Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি প্রশ্ন ও তার জবাব৷

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি প্রশ্ন ও তার জবাব৷

    প্রশ্ন

    জিহাদীরা গুপ্ত ও নিষিদ্ধ আন্দোলন করে কোথায় সাফল্য এনেছে ? ইসলামী আন্দোলনগুলো দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করতে পারেনি, কিন্তু সরকারের ইসলাম-বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমে তারা সাধ্যানুযায়ী প্রতিবাদ করেছে। সংস্কার এনেছে। এর বিপরীতে জিহাদীরা কয়েকজন নাস্তিককে দুনিয়া থেকে সরানো ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছুই করতে পারেনি। কারণ সাধারণ মানুষ দূরে থাক, আলেমদের সঙ্গেও এরা দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছে। এভাবে কোনো আন্দোলন সফল হয়?//
    উত্তর

    পৃথিবীর ইতিহাসে যেখানেই বাতিল প্রবল ও প্রতাপশালী ছিল, সেখানেই হক্ব দূর্বল এবং গোপন অবস্থায় কিংবা নিষিদ্ধ থেকেছে। ইসলামের ইতিহাসে এর অগণিত সংখ্যক দৃষ্টান্ত রয়েছে। এমনকি কুরআনেও গুপ্ত থেকে দ্বীনের উপর টিকে থাকার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। আসহাবে কাহাফ, আসহাবে উখদুদ, ফির’আউনের বংশের ঈমান গোপন করা ব্যক্তি, বনী ইসরাঈলকে নিয়ে মূসা আঃ এর গোপনে পলায়নসহ আরো বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে স্বয়ং আল-কুরআনে। পুরো ইসলামের ইতিহাসে এমন একটি দৃষ্টান্ত থাকলে দেখাক, যখন ক্ষমতাশালী বাতিল দূর্বল হক্বকে প্রকাশ্যে আসার সুযোগ দিয়েছে কিংবা নিষিদ্ধ করেনি !

    আর জিহাদীরা কী করেছে কিংবা আন্দোলনের সফলতার কথা যদি বলা হয়, তার উত্তরে বলবো, এই মুহুর্তে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের প্রায় ৭০% এলাকা তালিবান জিহাদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। আল-কায়েদার সোমালিয়ান শাখা আল-শাবাব সোমালিয়ার বর্তমান মূল ভূখণ্ডের প্রায় ৮০% (যার আয়তন প্রায় আড়াই লক্ষ বর্গকিলোমিটার) এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে বছরের পর বছর ধরে আল্লাহর শরী’আহ দ্বারা ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এছাড়া মালি, ইয়েমেন, সিরিয়াসহ আরো বিভিন্ন দেশে আল-কায়েদা মুজাহিদদের শক্তিশালী অবস্থান এবং ভূমি নিয়ন্ত্রণ আজ প্রকাশ্য বিষয়, এটি নিশ্চয়ই কোনো গুপ্ত বিষয় নয়।

    এটি শুধুমাত্র জিহাদী মিডিয়ার কোনো বক্তব্য নয় বরং দুনিয়াব্যাপী মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ক্রুসেডার ব্রিটেনের মিডিয়া ‘বিবিসি’ তে প্রকাশিত নিউজ ও ম্যাপের বক্তব্য। (প্রমাণ লাগলে শুধু জানালেই চলবে। ইনশাআল্লাহ এটিসহ পোস্টে উল্লিখিত প্রমাণগুলো রেডি আছে।)

    আর জিহাদের বিরুদ্ধে ত্বগুত সরকারের আয়োজনে ১ লক্ষ আলিমের ফাতাওয়ার বাংলাদেশে আল-কায়েদা শুধুমাত্র শাতিম এবং ইসলামের শি’আর ধ্বংসকারীদের মধ্যে কতিপয়কে টার্গেট করে সফল ও হৃদয় প্রশান্তকারী অভিযান পরিচালনা করেছে।

    রাসূল সাঃ কে অসম্মানকারী এতোগুলো শাতিমকে হত্যা করা যাদের হৃদয় প্রশান্ত করে না বরং প্রশ্নবিদ্ধ করে ,তাদের দৃষ্টিতে ভালো-মন্দ আর ইসলামী শরীয়ত সর্বদাই ভিন্ন হতে বাধ্য।

    আগেই বলেছি, আল-কায়েদা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ডে শরী’আহ কায়েম এবং আমেরিকা ও দুনিয়ার কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে টিকে আছে, আলহামদুলিল্লাহ্*। এটি সফলতা মনে হয় না, অথচ যুগ যুগ ধরে আন্দোলন করেও গণতান্ত্রিক পন্থায় চেষ্টা চালিয়ে একদিনের জন্য একটি গ্রামেও আল্লাহর শরী’আহ বাস্তবায়ন করতে না পারাই বুঝি সফলতা !!! এই সফলতা মানদণ্ড কী তা জানতে পারলে চিন্তা করতে সুবিধা হত।

    আর আল-কায়েদা এই ভূখণ্ডে এসেছেই আলিমদের হাত ধরে এবং এর নেতৃত্বেও রয়েছেন বিদগ্ধ আলিমগণ। সুতরাং আলিমদের সাথে বিরোধের প্রশ্নই আসে না। বরং জিহাদের বিরুদ্ধে একলক্ষ আলিমের ফাতাওয়া (!) এবং প্রতিনিয়ত জিহাদকে জঙ্গিবাদ আখ্যা দিয়ে নিজেদের জান বাঁচানোর কসরতে লিপ্ত ব্যক্তিরা নিজেরাই জিহাদের বিরুদ্ধে লেগেছে।

    #কালেক্টেড৷

  • #2
    এদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও বলবে, কই তোমরা কিছুই করোনি!!

    Comment


    • #3
      অসাধারন লিখেছেন ভাই। জাঝাকাল্লাহ খাইরন।

      Comment


      • #4
        এক লক্ষ আলিমের ফতুয়া! ভাই এটি ডাহা মিথ্যা কথা! এরা তত সময়ে মাদ্রাসার অবুঝ ছাত্রদের থেকে সাইন নিয়ে নিয়েছে,এর সাক্ষি আমি নিজে। আমাদের এলাকায় এক পাগল মিথ্যা ফতুয়ার একটি পেপার নিয়ে এসেছিল তাকে আচ্ছা মত কথার দ্বারা সাইস করা হয়েছিলো। এক লক্ষ আলিম সাইন করেনি। এরা কিছু ভণ্ডদের দিয়ে সাইন করিয়ে নিয়েছে। এর কর্ণধার ফরিদ শয়তানকে হত্যা করা সময়ের দাবী।
        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

        Comment


        • #5
          Originally posted by mumtahina07 View Post
          অসাধারন লিখেছেন ভাই। জাঝাকাল্লাহ খাইরন।
          ভাই আমি লিখিনি৷ কালেক্ট করা৷

          Comment


          • #6
            Originally posted by safetyfirst View Post
            এক লক্ষ আলিমের ফতুয়া! ভাই এটি ডাহা মিথ্যা কথা! এরা তত সময়ে মাদ্রাসার অবুঝ ছাত্রদের থেকে সাইন নিয়ে নিয়েছে,এর সাক্ষি আমি নিজে। আমাদের এলাকায় এক পাগল মিথ্যা ফতুয়ার একটি পেপার নিয়ে এসেছিল তাকে আচ্ছা মত কথার দ্বারা সাইস করা হয়েছিলো। এক লক্ষ আলিম সাইন করেনি। এরা কিছু ভণ্ডদের দিয়ে সাইন করিয়ে নিয়েছে। এর কর্ণধার ফরিদ শয়তানকে হত্যা করা সময়ের দাবী।
            এটা নিয়ে তো একটি জবাব ও বের হয়েছে৷
            আল্লাহ তায়ালা পড়ার তাওফীক দিয়েছিলেন৷ আলহামদুলিল্লাহ৷
            এখন বিষয় গুলো স্পষ্ট৷

            Comment


            • #7
              ভাই আপনার প্রশ্নটা ঐ ধরনের ব্যক্তিই করে থাকে যার মনে এটা বসে গেছে যে আমি বিরোধীতাই করবো, আমার দলটাই সঠিক, আমিই সঠিক। যে কিনা সঠিক বুঝার মন মানুষিকতা হারিয়ে ফেলছে। যার মেজাঝ ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে আছে।
              আপনি এইধরনের ব্যক্তির সাথে যদিও কথা বলে জিতে যান কিংবা পরাস্ত করে দেন পরিশেষে তাদের কথা হবে আমিতো ছোট আমার বড় রা বিষয়টা আরো ভালো করে জানেন, আপনি আমার বড়’র সাথে দেখা করেন। আমি হয়তো আপনাকে বুঝাতে পারিনি।
              আর এইডাই কট্টুর পন্থির পরিচয়,
              সব বিষয়ে যোগ্যতা জরুরী, তাই নিজেকে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবি গড়ি।

              Comment


              • #8
                Originally posted by Lighted Lamppost View Post
                ভাই আপনার প্রশ্নটা ঐ ধরনের ব্যক্তিই করে থাকে যার মনে এটা বসে গেছে যে আমি বিরোধীতাই করবো, আমার দলটাই সঠিক, আমিই সঠিক। যে কিনা সঠিক বুঝার মন মানুষিকতা হারিয়ে ফেলছে। যার মেজাঝ ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে আছে।
                আপনি এইধরনের ব্যক্তির সাথে যদিও কথা বলে জিতে যান কিংবা পরাস্ত করে দেন পরিশেষে তাদের কথা হবে আমিতো ছোট আমার বড় রা বিষয়টা আরো ভালো করে জানেন, আপনি আমার বড়’র সাথে দেখা করেন। আমি হয়তো আপনাকে বুঝাতে পারিনি।
                আর এইডাই কট্টুর পন্থির পরিচয়,
                জী ভাই,ঠিক বলেছেন৷

                Comment


                • #9
                  وَإِن يَرَوْا كُلَّ آيَةٍ لَّا يُؤْمِنُوا بِهَا وَإِن يَرَوْا سَبِيلَ الرُّشْدِ لَا يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا وَإِن يَرَوْا سَبِيلَ الْغَيِّ يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا عَنْهَا غَافِلِينَ﴾ [الأعراف: ١٤٦

                  তারা যদি হক্বের সকল প্রামনাদি ও দেখতে পায় তবুও তা বিশ্বাস করবেনা, যদি তারা হিদায়াতের পথ (সীরাতে মুস্তাকিম/ শরীয়ত) দেখতে পায় তাকে তারা পথ হিসেবে গ্রহণ করবেনা। যদি তারা পথ ভ্রষ্ঠতা (আল্লাহ ও রাসূল এর ভিন্ন পথ) দেখতে পায় তাকে পথ হিসেব গ্রহণ করবে। এটি এ জন্য যে তারা আমার বিধান কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, এবং তারা আল্লাহর বিধান থেকে বিমুখ।
                  সুরা আ‘রাফ: ১৪৬

                  Comment

                  Working...
                  X