Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাযকিয়া নিয়ে কিছু কথা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাযকিয়া নিয়ে কিছু কথা

    তাযকিয়াতুন নাফছ।
    বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
    সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহ তাআলার
    দরবারে যিনি আমাদেরকে দুনিয়াতে পেরন করেছেন
    শুধুমাত্র তার গোলামী করার জন্য,
    এবং অন্যের গোলামী পরিহার করার জন্য এবং দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক
    আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসুল সাইদুল মুজাহিদীন নবীউল মালাহিম
    এবং তার সাহাবায়ে কেরামের উপর। আল্লাহ পাক
    রাব্বুল আলামিন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ
    করেছেন ওই ব্যক্তি সফল হয়েছে যে নিজেকে পরিশুদ্ধ
    করেছে অর্থাৎ তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি
    হাসিল করেছে আলোচ্য বিষয় হল তাযকিয়াতুন নাফস বা
    আত্মশুদ্ধি মানুষ যেমন ভাবে রোগাক্রান্ত হয় ঠিক তেমনি
    ভাবে মানুষের অন্তর ও রোগাক্রান্ত হয় রাসূল সাল্লাল্লাহ
    ু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন জেনে রাখো
    শরীরের মধ্যে একটি গোস্তের টুকরা রয়েছে যখন সেটি
    ভালো হয়ে যায় তখন সমস্ত শরীর ভালো হয়ে যায় আর
    যখন তা বিনষ্ট হয়ে যায় তখন শরীরের সকল জিনিস নষ্ট
    হয়ে যায় আর সেটা হলো কলব। অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু
    আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীস দ্বারা বুঝাতে চেয়েছেন
    যে শুধু অন্তর টা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে মানুষের
    পুরা শরীর নষ্ট হয়ে যায়। মানুষের কলব তিন ধরনের হয়ে থাকে।
    এক নাম্বার হলো সুস্থ অন্তর আর সেটি হচ্ছে মুমিন দের
    অন্তর আর দ্বিতীয় প্রকার হচ্ছে অসুস্থ অন্তর আল্লাহ তা'আলা
    পবিত্র কুর'আনে বলেনঃ তাদের অন্তরের রোগ রয়েছে
    আল্লাহ তাআলা তাদের এই রোগ কে আরো বৃদ্ধি করে
    দেন আর তৃতীয় প্রকার হচ্ছে এমন কলব যার মধ্যে
    সীল মেরে দেওয়া হয়েছে আর সেটি হচ্ছে কাফেরদের
    অন্তর আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন আমি তাদের
    অন্তরসমূহে মোহর মেরে দিয়েছি এবং তাদের
    শ্রবণশক্তি মধ্যেও এবং তাদের দৃষ্টি শক্তির মধ্যে
    পর্দা দিয়েছি আমাদের আলোচ্য বিষয় হল অসুস্থ
    অন্তর কেননা রাসূল বলেছেন শরীরের মধ্যে
    একটা গোশতের টুকরা থাকে যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায়
    তাহলে পুরা শরীর নষ্ট হয়ে যায় আর সেটি হলো
    কলব আমরা দেখব কি কি বিষয়ের কারণে মানুষের
    অন্তর অসুস্থ হয় অন্তর রোগাক্রান্ত হয় কয়েকটি
    কারণে এর মধ্য থেকে চারটি কারণ ওলামায়েকেরাম
    শনাক্ত করেছেন এক নাম্বার কারণ হচ্ছে খারাপ মানুষের
    সাথে মেলামেশা করা তাদের সংস্রবে বসা তাদের সাথে
    ঘুরাফেরা করা যদি কেউ তাদের সাথে চলাফেরা করে
    তাহলে তার অন্তর খারাপ হয়ে যাবে একারণেই আল্লাহ
    তাআলা ইরশাদ করেছেন হে ঈমানদারেরা তোমরা
    আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথী হয়ে যাও
    এবং হাদীস শরীফে এসেছে প্রত্যেক ব্যক্তি তার বন্ধুর
    ধর্ম গ্রহণ করে থাকে সুতরাং লক্ষ্য করা উচিত
    সে কাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছে আসলেই সেটি বাস্তবতা
    কারণ বর্তমানে যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে তার বন্ধুয়া নামাজ
    পড়ে সে যদি সিগারেট খায় তাহলে তার বন্ধু
    ও সিগারেট খায় অর্থাৎ প্রত্যেকটা ব্যক্তি তার বন্ধুকে
    অনুসরণ করে আসলে কোন মানুষ তো প্রথমেই
    মদ খেতে গাজা ইত্যাদি শিখে নাই অবশ্যই সে তার কোন
    বন্ধু বান্ধব থেকে শিখেছে অন্য হাদীসে এসেছে প্রত্যেক
    ব্যক্তি কেয়ামতের দিন তার বন্ধুর সাথে উঠবে
    সুতরাং বুঝা গেল আজকে যদি আমরা মুমিনদের কে
    ভালবাসি তাহলে আমরা মুমিনদের সাথে উঠবো
    আর যদি আমরা কাফির-মুশরিকদের কে বেঈমানদের
    কে ভালবাসি তাদের রীতিনীতি অনুসরণ করি তাহলে
    আমরা তাদের সাথে উঠবো সুতরাং আমাদের উচিত হলো
    আমরা খারাপ বন্ধুর সংস্রব থেকে বেঁচে থাকব কারণ
    খারাপ বন্ধু সাপের চেয়ে বিষাক্ত। সুতরাং মানুষের সাথে
    বন্ধুত্ব করা আর না করার দিক দিয়ে ওলামায়ে কেরাম
    মানুষকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন
    এক নাম্বার তারা হল
    খাদ্য গ্রহণের মতন যেমন ভাবে মানুষ খাদ্য গ্রহণ ছাড়া
    বাচেনা ঠিক তেমনি তাদের সাথে সম্পর্ক না রাখলে
    তাদের অন্তরটি মরে যায় অর্থাৎ হক্কানী ওলামায়ে
    কেরামের সাথে সর্বদা সম্পর্ক রাখা আর এই সম্পর্কটা
    হল খাদ্য গ্রহণের মত কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেছেন
    তোমরা সত্যবাদীদের সাথী হয়ে যাও আর
    দ্বিতীয় শ্রেণীর
    লোক হচ্ছে ওষুধের মতন যেমন ভাবে আমরা অসুস্থ হলে
    ওষুধ সেবন করি অন্যথায় তা সেবন করি না ঠিক
    তেমনি সমাজের কিছু লোক রয়েছে তাদের সাথে প্রয়োজন
    হলে সাক্ষাৎ করতে হবে অন্যথায় নয় আর তারা হলো
    জনসাধারণ লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইত্যাদি
    অর্থাৎ তাদের সাথে নিজের প্রয়োজন অনুসারে দেখা সাক্ষাৎ
    করব আর আরেক শ্রেণীর লোক হচ্ছে বিষের মত বিষ যেমন
    ভাবে মানুষ খায়না তাতে কি সর্বদা দূরে থাকে ঠিক তেমনি
    এই শ্রেণীর লোক থেকেও দূরে থাকতে হবে আর তারা হলো
    ইয়াহুদি এবং নাসারা তাদের সাথে কখনো বন্ধুত্ব করা যাবে না
    তাদের সাথে কখনো চলাফেরা করা যাবে এবং এই লোক গুলো
    হচ্ছে বিষাক্ত অন্তরের মধ্যে রোগ প্রবেশ করার আরেকটি কার
    হচ্ছে বেশি কথা বলা মুমিনের বৈশিষ্ট্য একটি হল
    সে কম কথা বলে আর যখন সে কথা বলে তখন
    চিন্তাভাবনা করে বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
    ওয়াসাল্লাম বলেছেন তুমি আল্লাহর স্মরণ ব্যতীত
    অধিক কথা বলোনা কারণ অধিক কথা বললে
    মানুষ বাচাল হয়ে যায় অন্য হাদীসে রাসূল
    সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
    মোমিনরা হয়তো ভালো কথা বলে নতুবা
    চুপ থাকে আরেক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু
    আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি আমাকে
    2 টি জিনিসের গ্যারান্টি দিবে আমি তাকে
    জান্নাতে যাবার গ্রান্টি দিব সাহাবায়ে কেরাম
    জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ সেই দুইটি
    জিনিস কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
    ওয়াসাল্লাম বললেন একটি হচ্ছে দুই চোয়ালের
    মাঝে অবস্থানকারী জিব্বা আরেকটি হচ্ছে
    দুই উরুর মাঝে অবস্থানকারী লজ্জাস্থান
    এজন্য আমাদের উচিত হলো এই জিহ্বাকে
    সংরক্ষণ করা সুতরাং আমাদের মাধ্যমে যাতে
    এই মুখ দিয়ে এমন কথা না বের হয় যে কথাটা
    মিথ্যা অথবা গীবত শিরিক এবং কুকুর অন্তরের
    রোগ প্রবেশ করার দিকে নাম্বার কারণ হলো বেশি
    খাবার ভক্ষণ করা আল্লাহ তাআলা বলেছেন তোমরা
    খাও পান কর কিন্তু অপচয় করিও না হাদিসের মধ্যে
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ
    করেন তুমি তোমার পেঠকে তিনটি ভাগে ভাগ
    কর একটিবার খাবার আর এক ভাগ পানি
    এবং আরেক ভাগ খালি থাকবে সুতরাং বুঝা গেল
    অতিরিক্ত খাবার রে অন্তরের রোগ প্রবেশ করে
    আর কুরআনে বর্ণিত হয়েছে অতিরিক্ত খাবার
    গ্রহণ করা কাফের এর বৈশিষ্ট্য সুতরাং আমরা
    যারা মুমিন তারা প্রয়োজন অনুসারে খাবার খেতে
    হবে রোগ প্রবেশ করার চতুর্থ নাম্বার কারণ হলো
    অধিক দৃষ্টি দেওয়া এই দৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের
    অন্তরের রোগ প্রবেশ করে আল্লাহ তাআলা
    কুরআনে বলেছেন হে নবী আপনি মুমিনদেরকে
    বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে
    হাদিসের মধ্যে এসেছে চোখের যিনা হলো দৃষ্টি দেওয়া
    এজন্য আমরা যদি গুনার কাছ থেকে বাঁচতে চাই
    তাহলে নজরের হেফাজত করতে হবে অন্যথায়
    তা সম্ভব নয় কারণ গুনার মধ্যে যাওয়ার
    সর্বপ্রথম যে জিনিসটা ব্যবহার হয় তাহলে চোখ
    প্রথমে একজন চোখ দিয়ে দেখে তারপর
    সে কল্পনা করে তারপর এসে খারাপ কাজে
    লিপ্ত হয় অন্তরের মধ্যে যে সমস্ত রোগ রয়েছে
    এর মধ্যে এক নাম্বার হলো মিথ্যা কথা বলা
    আর এই মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে মারাত্মক অপরাধ
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
    সত্য মানুষকে নেক কাজের দিকে ধাবিত করে
    আর নেক কাজ মানুষকে জান্নাতের দিকে ধাবিত
    করে এমনিভাবে একজন লোক সত্য কথা বলতে
    থাকে এবং আল্লাহর দরবারে এসে সত্যবাদী
    হয়ে যায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
    আরো বলেছেনঃ এমনিভাবে একজন লোক
    মিথ্যা কথা বলে এক সময় সে আল্লাহ তার কাছে
    মিথ্যাবাদী হয়ে যায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
    ওয়াসাল্লাম মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন
    এক নম্বর বৈশিষ্ট্য হল যখন সে কথা বলে তখন মিথ্যা
    বলে দ্বিতীয় হল যখন তার কাছে কোন আমানত রাখা
    হয় তখন সে আমানতের খেয়ানত করে
    তৃতীয় নাম্বার হলো
    যখন সে কোন বাদা করে তখন ওয়াদা ভঙ্গ করে
    শেষটা হলো
    যখন সে কারো সাথে ঝগড়া করে তখন গালি দেই
    যদি কোন ব্যক্তির কাছে চারটি বৈশিষ্ট্য একসাথে
    পাওয়া যায় তাহলে সে হচ্ছে একদম খাঁটি মুনাফিক
    আর যদি একটা পাওয়া যায় তাহলেও তার অন্তরে
    নিফাকী লক্ষণীয় বিষয় হলো এই গুণগুলি আমার
    মধ্যে আছে কিনা যদি থাকে তাহলে আজই এগুলো
    পরিহার করা উচিত আল্লাহ তা'আলা যেন আমাকে
    এবং সকলকে এইসকল বিষয় আমল করার তাওফিক
    দান করেন আমিন আমিন

  • #2
    জাঝাকাল্লাহ ভাই !
    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ
      সুন্দর লিখেছেন ভাই!
      হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
      ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।

      Comment


      • #4
        Jajakallah

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ আখি,অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন, আপনার নিয়মিত পোষ্ট কামনা করি।

          Comment


          • #6
            Jajhakhallah

            Comment

            Working...
            X