Announcement

Collapse
No announcement yet.

"তাকওয়া: আমাদের রক্ষাকবচ"

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "তাকওয়া: আমাদের রক্ষাকবচ"

    اليوم يئس الذين كفروا من دينكم فلا تخشوهم واخشون
    المايدۃ...۳
    "আজ কাফিররা তোমাদের দীন থেকে নিরাশ হয়ে গিয়েছে। কাজেই তাদের ভয় করোনা;বরং আমাকে ভয় করো।"

    ইসলাম যখন শির উঁচুকরে দাঁড়িয়েছিল। ইসলামের মৌলিক নীতিমালা এবং পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার জন্য বিশদভাবে যা কিছুর দরকার ছিল--সব যখন কুরআন এবং হাদিসে নববীর মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল, তখনই উক্ত আয়াতখানা নাযিল হয়েছিল। মক্কা বিজিত হয়েছে। যারা একসময় আহার করত চরম ঘৃণ্যবস্তু আর হারাম জন্তু-জানোয়ার! অন্ধপূজা করত নিজহাতে গড়া মাটি-পাথরের দেব-দেবীদের, যাদের পূজা-পার্বণের পুরো অংশজুড়ে ছিল কুফর আর শিরকের ছড়াছড়ি!! তারাই এখন মুহাম্মাদ ﷺ এর অক্লান্ত মেহনত আর পরিশ্রমের বদৌলতে দাওয়াতের ময়দানে সুস্পষ্ট দাঈ, আল্লাহ ﷻ র রাহে একজন নিবেদিতপ্রাণ মুজাহিদে পরিণত হয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।

    তাঁদের ঈমান এতটাই মজবুত আর সুদৃঢ় হয়ে গিয়েছিল যে, পুরো পৃথিবীভর্তি সোনাচাঁদি তাঁদের আঁচলভরে দিলেও ঈমান থেকে তাঁরা বিন্দুমাত্র পিছপা হতেননা। মুনাফিকের নিফাক আর শয়তানের ধোঁকা তাঁদের ঈমানে নূন্যতম ফাটল ধরাতে পারতনা। উল্টো এসব পরিস্থিতে তাঁদের ঈমান হত আরো মজবুত!! আরো শাণিত!!
    তাইতো আল্লাহ ﷻ তাঁদের ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন-
    "আজ কাফেররা তোমাদের দীন থেকে নিরাশ হয়ে গিয়েছে।" তোমাদের এ দীন থেকে তোমাদের সরাতে,দীনি বিধানে কোনরূপ পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা থেকে নিরাশ হয়ে গিয়েছে। তোমরা একটি মুকাম্মাল দীন পেয়ে গেছো। মহান আল্লাহ তোমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত তোমাদের এ দীনকে রহিত করার কোন শংকা নেই। সুবহানাল্লাহ।
    সুতরাং তোমাদের এখন কাফিরদের ভয় করার কোন কারন থাকতে পারেনা। কাজেই আল্লাহকে ভয় করো, যাঁর হাতে তোমাদের যাবতীয় সাফল্য।

    فلا تخشوهم واخشون.......
    এর মধ্যে সুক্ষ্মভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে,"যতদিন মুসলিমরা আল্লাহকে ভয় করবে। যতদিন তারা তাকওয়া-পরহেযগারী অবলম্বন করবে, ততদিন কাফিরদের পক্ষ থেকে তাদের কোন ভয় নেই।"
    আল্লাহকে ভয়করা মানে 'পরিপূর্ণভাবে' কুরআন-সুন্নাহ মুতাবিক চলা। "ধরিমাছ না ছুঁই পানি মার্কা" কুরআন-সুন্নাহ মানা আল্লাহকে পরিপূর্ণভাবে ভয়করার মধ্যে পড়েনা। অন্যত্রে ইরশাদ করেছেন-
    يا ايها الذين امنوا ادخلوا في السلم كافۃ...

    যদি তাঁর নির্দেশিত পথে না চলি, এর বিপরীতে চলি, তাহলে দুনিয়াতে এবং আখিরাতে উভয়টাতে রয়েছে লাঞ্ছনা এবং শাস্তি!!!
    রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
    اذا تبايعتم بالعين واخذتم اذناب البقر ورضيتم بالزرع و تركتم الجهاد سلط الله عليكم ذلا لا يترعه حتي ترجعوا الي دينكم
    "যখন তোমরা সুদী লেনদেন করবে, গরুর লেজ ধরবে (চতুষ্পদ জন্তু লালন করবে), চাষাবাদে সন্তুষ্ট থাকবে (অর্থাৎ জিহাদের সময় দুনিয়াবি কাজে ব্যস্ত থাকবে) এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে, তখন আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দিবেন। যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের দীনে ফিরে না আসবে,ততক্ষণ আল্লাহ এ লাঞ্ছনা দূর করবেননা।"
    আল্লাহ ﷻ তো কুরআনে কাফিরদের কিভাবে কোন জায়গায় মারতে হবে, জোড়া আঙুলে, ঘাড়ে ইত্যাদিতে তাও বাতলে দিয়েছেন। যারাই জিহাদ ছেড়ে দিয়েছে, তারাই লাঞ্ছিত হয়েছে।

    আজ পুরো ফিলিস্তিন রক্তাক্ত! ফিলিস্তিনের মানুষ নির্যাতিত নিপিড়ীত! তাদের হাহাকারে ভারী হয়ে গেছে আকাশ-বাতাস!!
    তাদের আর্তনাদে দাঁত বেরকরে হাসছে শয়তানের দল!! নিঃশ্বাস নিতে পারছেনা তারা ঠিকমত! তাদের থাকার জায়গা হয়ে গেছে সংকুচিত!! দফায় দফায় তারা আন্দোলন করছে, বিক্ষোভ করছে। কামান আর গোলা-বারুদের বিপরীতে তারা ইট-পাটকেল ছুঁড়ছে!!! তাদের এসবে আবার বিশ্বের 'শান্তিবাদীদের' থেকে বাহবাও পাচ্ছে। হলুদ মিডিয়াগুলো তাদের এসব ছবি দিয়ে জোরগলায় তৃপ্তিভরে প্রচার করছে এ বলে--"তাদের এসব থেকে হাত-পা কাটনেওয়ালা জঙ্গিরা শিক্ষা নিক!!"
    এত ইট এত ইন্তেফাদা ইসরাঈলের সামান্য চুলওতো বাঁকা করতে পারলনা!!!
    অথচ একজন মুজাহিদ কোন এয়ারপোর্টে নেমেছে-এ খবরটুকু যদি তারা পায়, পুরো এয়ারপোর্ট সিলগালা করে দেয়! রেডএলার্ট জারি করে দেয়! তাদের মধ্যে ভয়াবহ অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়!!
    কেন!! এমনটা কেন হয়, বিশালগোষ্ঠির দফায় দফায় ইন্তেফাদায় তাদের পশমও নড়েনা আর সাদামাটা একজন মুজাহিদের ভয়ে তাদের নাভিশ্বাস শুরু হয়ে যায়!!!
    কারণ সে মুজাহিদ আল্লাহকে ভয়করার মত ভয়করছে!!--জিহাদ করছে!! আল্লাহর বাতলানো পথে চলছে!! সঠিকরাস্তায় হাঁটছে!

    আহ্ যদি ফিলিস্তিনীরা 'সঠিকপন্থায়' জিহাদ করত, আজ তাহলে ইসরাঈলের নাম-নিশানা মুছে যেত!! অথচ তারা হাঁটছে জাতীয়তাবাদের পথে- কুরআনের বাইরে, সুন্নাহর বাইরে!! যেটা করার দরকার ছিল তাদের, সেটা করছে ইসরাঈল। এক আরব-ইসরাঈল যুদ্ধে কিভাবে চুনোপুঁটিসদৃশ এক দেশ তার থেকে ঢেরগুণ বড় চার চারটি দেশকে নাকানিচুবানি খাওয়ালো!!!

    আলহামদুলিল্লাহ। এতকিছুর মাঝেও উম্মাহর একটি কাফেলা দূর্বারগতিতে এগিয়ে চলছে সম্মুখপানে! যাদের ভয়ে কুফফারের ঘুম হারাম হয়ে যায়!! যাদের আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে তাদের কম্পন শুরু হয়ে যায়!! লিবাসুহুম আততাকওয়া!! যাদের রব-স্বয়ং আরশে আজিমের মহাঅধিপতি!! তাদের নেতা মুহাম্মাদ!! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

    نحن الذين بايعوا محمدا علي الجهاد ما بقينا ابدا.....
    "আমরা সেইসব লোক, যারা মুহাম্মাদের হাতে মৃত্যু পর্যন্ত জিহাদ করার বাইয়াত গ্রহণ করেছি।" ﷺ


    লিখেছেন:
    ভাই আমজাদ আল হিন্দি
    আমরা হয়তো বাঁচি, নয়তো শহীদ হই!

  • #2
    কাফেরকে কেনো ঘৃণা করিবো? কাফেরকে তার কুফরের জন্যই ঘৃণা করিতে হইবে। কাফের তার কুফরই হলো আমি মুমিনের বিদ্বেষের কারণ। ইসলাম এর নীতির বাইরে যত মত পথ আছে সবই ভুল।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ ভাই সুন্দর লিখেছেন। এগিয়ে চলুন ভাই আমাদের সাথে নিয়ে ।আমরা ভীতুদের মত এই শ্লোগান দিব না যে, এগিয়ে চল অমুক ভাই আমরা আছি তোমার সাথে , হামলা হলে যেভাবে খুশি পালাবে সে। বরং আমাদের শ্লোগান হবে ,আল্লাহর আমরা হব নিবেদিত প্রান, প্রথম সাড়িতে দাড়িয়ে নিজেকে আগে কুরবান করে দিব ।তবুও কাউকে মাজলুম হতে দিব না ইনশা আল্লাহ ।।

      আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুক আমিন...।।
      আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করার তৌফিক দান করুক।

      Comment


      • #4
        ভাই ভালো পোস্ট করেছেন। আল্লাহ আপনি আমাদেরকে সঠিক বুঝ ও আপনার পথে জিহাদ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

        Comment

        Working...
        X