজ, শয়তান, দুশ্চরিত্র পাপাচারদের নির্মূলে তারা পরীক্ষিত প্রতিকারক। মহিলাদের রক্ষণাবেক্ষণে, মহিলাদের মাঝে তারা প্রসিদ্ধ। অর্জন করেছে তাদের শ্রদ্ধা ও মর্যাদা। আমরা যদি ইসলামী ইমারাহতের ২২ টি বছরের ইতিহাসটির দিকে মনঃসংযোগ করি, তবে ইসলামী শরিয়াহ নীতির সেই স্পষ্ট প্রতীয়মান বৈশিষ্ট্যগুলো ফের খুঁজে পাবো।

    আগ্রাসী কুফফর ও তাদের মিত্র ভাড়াটেদের উৎসাহে, প্রচলনে ও তাদের অর্থনৈতিক সহায়তায়- কিছু সম্প্রচার মিডিয়া ও সংস্থা ইসলামী ইমারাহতের মুজাহিদীন্দের নামে মিথ্যা অভিযোগ রটিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট সম্প্রচার চালাচ্ছে, যা মূলত তারা নিজেদেরকেই ধোঁকা ও অপমান করছে, নিজেরাই তারা নিজেদের বিশ্বাস্যতার ক্ষতি সাধন করছে। এই রকম জালিয়াত এবং অকার্যকর রটানো সম্প্রচার ইসলামী ইমারাহতের দক্ষতা, তাদের সমৃদ্ধি এবং সততার মাত্রা আরও কার্যকর করে দিয়েছে। সমস্ত জাতি বিশেষ করে কুন্দুয এর শ্রদ্ধেয় জনতা মুজাহিদীন্দের সরলতা ও সহনশীল ব্যাবহার প্রত্যক্ষ করছে এবং মুজাহিদীন্দের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এই সকল মিথ্যা বিরোধী অভিযোগ ইসলামী ইমারাহকে অপমান করেনি বরঞ্চ আফগান মুজাহিদ ও শ্রদ্ধেয় জাতির বিরুদ্ধে অমার্জনীয় নিপীড়ন অত্যাচার। শুধু কুন্দুযই তারা বিজয় করেনি, প্রতিনিয়ত মুজাহিদগণ প্রিয় দেশটির বিভিন্ন প্রশস্ত অঞ্চলসমূহ জয় ও অর্জন করে চলেছে, কিন্তু সমস্ত প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহ্* তায়ালার, এই অপূর্ব ইতিহাস কলঙ্ক করতে ভয়াবহ সেই কার্যকলাপ চক্রান্ত কেউ বিশেষত প্রত্যক্ষ করেনি। নিজেদের লজ্জাজনক পরাজয় আত্মগোপন করতে, মানুষদের ধোঁকা দিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে, শত্রুপক্ষ তাদের এই সব ভুয়া, ভিত্তিহীন, নিষ্ফল প্রচারে মেতে রয়েছে। তারা নিজেরাও এই বিষয়ে সুস্পষ্ট অবগত যে, ইসলামী ইমারাহতের অভিধানে ব্যভিচার, অশোভনতা, লুণ্ঠন বা ডাকাতি, মিথ্যাচারের কোন স্থান নেই।



    ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তান


    অনুবাদে ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে শুধরে দিবেন।

    http://anonym.to/?http://shahamat-en...of-its-people/

  • #2
    আফগানিস্তান বিংশ শতাব্দীর জিহহাদের ঘাটিসমূহের উৎস। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে রক্ষা করুন।

    Comment

    Working...
    X