Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর যা এক ভাই জানতে চেয়েছেন

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর যা এক ভাই জানতে চেয়েছেন

    এক ভাই নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চেয়েছেন:
    ১. ফরযে আইন ও ফরযে কিফায়া কাকে বলে?
    ২. বাংলাদেশে জিহাদ ফরয কি’না?
    ৩. ফরয হলে কেন ফরয?
    ৪. বাংলাদেশে জিহাদ ফরযে আইন না ফরযে কিফায়া?
    ৫. জিহাদ করতে হলে তানজীমে যোগ দিতে হবে কি’না?
    ৬. এদেশে জিহাদ কিভাবে করবো?
    ৭. ফরযে কিফায়া জিহাদে যেতে হলে মা-বাবার অনুমতি লাগে এর দলীল কি?



    বিস্তারিত জওয়াব লিখতে গেলে অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে। সংক্ষেপে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি ইনশাআল্লাহ। অধিকন্তু এসব বিষয় মুজাহিদদের মাঝে সুপ্রসিদ্ধ। তাই বিস্তারিত জওয়াবের প্রয়োজন পড়ে না।


    প্রশ্ন-১: ফরযে আইন ও ফরযে কিফায়া কাকে বলে?
    উত্তর: এ বিষয়ে কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা আপনি আব্দুল্লাহ আযযমা রহ. লিখিত [আদদিফা আন আরাদিল মুসলিমীন] কিতাবে পাবেন। [মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা] নামে এর বাংলা তরজমা হয়েছে।

    সংক্ষেপে বলতে গেলে- যেসব ইবাদত প্রতিটি ব্যক্তির উপর ফরয, যেগুলো একজনের আদায়ের দ্বারা আরেকজনের দায়িত্ব আদায় হবে না, বরং সকলকেই আদায় করতে হবে: সেগুলো ফরযে আইন। যেমন- নামায, রোযা, হজ্ব ও যাকাত। এগুলো সকলকেই আদায় করতে হবে। একজনের নামাযের দ্বারা আরেকজনের দায়িত্ব আদায় হবে না। একজনের রোযার দ্বারা আরেকজনের রোযার দায়িত্ব আদায় হবে না। একজন যাকাত দিলে আরেকজনের যাকাতের দায়িত্ব আদায় হবে না। একজন হজ্ব করলে আরেক জনের হজ্বের দায়িত্ব আদায় হবে না। বরং প্রত্যেককেই তার নিজ নিজ দায়িত্ব আদায় করতে হবে। এগুলো হল ফরযে আইন।

    আর যেসব বিষয় প্রতিটি ব্যক্তি থেকে হওয়া মাকসাদ না, কিছু সংখ্যক ব্যক্তির দ্বারা কাজটি সম্পন্ন হয়ে গেলে অন্যদের থেকে এর দায়িত্ব সরে যায়- সেগুলো ফরযে কিফায়া। সাধারণত জনকল্যাণমূলক কাজগুলো ফরযে কিফায়া হয়ে থাকে। যেমন- মৃত ব্যক্তির কাফন দাফন। এটি ফরযে কিফায়া। এখানে প্রত্যেক ব্যক্তি মাকসাদ না, কাফন দাফন মাকসাদ। অতএব, যদি কিছু সংখ্যক মুসলমান মৃত ব্যক্তির কাফন দাফনের দায়িত্ব আদায় করে ফেলে, তাহলে বাকিদের থেকে এর দায়িত্ব সরে যাবে। সকলের এতে অংশগ্রহণ জরুরী না। হ্যাঁ, অংশ নিলে সওয়াব পাবে, না নিলে সওয়াব পাবে না।

    বি.দ্র.-১
    পর্যাপ্ত পরিমাণ লোকের দ্বারা ফরযে কেফায়ার কাজটি সম্পাদন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তা সকলের উপরই ফরয। এ সময় এটি ফরযে আইনের মতো। তবে ব্যবধান হল- ফরযে আইন সকলকেই আদায় করতে হবে, আর ফরযে কেফায়া কিছু লোকের দ্বারা আদায় হয়ে গেলে বাকিরা মুক্তি পেয়ে যাবে। আর কেউই সম্পাদন না করলে সকলেই গুনাহগার হবে।

    বি.দ্র.-২
    সাধারণ অবস্থায় জিহাদ ফরযে কেফায়া। এর অর্থ- তখন জিহাদ সকলের উপরই ফরয, তবে কিছু সংখ্যক মুসলমান বছরে এক বার বা দুই বার জিহাদ করতে থাকলে বাকি মুসলমানরা জিহাদে না গেলেও কোন গুনাহ হবে না। আর বছরে এক বারও জিহাদ না হলে সকল মুসলমান গুনাহগার হবে।

    আর কাফেররা আক্রমণ করে বসলে বা কোন ভূখণ্ড দখল করে নিলে, আক্রমণ প্রতিহত করতে বা ভূমি পুনঃরুদ্ধার করতে যে পরিমাণ মুসলমানের জিহাদের প্রয়োজন, সে পরিমাণ মুসলমানের উপর জিহাদ ফরযে আইন। অর্থাৎ সে পরিমাণ মুসলমানকে অবশ্যই জিহাদে বের হতে হবে। এ ফরয সর্বপ্রথম যাদের উপর আক্রমণ হয়েছে তাদের উপর বর্তাবে। তারা না পারলে বা না করলে তখন অন্য মুসলমানদের উপর বর্তাবে। এভাবে যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, বিশ্বের সকল মুসলমান জিহাদে শরীক হওয়া ব্যতীত ভূমি উদ্ধার করা সম্ভব না- তাহলে সকলের উপর জিহাদে শরীক হওয়া ফরযে আইন। অর্থাৎ সকলকেই জিহাদে শরীক হতে হবে। প্রত্যেকে তার নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী জান-মাল ও বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে শরীক হবে।
    বর্তমানে যেহেতু প্রায় সকল মুসলিম ভূমি কাফের মুরতাদদের দখলে, তাই বিশ্বের সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরযে আইন। প্রত্যেকের উপর তার নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে। জান, মাল, বুদ্ধি, পরামর্শ- যে যেটা দিয়ে পারে জিহাদে শরীক হবে। যে সবগুলোর সামর্থ্য রাখে তার উপর সবগুলো দিয়ে শরীক হওয়া ফরয। আর যে সবগুলোর সামর্থ্য রাখে না, সে যতটুকুর সামর্থ্য রাখে ততটুকু দিয়ে শরীক হবে।

    বি.দ্র.-৩:
    জিহাদ ফরযে আইন হওয়ার সূরতেও অন্যান্য ফরযগুলো ফরয হিসেবেই থেকে যায়। তাই সেগুলো আদায়েও যত্নবান হতে হবে। বিশেষত বর্তমান যামানার জিহাদ যেহেতু দীর্ঘ দিনের ব্যাপার, তাই এটা একটা ঋণের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন ব্যক্তির কাছে কারো ঋণ পাওনা থাকলে, তার যদি পরিশোধের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে তাকে অর্থ উপার্জন করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে এ অবস্থায় তাকে নামায, রোযা, স্ত্রী-সন্তান ও পিতা-মাতার হক্বও আদায় করতে হয়। ঠিক একই অবস্থা বর্তমানে জিহাদের। জিহাদও করতে হবে, অন্যান ফরয ও হক্বও আদায় করতে হবে। তবে কখনোও যদি কাফেররা কোথাও আক্রমণ করে বসে আর খন্দক যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে কথা ভিন্ন।


    প্রশ্ন-২: বাংলাদেশে জিহাদ ফরয কি’না?
    উত্তর: হ্যাঁ, বাংলাদেশে জিহাদ ফরয।


    ৩. ফরয হলে কেন ফরয?
    উত্তর: মুরতাদ কাফেররা এদেশ দখল করে নিয়েছে। এদের থেকে এ দেশ উদ্ধার করে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ ফরয।


    ৪. বাংলাদেশে জিহাদ ফরযে আইন না ফরযে কিফায়া?
    উত্তর: ফরযে আইন। তবে এর অর্থ- সকলকেই নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী জিহাদে শরীক হতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য ফরযও যথাযথ আদায় করতে হবে। ফরযে কেফায়ার সূরতে যেমন কিছু মুসলমান আদায় করলে বাকিদের উপর ফরয থাকে না, এখন আর তেমন নয়। সকলের উপরই ফরয। সকলকেই শরীক হতে হবে। সাথে অন্যান্য ফরযও আদায় করতে হবে। তবে একান্ত যদি কোথাও কাফেররা আক্রমণ করে বসে, তাহলে সেখানকার পরিস্থিতি অনুযায়ী মাসআলায় কিছুটা তফাৎ হবে।


    ৫. জিহাদ করতে হলে তানজীমে যোগ দিতে হবে কি’না?
    উত্তর: জিহাদের জন্য জামাতবদ্ধ হওয়া আবশ্যক। কেননা, জিহাদ একটি সামষ্টিক কাজ। ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রচেষ্টায় জিহাদে সফলতা সম্ভব নয়। তাই কোন হক্ব তানজীমে যুক্ত হওয়া আবশ্যক। এ মূহুর্তে হক্ব তানজীম না পেলে বা যুক্ত হতে না পারলে, যুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকবে। পাশাপাশি সামর্থ্যানুযায়ী তাওহিদ ও জিহাদের দাওয়াত প্রচার করতে থাকবে।


    ৬. এদেশে জিহাদ কিভাবে করবো?
    উত্তর: হক্ব তানজীমের উমরাগণের নির্দেশনা অনুযায়ী।


    ৭. ফরযে কিফায়া জিহাদে যেতে হলে মা-বাবার অনুমতি লাগে এর দলীল কি?
    উত্তর: এর দলীল নিম্নোক্ত হাদিস-
    বুখারী শরীফে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত;
    جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه و سلم فاستأذنه في الجهاد فقال ( أحي والداك ) . قال نعم قال ( ففيهما فجاهد )
    “এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, তোমার পিতা-মাতা কি জীবিত আছেন? সে ব্যক্তি উত্তর দিল: হ্যাঁ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তুমি তাদের মাঝেই জিহাদ কর।” (সহীহ বুখারী: ২৮৪২)

    অর্থাৎ তাদের খেদমত ও সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা কর। তাহলে তুমি জিহাদে যাওয়ারই সওয়াব পাবে।


    অন্য হাদিসে এসেছে,
    عن معاوية بن جاهمة جاء إلى رسول الله صلى الله عليه و سلم فقال: يا رسول الله، أردت الغزو وجئتك أستشيرك. فقال هل لك من أم؟ قال: نعم. فقال الزمها فإن الجنة عند رجلها. (قال شعيب الأرنؤوط: إسناده حسن)
    “হযরত মুআবিয়া ইবনে জাহিমা থেকে বর্ণিত যে, হযরত জাহিমা রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে আরজ করলো, আমি যুদ্ধে যেতে চাচ্ছি। সেজন্য আপনার সাথে পরামর্শ করতে এসেছি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মা আছেন কি? তিনি জওয়াব দিলেন, হ্যাঁ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তাহলে তুমি তার খেদমতেই ব্যাপৃত থাক। কেননা, বেহেশত তার পায়ের নিচে।” (মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫৭৭)

    এ দুই হাদিসে পিতা-মাতা থাকাবস্থায় তাদের অনুমতি ও সন্তুষ্টি ব্যতীত জিহাদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


    কিন্তু আরেক হাদিসে এর বিপরীত এসেছে। ইবনে হিব্বান রহ. বর্ণনা করেন যে, এক সাহাবী আল্লাহ তাআলার কসম খেয়ে আরজ করেন,
    والذي بعثك نبيا لأجاهدن ولأتركنهما قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فأنت أعلم
    “ঐ সত্তার কসম যিনি (ইয়া রাসূলাল্লাহ্) আপনাকে নবী করে পাঠিয়েছেন! আমি অবশ্যই অবশ্যই পিতা-মাতাকে ছেড়ে জিহাদে চলে যাবো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমার ব্যাপার তুমিই ভাল বুঝ।” (সহীহ ইবনে হিব্বান: ১৭২২)

    এ হাদিসে সাহাবী আল্লাহর কসম করে বলছেন যে, তিনি পিতা-মাতাকে ছেড়ে জিহাদে চলে যাবেন, অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিষেধ করছেন না। এ থেকে বুঝা যায়, পিতা-মাতার অনুমতি ও সন্তুষ্টি ব্যতীতও জিহাদে যাওয়া যাবে।


    এ দুই হাদিসের সমন্বয়কল্পে উলামায়ে কেরাম বলেন, প্রথম হাদিস ফরযে কেফায়ার সূরতে প্রযোজ্য আর দ্বিতীয় হাদিস ফরযে আইনের বেলায় প্রযোজ্য।

    হাফেয ইবনে হাজার রহ. বলেন,
    قال جمهور العلماء يحرم الجهاد إذا منع الابوان أو أحدهما بشرط أن يكونا مسلمين لأن برهما فرض عين عليه والجهاد فرض كفاية فإذا تعين الجهاد فلا إذن ويشهد له ما أخرجه بن حبان من طريق أخرى عن عبد الله بن عمرو (جاء رجل إلى رسول الله صلى الله عليه و سلم ... فقال والذي بعثك بالحق نبيا لأجاهدن ولأتركنهما. قال: فأنت أعلم) وهو محمول على جهاد فرض العين توفيقا بين الحديثين. اهـ
    “জুমহুর উলামায়ে কেরাম বলেন, মুসলিম পিতা-মাতার উভয়ে বা কোন একজন নিষেধ করলে জিহাদে যাওয়া হারাম। কেননা, তাদের ফরমাবরদারি ফরযে আইন আর জিহাদ ফরযে কেফায়া। তবে জিহাদ ফরযে আইন হয়ে গেলে অনুমতির প্রয়োজন নেই। এর দলীল হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে ইবনে হিব্বানের বর্ণিত হাদিস: ‘এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসল। ... অতঃপর সে বললো, ‘ঐ সত্তার কসম যিনি (ইয়া রাসূলাল্লাহ্) আপনাকে নবী করে পাঠিয়েছেন! আমি অবশ্যই অবশ্যই পিতা-মাতাকে ছেড়ে জিহাদে চলে যাবো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমার ব্যাপার তুমিই ভাল বুঝ’।
    দুই হাদিসের মাঝে সমন্বয়সাধনকল্পে এ হাদিস ফরযে আইন জিহাদের বেলায় প্রযোজ্য ধরা হবে।” (ফাতহুল বারি: ৬/১৪০-১৪১)


    অতএব, ফরযে আইন জিহাদের বেলায় পিতা-মাতার অনুমতির প্রয়োজন নেই। এমনকি নিরাপত্তাগত সমস্যার সম্ভাবনা থাকলে তাদেরকে জানানো ব্যতীতই কাজ করে যেতে হবে। তবে তাদের সাথে সদাচরণ সর্বদাই বজায় রাখতে হবে। তাদের খেদমতও করতে হবে। খোর-পোষের প্রয়োজন হলে তাও ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সাথে জিহাদের কাজও করে যেতে হবে। তবে একান্তই যদি কারো বেলায় বিশেষ কোন পরিস্থিতি দেখা দেয়, তাহলে তখন উলামায়ে কেরামের কাছে সরাসরি জিজ্ঞেস করে মাসআলা জেনে নেবে। ওয়াল্লাহু তাআলা আ’লাম।


    এ সংক্রান্ত মিম্বারুত তাওহিদের একটি ফতোয়া উল্লেখ করছি। ইনশাআল্লাহ এতে বিষয়টা আরেকটু পরিষ্কার হবে-
    أريد أن الجهاد ولكن ليس لأمي- بعد الله - غيري رقم السؤال: 586
    بسم الله والصلاة والسلام على أفضل رسل الله محمد صلى الله عليه وعلى آله وصحبه أجمعين وبعد: فأنا شاب مسلم أريد أن أجاهد ولكن والدي متوفى وليس لأمي غيري فهل يسقط علي فرض الجهاد أما يعتبر هذا ليس بعذر شرعي محب الشيخ أسامة بن لادن حفظه الله ورعاه
    السائل: أبو عاصم المصري
    المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
    أخي السائل حفظك الله ... سبقت الأجابة على العديد من الأسئلة المشابهة لسؤالك فارجع إليها في قسم الجهاد وأحكامه إن شئت، وخلاصة الجواب أن الجهاد وإن كان فرض عين في زماننا ولا يسقط عنك لعدم وجود من يرعى والدتك سواك، إلا ان هناك تفصيلا بحسب البلد التي أنت فيها وهل حضر قتال العدو فيها، وهل تعينت حاجة المجاهدين إلى أمثالك ففي مثل هذه الأحوال يجب عليك النفير ولو لم تجد من يرعى والدتك سواك لأن مصلحة الدين مقدمة على كل المصالح، وإن كان الحال غير ذلك فإنه يسعك إن شاء الله أن ترعى والدتك إلى أن يقضي الله أمرا كان مفعولا مع استصحابك نية الجهاد وتحديثك نفسك بذلك وإعدادك له والعمل في الدعوة إلى توحيد الله في بلدك والصبر على ذلك ومساعدة المجاهدين بما استطعت إليه سبيلا ... وفقك الله
    أجابه، عضو اللجنة الشرعية: الشيخ أبو أسامة الشامي

    “আমি জিহাদে যেতে চাচ্ছি। কিন্তু আমি ছাড়া আমার মাকে দেখার মতো কেউ নেই

    প্রশ্ন নং ৫৮৬
    প্রশ্ন: আমি জিহাদে যেতে চাই। কিন্তু আমার পিতা মারা গেছেন। আমি ছাড়া আমার মায়ের আর কেউ নেই। আমার উপর কি জিহাদ ফরয? না’কি এটা শরীয়তের দৃষ্টিতে ওজর ধরা হবে না?

    উত্তর: … বর্তমান যামানায় জিহাদ যদিও ফরযে আইন এবং আপনি ছাড়া আপনার মাকে দেখার কেউ না থাকলেও আপনি জিহাদের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবেন না, তবে এখানে কিছু তাফসীল আছে। আপনি যে শহরে আছেন সে শহর হিসেবে। সেখানে যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে কি’না এবং আপনার মতো লোকদের প্রতি মুজাহিদদের অনিবার্য প্রয়োজন দেখা দিয়েছে কি’না- সে হিসেবে। অবস্থা এমন হলে আপনাকে জিহাদে বের হতে হবে, যদিও আপনার মাকে দেখার কেউ না থাকে। কেননা, দ্বীনি মাসলাহাত সকল মাসলাহাতের তুলনায় অগ্রগণ্য।
    আর যদি অবস্থা এমন না হয়ে থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনি আপনার মায়ের দেখাশুনা করতে পারবেন, যত দিন না আল্লাহ তাআলা ভিন্ন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। সাথে সাথে আপনি জিহাদের নিয়ত রাখবেন। জিহাদের আকাঙ্কায় থাকবেন। জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নেবেন। আপনার শহরে আপনি আল্লাহ তাআলার তাওহিদের প্রতি দাওয়াত দেয়ার কাজ চালাতে থাকবেন। ধৈর্যের সাথে এগুলো করতে থাকবেন। সামর্থ্যানুযায়ী মুজাহিদদের সহায়তা করতে থাকবেন। وفقك الله

    উত্তর প্রদানে:
    আবু উসামা আশশামী
    সদস্য, শরয়ী বিভাগ, মিম্বারুত তাওহিদ।”



    প্রশ্নোক্ত সূরতে জিহাদ এবং মায়ের খেদমত উভয়টাই ফরযে আইন। উভয়টাই আদায় জরুরী। এজন্য মায়ের খেদমত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সামর্থ্যানুযাী দাওয়াত ও জিহাদের কাজ করে যেতে বলা হয়েছে। তবে কখনোও যদি শত্রু আক্রমণ করে বসে এবং ময়দানে বের হওয়া ছাড়া উপায় না থাকে, তখন মাকে দেখার কেউ না থাকলেও ময়দানে চলে যেতে বলা হয়েছে।

    হুবহু একই পরিস্থিতি আমাদের দেশের। স্ত্রী-সন্তান, পিতা-মাতা সকলের প্রাপ্য হক আদায় করতে হবে। সাথে জিহাদের কাজও করে যেতে হবে। হ্যাঁ, কখনো বা কোন কোন ভাইয়ের ক্ষেত্রে যদি বিশেষ কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে কথা ভিন্ন।



    আশাকরি ভাইদের কাছে বিষয়টি কিছুটা হলেও পরিষ্কার হয়েছে। আমি বার বার এ কথাটা আলোচনায় আনছি, যাতে আমাদের মাঝে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলার কোন ফরয যেন ভুল বুঝের কারণে বা গাফলতবশত তরক না করি। জিহাদ যে আল্লাহর জন্য করবো, অন্যান্য ফরযগুলো সে আল্লাহ তাআলাই নির্ধারণ করেছেন। এ জন্য জিহাদে যেমন গুরুত্ব দেব, অন্যান্য ফরযের ব্যাপারেও তেমনই গুরুত্ব দেব। তবে হ্যাঁ, যেহেতু জিহাদের ময়দান অবহেলিত, লোকের অভাব- সেজন্য জিহাদের ব্যাপারে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দেব। প্রয়োজনে আমাদের সব কিছু জিহাদের জন্য কুরবান করে দেব। তবে অন্য কোন ফরয যেন না ছুটে যায় সেদিকেও সবিশেষ দৃষ্টি রাখবো। আল্লাহ তাআলার বিধানাবলীর প্রতি, তার বেঁধে দেয়া সীমার প্রতি সর্বোচ্চ দৃষ্টি রাখাই একজন মুজাহিদের সিফাত। আল্লাহ তাআলা মুজাহিদদের সিফাত উল্লেখ করে বলেন,
    {التَّائِبُونَ الْعَابِدُونَ الْحَامِدُونَ السَّائِحُونَ الرَّاكِعُونَ السَّاجِدُونَ الْآمِرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّاهُونَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَالْحَافِظُونَ لِحُدُودِ اللَّهِ } (112)
    “তারা তাওবাকারী, ইবাদতগুজার, আল্লাহর প্রশংসাকারী, সিয়াম পালনকারী, রুকুকারী, সিজদাকারী, সৎকাজের আদেশ প্রদানকারী, অসৎকাজ হতে বারণকারী এবং আল্লাহর নির্ধারিতসীমা হিফাযতকারী।” (তাওবা: ১১২)

    আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সঠিক বুঝের সাথে জিহাদ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
    وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين. والحمد لله رب العلمين.

    ডাউনলোড: https://my.pcloud.com/publink/show?c...qXCj6WSLnINcfy

  • #2
    ভাই অন্তরের খোরাক দিলেন। আল্লাহ তাআলা আপনার হায়াত আরো বাড়িয়ে দিন।

    Comment


    • #3
      “তারা তাওবাকারী, ইবাদতগুজার, আল্লাহর প্রশংসাকারী, সিয়াম পালনকারী, রুকুকারী, সিজদাকারী, সৎকাজের আদেশ প্রদানকারী, অসৎকাজ হতে বারণকারী এবং আল্লাহর নির্ধারিতসীমা হিফাযতকারী।” (তাওবা: ১১২)

      আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সঠিক বুঝের সাথে জিহাদ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

      Comment


      • #4
        জাঝাকাল্লাহ ভাই!
        অনেক জরুরি একটা বিষয় যা আমাদের জানা থাকা দরকার।
        আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

        Comment


        • #5
          জাঝাকাল্লাহ ভাই!
          অনেক জরুরি একটা বিষয় যা আমাদের জানা থাকা দরকার।
          আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

          Comment


          • #6
            আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়েরা আমার আমি এই ফোরামের একেবারেই নতুন একজন সাথী। আমার মনে অনেকদিন ধরেই ১ টা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আর তা হলো বাংলাদেশে কিভাবে হক্ব তানজীমের সাথে যোগ দিব? তাদের কই পাওয়া যাবে? আশা করি আমাকে ভাইয়েরা উত্তরটা দিবেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহু খাইরান
              অনেক গুরুত্বপুর্ণ আলোচনা ৷

              Comment


              • #8
                আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন। আপনার ইল্ম থেকে আমাদের উপকৃত হাওয়ার তাওফিক দান করুন।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Jundullah75 View Post
                  আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়েরা আমার আমি এই ফোরামের একেবারেই নতুন একজন সাথী। আমার মনে অনেকদিন ধরেই ১ টা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আর তা হলো বাংলাদেশে কিভাবে হক্ব তানজীমের সাথে যোগ দিব? তাদের কই পাওয়া যাবে? আশা করি আমাকে ভাইয়েরা উত্তরটা দিবেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।
                  মুহতারাম ভাই!
                  আপনি তাওহীদ ও জিহাদরে পথে চলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন, আল্লাহ তায়ালার কাছে, হক্ব ও সত্যপন্থিদের সাথে যুক্ত হওয়ার সাহায্য কামনা করুন, কন্না-কাটি ও দোয়ার মধ্যে মুজাহদিনের সফলতার প্রার্থনা করুন, বিশেষ করে তাহাজ্জুদে উঠুন, একান্ত ভাবেই আল্লাহ কাছে নিজের প্রযোজন জানান।
                  আল্লাহ তায়ালা বালেন:
                  والذين جاهدوا فينا لنهدينهم سبلنا وان الله لمع المحسنين
                  যে সেকল বান্দ-বান্দি আমাকে পেতে আপ্রান চেষ্টা করে, অবশ্যই আমি তাদের কে পথ দেখাব। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সৎকর্মশীলদের সাথে রয়েছেন।
                  সুতরাং আমাদের সৎকর্মগুলি বাড়িয়ে দেওয়, আল্লাহ তায়ালাকে পাওয়ার ও হক্বপন্তিদের সাথে শামিল হওয়ার জন্য অবিরাম চেষ্টা চলিয়ে যাওয়া। সর্বধা দোয়া ও কান্নাকটি করতে থাকা। আল্লাহ তায়ালার কাছে মুজাহিদিনের বিজয় ও নুসরাতের জন্য বিশেষ দোয়া করা। তাদের সংবাদ গুলো মানুষে নিকট প্রচার করা। তাওহীদ ও জিহাদের দিকে মানুষকে আহবান করা। যদি ইনশাআল্লাহ আমর এই গুলে করতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের জন্য রাস্তা *উন্মুক্ত করে দিবেন।

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকাল্লাহু খায়ের, খুব গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট

                    Comment


                    • #11
                      masallah,jazakallah onek important alochona vai ata onek vaier somadan hoba insallah.

                      Comment


                      • #12
                        জাজাকাল্লাহ অনেক গুরত্বপূরন আলোচনা করলেন আখি !
                        بارك الله في علمك و حياتك

                        Comment


                        • #13
                          "আমি বার বার এ কথাটা আলোচনায় আনছি, যাতে আমাদের মাঝে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়......"।

                          ভাই, এ কথাটি বার বারই নিয়ে আসুন...জাজাকাল্লাহু খাইরান। এটিকে আল্লাহর ইচ্ছায় অসংখ্যবার নিয়ে আসুন...। ওরা পবিত্র জিহাদের বুঝ কে ' জিহাদি ডকট্রিন বলে', এবং একে নির্মূল করার জন্য 'কাউন্টার ন্যারেটিভ' তৈরীর পরামর্শ দেয়। তারা বাব-মা, স্ত্রী, সন্তান এর বিষয়টাকে ক্যাপিটালাইজ করতে চায়। তাদের সে কাউন্টার ন্যারেটিভ এর বিরুদ্ধে আপনার এই লেখাটি 'কাউন্টার কাউন্টার ন্যারেটিভ' ইনশাআল্লাহ।
                          "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
                          আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
                          "

                          Comment


                          • #14
                            জাযাকাল্লাহু খায়ের,
                            আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন। আপনার ইল্ম থেকে আমাদের উপকৃত হাওয়ার তাওফিক দান করুন।

                            Comment


                            • #15
                              ভাই সমসায়িক এরকম আরো প্রশ্নোত্তর পর্ব আশা করছি৷

                              Comment

                              Working...
                              X