Announcement

Collapse
No announcement yet.

ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এমন উক্তি ইসলাম বির

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এমন উক্তি ইসলাম বির

    ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এমন উক্তি ইসলাম বিরোধী : আল্লামা শফী
    মুসলমানরা কখনো পূজায় বাধা দেয়নি





    ডেস্ক রিপোর্ট
    ০২ নভেম্বর ২০১৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন

    হিন্দুদের পূজার অনুষ্ঠানে কতিপয় মুসলমানের শরীক হওয়াকে সমর্থন ও উৎসাহিত করে “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এমন উক্তি বা বক্তব্য দেয়াকে সম্পূর্ণ ইসলাম ও যুক্তি বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মানুসারীরাও এ ধরনের বক্তব্য স্বীকার করে না। যদি করত, তাহলে ভারতীয় মুসলমানদের পবিত্র কুরবানী’র উৎসবে হিন্দুরা হিংসাত্মক আক্রমণ ও বাধা দিত না। গরু কুরবানীর হালাল কাজে বাধা দিয়ে মুসলমানদেরকে হত্যা করতো না। তিনি বলেন, গরু জবাই করা ও গরুর গোস্ত খাওয়া হিন্দুশাস্ত্রে নিষিদ্ধ থাকলেও ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে মুসলমানদের এই ধর্মীয় অধিকারে কেন বাধা দেয়া হচ্ছে? অপরদিকে মূর্তিপূজা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম, অথচ হিন্দুধর্মে এটাই উপাসনা ও পুণ্যের কাজ। কিন্তু মুসলমানরা তো ইসলামে নিষিদ্ধ মূর্তি পূজায় হিন্দুদেরকে কখনোই বাধা দেওয়ার দাবি বা আওয়াজ তুলেনি। তিনি বলেন, এটা সকলেরই স্মরণ রাখা দরকার, ঈদ বা পূজা জাতীয় বা সামাজিক কোন রীতি বা অনুষ্ঠান নয়, এটা একেবারেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান। সুতরাং ধর্মীয় যে কোন আয়োজন-অনুষ্ঠানে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীরই স্বাতন্ত্র্যবোধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, একটি বিষয় মুসলমানদের জেনে রাখা জরুরি যে, অমুসলিমদের প্রতি ইনসাফভিত্তিক নাগরিক আচরণ ও সম্প্রীতিপূর্ণ মনোভাব রাখা ইসলামের শিক্ষা। অমুসলিমদেরকে সব ধরনের সামাজিক ও মানবিক সহযোগিতা করা যাবে। এতে ইসলাম কোনরূপ বাধা দেয় না। কিন্তু তাদের ধর্মীয় উপাসনা, পূজা বা আরাধনায় যে কোনরূপ অংশ নেয়া মুসলমানের জন্যে অবশ্যই হারাম। নিজে পূজা করা যাবে না, প্রতিমা তৈরিতে ব্যক্তিগত অর্থসাহায্য করা যাবে না, উপাসনায় দৈহিক, মানসিক, আর্থিক কোন ধরনের সহায়তা দেয়া যাবে না। যদি কোন মুসলমান ব্যক্তিগত পর্যায়ে অমুসলিমদের পূজা অর্চনায় শরীক হয়, পূজা অনুষ্ঠান উপভোগ করে, দেবীর কাছে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে, দেবীর বিভিন্ন গুণকীর্তন করে, তাহলে সে কোনভাবেই আর মুসলমান থাকে না। তিনি বলেন, মুসলমানগণ পরস্পরের প্রতি ভাইয়ের মতো আচরণ করবে। ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে, মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগী ও ধর্মীয় আচার-আয়োজনের ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় স্বাতন্ত্র্যবোধ বজায় রেখে ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আচরণের প্রশ্নে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ না করে বরং সহনশীল ও সহিষ্ণু আচরণ করবে। মুসলিম দেশে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনগণ অবশ্যই পূর্ণ মাত্রায় নাগরিক ও সামাজিক সুবিধা ভোগ করবেন।

    আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ইদানীং সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়সহ কিছু কিছু মহল থেকে এমন শ্লোগান তোলা হচ্ছে যে, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”। এটা কুফরী উক্তি। তিনি বলেন, মূলত এমন শ্লোগান তোলাটা মুসলমানদের ঈমানী চেতনাবোধ ধ্বংস করার নানামুখী ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ। তিনি বলেন, সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা-বিশ্বাস বাদ এবং ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নানাভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে এদেশের মুসলমানদেরকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে, যেখানে মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনাবোধ বলে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না। দেখা যাবে, মুসলমান একদিকে নামায পড়ছেন, দাড়ি-টুপি ও হিজাব পরছেন। আবার দাড়ি-টুপি ও হিজাব নিয়েই নাচ-গান ও পূজায় শরীক হওয়াসহ নানা অনৈসলামিক কাজেও সংকোচ ছাড়াই শামিল হচ্ছেন। আল্লাহ আমাদের জাতিকে এমন অবস্থা থেকে হেফাজত করুন। আল্লামা শাহ আহমদ শফী দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে মুসলিম জাতিসত্তার জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেন


    লিঙ্কঃ
    http://www.amardeshonline.com/pages/...6#.VjdmtdIrLcs

  • #2
    “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”। এটা কুফরী উক্তি।

    যদি কোন মুসলমান ব্যক্তিগত পর্যায়ে অমুসলিমদের পূজা অর্চনায় শরীক হয়, পূজা অনুষ্ঠান উপভোগ করে, দেবীর কাছে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে, দেবীর বিভিন্ন গুণকীর্তন করে, তাহলে সে কোনভাবেই আর মুসলমান থাকে না।

    Comment


    • #3
      Originally posted by musafir2 View Post
      অমুসলিমদের প্রতি ইনসাফভিত্তিক নাগরিক আচরণ ও সম্প্রীতিপূর্ণ মনোভাব রাখা ইসলামের শিক্ষা।

      রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আচরণের প্রশ্নে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ না করে বরং সহনশীল ও সহিষ্ণু আচরণ করবে। মুসলিম দেশে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনগণ অবশ্যই পূর্ণ মাত্রায় নাগরিক ও সামাজিক সুবিধা ভোগ করবেন।
      মুহতারাম আখি, খবর প্রচারের পর খবর সম্পর্কে আপনার মতামতটা ও জানিয়ে দিবেন। না হয় এই ধরনের খবর কেন প্রচার করা হল তা বুঝা যায় না।

      Comment

      Working...
      X