Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদবিরোধী বড় ভাইয়ের প্রতি এক মুজাহিদের লেখা চিঠির খণ্ডাংশ!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদবিরোধী বড় ভাইয়ের প্রতি এক মুজাহিদের লেখা চিঠির খণ্ডাংশ!


    নিম্নে লিখিত চিঠিটি আল্লাহর রাস্তার একজন মুজাহিদ ভাই জিহাদের বিরোধিতাকারী তার বড় ভাইয়ের প্রতি লিখেছিলেন। উক্ত চিঠিটিরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ এখন আপনাদের সামনে। যেহেতু, জিহাদ চিরন্তন এবং এর বিরোধিতাও চলতে থাকবে; তাই, এরকম চিঠি হয়তো প্রয়োজন হবে সবসময়ই! আল্লাহু আ’লাম। সেই কথা বিবেচনা করে চিঠিটির খণ্ডাংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয়েছে। কথা না বাড়িয়ে চিঠিটি পড়া শুরু করি-

    __________________________________________________ _________________________



    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
    الحمد لله رب العالمين، والصلاو والسلام على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين، أما بعد.
    প্রিয় ভাই,
    আমার কথায়…………………………………………………………..

    ……………………………………………………

    তুমি জ্ঞানী ছিলে, ইসলামের প্রতি মনোযোগী ছিলে। তখন তোমাকে সম্মান করতাম, শাসন করলে মাথা পেতে নিতাম। যদিও খুব কম সময় বিদ্রোহী মনোভাব জন্মাত মনে, তবে সেটাও ছিল বয়সের তাড়নায় এবং স্বাধীনতার ইচ্ছায়। আর, হয়তো ছোট বলে সবসময়ই অবজ্ঞা করে এসেছ, মাঝে মাঝে চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরত, তোমার শাসন অথবা মারার কারণে বলে মনে হয় না, কেবলই অবজ্ঞা করার কারণে। যাকে এত ভালোবাসি, সে যখন অবজ্ঞা করে তখন অত্যন্ত কষ্ট লাগে মনে। যাক, সে কথা হয়তো তোমাকে বুঝাতে পারবো না। পূর্বে তোমাকে অনেক ভালোবাসতাম , এখন কেন বাসি না? এর কারণ হলো- আমার রবের দ্বীন ইসলাম। যেভাবে তোমার আর আমার মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে টিকিয়ে রেখেছে, ঠিক তেমনি তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাকে স্তিমিত করে দিয়েছে ইসলাম। তুমি হারাম কাজে লিপ্ত হও, কীভাবে তোমাকে ভালোবাসতে পারি? বলো তো, কীভাবে তোমাকে অনুসরণ করি?!

    ……………………………………………..

    …………………………

    আর মূল কথা হলো-তুমি যদি হক্বকে পাওয়ার জন্যই প্রশ্ন করো, তাহলে শুনো, তোমাকে দলিলভিত্তিক জবাব দিতে আমরা বদ্ধপরিকর ইনশাআল্লাহ। আর, যদি কেবলই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার জন্য এবং ঐসকল উলামায়ে কেরামের মত করতে চাও, যাদের সামনে জিহাদ সম্পর্কিত কোনো আয়াত তেলাওয়াত করলে তারা বলেন, “এটার ব্যাখ্যা আছে।” যখন তাদেরকে বলা হয় যে, তাহলে এই আয়াতের ব্যাখ্যাটা করেন। আবারও তাদের জবাব আসে, “ ব্যাখ্যা আছে!” অর্থাৎ, “ব্যাখ্যা আছে, ব্যাখ্যা আছে।” কথাটাকেই যারা আয়াতের ব্যাখ্যা হিসেবে বর্ণনা করে মানুষকে ধোঁকা দিতে চায়, তুমিও যদি তাদের পন্থা অবলম্বন কর, তবে তোমাকে একটি হাদিস স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি, যেখানে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এক ব্যক্তি বললো, মানুষ তার জামা-কাপড়, জুতা ইত্যাদি সুন্দর হওয়া পছন্দ করে। তিনি বললেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। অহংকার হলো সত্য থেকে বিমুখ হওয়া এবং মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করা।”[ রিয়াদুস সালেহীন চতুর্থ খণ্ড, ১৫৭৫ নাম্বার হাদিস]

    আর যেখানে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য হয় না, সেখানে তর্ক-বিতর্ক করতেও আমরা রাজি হই না।

    …………………………………………………..

    …………………………………..

    তোমার পরবর্তী কথা হলো- আমাকে ব্রেন ওয়াশ করা হয়েছে। তুমি ঠিকই বলেছ, আমাদের ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে। তবে, জান কীভাবে বা কী দিয়ে??!! আমাদের ব্রেনে শিরক, কুফর, অশ্লীলতা ইত্যাদি যতধরণের আবর্জনাগুলো ছিল, তা পবিত্র কুরআন-হাদিস অর্থাৎ ইসলামী শরীয়তের বিশুদ্ধ ও পাক পানি দ্বারা ধৌত করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আর, তোমার বা তোমাদের ক্ষেত্রে জানো কী হয়েছে? তোমাদের ব্রেনগুলোকে ওয়াশ করা হয়েছে মিথ্যা, সন্দেহ-সংশয়, ইসলামের ফরজ বিধানের বিরোধীতার নোংরা ও নাপাক পানি দ্বারা। যার করণে তোমাদের ব্রেনগুলোতে জং ধরেছে। নিজ থেকে কিছু চিন্তাই করতে পারো না! তোমাদের অবস্থা হয়েছে এমন যে, প্রচারমাধ্যমগুলো বলছে, ‘জঙ্গীরা এমন এমন করে, আর তাদের ধারণা হলো এমন।’[অর্থাৎ, তারা জঙ্গীদের (মুজাহিদীনের) কাজগুলোকে কেবল নিকৃষ্টভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করে, এর বিপরীতে বেশি কিছু বলতেও হয় না।] আর তোমরা এটকে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে দলিলভিত্তিক ‘সোনার হরিণ’ যেন পেয়ে গেছ, এমন মনে করছ! অথচ, না সত্য-মিথ্যা যাচাই করেছ, আর না জানতে চাচ্ছ যে, ইসলাম এখানে কী বলে! আমার তো মনে হয় যদি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যে, “জঙ্গীরা কুরআনের এই এই আয়াতগুলোকে [অর্থাৎ, যেসকল আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা সুস্পষ্ট ভাষায় জিহাদের ঘোষণা দিয়েছেন] ব্যবহার করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সুতরাং সাবধান!” আর অমনিতেই তোমরা অনুগত দাসের ন্যায় তা মেনে নিয়ে মহান রবের বাণীকে অগ্রাহ্য করতেও কুণ্ঠিত হবে না!( নাউযুবিল্লাহ) অথচ, একটিবারও মূল বিষয়টি উপলব্ধি করার বা খোঁজার চেষ্টাও করো না!

    …………………………………………………………….

    …………………………………..

    আর, তুমি যদি সত্যিই সঠিকপথ অবলম্বনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে চাও, তোমাকে অবশ্যই আমরা সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ। যদি দলিল চাও, দলিল দিবো ইনশাআল্লাহ। তবে, দ্বীন ইসলামকে নিয়ে তামাশা করার ক্ষেত্রে আমরা তোমাকে সাহায্য করার পক্ষপাতী নই। যা আমি পূর্বেও বলেছি।

    তুমি কিছু প্রশ্ন করেছ, এর মধ্যে একটি হলো- আমরা কার বিরুদ্ধে জিহাদ করি বা করবো (অনেকটা এমন)? এই প্রশ্নের জবাবে তোমাকে একটি বই দিতে চাইলাম, তুমি বললে না, তুমি সংক্ষেপে উত্তর চাও, বড় বই পড়ার সময় তোমার নেই!! কী চমৎকার!! দুনিয়াতে সফলতা লাভের জন্য বিশাল বিশাল বই পড়ে শেষ করতে দেখেছি তোমাকে, আর হক্ব দলের সন্ধান চাও, অথচ একটি বই পড়ার সময় নেই! তাহলে আমাদের কী দরকার, তোমাকে হক্ব গিলিয়ে দেওয়ার!!? আমাদের দায়িত্ব কেবল পৌঁছে দেওয়া, যা আমরা পালন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনলাইনে, অফলাইনে বিভিন্নভাবে। আমরা আল্লাহ তা’য়ালার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।

    ……………………………

    …………………………………….

    তোমার আরেকটি প্রশ্ন বা সংশয় হলো- আমরা কীসের দাওয়াত দিই? কেবল জিহাদের দাওয়াত দিই কেন?



    তোমার এই প্রশ্নের জবাবে বলেছিলাম তাওহীদের দাওয়াত দেই। এটা বিস্তারিত বলার পূর্বে তোমার কাছে আমার একটি প্রশ্ন, জিহাদের দাওয়াত দেয়া কি দোষণীয়? নাকি নাজায়েয? তোমার কথায় বার বার কেন জিহাদকে অপছন্দনীয়তার বিষয়টি প্রকাশ করছো ভাই? শুনো, জিহাদ তো স্বাভাবিকভাবেই ফরজে কিফায়া, আর কিছু শর্ত সাপেক্ষে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। বর্তমানে উক্ত শর্তগুলোর উপর ভিত্তি করে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে গেছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে পরে দলিলভিত্তিক আলোচনা করা যাবে ইনশাআল্লাহ্ । তোমার প্রতি পরামর্শ ভাই, জিহাদ না করলেও জিহাদের বিরোধীতা করে ইমান হারানোর মত ভয়াবহ বিষয় থেকে বেঁচে থাকো।

    এখন আসছি তাওহীদের দাওয়াত দেওয়ার কথায়। আমাদের জিহাদ করার মূল লক্ষ্য হলো আল্লাহর জমীনে আল্লাহর বিধানকে বাস্তবায়ন করা, আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করা, মাজলুমদেরকে জালিমের কবল থেকে উদ্ধার করা।( ইতিমধ্যে, সারা বিশ্বের প্রায় ৫০ লক্ষ বর্গকিলোমিটারেরও অধিক অঞ্চলে আল-কায়েদার মুজাহিদগণ ইসলামী শরীয়াত প্রতিষ্ঠা করেছেন আলহামদুলিল্লাহ) । এখন যদি কোন শাসক আল্লাহর বিধানকে তাঁর অঞ্চলে বাস্তবায়ন করে, ঐ জায়গায় আমরা অবশ্যই তাঁর আনুগত্য স্বীকার করে নিব বিইযনিল্লাহ। আমাদের উদ্দেশ্য মানুষ হত্যা করা নয়, বরং আল্লাহর জমীনে তাঁরই একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ, আমরা এক আল্লাহকেই রব হিসেবে মানি। তিনি কেবল সৃষ্টিকর্তাই নন, বরং রিযিকদাতাও। বিধানদাতাও কেবলই তিনি। আর, আমরা আল্লাহর একত্ববাদকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি এবং বাস্তবে পরিণত করি, আলহামদুলিল্লাহ। আর আমরা মানুষকেও এর দিকেই আহ্বান করি। আবারও বলছি, আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আমরা জিহাদ করি। তাওহীদ বুঝে না এমন ব্যক্তিকে তো আমরা ভুলেও জিহাদের দাওয়াত দেই না। একটু চিন্তা করো, “ মনে করো, তুমি এক আল্লাহকেই সর্বক্ষেত্রে বিশ্বাস করো, বিধানদাতা হিসেবেও আল্লাহকে মানো এবং তা বাস্তবায়ন করতে চাও। দেশের শাসক তোমার ব্যাপারে জানতে চাইলে, তুমি বললে যে আমি তোমার বিধানকে (কুফুরী বিধান) মানি না, কেবল আল্লাহর বিধানকে মানি। তাহলে, তোমার পরিস্থিতি কেমন হবে? হয় তোমাকে জেলে পাঠানো হবে, না হয় হত্যা করা হবে। আর, তুমি হয় জেলে থাকবে, না হয় শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।”

    প্রিয় ভাই!

    আমি আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। মানুষ হওয়ায় এবং ইলমের ঘাটতি থাকার কারণে আমার কথায় ভুল থাকাটা অতি স্বাভাবিক। তাই, ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার এবং উত্তমভাবে ভুল শোধরে দেওয়ার অনুরোধ। এখানে, সংক্ষেপে কিছু প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দলিল দিয়েছি যেগুলো তুমি যাচাই করতে পারবে, হাতের কাছে পাবে সেগুলো থেকে। তোমার করা আরো প্রশ্ন আমার মনে নেই। প্রিয় ভাই! এখানে যা বলেছি, কোনো লুকোচুরি নেই। সব সত্য বলেছি বলে মনে করি। তোমাকে সত্যিই ভালোবাসতাম, এখনো ভাই হিসেবে ভালোবাসি বলেই তোমাকে সত্যের দিকে আহ্বান করাটা জরুরি মনে করছি । হে ভাই! দুনিয়ার লালসা ত্যাগ করে সত্য অনুসন্ধানে নেমে পড়ো আল্লাহর উপর ভরসা করে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তোমাকে সঠিক পথ দেখাবেন। আমরাও দোয়া চাই, যেন আল্লাহ তায়ালা সঠিক পথে অবিচল রাখেন।

    والله سبحانه وتعالى أعلم، وعلمه أتم وأحكم، وما توفيقي إلا بالله، وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وعلى آله وأصحابه أجمعين، ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين



    লিখনে,

    তোমার স্নেহবঞ্চিত ছোট ভাই।
    Last edited by আবুল ফিদা; 08-31-2018, 11:17 AM.
    “ আমি আবেগী হতে পারি, তবে নই বাস্তবতায় বিমুখ,
    জানি কারাগার কেড়ে নিতে পারে মোর জীবনের সব সুখ।
    জেনে *বুঝেই আমি বেছে নিয়েছি শত কষ্টের এই পথ,
    যে পথ নিয়ে যাবে জান্নাতে, সে পথে অটল থাকার করেছি শপথ।”

  • #2
    অনেক সু্ন্দর ও বস্তব সম্মত আলোচনা। কিন্তু যাদের অন্তর মোহর মারা তারা কি করে তাওহিদের পথে আগাবে??

    Comment


    • #3
      মাশা আল্লাহ খুব সুন্দর লেখা ।
      আল্লাহ এই উম্মাহকে হেদায়াত দান করুক ।

      Comment


      • #4
        মাশাল্লা খুব সুন্দর হয়েছে।
        আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
        আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ, ভাই, আল কায়েদার দখলকৃত ভূমির পরিমান '৫০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার'৷ মনে হয় এখানে ভুলে শুধু '৫০ বর্গকিলোমিটার' লিখেছেন৷ ঠিক করে দিলে ভালো হয়৷
          হয়তো শরীয়াহ্, নয়তো শাহাদাহ্!

          Comment


          • #6
            মাসাআল্লাহ, চমৎকার লেখা। পোষ্টকারীকে আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ন জাঝা দান করুন। আমাদেরকে জিহাদের পথে অটল রাখুন।... আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X