Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ ও অন্যান্য ফরযের সমন্বয় সাধনই মধ্যম পন্থা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ ও অন্যান্য ফরযের সমন্বয় সাধনই মধ্যম পন্থা

    এক ভাই জিহাদ সম্পর্কে একটি সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন। তাতে মুহতারাম ভাই অনেক সুন্দর কথা বলেছেন। তবে [কোন ইবাদতই জিহাদের সমকক্ষ হতে পারে না] কথাটা অস্পষ্ট হওয়ায় তা থেকে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে। তাই একটু তাম্বীহ করা প্রয়োজন মনে করছি।


    তাছাড়া প্রাথমিকভাবে ভাইয়েরা যখন জিহাদে যোগ দেন, তখন সমাজের উলামায়ে কেরামের গাফলত, অপব্যাখ্যা, জিহাদ সম্পর্কে লোকজনের উদাসীনতা- ইত্যাদির কারণে অন্তরে প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে জিহাদে যোগ দেন। তাছাড়া জিহাদের ফাযায়েলগুলো প্রথমবার দেখার কারণে মনে হয়- দুনিয়াতে জিহাদের চেয়ে বা তার সমকক্ষ আর কোন ইবাদত নেই। আল্লাহ মাফ করুন- কারো কারো মধ্যে এমনটাও হয়ে থাকে যে, জিহাদের কাজের দরুণ অন্যান্য ফরয আদায়ে ত্রুটি করেন। পিতা-মাতার নাফরমানী, উস্তাদের অবাধ্যতা- ইত্যাদি প্রায়ই হয়ে থাকে। মনে করেন, জিহাদ ফরয হয়ে গেছে। এখন আর কোন কিছুই দেখার নেই। এ কারণে জিহাদ ও অন্যান্য ফরয নিয়ে কিছু কথা বলা সময়ের দাবি মনে হচ্ছে।


    মনে রাখতে হবে, জিহাদ শরীয়তের একটি ফরয। শরীয়তে আরো অনেক ফরয রয়েছে। কোনোটা ফরযে আইন, কোনোটা ফরযে কেফায়া। আল্লাহ তাআলা কতৃক আরোপকৃত সবগুলো ফরযই আদায় করতে হবে। একটা করতে গিয়ে আরেকটা ছাড়া যাবে না। অন্যান্য ফরয আদায় করতে গিয়ে যেমন জিহাদ ছাড়া যাবে না, জিহাদ করতে গিয়েও অন্য কোন ফরয ছাড়া যাবে না। একান্তই যদি কোথাও খন্দক যুদ্ধের অবস্থা তৈয়ার হয়, তাহলে কথা ভিন্ন। তদ্রূপ, জিহাদের প্রয়োজনে যেসব বিষয়ের অনুমোদন আছে, সেগুলোর কথাও ভিন্ন।


    শরীয়তে স্বাভাবিক অবস্থায় আরকানে খামসা তথা ঈমান ও ঈমানের পর নামায-রোযা-হজ্ব-যাকাতের গুরুত্ব ও ফজিলত সবচেয়ে বেশি। এগুলোর সমকক্ষ অন্য কোন ইবাদাত হতে পারে না। এমনকি জিহাদও না। কেননা, এগুলো ফরযে আইন (নামায-রোযা সকলের উপরই ফরযে আইন, আর হজ্ব-যাকাত সামর্থ্য সাপেক্ষে)। আর জিহাদ স্বাভাবিক অবস্থায় ফরযে কেফায়া। আর ফরযে আইনের গুরুত্ব ও ফজিলত ফরযে কেফায়ার চেয়ে বেশি।

    ঈমানের পরই ফরয নামাযের গুরুত্ব। বহু হাদিসে ফরযে কেফায়া জিহাদের চেয়ে নামায শ্রেষ্ট বলে বর্ণিত হয়েছে। যেমন, বুখারী শরীফে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন,

    قلت يا رسول الله أي العمل أفضل ؟ قال ( الصلاة على ميقاتها ) . قلت ثم أي ؟ قال ( ثم بر الوالدين ) . قلت ثم أي ؟ قال ( الجهاد في سبيل الله )

    “আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি উত্তর দেন, সময়মতো নামায় আদায় করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোন আমল? তিনি উত্তর দেন, এরপর হচ্ছে পিতা-মাতার সাথে সদ্বব্যবহার। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোন আমল? তিনি উত্তর দেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।” (সহীহ বুখারী: ২৬৩০)


    এ হাদিসে ঠিক ঠিক মতো গুরুত্বের সাথে ফরয নামায সময়মতো আদায় করা এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্বব্যবহার ও ফরমাবরদারিকে জিহাদের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। কেননা, এ উভয়টি ফরযে আইন, আর জিহাদ স্বাভাবিক অবস্থায় ফরযে কেফায়া। আর ফরযে আইন ফরযে কেফায়ার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। এমনকি এমতাবস্থায় যদি পিতা মাতা অনুমতি না দেন, তাহলে জিহাদেও যাওয়া যাবে না। হ্যাঁ, ফরযে আইন হয়ে গেলে ভিন্ন কথা। তখন পিতা-মাতা নিষেধ করলেও জিহাদে যেতে হবে। যেমনটা অন্য হাদিসে এসেছে।


    ইবনুল হুমাম রহ. বলেন,

    لا يتردد في أن المواظبة على أداء فرائض الصلاة وأخذ النفس بها في أوقاتها على ما هو المراد من قوله الصلاة على ميقاتها أفضل من الجهاد. ولأن هذه فرض عين وتتكرر والجهاد ليس كذلك، ولأن افتراض الجهاد ليس إلا للإيمان وإقامة الصلاة. اهـ

    “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী ‘সময়মতো নামায় আদায় করা’ দ্বারা উদ্দেশ্য- দায়েমীভাবে ফরয নামায ওয়াক্তমতো আদায় করা এবং নিজের নফসকে এ ব্যাপারে শাসনে রাখা। সন্দেহ নেই যে, এটি জিহাদের চেয়ে উত্তম। তাছাড়া এটি হচ্ছে ফরযে আইন এবং বারবার এসে থাকে। কিন্তু জিহাদ এমন নয়। তাছাড়া জিহাদ তো ফরয করাই হয়েছে ঈমান ও নামায কায়েমের জন্য।” (ফাতহুল কাদির: ৫/৪৩৫)


    অন্য হাদিসে এসেছে যে, সকল ফরযে আইন স্বাভাবিক অবস্থায় জিহাদের চেয়ে উত্তম।
    ইমাম দারেমী রহ. বর্ণনা করেন,

    عن عبد الله بن أبى قتادة عن أبيه أن رسول الله ( قام فخطب فحمد الله وأثنى عليه ثم ذكر الجهاد فلم يدع شيئا أفضل منه إلا الفرائض

    “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা তার পিতা আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, এক দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন। আল্লাহ তাআলার হামদ ও সানার পর জিহাদের প্রসঙ্গ আলোচনা করলেন। তখন তিনি ফারায়েজ ব্যতীত অন্য কিছুকেই জিহাদের চেয়ে উত্তম রাখেননি।” (সুনানে দারেমী: ২৪৬৭)


    এ হাদিসে ফরযসমূহকে জিহাদের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। ফরয দ্বারা এখানে ফরযে আইন উদ্দেশ্য। আর জিহাদ দ্বারা ফরযে কেফায়ার হালতে জিহাদ উদ্দেশ্য। এ হাদিস থেকে বুঝা যায়: ফরযে কেফায়া জিহাদের চেয়ে ফরযে আইন ইবাদত উত্তম।


    এ হাদিস প্রসঙ্গে ইমাম সারাখসী রহ. বলেন,

    يريد به الفرائض التي يثبت فرضها عينا ، وهي الأركان الخمسة .والجهاد فرض أيضا لكنه فرض كفاية ، والثواب بحسب وكادة الفريضة ، فما يكون فرضا عينا فهو أقوى ، فلهذا استثنى الفرائض من جملة ما فضل رسول الله عليه السلام الجهاد عليه .اهـ

    “এখানে ফরযসমূহ দ্বারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্দেশ্য ফরযে আইনগুলো। সেগুলো হল- আরকানে খামসা (ঈমান, নামায, রোযা, হজ্ব ও যাকাত)। জিহাদও ফরয, তবে ফরযে কেফায়া। আর সওয়াবের পরিমাণ ফরযের গুরুত্ব হিসেবে হয়ে থাকে। যেটি ফরযে আইন, সেটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব বিষয়ের উপর জিহাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, সেগুলো থেকে ফরযসমূহকে আলাদা রেখেছেন।” (শরহুস সিয়ারিল কাবীর: ১/২৩)


    তবে এমতাবস্থায় জিহাদ অন্য সকল নফল ইবাদত থেকে উত্তম। যেমনটা উপরোক্ত হাদিসসহ আরো অনেক হাদিস থেকে বুঝা যায়।

    ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,

    والأمر بالجهاد وذكر فضائله فى الكتاب والسنة اكثر من أن يحصر، ولهذا كان أفضل ما تطوع به الانسان، وكان باتفاق العلماء أفضل من الحج والعمرة ومن الصلاة التطوع والصوم التطوع -كما دل عليه الكتاب والسنة. اهـ

    “কুরআন-সুন্নাহয় জিহাদের আদেশ ও তার ফাযায়েলের আলোচনা অগণিত। এ কারণে জিহাদ কোন ব্যক্তির নফল ইবাদতসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। উলামায়ে কেরাম সকলে একমত যে- হজ্ব, উমরা, নফল নামায ও নফল রোযার চেয়ে জিহাদ শ্রেষ্ট; যেমনটা কুরআন সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত।” (মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৮/৩৫২)

    অন্যত্র বলেন,

    اتفق العلماء فيما اعلم على انه ليس فى التطوعات افضل من الجهاد فهو افضل من الحج وافضل من الصوم التطوع وافضل من الصلاة التطوع. اهـ

    “আমার জানা মতে, উলামায়ে কেরাম সকলে একমত যে, নফল ইবাদতসমূহের মধ্যে জিহাদের চেয়ে উত্তম কিছু নেই। জিহাদ হজ্বের চেয়ে উত্তম। নফল রোযা ও নফল নামাযের চেয়ে উত্তম।” (মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৮/৪১৮)


    যে হাদিসে জিহাদকে দিনভর রোযা আর রাতভর নামাযের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে, তার দ্বারা উদ্দেশ্য- নফল নামায ও নফল রোযা।


    তবে এমতাবস্থায় জিহাদ উত্তম না’কি ইলম উত্তম সেটা মতভেদপূর্ণ। কেননা, ইলমও জিহাদের মতোই ফরযে কেফায়া।
    আল্লামা কাশ্মীরী রহ. বলেন:
    واعلم أن شغل العلم أفضل الأشغال عند أبي حنيفة، ومالك؛ وعند أحمد الجهاد أفضلها، كذا في «منهاج السنة» لابن تيمية، وفي كتاب السفاريني عن أحمد رواية نحو أبي حنيفة، ومالك. وهذا كله إذا لم يكن الجهاد فرض الوقت، لأن الكلام في باب الفضائل دون الفرائض.اهـ

    “জেনে রাখ, আবু হানিফা রহ. এবং মালেক রহ. এর মতে ইলমে দ্বীন অর্জনে ব্যাপৃত থাকা সর্বোত্তম কাজ। ইমাম আহমদ রহ. এর মতে সর্বোত্তম হল জিহাদ। ইবনে তাইমিয়া রহ. এর ‘মিনহাজুস সুন্নাহ’ তে এমনই বলা হয়েছে। ‘সিফারিনী’ রহ. এর কিতাবে আহমদ রহ. থেকে আবু হানিফা রহ. ও মালেক রহ. এর অনুরূপ অভিমত বর্ণিত আছে। তবে এ সব কিছু হচ্ছে, যখন জিহাদ ফরযে আইন না হয়ে থাকবে। কেননা, আলোচনা হচ্ছে ফজিলত নিয়ে, ফরয নিয়ে নয়।” (ফয়জুল বারি: ৩/৪১৯, কিতাবুল জিহাদ)


    তবে যদি শত্রু মাথার উপর এসে যায়, জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায় এবং এই মূহুর্তে জিহাদে বের হওয়া ভিন্ন শত্রু প্রতিহত করার কোন উপায় না থাকে - তাহলে জিহাদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যেমনটা ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
    فالعدو الصائل الذي يفسد الدين والدنيا لا شيء أوجب بعد الإيمان من دفعه.اهـ

    “ঈমানের পর আগ্রাসী শত্রু যে দ্বীন ও দুনিয়ার বিনাশ করছে, তাকে প্রতিহত করার চেয়ে আবশ্যক কোন বিষয় নেই।” (আল-ফাতাওয়াল কুবরা: ৫/৫৩৮)

    তবে এখানে মনে রাখতে হবে যে, যে বিশেষ পরিস্থিতিতে জিহাদের গুরুত্ব সর্বাধিক, সে পরিস্থিতিতেও কিন্তু অন্য ফরযগুলো ফরয হিসেবেই থেকে যায়। অতএব, সেগুলোও আদায় করতে হবে। তবে একান্তই যদি আদায়ের সুযোগ না হয়, তাহলে যে ফরয আপাতত পিছিয়ে দিলে চলে সেটাকে পিছিয়ে দিয়ে পরে আদায় করে নিতে হবে।


    আমাদের দেশে বর্তমান অবস্থায় জিহাদ ও অন্য সকল ফরযের মাঝে সমন্বয় করা জরুরী। কেননা, আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে জিহাদের সাথে অন্যান্য ফরয আদায় করা সম্ভব। অতএব, জিহাদের ব্যাপারে যেমন গুরুত্ব দিতে হবে, অন্য সকল ফরযের ব্যাপারেও তেমনি গুরুত্ব দিতে হবে।


    দৃষ্টান্তস্বরূপ এখানে মিম্বারুত তাওহিদ থেকে একটি সুওয়াল-জওয়াব উল্লেখ করছি-

    هل أقدم الحج على الجهاد؟ ... رقم السؤال: 2911
    اذا كان المسلم يريد الخروج للجهاد ولم يحج حيث ان موعد الخروج قبل شهر الحج فهل يخرج قبل الحج او يفوت الخروج ويحج؟
    السائل: محب ابى عبدالله
    المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
    بسم الله الرحمن الرحيم ... الحمد لله رب العالمين ... وصلى الله على نبيه الكريم ... وعلى آله وصحبه أجمعين. ... وبعد: ... إذا كان هذا الأخ المجاهد ممن يحتاج إليه المجاهدون ويشق عليهم تأخره عنهم فعليه في هذه الحالة أن يقدم النفير ويعجل بمعونة إخوته المجاهدين. ... وأما إذا كانوا يحتملون تأخره عنهم بلا مشقة فعليه في هذه الحالة أن يبدأ بفريضة الحج ويثني بفريضة الجهاد. ... ففي ذلك جمع بين الفريضتين، وتقديم للمضيق وقته على الموسع وقته. ... والله أعلم ... والحمد لله رب العالمين.
    أجابه، عضو اللجنة الشرعية: ... الشيخ أبو المنذر الشنقيطي

    “জিহাদের আগে কি হজ্বে যাব?

    প্রশ্ন:
    একজন মুসলমান জিহাদে যেতে চান। তিনি এখনও হজ্ব করেননি। কথা হয়েছে যে, হজ্বের একমাস পূর্বে তিনি জিহাদে যাবেন। তিনি কি হজ্ব করার আগে জিহাদে যাবেন, না’কি জিহাদ রেখে হজ্বে যাবেন?

    উত্তর:
    بسم الله الرحمن الرحيم ... الحمد لله رب العالمين ... وصلى الله على نبيه الكريم ... وعلى آله وصحبه أجمعين. ... وبعد:

    এই মুজাহিদ ভাই যদি এমন হন যে, তাকে মুজাহিদগণের প্রয়োজন আছে এবং তিনি পিছনে থেকে গেলে মুজাহিদগণের কষ্ট হবে- তাহলে তাকে জিহাদে বের হওয়াকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আগে তার মুজাহিদ ভাইদের সহযোগিতায় নিয়োজিত হতে হবে।

    আর যদি এমন হন যে, কোন প্রকার কষ্ট ছাড়াই তার মুজাহিদ ভাইগণ তার পিছেনে রয়ে যাওয়া বরদাশত করে নিতে পারবেন- তাহলে বর্তমান অবস্থায় তাকে আগে ফরয হজ্ব আদায়ের কাজ শুরু করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জিহাদ করবেন। এতে উভয় ফরয আদায় করা সম্ভব হবে। তবে যে ফরযের সময় সংকীর্ণ (ফলে সেটাকে পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই) সেটাকে যে ফরযের সময় প্রশস্ত (ফলে তা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে) সেটার উপর অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। والله أعلم ... والحمد لله رب العالمين

    উত্তর প্রদানে:
    শায়খ আবুল মুনযির আশশানকীতি
    সদস্য: শরয়ী বিভাগ, মিম্বারুত তাওহিদ”
    -মিম্বারুত তাওহিদ, প্রশ্ন নং ২৯১১


    মোটকথা- নিঃশর্তভাবে জিহাদকে সকল ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ট বলা যায় না। কেননা, আরকানে খামসার গুরুত্ব সর্বাধিক। তবে এ কথা বলা যায়- সকল নফল ইবাদতের চেয়ে জিহাদ শ্রেষ্ট। তদ্রূপ, শত্রু মাথার উপর এসে গেলে তখন জিহাদের গুরুত্ব সর্বাধিক। এর প্রয়োজনে তখন অন্যান্য ফরয পিছিয়ে দিয়ে পরে আদায় করা যাবে। তবে যদি সমন্বয় সাধন সম্ভব হয়, তাহলে সবগুলোই যথারীতি যথা সময়ে আদায় করতে হবে। যারা মনে করেন, জিহাদ ফরয হয়ে গেলে আর কোন ফরয ফরযই থাকে না, তারা ভুল করছেন। তদ্রূপ যারা অন্যান্য ফরযের বাহানা তুলে জিহাদ তরক করছেন তারাও ভুল পথে আছেন। সঠিক ও মধ্যমপন্থা হল- জিহাদ ও অন্য সকল ফরযের সমন্বয় সাধন। একটা করতে গিয়ে আরেকটা তরক করা যাবে না। ওয়াল্লাহু তাআলা আ’লাম।
    وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين





    ডাউনলোড: https://my.pcloud.com/publink/show?c...jO1W7wzJ57aDVk

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই, খুব ভালো হয়েছে।

    Comment


    • #3
      ইবাদতের মধ্যে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অনেক জরুরি। অনেক ভাল বলেছেন। জাঝাকাল্লাহ খাইরন।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলম দ্বারা আমাদের সকলকে উপকৃত হওয়ার তোফিক দান করুন। আমিন।
        ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

        Comment


        • #5
          Alhamdulillah... barakAllahu feek brother, it's a tremendously important eye opener...

          Comment


          • #6
            হে আলেম ভাইয়েরা। আপনারাই আমাদের কর্ণধার, পথপ্রদর্শক। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আপনাদের কথাগুলো মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন
            কে আছো জোয়ান, হও আগোয়ান।

            Comment


            • #7
              আখি, আপনার সমীপে আমার কয়েকটি প্রশ্ন।
              ১/ফরজে আইন ও ফরজে কিফায়া কাকে বলে।?
              ২/ আমাদের বাংলাদেশে আমাদের উপর জিহাদ ফরজ কি না??
              ৩/ বাংলাদেশে জিহাদ ফরজে হলে কেনো ফরজ?
              ৪/ বাংলাদেশে জিহাদ ফরজে আইন নাকি কিফায়া?
              ৫/ জিহাদ করতে হলে তানজিমে যোগ দিতে হবে কি না?
              ৫/ এদেশে জিহাদ কিভাবে করবো?
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                ফরজে কেফায়া জিহাদে যেতে হলে মা বাবার অনুমতি লাগে তার একটি দলিল চাচ্ছিলাম।
                ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                Comment


                • #9
                  ففي ذلك جمع بين الفريضتين، وتقديم للمضيق وقته على الموسع وقته
                  তবে যে ফরযের সময় সংকীর্ণ (ফলে সেটাকে পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই) সেটাকে যে ফরযের সময় প্রশস্ত (ফলে তা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে) সেটার উপর অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
                  সুন্দর মূলনীতি বটে।

                  Comment


                  • #10
                    ففي ذلك جمع بين الفريضتين، وتقديم للمضيق وقته على الموسع وقته
                    ...তবে যে ফরযের সময় সংকীর্ণ (ফলে সেটাকে পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই) সেটাকে যে ফরযের সময় প্রশস্ত (ফলে তা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে) সেটার উপর অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
                    সুন্দর মূলনীতি বটে।

                    Comment


                    • #11
                      ففي ذلك جمع بين الفريضتين، وتقديم للمضيق وقته على الموسع وقته
                      ...তবে যে ফরযের সময় সংকীর্ণ (ফলে সেটাকে পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই) সেটাকে যে ফরযের সময় প্রশস্ত (ফলে তা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে) সেটার উপর অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
                      সুন্দর মূলনীতি বটে।

                      Comment


                      • #12
                        بارك الله فى علمك

                        Comment


                        • #13
                          جزاکم الله عن العلم و أهله أحسن الجزاء

                          Comment


                          • #14
                            জাযাকাল্লাহ।
                            সম্মানিত ইলম ও জিহাদ ভাই আমি আপনার সকল পোস্টের দ্বারাই উপকৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
                            আল্লাহ আপনার ইলম আরো বাড়িয়ে দিন আমীন।য
                            মুমিনদেরকে ক্বিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।

                            Comment


                            • #15
                              ভাই অত্যন্ত চমৎকার উপদেশ।

                              Comment

                              Working...
                              X