Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাহাদাতের সংস্কৃতি – আনোয়ার আল আওলাকী (আল্লাহ তাকে কবুল করুন)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাহাদাতের সংস্কৃতি – আনোয়ার আল আওলাকী (আল্লাহ তাকে কবুল করুন)

    আরব উপদ্বীপে আজ শাহাদাতের গাছ পরিপূর্ণ ভাবে বিকশিত হয়েছে, আর সময় হয়েছে এখন ফসল কাটার। আর মহিমান্বিত আল্লাহ তা’লা এখানের মানুষদের মধ্য থেকে অনেককে শহীদ হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন। এরা হলেন শায়খ আব্দুল্লাহ আল মিহদার (আল্লাহ্ তাঁকে রহম করুন), এবং শেখ মুহাম্মদ উমাইর আল কিলভী (আল্লাহ্ তাঁকে রহম করুন) এবং সৎকর্মশীল ভাই আবু সালিহ মুহাম্মদ আলী কাযিমী এবং আরও অন্যান্যরা। মহিমান্বিত আল্লাহ তা’লা, তাদের শহীদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।


    যারা ব্যাপারটিকে এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে না, তারা ভাবে যে এই মানুষগুলো হয়তো নিজেদের বিশাল ক্ষতি করে ফেলল। কিন্তু তারা জানে না যে, এই মানুষগুলোই (শহীদরা) আসলে লাভবান হয়েছে, কারণ তারা ব্যবসা করেছে স্বয়ং আল্লাহ তা’লার সাথে।
    যখন মহিমান্বিত আল্লাহ তা’লা শহীদ হিসেবে একজন ব্যক্তিকে কবুল করে নেন, এটা সে ব্যক্তির জন্য একটি সম্মান ও আল্লাহর তা’লার পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত। এটি কোন ক্ষতি নয়, এবং এটি কখনই একটি ক্ষতি হতে পারে না। তাই মানুষের উচিত শাহাদাতের সংস্কৃতি থেকে শিখে নেয়া যে, শাহাদাত লাভ করতে পারা মহিমান্বিত আল্লাহ তা’লার পক্ষ থেকে একটি বিশাল মর্যাদা এবং রহমত, এবং এটা কোন লোকসান নয়।
    যারা শহীদ হয়েছে তাদের গোত্রের সদস্যদের ও বন্ধুদের উচিত হবে না তাদেরকে ‘ক্ষতিগ্রস্থ’ হিসেবে দেখা, বরঞ্চ এটা তাদের (গোত্রের) জন্য একটা অর্জন এবং সম্মান। তাদের গর্বিত হওয়া উচিত এজন্য যে তারা তাদের মধ্যকার কয়েকজনকে শহীদ হওয়ার জন্য পাঠিয়েছে; পাশাপাশি এই ব্যাপারটাও তাদের জন্য গর্বের যা হল……. “অমুক অমুক গোত্র থেকে এই এই নামের মানুষগুলো শহীদ হয়েছে; অমুক অমুক গোত্র থেকে এত এত সংখ্যক মানুষ শহীদ হয়েছে” …….এইরকম।
    রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সময়ে মানুষেরা কে কত বেশী ইসলামের জন্য উৎসর্গ করতে পারত তা নিয়ে আত্মম্ভরিতা ও গর্ববোধ প্রকাশ করতেন। তারা পার্থিব বা দুনিয়াবী কোন বিষয় নিয়ে গর্ববোধ করতেন না, পার্থিব কোন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হত না; প্রতিদ্বন্দ্বীতা ও ব্যতিব্যস্ততা কোন পার্থিব বিষয় নিয়ে ছিল না। “সুতরাং প্রতিযোগীরা এ বিষয়ে (পারলৌকিক) প্রতিযোগিতা করুক.” (সূরা আল মুতাফ্*ফিফীন, আয়াতঃ ২৬) – পরকালের বিষয়ে, এবং পার্থিব বিষয়ে নয়। মহিমান্বিত আল্লাহ তাই পৃথিবীর বুক থেকে কিছুসংখ্যক মুজাহিদিনকে সম্মানিত করেছেন এবং তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন; এবং এরাই হল প্রথম শহীদী-দল যারা কাফির ক্রুসেডারদের জঘন্য আগ্রাসী থাবায় শাহাদাত বরণ করেছে। ইতিপূর্বে আমরা বলেছি যে, শাহাদাতের মৌসুম এখন চলছে এবং এটা চলমান থাকবে। কিন্তু নতুন এই সামরিক আগ্রাসন যা আমেরিকার সরাসরি নেতৃত্বে শুরু হয়েছে, এটাই হল শাহাদাতের লাভের প্রারম্ভ……

  • #2
    jazakumullahu ahsanal jaza

    Comment


    • #3
      জাজাকাল্লাহ

      Comment


      • #4
        আত-তাওবাহ ৯:৪৪

        لَا يَسْتَاْذِنُكَ الَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ اَنْ يُّجَاهِدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْ ؕ وَاللّٰهُ عَلِيْمٌۢ بِالْمُتَّقِيْنَ

        আল্লাহ ও রোজ কেয়ামতের প্রতি যাদের ঈমান রয়েছে তারা মাল ও জান দ্বারা জেহাদ করা থেকে আপনার কাছে অব্যাহতি কামনা করবে না, আর আল্লাহ সাবধানীদের ভাল জানেন।
        فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

        Comment

        Working...
        X