Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাংলাদেশ কওমী মাদরাসার সনদের ব্যাপারে মুফতী হারুন ইজহার সাহেবের কিছুকথা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাংলাদেশ কওমী মাদরাসার সনদের ব্যাপারে মুফতী হারুন ইজহার সাহেবের কিছুকথা

    কওমী কারা? যারা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সামাজিক ধারা। গণ সেন্টিমেন্টের আধ্যাত্মিক দিকটি যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও মধ্যবিত্তের আর্থসামাজিক ও রাষ্ট্রিক কাঠামোতে যারা চরমভাবে উপেক্ষিত।
    নিরীহ চরিত্রের অচেতন ভাব দ্বারা বিশেষায়িত এ গোষ্ঠীর দরবেশী অভিধানে পলিটিক্যাল কোন পাঁয়তারা নেই।
    তাহলে স্বভাবত এটা সত্য যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সামাজিক এই গোষ্ঠীর সরাসরি কোন রাজনৈতি মেরুকরণ নেই।
    কওমীদের সমাজিক এ চেহরাই আসল কথা। এরা কোনভাব রাজনীতির মূলধারা না। কওমীর রাজনৈতিক অঙ্গনটি নেহায়েত একটা সীমাবদ্ধ জায়গা।
    এখন কথা হলো, সামাজিক শক্তির বোঝাপড়ার জায়গা কোনটা, সরকার না রাষ্ট্র। সরকার একটা পরিবর্তনবাদী ডিসকোর্স। কিন্তু রাষ্ট্র আর জনগণ বা সমাজ হলো স্থির ও স্থানান্তরের অযোগ্য বিষয়।
    সুতরাং ফলাফল কি দাঁড়াচ্ছে? সামাজিক শক্তির সামাজিক দাবীকে রাজনৈতিক শক্তির রাজনৈতিক এজেন্ডা ধরা হবে, নাকি রাষ্ট্র শক্তির রাষ্ট্রনৈতিক কাজ ধরা হবে।
    যেসব কওমীয়ান এখানে সরকারকে বড় মৌলিক ভেবে এটাকে আওয়ামীলীগের বদান্যতা আর কৃপা মনে করছেন তাদের চোখ রাষ্ট্রে নিবদ্ধ নয় এবং তারা স্বয়ং নিজেদের প্রচন্ড শক্তিশালী সামাজিকতার জায়গা থেকে সরিয়ে এনে দুর্বল রাজনীতির অসহায় লেজুড়বৃত্তিতে নিয়ে যাচ্ছেন অবচেতনে।
    আমি আগেই বলেছি স্বীকৃতির ধারাবাহিকতা বি.এন.পি আমলে হয়েছে তাদের ক্ষমতার পঞ্চম বছরে, আওয়ামীলীগ এটাকে পূর্ণতা দিয়েছে তাদের ক্ষমতার দশম বছরে।
    একটা সামাজিক শক্তির সাথে দেখুন তারা কিরূপ রাজনৈতিক আচরণ করছে? নির্বাচনের বছরেই তোড়জোড়টা শুরু হয়।
    আপনি আরো লক্ষ্য করুন, কোন আন্দোলনের কারণে আপনাকে এটা দেওয়া হয়নি। আপনি আরো স্পর্শকাতর ইস্যুতে আরো বড় রক্তক্ষয়ী আন্দোলন করেছিলেন। পাত্তা পাননি। কিন্তু এটা আপনাকে ডেকে ডেকে দেয়া হচ্ছে। মানে আপনার অধিকারের নৈতিক শর্তে নয় তাদের ক্ষমতার স্বার্থেই বিধানটা রচিত হচ্ছে।
    আগামীতে নতুন কোন রাজনৈতিক শক্তি আরো বড় সারপ্রাইজ নিয়ে হাজির হবে তখন কি আপনি বলবেন শেখ হাসিনা কিছু করেনি, জাঁহাপনা! আপনারাই একমাত্র আমাদের কল্যাণ সাধনা করি।
    ফাঁসির মঞ্চে শহীদ হওয়া এক বীরপুরুষ সে সময় এই কওমী সনদ নিয়ে তোড়জোড় করেছিলেন, বলেছিলেন ও.আই.সি মহাসচিব পদ লাগবেনা এই স্বীকৃতি নিয়ে দিতে পারলে আমি বরং সৌভাগ্যবান। আপনি স্বীকৃতির জন্য তাদের সে বুনিয়াদি অবদান বিস্মৃত হতে পারেন না। তাদের সে সরকার নেই কিন্তু সে রাষ্ট্র কিন্তু রয়ে গেছে। এক সময় এ সরকার থাকবেনা। কিন্তু এ রাষ্ট্র বহুদিন থাকবে, তারচে’ বেশিদিন থাকবে আধ্যাত্মিক সামাজিক ধারা।
    বলুন! স্বীকৃতি সরকারগুলোর করুণা নয় রাষ্ট্রের ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ।
    কওমী স্বীকৃতি নিয়ে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক অবজেক্টিভ এবং একশ্রেণীর কওমী উল্লাসীদের রাজনৈতিক এজেন্সিগিরিতে সমাজতাত্ত্বিক দর্পণে মারাত্মক ভুল আছে। এরা কেউ টেকসই নয়।
    টিকবে রাষ্ট্র, টিকবে জনগণ। বোঝাপড়ার স্থায়ী মেরুকরণ এ দুটোই। আপনি এ জায়গায় থাকুন।
    বলুন! স্বীকৃতি সরকারগুলোর করুণা নয় রাষ্ট্রের ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ। (কওমি ভিশন)

  • #2
    jazakallah vai
    emon ekta post dewar jonno .kintu corom sotto holo ,bortoman manus eta ke rastriyo vabe noi borong sorkar kortik koruna-e mone korteche

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ ভাই সমসাময়িক একটা বিষয় ফুটিয়ে তোলার জন্য৷

      Comment


      • #4
        বেশি সাহিত্যের ঘষামাজাতে বুঝশক্তির ক্ষয় ধরাতে লিখনি পুরোপুরি বুঝি বললেও অসত্য হবে না।
        আল্লাহ আমাদের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করে নিন আমীন।

        Comment


        • #5
          আল্লহ মালুম , বিষয়টির বুঝ কয়জনের উপলব্ধিতে আসে কী জানি।

          Comment

          Working...
          X