Announcement

Collapse
No announcement yet.

দোয়া ও আযকারের ব্যাপারে তিনটি আবেদন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দোয়া ও আযকারের ব্যাপারে তিনটি আবেদন

    #* আল্লাহ তাআলা বলেন,
    *ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ .
    তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাকো বিনয় ও কাকুতি-মিনতি সহকারে এবং চুপিসারে। তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
    সূরা আরাফ : 55

    فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمْ .
    যখন তোমরা নামায সম্পন্ন করো তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত (সর্বাবস্থায়) অবস্থায় আল্লাহর যিকির করো। সূরা নিসা : 103
    # হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাযি. বলেন,
    *أي بالليل والنهار، في البر والبحر والسفر والحضر والغنى والفقر والمرض والصحة والسر والعلانية‏.‏
    আয়াতের উদ্দেশ্য হল, রাতে, দিনে, স্থলে, জলে, সফরে, বাড়িতে, স্বচ্ছল অবস্থায়, অসচ্ছল অবস্থায়, অসুস্থ থাকা কালে, সুস্থ থাকা কালে, গোপনে, প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির করো।

    # ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন,
    إن في دوام الذكر في الطريق والبيت والحضر والسفر والبقاع تكثيرا لشهود العبد يوم القيامة فإن البقعة والدار والجبل والأرض تشهد للذاكر يوم القيامة .
    রাস্তায়, ঘরে, সফরে, মাঠে ময়দানে তথা সর্বত্র আল্লাহর যিকির করার দ্বারা কেয়ামতের দিন বান্দার পক্ষে সাক্ষ্য দানকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কারণ, (যেখানে যেখানে যিকির করা হয়েছে ওসব) মাঠ, বাড়িঘর, পাহাড়-পর্বত ও জমি সবই কেয়ামতের দিন যিকিরকারীর পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।
    - আল ওয়াবিলুস সাইয়িব : 81

    প্রথম আবেদন :
    দোয়া ও আযকারের রুহ হল, অন্তরের বিনয়। আর এটি তখনই হয় যখন দোয়া ও আযকার অর্থ বুঝে, অর্থের প্রতি লক্ষ্য করে পড়া হয়। অর্থ বুঝা ছাড়া এমনি পড়লে যদিও ফায়েদা থেকে খালি না কিন্তু অর্থ বুঝে, অর্থের প্রতি মনোযোগ দিয়ে পড়া হলে ফায়দা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। দোয়ার মূল প্রাণও এটাই। অল্প কথায় বললে, দোয়া আসলে করার জিনিস। শুধু*পড়ার জিনিস না। এজন্য সবার খেদমতে আরয, যে সব দোয়া ও আযকার আমরা নিয়মিত পড়ি ধীরে ধীরে যদি এগুলোর অর্থ বুঝে নিই এবং পড়ার সময় অর্থের প্রতি লক্ষ্য করে দোয়া গুলো করি তাহলে ইনশাআল্লাহ দোয়ার দ্বারা কাঙ্ক্ষিত উপকারিতা আমরা পাবো। আপনি আল্লাহর কাছে কী চাচ্ছেন? তা যেন দোয়ার সময় আপনার অন্তরে উপস্থিত থাকে।

    দ্বিতীয় আবেদন :
    আমরা সকাল বিকালের আযকারগুলো যেমন গুরুত্বের সাথে পড়ে থাকি অন্যান্য সময়ের মাসনূন দুআগুলোও ওরকম গুরুত্বের সাথে পড়ার চেষ্টা করি। যেমন, ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার দোয়া, ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া, পানাহার করার দোয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি কখনো কোন দোয়া পড়তে ভুলে যাই তাহলে পরে যখনই মনে হবে তখনই পড়ে নেব। যেমন ধরুন, আপনি ঘর থেকে বের হলেন, কিছুদূর যাওয়ার পর বাসে উঠলেন, তখন মনে হল, ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়াটা পড়া হয়নি। বাসে উঠার দোয়াটাও পড়া হয়নি। তাহলে এখন ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া, বাসে উঠার দোয়া দুটোই পড়ে নিন। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটা দোয়া এক একটি ঔষধের মতো। ডাক্তার আপনাকে কোন ঔষধ দিলে যদি নির্ধারিত সময়ে তা খেতে ভুলে যান তাহলে পরে যখন মনে হয় তখন তো খেয়ে নেন। তাই না? ঠিক তেমনি এক একটি দোয়া আমাদের আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেয়া এক একটি ঔষধের মতো। প্রত্যেকটা দোয়াতে এমন কিছু ফায়দা আছে যা লাভ করার জন্যই ওই দোয়াটা আমাদেরকে পড়তে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে পড়তে না পারলেও দোয়াটা যেন একদম ছুটে না যায়।

    তৃতীয় আবেদন :
    মাসনুন দোয়াগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের উচিত, প্রতিটি কাজের শুধু একটি বা দুটি দোয়া নয় বরং হাদিসে এক একটি কাজের যতগুলো দোয়া এসেছে ধীরে ধীরে সবগুলো দোয়া মুখস্থ করে ফেলার চেষ্টা করা এবং আমলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা। সাধারণ লোকজন যেমন কোন কাজের শুধু একটা বা দুইটা দোয়াই জানে আমরা যেন তাদের মতো না হই। আমাদের উচিত, ধীরে ধীরে প্রতিটা কাজের সবগুলো দোয়া মুখস্থ করে নেয়া। যেমন ধরুন, ঘুমানোর পূর্বে সাধারণভাবে সবাই একটি দোয়াই জানে কিন্তু হাদিসে ঘুমানোর পূর্বে সাত আটটা দোয়া এসেছে। 'হিসনুল মুসলিম' থেকে যদি আমরা ধীরে ধীরে দোয়াগুলো মুখস্থ করে নিয়মিত আমল করতে চেষ্টা করি তাহলে ইনশাআল্লাহ সকাল বিকালের আযকারের মতো এ দোয়াগুলোও আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। একজন মুজাহিদের জন্য দোয়া ও আযকার অনেক বড় হাতিয়ার।*
    আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করেন।

    *
    হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

  • #2
    জাযাকাল্লাহ। ভাই সকাল ও বিকালের আযকার গুলো কখন পড়বো? যেমন সকালের গুলো ফজরের পড়ি। কিন্তু বিকালের গুলো আসরের পরে পড়বো নাকি মাগরিবের পরে ? কোন ভাই জানা থাকলে বলবেন ইনশা অাল্লাহ!
    আর ফরজ নামযের পরের আযকার গুলো কী সালামের পর বসা অবস্থায় পড়া নিয়ম ? নাকি সুন্নত থাকলে সুন্নত এর পরে পড়বো?
    কোন ভাই জানা থাকলে বলবেন । ইনশা আল্লাহ্

    Comment


    • #3
      হিন্দের আবাবিল ভাই, একটি মাদ্রাসায় দেখছি তারা আছরের পরে পরে। মাসা বলতে সূর্যের আলো কমে যাওয়ার সময়কে বলে। সূর্য চলে গেলে তো রাত্রই হয়ে যায়।
      বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

      Comment


      • #4
        সুপ্রিয় হিন্দের আবাবিল ভাই,
        ফরয নামাযের পরের আযকারগুলো ফরয নামাজের সালাম ফেরানোর পরপরই পড়তে হবে। অন্যান্য নামাজ যেমন সুন্নাত নামাজ পড়ে পড়ার নিয়ম নেই।
        আর সন্ধ্যার আযকারগুলো আপনি মাগরিবের নামাজের পড়ে পড়বেন। সাধারণত মাগরিবের নামাজ পড়ার পরও সন্ধ্যা থাকে, একেবারে অন্ধকার বা রাত হয়ে যায় না।

        কিন্তু কোন কারণে যদি আপনার মনে সন্দেহ আসে যে নামাজ শেষ করতে করতে সন্ধ্যা চলে যাবে যেমন আপনার নামাজ শেষ করতে অনেক দেরী হয়, তবে আপনি মাগরিবের আজানের ১০ বা ১৫ মিনিট আগে থেকে সন্ধ্যার আযকারগুলো পড়া শুরু করতে পারেন। তবে একেবারে আসরের নামাজের পরপরই সন্ধ্যার আযকার পড়বেন না।

        উল্লেখ্য, এই নিয়মগুলো একজন মুফতি সাহেবের কাছ থেকে সংগ্রহ করা।

        Comment


        • #5
          দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম)
          https://dua.greentechapps.com/en
          ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

          Comment


          • #6
            শাইখ আব্দুল্লাহ মুহাইসিনী মুহাজিরে শামী হাফি. এ জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন,* সকাল-সন্ধ্যার আযকারের সময় শুরু হয় সুবহে সাদিক অর্থাৎ ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর থেকে এবং আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর থেকে। আর এর শেষ সময়ের ক্ষেত্রে উত্তম হলো, সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের আগেই আযকার পড়ে ফেলা। এটাই হলো আযকারের উত্তম সময়। তবে এ সময় পড়তে না পারলে সূর্যোদয়ের পরে এবং সূর্যাস্তের পরেও পড়া যাবে।
            হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

            Comment


            • #7
              মাশাল্লাহ।জাযাকাল্লাহ খাইর। ভাই যেকোনো একটা সময় নির্ধারণ করে স্পষ্ট করে দিলে ভাল হয়। আল্লাহ্* আমাদের নিয়মিত আমল করার তাওফীক্ব দান করুন আমিন।

              Comment


              • #8
                সকালের আজকার গুলোর উত্তম সময় ফজরের সময় যখন হয় তখন থেকে ফজরের সময় যখন শেষ হয় তখন পর্যন্ত আর সন্ধার আজকার গুলোর উত্তম সময় হলো আসরের সময়ের শুরু থেকে আসরের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত।। তবে সকালের আজকার গুলো সুর্য হেলে যাওয়ার আগপর্যন্ত ও সন্ধার আজকার গুলো রাতের এক তৃতিয়াংশ পর্যন্ত ও পড়া যাবে... তবে উত্তম সময় ফজরের ও আসরের ফুল টাইমের মধ্যে পড়া।
                হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন,আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    মাশা-আল্লাহ! খুব উপকার হলো...
                    বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                    কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                    Comment


                    • #11
                      আর ফরজ নামযের পরের আযকার গুলো কী সালামের পর বসা অবস্থায় পড়া নিয়ম ? নাকি সুন্নত থাকলে সুন্নত এর পরে পড়বো?
                      কোন ভাই জানা থাকলে বলবেন । ইনশা আল্লাহ্
                      ফরয নামাযের পর সুন্নত থাকলে সুন্নতের পরে আযকার পড়াই মুস্তাহাব, ইমাম মুসলিম আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণণা করেন,

                      كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا سلم لم يقعد إلا مقدار ما يقول: «اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت ذا الجلال والإكرام»

                      রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয নামাযের সালাম ফিরানোর পরে আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওমিনকাস সালাম তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এই দোয়া পড়তে যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকু সময়ই বসতেন। -সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৯২

                      হানাফী মাযহাবের প্রখ্যাত আলেম ইবনুল হুমাম রহিমাহুল্লাহু বলেন,

                      إن المسنون عدم الفصل بين الفريضة والسنن إلا قدر ما يقول: اللهم أنت السلام" الخ. كما في حديث عائشة عند مسلم والترمذي. اهـ.

                      সুন্নত তরীকা হলো ফরয ও সুন্নত নামাযের মধ্যে আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম এ দোয়া পড়তে যতটুকু সময় লাগে তার চেয়ে বেশি বিলম্ব না করা। -ফাতহুল কাদীর, ১/৪৪০ দারুল ফিকর
                      বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, ফতোয়ায়ে শামী, ১/৫৩০ দারুল ফিকর।

                      উল্লেখ্য, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরানোরে পর তিনবার ইস্তেগফার পড়তেন, এরপর আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম এই দোয়া পড়তেন। তাই এই দোয়া ও ই এটা সালাম ফিরানোর পরেই পড়া মুস্তাহাব।
                      الجهاد محك الإيمان

                      জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                      Comment

                      Working...
                      X