Announcement

Collapse
No announcement yet.

সংশয় নিঃরসন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সংশয় নিঃরসন


    প্রচলিত বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের কোনো একটিতে যোগ দেওয়া কি একজন মুসলিমের উপর আবশ্যকীয়?

    উত্তর দিয়েছেন শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
    -----

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির প্রতিটি কথা ও কাজের অনুসরণ করা আবশ্যকীয় নয়। বরং তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য সকলের কথা গ্রহণীয় ও বর্জনীয়। ইমাম মালেক (রহঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ববরের দিকে ইশারা করে বলেন, ‘এ ক্ববরের অধিবাসী ব্যতীত পৃথিবীর সকল ব্যক্তির কথা গ্রহণীয় ও বর্জনীয়’। অর্থাৎ শুধুমাত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতিটি কথাই গ্রহণীয়।

    আর নির্দিষ্ট কোনো দল বা সংগঠনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আমি বলব, মহান আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল উম্মতকে জামা‘আতবদ্ধভাবে জীবন যাপন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জামা‘আতের সাথে আল্লাহর হাত থাকে’ (তিরমিযী, হা/ ২১৬৭, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ‘ছহীহ’ বলেছেন)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের উপর জামা‘আতবদ্ধ থাকা ফরয করা হল। কেননা নেকড়ে বাঘ একাকী দূরে অবস্থানকারী ছাগলকে খেয়ে ফেলে’ (নাসাঈ, হা/৮৪৭, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ‘হাসান’ বলেছেন)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ‘শয়তান একক ব্যক্তির সঙ্গে থাকে এবং সে দু’জন থেকে দূরে থাকে’ (তিরমিযী, হা/২১৬৫, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ‘ছহীহ’ বলেছেন)। এছাড়া এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।

    সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ, আল্লাহর পথে দা‘ওয়াত, শার‘ঈ জ্ঞানার্জন, হক ও ধৈর্য্যের উপদেশ ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর আনুগত্যের ক্ষেত্রে প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির একে অপরকে সহযোগিতা করা নিঃসন্দেহে শরীআ‘তসম্মত কাজ। আর একতাবদ্ধভাবে এসব কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে শয়তানের কবল থেকে রক্ষা করতে পারে, যা উপরোল্লেখিত হাদীছসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়। সংঘবদ্ধভাবে এসব কাজ সম্পাদন মহান আল্লাহ্*র নিম্নোক্ত বাণীর আওতায়ও পড়ে:

    ﴿ وَٱلۡعَصۡرِ ١ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ ٢ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ ٣ ﴾ [العصر: ١، ٣]

    ‘সময়ের কসম! নিশ্চয়ই মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা ব্যতীত, যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে এবং পরস্পরকে হক ও ধৈর্য্যের উপদেশ দিয়েছে’ (আল-আছর)।

    তবে কোনো দল বা সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা বলতে যদি তার প্রতি অন্ধভক্তি ও গোঁড়ামি বুঝায়, অর্থাৎ সে যে সংগঠন করে, সেটিই একমাত্র হকের উপর আছে, পক্ষান্তরে অন্যগুলি ভ্রান্তির মধ্যে আছে বলে মনে করে এবং শুধুমাত্র নিজ সংগঠনের কর্মীদের সাথে আন্তরিকতা বজায় রেখে চলে, আর অন্যদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে, তাহলে এটি একদিকে যেমন মহা অন্যায় এবং যুলম। অন্যদিকে তেমনি এগুলি দ্বারা উম্মতের মধ্যে বিভক্তি এবং দুর্বলতা সৃষ্টি ব্যতীত আর কিছুই হয় না। সেজন্য প্রতিটি মুমিন ব্যক্তির উচিৎ, সকল মুমিন ভাইয়ের সাথে বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা বজায় রেখে চলা। মহান আল্লাহ বলেন,

    ﴿ إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ﴾ [المائ*دة: ٥٥]

    ‘তোমাদের বন্ধুতো আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং মুমিনগণ’ (আল-মায়েদাহ ৫৫)। তিনি আরো বলেন,

    ﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ إِخۡوَةٞ ﴾ [الحجرات: ١٠]

    ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই’ (আল-হুজুরাত ১০)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই’।

    অতএব, আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতির সাথে ঐক্যমত পোষণকারী দল, জামা‘আত বা সংগঠনগুলির কোনো একটির মধ্যে হক সীমাবদ্ধ বলে মনে করা যাবে না। আল্লাহর পথে দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। প্রত্যেকটি মুমিন অন্যান্য মুমিনের সাথে বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা বজায় রেখে চলবে। নিকটের হোক বা দূরের হোক সৎকাজে একে অপরকে সহযোগিতা করবে এবং অন্যায় কাজে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকবে।([1])

    ([1]) শায়খের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের নিম্নোক্ত লিঙ্ক থেকে ১০/১২/২০১২ ইং তারিখে লিখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে: http://islamqa.info/ar/ref/12491


    নোটঃ (ফাতোয়ার আলোকে কমেন্টকারী’র নিজস্ব অভিমত)

    ১. এই পোস্টের মাকসাদ হচ্ছে, শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদের ফাতোয়া অনুযায়ী প্রয়োজনে দল/ তান্জীম গঠন করা যাবে এটা প্রমাণ করা।

    ২. কোন তান্জীমে যোগ দেয়ার অর্থ হচ্ছে সেই তান্জীম ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে। সুতরাং, সেখানে যোগ দেয়ার মাধ্যমে উক্ত তান্জীমকে শক্তিশালী করা ঈমানের দাবি। আর হাদীস অনুযায়ী কোন বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির জন্য সেই তান্জীমে যোগ দেয়ার মাধ্যমে তার উপর অর্পিত ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এখন কেউ যদি মনে করে আমি আলাদা তান্জীম গঠন করবো তাহলে অবশ্যই তার জন্য গ্রহণযোগ্য তান্জীমের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ থাকে না। বরং এটি করার মাধ্যমে সে উম্মাহর মধ্যে বিভেদ তৈরিকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।

    ৩. সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের জন্যও তান্জীমের প্রয়োজনীয়তা আছে। কারণ, তান্জীম বলতেই জবাবদিহিতার বিষয়টি চলে আসে যা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার একটি প্রাথমিক পর্যায়। কোন ব্যক্তির মাধ্যমে যদি এমন কোন কাজ সংগঠিত হয় যা সাংগঠনিকভাবে সমাধান করা প্রয়োজন তাহলে একটি তান্জীমের আওতাভূক্ত থাকা তার জন্যই কল্যাণকর।

    ৪. আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র আক্বীদা অনুসরণকারী তান্জীমে যুক্ত হওয়াই শ্রেয়। এবং এটিই জামাতবদ্ধতার একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম। যে তান্জীম আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র মতৈক্যের উপর আন্তর্জাতিক কুফ্ফার ও নিজ নিজ অঞ্চলে দেশীয় মুরতাদদের সাথে জিহাদ পরিচালনা করে আসছে।

    ৫. সর্বশেষ শাইখ বলেছেন, “তবে কোনো দল বা সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা বলতে যদি তার প্রতি অন্ধভক্তি ও গোঁড়ামি বুঝায়......” এখানে সম্মানিত পাঠককূলের জ্ঞাতার্থে বলবো আপনারাই বিবেচনা করুন বর্তমানে কারা শুধু নিজেদেরকেই সঠিক ও হক্বপন্থী দাবি করে? কারা কাফেরদের আজ্ঞাবহ মুরতাদ শাসকদের সাফাই গেয়ে তাদের আনুগত্যকে ফরয দাবি করে?


    পরিশেষে, কিভাবে তান্জীমে যুক্ত হয়ে উম্মাহর সাথে নিজেকে জামাতবদ্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায় যখন কি না ঈমাম মাহদীর আগমন খুবই সন্নিকটে (বিইযনিল্লাহ)!!!

  • #2
    সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করতে হলে জামাত/ দলের খুবি প্রয়োজন আছে।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ, উত্তম পোষ্ট।

      Comment


      • #4
        যাজাকআল্লাহ

        Comment


        • #5
          jajakallah..khob valo

          Comment

          Working...
          X