গণতন্ত্র আর ইসলামী শূরা কি এক?,
– শাইখ আব্দুল আযিয আত তারিফি হাফিজাহুল্লাহ।
অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ ও দা’ঈ দাবি করে থাকেন যে ইসলামি শূরা ও গণতন্ত্রের মধ্যে সাদৃশ্য আছে। তারা দাবি করেন কার্যত গণতন্ত্র ও শূরা একই। বর্তমানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটু ভিন্নভাবে শূরা বাস্তবায়িত হচ্ছে, এই যা। .
কিন্তু আদতে গণতন্ত্র হল শূরার নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত। নিচে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু আলোচনা করা হল – শূরা, যেটার মাধ্যমে খালিফাহ নির্ধারন করা হয়, বা এমনকি কোন ইমারাহ বা জামা’আহর আমীর নির্ধারন করার ক্ষেত্রেও – শূরা হল নির্দিষ্ট এক শ্রেণীর মানুষের বৈঠক। যাদেরকে আহলুল হাল্ল ওয়াল আক্বদ বলা হয়। যারা ‘ইলম ও আখলাকের প্রসিদ্ধ। যারা মানুষের মধ্যে নেতৃস্থানীয়। সম্মান, দায়িত্ব ও ক্ষমতাসম্পন্ন। আহলুল হাল্ল ওয়াল আক্বদের গুনাবলী প্রসিদ্ধ ও লিপিবদ্ধ। তারা হবেন শরিয়তের জ্ঞান সম্পন্ন, শ্রেষ্ঠ মুত্তাকি, তারা হলেন মানুষদের মধ্যে উৎকৃষ্ট। তাদের পছন্দ হবে বিচক্ষনতার ভিত্তিতে, আর বিচক্ষনতা সাব্যস্ত হবে তাদের ইলম ও শরীয়াহর আলোকে। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদ, ভোটার আইডি কার্ড, বার্থ সার্টিফিকেট, পুলিশ ভেরিফিকেশন – এসবের ভিত্তিতে না। .
দৃষ্টিকোন, পদ্ধতি ও দর্শনের দিক থেকে এ দু’য়ের মধ্যে মৌলিক ও সত্ত্বাগত পার্থক্য আছে – গণতন্ত্রের নির্দিষ্ট কোন রেফারেন্স নেই। পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্টের ইচ্ছের উপর এর মূল্যবোধ নির্ভরশীল। আর শূরা প্রতিষ্ঠিত হয় কুরআন সুন্নাহ ও ইসলামের সুসাব্যস্ত সাব্যস্ত বিষয়ের উপর। শরয়ী দলীল দ্বারা সাব্যস্ত এবং বিশুদ্ধ ইজতেহাদের উপর ভিত্তি করে, সুস্পষ্ট নস বা উদৃতির বিপরীত হওয়া ব্যতিত। .
গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো, জনগনের নির্ধারনই চূড়ান্ত নির্ধারন, চাই তা অন্যান্য মতবাদের সাথে বিরোধই হোক না কেন। আর শূরা হাকিমিয়্যাহ বা রাজত্ব কেবল আল্লাহর জন্যই দাবী করে। ‘তিনি যা ইচ্ছা ফায়সালা করেন’ ‘তার সৃষ্টি তারই বিধান মতে চলবে’। . গণতন্ত্র সকল মানুষের মাঝে সমান অধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করে কোন প্রকার পার্থক্য করার নীতিমালা নেই। আর শূরা পরিশুদ্ধি ও বিচক্ষনতার বিবেচনায় দেশের পন্ডিত ও ধর্মীয় নেতাদের এবং অগ্রদূতদের অগ্রাধিকার দেয়ার মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে। সুতরাং, গণতন্ত্রের সাথে শূরার সমতার দাবী একটি গুরুতর ভুল ও ফিকহী নীতিমালার বিপরীত। .
ইসলামি শূরা আর গণতন্ত্রের পার্থক্য নিয়ে শুনুন সৌদ পরিবারের বিরাগভাজন প্রখ্যাত আরব আলিম শায়খ আব্দুল আযিয আত-তারিফীর হাফিযাহুল্লাহ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। . গণতন্ত্র আর ইসলামী শূরা কি এক?
ডাউনলোড
২০ এমবি
https://my.pcloud.com/publink/show?c...LNTjB8Ljmy4uNk
১১ এমবি
https://my.pcloud.com/publink/show?c...WWCaI2IXCvKy6y
– শাইখ আব্দুল আযিয আত তারিফি হাফিজাহুল্লাহ।
অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ ও দা’ঈ দাবি করে থাকেন যে ইসলামি শূরা ও গণতন্ত্রের মধ্যে সাদৃশ্য আছে। তারা দাবি করেন কার্যত গণতন্ত্র ও শূরা একই। বর্তমানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটু ভিন্নভাবে শূরা বাস্তবায়িত হচ্ছে, এই যা। .
কিন্তু আদতে গণতন্ত্র হল শূরার নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত। নিচে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু আলোচনা করা হল – শূরা, যেটার মাধ্যমে খালিফাহ নির্ধারন করা হয়, বা এমনকি কোন ইমারাহ বা জামা’আহর আমীর নির্ধারন করার ক্ষেত্রেও – শূরা হল নির্দিষ্ট এক শ্রেণীর মানুষের বৈঠক। যাদেরকে আহলুল হাল্ল ওয়াল আক্বদ বলা হয়। যারা ‘ইলম ও আখলাকের প্রসিদ্ধ। যারা মানুষের মধ্যে নেতৃস্থানীয়। সম্মান, দায়িত্ব ও ক্ষমতাসম্পন্ন। আহলুল হাল্ল ওয়াল আক্বদের গুনাবলী প্রসিদ্ধ ও লিপিবদ্ধ। তারা হবেন শরিয়তের জ্ঞান সম্পন্ন, শ্রেষ্ঠ মুত্তাকি, তারা হলেন মানুষদের মধ্যে উৎকৃষ্ট। তাদের পছন্দ হবে বিচক্ষনতার ভিত্তিতে, আর বিচক্ষনতা সাব্যস্ত হবে তাদের ইলম ও শরীয়াহর আলোকে। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদ, ভোটার আইডি কার্ড, বার্থ সার্টিফিকেট, পুলিশ ভেরিফিকেশন – এসবের ভিত্তিতে না। .
দৃষ্টিকোন, পদ্ধতি ও দর্শনের দিক থেকে এ দু’য়ের মধ্যে মৌলিক ও সত্ত্বাগত পার্থক্য আছে – গণতন্ত্রের নির্দিষ্ট কোন রেফারেন্স নেই। পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্টের ইচ্ছের উপর এর মূল্যবোধ নির্ভরশীল। আর শূরা প্রতিষ্ঠিত হয় কুরআন সুন্নাহ ও ইসলামের সুসাব্যস্ত সাব্যস্ত বিষয়ের উপর। শরয়ী দলীল দ্বারা সাব্যস্ত এবং বিশুদ্ধ ইজতেহাদের উপর ভিত্তি করে, সুস্পষ্ট নস বা উদৃতির বিপরীত হওয়া ব্যতিত। .
গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো, জনগনের নির্ধারনই চূড়ান্ত নির্ধারন, চাই তা অন্যান্য মতবাদের সাথে বিরোধই হোক না কেন। আর শূরা হাকিমিয়্যাহ বা রাজত্ব কেবল আল্লাহর জন্যই দাবী করে। ‘তিনি যা ইচ্ছা ফায়সালা করেন’ ‘তার সৃষ্টি তারই বিধান মতে চলবে’। . গণতন্ত্র সকল মানুষের মাঝে সমান অধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করে কোন প্রকার পার্থক্য করার নীতিমালা নেই। আর শূরা পরিশুদ্ধি ও বিচক্ষনতার বিবেচনায় দেশের পন্ডিত ও ধর্মীয় নেতাদের এবং অগ্রদূতদের অগ্রাধিকার দেয়ার মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে। সুতরাং, গণতন্ত্রের সাথে শূরার সমতার দাবী একটি গুরুতর ভুল ও ফিকহী নীতিমালার বিপরীত। .
ইসলামি শূরা আর গণতন্ত্রের পার্থক্য নিয়ে শুনুন সৌদ পরিবারের বিরাগভাজন প্রখ্যাত আরব আলিম শায়খ আব্দুল আযিয আত-তারিফীর হাফিযাহুল্লাহ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। . গণতন্ত্র আর ইসলামী শূরা কি এক?
ডাউনলোড
২০ এমবি
https://my.pcloud.com/publink/show?c...LNTjB8Ljmy4uNk
১১ এমবি
https://my.pcloud.com/publink/show?c...WWCaI2IXCvKy6y
Comment