Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ ও মুজাহিদীন নিউজ ll ৯ই জিলহজ্জ, ১৪৩৯ হিজরী ২১ই আগস্ট, ২০১৮ ইং

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ ও মুজাহিদীন নিউজ ll ৯ই জিলহজ্জ, ১৪৩৯ হিজরী ২১ই আগস্ট, ২০১৮ ইং

    আফগানিস্তানের কাবুল, কুন্দুজ, নানগাহার, প্রদেশে ক্রুসেড আমেরিকান সন্ত্রাসীদের হামলা: ৪ জন মুসলিম শহিদ, ১০ জন গ্রেফতার





    দখলদার আমেরিকান এবং আফগান পুতুল বাহিনীরা কাবুল, কুন্দুজ, নানগাহার, প্রদেশে বর্বর হামলা চালিয়েছে।

    আল ইমারাহ রিপোর্টে জানা যায়, সোমবার রাতে কুন্দুস প্রদেশে ইমাম সাহেব এলাকায় মার্কিন হায়েনা ও আফগান সন্ত্রাসীদের যৌথ বাহিনীরা মুসলিমদের উপর নির্মম হামলা চালিয়ে যাওয়ার সময় ৩ জনকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে নিয়ে গেছে।

    এদিকে, কাবুল প্রদেশের খাক জব্বার এলাকায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে যাওয়ার সময় ৩ জনকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে নিয়ে গেছে।

    অন্যদিকে, নানগাহার প্রদেশে খোগয়ানী স্থানে মার্কিন হায়েনা ও আফগান সন্ত্রাসীদের যৌথ বাহিনীরা

    চালিয়ে ৪ জন মুসলিমকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে। এছাড়া আরো ৪ জনকে বন্দি করে নিয়ে গেছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।


    ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে আমীরুল মুমিনীনের বিশেষ নির্দেশে ২৯ বন্দিকেও মুক্ত করে দিয়েছেন




    কান্দাহার প্রদেশের শোরাওয়াক জেলায় ইমারতে ইসলামিয়ার মুজাহিদগন বন্দিদের মুক্ত করে দিয়েছেন।

    আল ইমারাহ রিপোর্টে জানা যায়, সোমবার দুপুরের সময় সোসাহান এলাকায় অবশিষ্ট ২৯ জন বন্দিকেও আমীরুল মুমিনিনের বিশেষ ফরমানে ঈদ উপলক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যাতে সকলে তাঁদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে।


    মাদকদ্রব্যসহ নানা অপরাধে জড়িত বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী



    দেশের জনগণ রাষ্ট্রকে অর্থ দিচ্ছে। রাষ্ট্র সে টাকা দিয়ে পুলিশকে বেতনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এখন পুলিশের দায়িত্ব কী হওয়া উচিত ছিল তা সবারই জানা! তাদের অন্যতম দায়িত্ব ছিল মাদকদ্রব্যসহ সকল অপরাধ দমন করা। কিন্তু দু:খজনক হলেও প্রকৃত সত্য হলো- দেশে মাদকসহ নানা অপরাধে তারাই সবচেয়ে বেশি জড়িত। তারা মাদক চোরাচালান, মাদকদ্রব্য গ্রহণসহ মাদকের সাথে সম্পর্কিত সকল অপরাধেই জড়িত! তার কিছু নমুনা নিচে উল্লেখ করা হলো:-
    ২০ আগস্ট খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ৮৬ ইয়াবা বড়িসহ এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরও এক নারী গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. ইকরাম হোসেন। সে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক। আর গ্রেপ্তার হওয়া নারীর নাম ইসমত আরা। ইসমত চট্টগ্রামে পোশাকশ্রমিক ছিলেন। পোশাকশ্রমিকের আড়ালে সে পুলিশের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়ে। তার চার বিয়ে ভেঙে গেছে। পুলিশ পরিদর্শক ইকরাম নাকি তার পঞ্চম স্বামী। কিন্তু ইকরাম স্ত্রীর মতই মেলামেশা করেও সবকিছু অস্বীকার করছে। ঐ পুলিশের অপর দুই ভাইও মাদক ব্যবসায়ী।
    এদিকে, একইদিনে নারায়ণগঞ্জে ইয়াবা ও মাদক বিক্রির টাকাসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই)-কে তার সঙ্গীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫০ টাকা পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামি এএসআই সালাউদ্দিন স্বীকার করে, নারায়ণগঞ্জ ডিবিতে থাকা অবস্থায় তাঁর সঙ্গে টেকনাফের কিছু মাদক ব্যবসায়ীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর টেকনাফ থেকে ইয়াবা আমদানি করে নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ ও বিক্রি করত এ ছাড়া এএসআই সালাউদ্দিন আরও জানায়, বিভিন্ন এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিত এবং সেই বাসা ব্যবহার করে তাঁর গাড়িচালক রনি ও অন্য সহযোগীদের মাধ্যমে ইয়াবা মজুদ ও বিক্রি করত।
    ১৬ আগস্টের প্রথম আলোর আরেকটি রিপোর্ট দেখা যেতে পারে, পড়লে লোম শিহরিয়ে উঠে। এরাই বুঝি জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিবে?
    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) দায়িত্বরত এক গোয়েন্দাপুলিশ সদস্য। সম্প্রতি, তার মোটরসাইকেলে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ২৮ হাজারের বেশি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
    এরাই আবার মাদক বিরোধী অভিযানের নামে অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। অনেক নিরাপরাধ মানুষগুলোকে জেলখানায় ফেলে রেখেছে। নিজেদের অপরাধের ফিরিস্তি ঢাকতে সাধারণ জনতাকে বিভিন্ন বিষয়ের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছে। তারা আইনের পোশাক পড়ে সবচেয়ে বেআইনী কাজ করে থাকে। সকল অপরাধীদের সঙ্গ দেয় এবং নিজেও অপরাধ কর্মে জড়ায়। [সূত্র: প্রথম আলো]



  • #2
    কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য কমানো নিয়ে কিছু কথা!





    ২০শে আগস্ট সোমবারে ‘বিবিসি বাংলা’ সংবাদমাধ্যমে ‘কোরবানির ঈদ: বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসাগুলো বলছে, চামড়ার দাম কমলে তাদের আয় কমে যাবে’ এই শিরোনামে প্রকাশিত একটি নিউজ রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘‘চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ পশুর চামড়ার মূল্য কমে যাওয়ার ব্যাপারে বলেন- পশুর চামড়ার দাম কমানোর মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্যের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা নিশ্চিত করা। মি.আহমেদ বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া শিল্প পড়তির দিকে। তাই স্থানীয় বাজারে যদি বেশী দামে আমরা চামড়া কিনি তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম বেশী হবে এবং বিক্রি কমে যাবে।” চামড়া-জাত পণ্যের রপ্তানি দিনদিন কমে যাওয়ায় পশুর চামড়ার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য শিল্পের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই নেয়া হয়েছে বলে মনে করেন মি. আহমেদ।’’ [সূত্র:বিবিসি বাংলা]

    উপরোক্ত কথা অনুযায়ী বুঝা যায়, বর্তমানে চামড়াজাত পণ্যের ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে! আর, সে কারণেই বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশে চামড়ার মূল্য কমানো হয়েছে। ২০১৩ সালে যেখানে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার সরকার নির্ধারিত মূল্য ছিল ৯০ টাকা পর্যন্ত, সেখানে ২০১৮ সালে এসে তা হয়েছে ৫০টাকা! বিবিসি বাংলা’র বরাতে জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছরই বাংলাদেশে চামড়ার সরকার নির্ধারিত মূল্য কমানো হয়েছে। অতএব, চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদের বক্তব্য বিবেচনায় বলা যেতে পারে যে, ২০১৪ সাল থেকেই বৈশ্বিক বাজারে চামড়া দ্রব্যের মন্দাভাব সৃষ্টি হওয়ায় সরকার চামড়ার মূল্য ক্রমশ কমিয়ে চলেছে। অথচ, বাস্তবতা হলো এই বক্তব্যের বিপরীত! ২০১৬ সালের ০৯ই জুলাই ‘পুঁজিবাজার’ নামক একটি ব্যবসা বিষয়ক সংবাদমাধ্যমে ‘চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি পোশাকশিল্পকেও ছাড়াবে’ এই শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটির ভাষ্য অনুযায়ী, রাজধানীর ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার(৯ই জুলাই, ২০১৬) ‘সরকার ও নিয়ন্ত্রকদের নীতিনির্ধারণে সহায়তার ক্ষেত্রে অ্যাক্রিডিটেশন একটি বৈশ্বিক হাতিয়ার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলে, ‘দেশের চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি তৈরি পোশাকশিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে।’

    আমাদের সকলেরই জানা যে, বাংলাদেশের বৈদিশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো- পোশাক শিল্প। আর, ২০১৬ সালে দেশের শিল্পমন্ত্রী আশা প্রকাশ করছে যে পোশাক শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে চামড়াজাত দ্রব্যের রপ্তানিমূল্য! তাহলে বুঝা-ই যায়, বিশ্ববাজারে চামড়াজাত দ্রব্যের মন্দাভাব দেখা যায়নি, বরং চক্রান্তের ভাব উদয় হয়েছে সরকারের মনে! এ কারণেই, দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে অধ্যায়নরত হাজার হাজার গরীব,ইয়াতিম শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালানোর মাধ্যমের উপর কুঠারাঘাত করেছে! চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়ে গরীব-মিসকিনদের হক্বকে বিনষ্ট করেছে! অথচ, দেশের বাজারগুলোতেও চামড়া দ্রব্যের মূল্য খুবই চড়া! সাধারণ জনতার কাছে বিষয়গুলো অস্পষ্ট নয়। দেশের সরকার আজ গরীব মারার ফাঁদ পেতেছে! একদিকে চামড়ার মূল্য কমিয়ে গরীবের হক্ব নষ্ট করেছে, আরেকদিকে চামড়াদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে গরীবদের জন্য তা আকাশছোঁয়া পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে!


    Comment


    • #3
      আখি, জাযাকাল্লাহ। যারা কওমিতে পড়ি, আমাদের যাদের তাওফিক আছে তারা নিজের টাকা দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। আমি দ্বীন শিখবো কিন্তু অন্যের টাকায় কেনো??? দ্বীন শিখলে কি অন্যের টাকায় শিখতে হবে!?
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4
        সহমত ।
        আল্লাহ পোষ্টকারী ভাইকে জাযায়ে খাইর দান করুন,আমিন !!!
        যারা ঈমানদার তারা যে, ক্বিতাল করে আল্লাহর রাহেই । আল-ক্বুরআনুল কারীম ।

        Comment


        • #5
          পোস্টকারী ভাইকে ধন্যবাদ।
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            নিজের টাকা দিয়ে দ্বীন শিখা এটিই আসল।
            আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
            আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

            Comment


            • #7
              জাঝাকাল্লাহ
              আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

              Comment


              • #8
                নিজের টাকা দিয়ে দ্বীন শিখা এটাই আসল।

                Comment

                Working...
                X