Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল-কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব: বিশিষ্ট আলিম শাইখুল মুজাহিদ জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল-কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব: বিশিষ্ট আলিম শাইখুল মুজাহিদ জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর

    আল-কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব


    বিশিষ্ট আলিম শাইখুল মুজাহিদ জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর মৃত্যুতে শোকবার্তা




    অনলাইনে পড়ুন



    ডাউনলোড করুন


    pdf





    word


    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

  • #2
    আল-কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব


    বিশিষ্ট আলিম শাইখুল মুজাহিদ জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর মৃত্যুতে শোকবার্তা






    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

    Comment


    • #3
      আল-কায়দা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব


      বিশিষ্ট আলিম শাইখুল মুজাহিদ জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর মৃত্যুতে শোকবার্তা



      مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ ۖ فَمِنْهُم مَّن قَضَىٰ نَحْبَهُ وَمِنْهُم مَّن يَنتَظِرُ ۖ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا [٣٣:٢٣]



      “মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষা করছে। তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তন করেননি।” (সূরা আহযাব-২৩)
      তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস রেখে দুঃখভারাক্রান্ত ও ব্যাথিত হৃদয়ে সুউচ্চ-সুমহান আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্টচিত্তে গোটা দুনিয়ার মুজাহিদদের শাইখ মাওলানা জালালুদ্দীন হাক্কানী (আল্লাহ্ তার প্রতি রহমতের বারিধারার বর্ষণকে জারী রাখুন) এর পরোলোক গমনের সংবাদ জানাচ্ছি। যিনি জিহাদের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে, বারবার ঈমানী পরীক্ষা স্বরূপ বিপদে পতিত হওয়ার পর, শত্রুদের পরিচালিত ক্রুসেডারের বিরুদ্ধে বন্ধুর পথ মাড়িয়ে, অনেক দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে, দুঃখ-দুর্দশা সহ্য করে উম্মাহ্ ও তাদের প্রতিটি ইঞ্চি যমিনের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আমরণ লড়াই করে গেছেন। শাইখ জালালুদ্দীন হাক্কানী ১৩৫৮ হিজরীতে আফগানিস্তানের পাকতিয়া শহরের "জাদরান" অঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করেন। যখন তাঁর বয়স ৬ বৎসর, তখন তিনি ধর্মীয় পাঠশালায় ভর্তি হন এবং সেখানে তিনি কুরআন কারীমের প্রাথমিক শিক্ষা ও হানাফী আইনশাস্ত্রের প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেন। যখন তিঁনি অষ্টম শ্রেনীতে উন্নীত হন, তখন তিনি আফগানিস্তানের স্বনামধন্য মাদরাসা ‘জামিয়াতুশ শারইয়্যাহ’তে অধ্যয়ন শুরু করেন। তারপর ‘আকোরা খটক’ এলাকার সুপ্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল হাক্কানিয়াহ’ মাদরাসায় উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করেন। সেখানে তিনি যুগশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ মনিষীদের থেকে ইলমুত তাফসীর, হাদীস, উসূল, হিকমাহ্, মানতিক, আরবী অভিধান ও দর্শন শাস্ত্রের উপর বুৎপত্তি অর্জন করে ‘মৌলভী’ ডিগ্রীতে ভূষিত হন। অতঃপর তিনি অত্র জামিয়াতে অধ্যাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত হন। তারপর তিনি একজন আদর্শবান শিক্ষকের গুণাবলী অর্জন করে আইনশাস্ত্রের উপর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তিনি শহরের বিচারক ও রাষ্ট্রীয় মুফতীর আসন অলংকৃত করেন। সাথে সাথে তিনি দায়ী ও মুরুব্বী হিসাবে নিজ এলাকার সন্তানদের শিক্ষকতার দায়িত্ব কাধে নেন। তিনি পঁচিশ বছর বয়সেই কমিউনিস্ট বিপ্লববাদী দাউদ ও তারাকি এবং তাঁদের মার্কসবাদী দলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই ও জিহাদে অংশ নেন। উল্লেখ্য যে আফগান কমিউনিস্টদের গঠিত ‘খলক্’ পার্টির বিরুদ্ধে শাইখ জালালুদ্দীন হাক্কানী ও তার সাথীরা পুরাতন ইংরেজী বন্দুক দিয়ে লড়াই করে তাদেরকে হত্যা করেন। এবং তারপর যখন উক্ত কমিউনিস্ট শত্রুদেরকে সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে প্রবেশ করে এবং দখল করে নেয় তখন রুশ হায়েনাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে সব ধরনের লড়ায়ের জন্য শাইখ একটি জিহাদি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে জিহাদে শরীক হন। শাইখ নিজে, সন্তান-সন্ততি ও সম্পদ দিয়ে রুশ হায়েনাদের বিরুদ্ধে জিহাদে আত্মনিয়োগ করেন। অসংখ্যবার তিনি বিপদের মুখোমুখি হন কিন্তু এগুলো তার জিহাদি মনোবলকে সামান্যতমও দূর্বল করতে পারেনি।
      আমেরিকানরা তাকে হোয়াইট হাউজের মিলনায়তনে বক্তব্য দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালে প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের সামনে তিনি সাবলীলভাবে বিসমিল্লাহ ও হামদ-সালাত দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি সেখানে নিজ ভাষায় মুমিনদের সভ্যতা-সংস্কৃতি ও জীবন-যাপন পদ্ধতি নিয়ে বলিষ্ঠ বক্তব্য প্রদান করেন।

      রাশিয়ার শত্রুরা পরাজিত হয়ে আফগানিস্তান থেকে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ফিরে যাওয়ার পর মুজাহিদদের আভ্যন্তরীণ দলগুলোর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে তিনি তাতে অংশগ্রহণ করেননি। ইতিমধ্যে আল্লাহর অশেষ করুণা আর রহমতে তালেবানদের বরকতময় কার্যধারায় ইমারাতে ইসলামীয়া-র সুপ্রভাত উজ্জল উঠে। এসময়ে তাঁর ও তাঁর বন্ধুবর শাইখ উসামা বিন লাদেন এর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁরা নিজেরা বাইয়াহ প্রদান করেন এবং মানুষকে এ মহান বাইয়াহ এর দিকে আহবান করেন। অতঃপর শাইখ জালালুদ্দীন হাক্কানীকে আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। সাথে সাথে তিনি ইমারাতে ইসলামিয়ার শুরা কাউন্সিলের একজন স্থায়ী সদস্য ছিলেন। আমেরিকার বর্বর বোমা হামলার সময় মুহাজিরদের পরিবারগুলোকে উক্ত এলাকা থেকে সহজভাবে বের করতে তার অনেক কার্যকরী ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়।
      তারপর যখন ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০০১ মঙ্গলবারে আমেরিকার উপর তাদের কৃতকর্মের শাস্তি স্বরূপ বরকতময় হামলা করা হয়, তখন নির্বোধ আমেরিকা রাশিয়ার পরাজয়ের কারণগুলো অনুসন্ধান না করেই আফগানীদের উপর হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন শাইখ জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আল্লাহর শক্তি-সাহায্যের উপর নির্ভর করে জিহাদের ডাক দেন এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন। তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দান করে নিজেও ভাই-বন্ধুজন সহকারে এ যুদ্ধে ইমারাতে ইসলামিয়াহ এর পক্ষ্যে নেতৃত্ব প্রদান করেন যাদের সর্বপ্রধান ছিলেন অনড়, অদম্য ও সাহসী আমির মোল্লা মুহাম্মাদ উমার মুজাহিদ রহ.। আল্লাহ তা’আলা তাঁর জিহাদী জাগরণ কবুল করুন, হিজরী পনেরো শতাব্দীতে তাঁর এ জাগরণ আজও উম্মাহকে সম্মানের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হতে উজ্জ্বল তারকার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তাঁরা ন্যাটোর ক্রুসেডারদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে দুর্বিপাকের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন এবং তাদেরকে সামরিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। এখন পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে অপমানিত হয়ে আফগানের মাটি ত্যাগের ঘোষণা দেয়া ব্যতিত আর কোন পথ তাদের জন্য খোলা নেই ইনশাআল্লাহ।
      শাইখ জালালুদ্দিন ও তার পরিবার আফগান ইতিহাসের এক প্রকৃত সত্য ও বাস্তবতা, বরং উম্মাতে মুসলিমার জন্য এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় আল্লাহর দ্বীনের নুসরত ও এর প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যয় করেছেন যদিও তার জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিল তার সন্তান ও নাতি-সন্তান। তাঁর পরিবারের তেরোজন সদস্য শাহাদাত বরণ করেন। বর্তমানেও তাঁর চার সন্তান বন্দিত্বের জীবন কাটাচ্ছেন। তার পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের মধ্যে থেকে ষাট জন নিহত হয়। আমরা আল্লাহর নিকট দোয়া করছি, যেন তিনি তাদের সকলকে শুহাদাদের মধ্যে গণ্য করে নেন। তার রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দান করেন। এবং ইমারাতে ইসলামিয়ার জন্যে তার বাইয়াহকে অক্ষুন্ন রাখার তাওফীক দান করেন, যে বাইয়াহ-র মধ্য দিয়ে তার জীবনের আশিটি বছর অতিবাহিত হয়েছে।
      আমরা সমবেদনা জানাই তার সম্মানিত পুত্র এবং আমাদের সম্ভ্রান্ত নেতা, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের গর্বিত নায়েবে আমির সাইয়্যেদ সিরাজুদ্দীন ইবনে জালালুদ্দীন হাক্কানী এর প্রতি (আল্লাহ্ তাকে হেফাজত করুন)। তিনি যেন তার সম্মানিত পিতা ও পরিবারের এই বিশুদ্ধ শুভ্র পতাকাটি বহন করতে পারেন। তিনি তার পিতার দেখানো সঠিক পথের পথিক হিসেবে সত্যিই যোগ্য উত্তরসূরী। কেবল তিনিই এর সঠিক হকদার। এটাই আমাদের ধারণা। আমরা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারোর প্রশংসা

      করি না। আমরা আল্লাহর নিকট দু’আ করি, আল্লাহ্ যেন তাকে দ্বীনের পথে দৃঢ়তা দান করেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ অর্জনের তাওফীক দান করেন। এবং তার ও তার পরিবার পরিজনসহ সকল বন্ধ-বান্ধবদের অন্তরে ধৈর্য্য ধারণ করার এবং শাইখ জালালুদ্দীন রহ. এর শূন্যতায় প্রতিদানের আশা ও হিম্মত রাখার তাওফীক দান করেন।
      অতএব, আমরা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে এবং বিশেষ করে ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃবৃন্দ ও আমিরুল মুমিনিন শাইখুল আলম মুহাদ্দিস হেবাতুল্লাহ্ (আল্লাহ তাকে হেফাজত ও সাহায্য করুন) এর নিকট তাদের বাইয়াতকে নবায়ন করছি। আমরা ওয়াদা করছি যে, শাইখ জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর পথেই বাইয়াতের আনুগত্য ও বশ্যতা মেনে নিব। আমরা তাঁর রেখে যাওয়া প্রিয়জন ও আত্মীয়স্বজন এবং পুত্র, পৌত্রদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের পিতা শাইখ জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি, এবং তার পরিবারের আহত ও অন্যান্যদের দুঃখ তো আমাদেরই দুঃখ। আমরা তাদেরকে ধৈর্য্য ও আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকার ও পবিত্র হিম্মতকে আগলে রাখার অনুরোধ করছি। আল্লাহর কাছে মিনতি পেশ করছি, তিনি যেন তাদের হাতের কল্যাণে ও বারাকাতে তাদেরই পিতার আফগানিস্তানের ভূমি, ইসলাম ও মুসলিমদের দ্বীনি দুর্গের বিজয় দান করেন।
      হে আল্লাহ্! আপনি আপনার পথের মুজাহিদ বান্দা জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর প্রতি রহমতের চাদর ও ক্ষমার বারিধারা বর্ষণ করুন। তাকে আপনি মাফ করুন এবং তার প্রতি রহম করুন। তার সকল বিষয়ের অভিভাবক হয়ে যান, তাকে সম্মানিত করুন, তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন, তাকে আপনার রহমের সুশীতল আবে-হায়াত দ্বারা গোসল করিয়ে দিন। ময়লা ও নাপাকী থেকে শুভ্র কাপড়কে যেমন পবিত্র করা হয়, তেমনি তার কৃত সকল গুনাহ্ ও ভুল থেকে তাকে পবিত্র করে নিন। হে আল্লাহ্! আমরাও যেন তার কর্মের প্রতিদান থেকে বঞ্চিত না হই এবং তার শূন্যতায় যেন আমরা ফিতনায় পতিত না হই। আপনি তাকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করুন, ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার বাসস্থান হতে উত্তম বাসস্থান ও দুনিয়ার পরিবার থেকে উত্তম তথা জান্নাত দান করুন। তাকে আপনি কবরের পাকড়াও ও জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তি দান করুন। আমরা তো কেবল আপনার জন্যই এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করছি।

      ২৬ যিলহজ, ১৪৩৯ হিজরী
      ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ঈসায়ী
      আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

      Comment


      • #4
        হে আল্লাহ! শায়েখকে আপনার কাছে টেনে নিন। এবং তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।

        Comment


        • #5
          হে আল্লাহ, আপনি সায়েখ কে শহিদের মর্জদা দান করুন, এবং জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন, আমিন ছুম্মা আমিন।
          আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ ধাইখকে ক্ষমা করুন,শাইখকে জান্নাতে সুউচ্চ মাকাম দান করুন,আমিন।
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment

            Working...
            X