Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিজয় লাভের শর্তাবলী

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিজয় লাভের শর্তাবলী

    মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনুর লেখা একটি বিখ্যাত বই 'ফির্কাহ নাজিয়াহ' থেকে।

    ❝বিজয় লাভের শর্তাবলী❞

    মুহাম্মাদ সা. এর জীবন চরিত ও তাঁর জিহাদ বিষয়ক ইতিহাস পাঠ করলে তাঁর জীবনে নিন্মলিখিত পর্যায় দেখতে পাবেন –
    ❖ তাওহিদের পর্যায় – রাসুল সা. মক্কায় ১৩ বছর অবস্থানকালে আপন সম্প্রদায়কে উপাসনা, প্রার্থনা, বিচার-ভার প্রভৃতিতে আল্লাহর একাত্ববাদের প্রতি এবং শির্কের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতি ততদিন আহ্বান করলেন যতদিনে এই বিশ্বাস তাঁর সহচরদের মন-মূলে সুদৃঢ়ভাবে স্থান করে নিল এবং দেখা গেল যে, তাঁরা এখন নির্ভীক বীরদল রূপে প্রস্তত হয়েছেন যাঁরা আল্লাহ ব্যতীত আর কারো ভয়ে মোটেই ভীত নন। তাই ইসলামের দাওয়াত পেশকারীদের জন্য তাওহীদের প্রতি আহ্বান এবং শির্ক হতে সাবধান করার মাধ্যমেই তাঁদের দাওয়াত আরম্ভ করা ওয়াজেব। যাতে তাঁরা এই কর্মে রাসুল সা. এর অনুসারী হন।

    ❖ ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন পর্যায় – সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের উপর প্রতিষ্ঠিত মুসলিম সমাজ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তিনি মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করলেন। সেখানে সর্বাগ্রে তিনি এক মসজিদ নির্মাণ করলেন। যাতে মুসলিমরা ঐ মসজিদে তাদের প্রতিপালকের ইবাদত আদায়ের জন্য সমবেত হতে পারে এবং জীবনকে নিয়মানুবর্তী করার লক্ষ্যে প্রত্যহ পাঁচবার সমাবেশ করার সুযোগ লাভ হয়। অতঃপর শীঘ্রই তিনি মদীনাবাসী আনসার এবং সম্পদ ও গৃহত্যাগী মক্কাবাসী মুহাজেরীনদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন স্থাপন করে দিলেন। এতে আনসারগণ মুহাজেরীনকে তাঁদের নিজস্ব সম্পদ দান করলেন এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় বস্তু তাঁদের সেবায় উতসর্গ করে দিলেন। মদিনাবাসীদের দুটি গোত্র আওস ও খওরজ। তিনি দেখলেন ঐ দুই গোত্রের মাঝে প্রাচীন শত্রুতা বর্তমান। তাই এদের মাঝে সন্ধি স্থাপন করলেন, তাদের অন্তর থেকে বিদ্বেষ ও বৈরিতা মুছে ফেললেন এবং ঈমান ও তাওহীদে পরস্পর সম্প্রীতিশীল ভাই ভাই রুপে গড়ে তুললেন। যেমন হাদীসে বর্ণিত, ‘মুসলিম মুসলিমের ভাই ভাই....’।

    ❖প্রস্তুতি – শত্রুর বিরুদ্ধে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে কুর’আন মুসলিমকে আদেশ করে। আল্লাহ বলেন, ‘এবং তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যথাসাধ্য শক্তি প্রস্তুত (সঞ্চয়) কর’ [সুরা আন’ফাল/৬০]। ঐ শক্তির ব্যাখ্যায় রাসুল সা. বলেন, ‘জেনে রাখো, ক্ষেপণই হল শক্তি’ [মুসলিম]। সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের জন্য যথাসাধ্য অস্ত্র ক্ষেপণ শিক্ষা (আর্মি ট্রেনিং) নেওয়া ওয়াজেব। ইসলামীক রাষ্ট্রেরও উচিত স্কুল কলেজ গুলোতে এই ধরণের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা। যাতে প্রয়োজনে প্রতিটা মুসলিম তার রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে পারে। এবং রাষ্ট্রের উচিত যুদ্ধের জন্য শক্তি প্রস্তুত করা বা অস্ত্র শস্ত্র সঞ্চয় করা।

  • #2
    মাশাআল্লাহ,

    তাওহীদ , আল-ওয়ালা ওয়াল বারা ও ই'দাদ এগুলোই তো জিহাদের মৌলিক উসুল।

    Comment


    • #3
      ❝বিজয় লাভের শর্তাবলী❞
      ❖ তাওহিদের পর্যায়
      ❖ ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন পর্যায়
      ❖ প্রস্তুতি পর্যায়

      মুলতঃ একটি অপরটির সহায়ক চুড়ান্ত ভাবে ইবাদতে সামিল হতে। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন।
      কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...

      Comment

      Working...
      X