Announcement

Collapse
No announcement yet.

আশুরা: ইতিহাস, করনীয়-বর্জনীয়

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আশুরা: ইতিহাস, করনীয়-বর্জনীয়

    আশুরা: ইতিহাস, করনীয়-বর্জনীয়
    بسم الله الرحمن الرحيم
    الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لا نبي بعده: اما بعد
    ইতিহাস:
    হিজরী সনের প্রথম মাস হলো, মুহাররম। যা অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। এ মাসের দশ তারিখকে বলা হয় আশুরা। যা এক ঐতিহাসিক দিন। যে দিনে আল্লাহ তায়ালা ফেরআউনের কবল থেকে বনিইসরাইলকে মুক্তি দিয়েছিলেন।তাই শুকরিয়া হিসেবে হযরত মুসা আ. এই দিনে রোযা রাখতেন। (বুখারী: হাদিস নং: ২০০৪) এই দিনেই হযরত নুহ আ. এর কিশতী জুদি পর্বতে নুঙ্গর করছিলো। শুকরিয়া হিসেবে তিনিও রোযা রাখতেন।(মুসনাদে আহমাদ: হাদিস নং: ৮৭০২- দুর্বল সনদে বর্ণিত)
    ৬১ হিজরীর এই দিনে হযরত হুসাইন রা. ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন। (আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া: ৬/২৩১-হাফেজ ইবনে কাসীর রহ.)

    করনীয়:
    এই দিনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।(সহিহ বুখারী: হাদিস নং: ২০০৪)
    ফজিলত:
    এ রোযার ফজিলত বর্নণা করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,
    وصيام يوم عاشوراء أحتسب على الله أن يكفر السنة التى قبله.
    “আশুরার রোযার দ্বারা আল্লাহর কাছে এ আশা করি যে, তিনি এক বছরের গোনাহ মাফ করে দিবেন”। (সহিহ মুসলিম: হাদিস নং: ২৮০৩)
    عن ابن عباس رضي الله عنهما قال ما رأيت النبي صلى الله عليه وسلم يتحرى صيام يوم فضله على غيره إلا هذا اليوم يوم عاشوراء وهذا الشهر يعني شهر رمضان
    “রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সময়ের রোযাকে অন্যান্য রোযার চাইতে বেশি গুরুত্ব দিতেন। (এক) আশুরার রোযা। (দুই) রমজান মাসের রোযা। (সহিহ বুখারী: হাদিস নং: ২০০৬)
    এই রোযা কুরাইশরাও রাখতো,
    كان يوم عاشوراء تصومه قريش في الجاهلية وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصومه فلما قدم المدينة صامه وأمر بصيامه فلما فرض رمضان ترك يوم عاشوراء فمن شاء صامه ومن شاء تركه
    “জাহিলিয়্যাতের যুগেও কুরাইশরা এই দিনে রোযা রাখতো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের পর রমযানের রোযা ফরজ হওয়ার আগে এই দিনের রোযা আবশ্যকীয়ভাবে পালন করতেন, এবং সাহাবায়ে কেরামকে পালন করার আদেশ দিতেন। যখন রমযানের রোযা ফরজ হলো, তখন তার আবশ্যকীয়তা আর বাকী রইলো না। তখন যার ইচ্ছা রোযা রাখতেন, যার ইচ্ছা রাখতেন না”। (সহিহ বুখারী: হাদিস নং: ২০০২)
    তাই আমাদের সকলের উচিত এ দিনে রোযা রাখা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তৌফিক দান করুন। আমিন।

    বর্জনীয়:
    তাযিয়া মিছিল, মাতম, কাপড় ছেড়া, আতশবাজি, বিশেষ সিন্নি-খিচুরী ইত্যাদি, সুরমা লাগানো, বিশেষ গোসল, বিশেষ মুসাফাহা, মহিলাদের জন্য বিশেষ মেহেদি লাগানো ইত্যাদি সহ আমাদের সমাজে প্রচলিত যাবতীয় কু-সংস্কার। এসবই বর্জনীয়। হাদিসে এই দিনে শুধু রোযা রাখার কথা এসেছে, তাই রোযা ছাড়া অন্য সব কিছুই বর্জনীয়।
    শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ.কে প্রশ্ন করা হলো, মানুষ আশুরার দিনে যা করে (তাযিয়া মিছিল, বিশেষ সিন্নি-খিচুরী ইত্যাদি, সুরমা লাগানো, বিশেষ গোসল, বিশেষ মুসাফাহা,) তা হাদিস দ্বারা প্রমানিত কি না?
    তিনি উত্তরে বললেন, না, এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন সহিহ হাদিসও বর্নিত নেই; জয়ীফ হাদিসও বর্ণিত নেই। আছে কতগুলো মিথ্যা, জাল, বানোয়াট কিছু হাদিস। (মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৫/২৯৯)

    وسئل شيخ الاسلام عما يفعله الناس فى يوم عاشوراء من الكحل والاغتسال والحناء والمصافحة وطبخ الحبوب وإظهار السرور وغير ذلك الى الشارع فهل ورد فى ذلك عن النبى حديث صحيح أم لا وإذا لم يرد حديث صحيح فى شيء من ذلك فهل يكون فعل ذلك بدعة ام لا وما تفعله الطائفة الاخرى من المأتم والحزن والعطش وغير ذلك من الندب والنياحة وقراءة المصروع وشق الجيوب هل لذلك اصل ام لا
    فأجاب الحمد لله رب العالمين لم يرد فى شيء من ذلك حديث صحيح عن النبى ولا عن أصحابه ولا استحب ذلك احد من أئمة المسلمين لا الأئمة الأربعة ولا غيرهم ولا روى اهل الكتب المعتمدة فى ذلك شيئا لا عن النبى ولا الصحابة ولا التابعين لا صحيحا ولا ضعيفا لا فى كتب الصحيح.


    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে উক্ত কথাগুলো বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
    ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

  • #2
    আখি, শুকরিয়া। আল্লাহ আপনার মেহনত কবুল করুন, আমিন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      জাঝাকাল্লাহ, আল্লাহ আপনাদেরকে কবুল করুন আমিন।
      আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে উক্ত কথাগুলো বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ। সময়োপযোগী আলোচনা। আলহামদুলিল্লাহ ।
            আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় ''দাওয়াহ ইলাল্লাহ'' ফোরামকে ক্ববূল করে নিন ।
            আমাদের জন্য পরকালে মুক্তির উসিলা হিসেবে এর দ্বীনি খেদমতকে ক্ববূল করে নিন । আমীন ।
            যারা ঈমানদার তারা যে, ক্বিতাল করে আল্লাহর রাহেই । আল-ক্বুরআনুল কারীম ।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবুল করুন। আপনার ইলম দ্বারা আমাদের সকলকে উপকৃত হওয়ার তৌফিক দান করুন।
              আপনাকে শহীদ *হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
              কে আছো জোয়ান, হও আগোয়ান।

              Comment

              Working...
              X