Announcement

Collapse
No announcement yet.

মক্কার কাফেররা, শয়তান ও ফেরআউন কি শুধু আল্

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মক্কার কাফেররা, শয়তান ও ফেরআউন কি শুধু আল্

    মক্কার কাফেররা, শয়তান ও ফেরআউন কি শুধু আল্লাহকে বিশ্বাস না করা কারণে কাফের হয়েছিল?
    ================================================== =========
    এটি যে আমাদের মাঝে ভুল ধারণা তার প্রমাণ কুরআন কারীম দিচ্ছে

    ১. মক্কার কাফেররা আল্লাহকে বিশ্বাস করতঃ

    সুরা ইউনুছঃ ৩১ আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআলা বলেনঃ
    তুমি জিজ্ঞেস কর, কে রুযী দান করে তোমাদেরকে আসমান থেকে ও যমীন থেকে, কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ!

    সুরা মুমিনুনঃ৮৪-৮৯ আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআলা বলেনঃ
    বলুন পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জান, তবে বল। (৮৪) এখন তারা বলবেঃ সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না? (৮৫) বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে? (৮৬) এখন তারা বলবেঃ আল্লাহ। বলুন, তবুও কি তোমরা ভয় করবে না? (৮৭) বলুনঃ তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব বস্তুর কর্তৃত্ব, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না ? (৮৮) এখন তারা বলবেঃ আল্লাহর।

    ২. এমনকি শয়তানও আল্লাহকে বিশ্বাস করেঃ
    --------------------------------------------
    সুরা হিজরঃ ৩৬-৪০ আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআলা বলেনঃ
    সে (শয়তান)বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন। (৩৬) আল্লাহ বললেনঃ তোমাকে অবকাশ দেয়া হল। (৩৭) সেই অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত। (৩৮) সে বললঃ হে আমার পলনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথ ভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথ ভ্রষ্ঠ করে দেব। (৩৯) আপনার মনোনীত বান্দাদের ব্যতীত। (৪০)

    ৩. এমনকি ফেরআউনও আল্লাহকে বিশ্বাস করতঃ
    ------------------------------------------------
    ফেরাউনের সম্প্রদায়ের র্সদাররা বলল, তুমি কি এমনি ছেড়ে দেবে মূসা ও তার সম্প্রদায়কে। দেশময় হৈ-চৈ করার জন্য এবং তোমাকে ও তোমার দেব-দেবীকে বাতিল করে দেবার জন্য। (সুরাঃ আ’রাফঃ ১২৭)
    ================================================== =======
    তাহলে তারা কি কারণে কাফের হয়েছিল?
    =========================

    ১. মক্কার কাফেররা কাফের হওয়া কারণ আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআলা বলেনঃ
    ================================================== ==
    আর উপাসনা করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন বস্তুর, যা না তাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে, না লাভ এবং বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। তুমি বল, তোমরা কি আল্লাহকে এমন বিষয়ে অবহিত করছ, যে সম্পর্কে তিনি অবহিত নন আসমান ও যমীনের মাঝে ? তিনি পুতঃপবিত্র ও মহান সে সমস্ত থেকে যাকে তোমরা শরীক করছ। (সুরা ইউনুছঃ১৮)

    এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। আল্লাহর ইবাদতের সাথে শরিক করত।
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------

    ২. শয়তান কাফের হওয়া কারণ সুরা হিজরে আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআলা বলেনঃ
    ================================================
    কিন্তু ইবলীস-সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হতে স্বীকৃত হল না। (৩১)আল্লাহ বললেনঃ হে ইবলিস, তোমার কি হলো যে তুমি সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হতে স্বীকৃত হলে না? (৩২) বললঃ আমি এমন নই যে, একজন মানবকে সেজদা করব, যাকে আপনি পচা কর্দম থেকে তৈরী ঠনঠনে বিশুষ্ক মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। (৩৩) আল্লাহ বললেনঃ তবে তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও। তুমি বিতাড়িত। (৩৪)

    অবাধ্যতার কারণে।
    ------------------------------------------------------------------------------------------

    ৩. ফেরআউন কাফের হওয়া কারণ
    =====================
    ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, তোমরা কি দেখ না মিসরের সার্বভৌমত্ব কি আমার নয়? এই নদী গুলো আমার (রাজত্বের) অধীনেই প্রবাহিত হয়ে চলছে। (সুরা যুখরুফঃ ৫১)

    লক্ষ্য করুনঃ আয়াতে ‘তোমরা কি দেখ না মিসরের সার্বভৌমত্ব কি আমার নয়?’
    ফেরআউনের দাবী ছিল সার্বভেীমত্বের দাবী। সারা পৃথিবীতে নয় তার দাবী ছিল কেবল মিশরের শাসন ক্ষমতার উপর নিরংকুশ অাধিপত্যের দাবী। তার দাবী ছিল মিশরের সাধারণ জনগণের জন্য তার ইচ্ছানুযায়ী যেমন খুশী তেমন আইন-কানুন ও মূল্যবোধ নির্ধারণের ক্ষমতার দাবী।
    ------------------------------------------------------------------------------------------------
    সুতরাং আল্লাহর আইন-বিধানদানের এ সার্বভৌম অধিকারের ক্ষেত্রে যে ব্যাক্তিই সীমালঙ্ঘন করবে সে তাগুতে পরিণত হবে। কারণ সে আল্লাহর খাস অধিকারের সীমালঙ্ঘন করেছে। কোরআনের আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

    আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে। তারা বিরোধীয় বিষয়কে ফায়সালার জন্য তাগুতের দিকে নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা ওকে (তাগুত) অমান্য করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়। (সুরা নিসাঃ ৬০)

    আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

    আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না। (সুরা ইউসুফঃ ৪০)

    আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

    শুনে রেখ, সৃষ্টি ও বিধান তারই। (সুরাঃ ৫৪)
    -------------------------------------------------------------------------------

  • #2
    আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

    আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না। (সুরা ইউসুফঃ ৪০)

    Comment

    Working...
    X