Announcement

Collapse
No announcement yet.

হে প্রিয়বন্ধু তোমাকেই বলছি! (দুই)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হে প্রিয়বন্ধু তোমাকেই বলছি! (দুই)

    আল্লাহ তা’লা বলেন: ‘বন্ধুরা সেদিন একে অপরের শত্রুতে পরিণত হবে তবে মুত্তাকীগণ ছাড়া’।(যোখরূপ-৬৭) অর্থাৎ আল্লাহর কাছে গৃহীত ভালোবাসা-বন্ধুত্ব ছাড়া সব ধরনের ভালোবাসা-বন্ধুত্ব হাশরের দিন শত্রুতায় পরিণত হবে। আর শুধু আল্লাহর জন্যেই স্থাপন করা ভালোবাসা-বন্ধুত্ব স্বীয় গুণ ও মহিমায় কিয়ামত তক বাকি থাকবে।...হযরত আবু হুরায়রা (রাযি হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমে অবস্থান কারী দু’জন ব্যক্তিও যদি আল্লাহর কাছে গৃহীত ভালোবাসা-বন্ধুত্ব নিজেদের মধ্যে স্থাপন করে। তাদের দু’জনকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’য়া এক সাথে করে দিবেন।→(তাফসীরে ইবনে কাছির)

    জীবনের এই সাধারণ গতিপথে থেকে বন্ধত্বের ব্যাপারে যেটুক জানতে পেরেছি, ‘বন্ধুত্ব হলো মানবআত্মার গুরুত্যপূর্ণ একটি দাবি। জীবনের অতীভ প্রয়োজনীয় একটি বাস্তবতা। বলা যায় যে, বন্ধুত্ব হলো মানবজীবনের অসাধারণ একটি চাকা। শুনেছি ও বুঝেছি “মানুষ সৃষ্টিগত ভাবে একটি সামাজিক জীব। সমাজে লালিত-পালিত একটি প্রাণী। যাকে জন্মের শুরুতে মায়ের কোলে অথবা পরিবারের অন্য কারো কোলে লালিত-পালিত হয়ে এ দিক্ষাই নিতে হয়, ‘তুমি একটি সামাজিক জীব।

    যদি তাই হয়। তা হলে এসো! এখন একটু খুঁজে দেখি তোমাতে সুপ্ত সত্যিকার, আন্তরিক, একনিষ্ঠ ভালোবাসা-বন্ধুত্ব সমাজ ও সামাজিকতার কোন কোণে অবস্থান করছে। সমাজের কোন শ্রেণীটি তোমার অমূল্য ভালোবাসা-বন্ধুত্বের সুদূঢ় বন্ধনে আবদ্ধ থাকার জন্য প্রতিনিয়তই তোমার কাছে, তোমার নৈতিকতার কাছে হাতজোর মিনতি করছে। সেই শ্রেণী বা ব্যক্তিকে তোমার বন্ধুত্বের সত্যিকার বন্ধনে আবদ্ধ করার অর্থই বা কি? বন্ধুত্বের অর্থ কি এই, “তুমি তোমার একনিষ্ঠ বন্ধুত্বের দাবীদার কোনো বন্ধুর জন্য মাসে অথবা সাপ্তাহে একটি দৃষ্টিনন্দন ছবি/সেলফি তার আইডিতে পোস্ট করে পাঠিয়ে দিবে। বন্ধুত্বের অর্থ কি এই, কাউকে তোমার মন চেয়েছে বলেই এখন বন্ধু বলে ডাকতে শুরু করবে? অতচ এর পূর্বে একবারও এ বিষয়টি ভাবনি যে, সত্যই কি সে তোমার বন্ধু হওয়ার যোগ্যতা রাখে কি, না? আর বন্ধুত্বের দাবি কি শুধু এতটুকুই, তোমার আন্তরিক বন্ধু তোমাকে কোনদিন রাস্তায় দেখতে পেল আর তখন তুমি তাকে একটু কৃত্রিম পরশ বুলিয়েই চলে গেলে। অতচ একটি বারের জন্যও তখন তুমি ভাবলে না; সে হয়ত তোমার জন্যই, তোমাকে একটু দেখবে বলেই, তোমার সাক্ষাতের আশাই দীর্ঘ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। তোমার সত্যিকার বন্ধুর বন্ধুত্বের সবশেষ মূল্যায়ন কি এই, সে বন্ধুর আন্তরিক শ্রদ্ধাবোধকে তুমি স্বার্থান্বেষী আর চাটুকারিতার কালিমায় লেপন করতঃ কলোষিত করবে?

    হে দুনিায়ার বন্ধুরা, শোনে রাখ তোমরা! মানুষ সামাজিক জীব এ মূলনীতির সত্যিকার প্রবক্তা যদি তোমরা হয়ে থাক। তা হলে আজ থেকে সামনে উল্লিখিত বিষয়গুলো ভালভাবে বুঝবে বলে অঙ্গীকার করে নিও! সামাজিকতা কাকে বলে? সামাজিকতায় বন্ধুত্বের গুরুত্ব কোন পর্যায়? সামাজিকতায় বিদ্যমান কোন সূত্র তোমাকে ভালোবাসা-বন্ধুত্বের জন্য অনুপ্রাণিত করে? এ সবকটি প্রশ্ন তোমার কাছে তুলে ধরেছি মাত্র। সমাধান হবে আজ শুধুমাত্র একটি প্রশ্নের। বাকিগুলোর উত্তর তোমার শিক্ষানুরাগিতার উপর ছেড়ে দিলাম। ইচ্ছে হলে উত্তরগুলো একটু কষ্ট করে বের করে নিও।

    সামাজিকতায় বন্ধুত্বের গুরুত্ব কোন পর্যায় আজ দু’জন মিলে এ প্রশ্নটির সঠিক উত্তর খুঁজব। চল! এজন্য একটু সময় নিয়ে সমাজবিজ্ঞান থেকে এর কোনো সঠিকউত্তর খুঁজে বের করি! শোন! সমাজবিজ্ঞানের প্রতিটি পৃষ্টায়, প্রতিটি পাতায় একজন পাঠককে যে বিষয়টি শতভাগ সফলতার সাথে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তা হলো, “একটি সমাজ চাই তা বিকশিত হোক বা অবিকশিত, এর মৌলিক উপকরণ হলো একজন মানুষ। একজন মানুষ হতেই একটি সমাজ এর উৎপত্তি। এ বিষয়টি যদি আপনি যুক্তির আলোকে বুঝতে চান, তাহলে হয়তু এতটুকুই আপনার জন্য যথেষ্ট যে, এ যাবৎ কাল দুনিয়াতে যত ধর্ম মত বিদ্যমান, হোক না সেগুলোর কোনোটা অপ্রতিষ্ঠীতই। দেখবেন সকল ধর্মমত একজন ব্যক্তিসত্তার কথাই আগে বলে। আর এ বিষয়ে ইসলামের অবস্থান, সে তো দ্বিপ্রহরের সূর্যের চেয়ে আরো পরিস্কার। কারণ মানবসভ্যতার মূলে গিয়ে যখন আমরা কথা বলি। তখন আমরা অকপটে মানবতার জনক আমাদের আদি পিতা আদম আ: এর ব্যক্তিসত্তার কথাই বলে থাকি। মানবসভ্যতার মজবোত শিখর যে একমাত্র তিনিইÑ তাই বিশ্বাস করে থাকি। তাঁর থেকেই যুগ যুগ ধরে সমাজ ও সামাজিকতার ফোঁয়ারা প্রবাহ হয়ে আসছে বলে ধরে থাকি। কিন্তু এখানে এসেই বস্তুবাদী তাতুচিলে বুদ্ধিজীবিদের অনেকেই চাটুকারিতার আশ্রয় নেন। একক ব্যক্তিসত্তা থেকে প্রতিষ্ঠিত মানবসভ্যতা ও চলমান সামাজিকতার প্রকৃত স্বরূপে প্রার্থক্য করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। যাক, এখানে ওসব কিছু বলা আমার উদ্দেশ্য নয়।

    সুতরাং এটি চিরসত্য বিষয় যে, একটি সমাজ হোক তা বিকশিত কিংবা অবিকশিত। এর মূলে বিদ্যমান শুধু একজন ব্যক্তিসত্তারই উপস্থিতি। যা পরবর্তীতে কাল পরাম্পরায় সুবিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চল ও জনপদে রুপান্তরিত হয়েছে। তাই এখন এ কথা খুব জোরগলায় বলতে পারি যে, মানুষ সামাজিক জীব এটি যেমন চিরন্তন সত্য, তেমনি মানবসভ্যতার উল্লিখি ক্ষমবিকাশও চিরসত্য অনুঃস্বীকার্য্য।

    এখন এসো! একটি সমাজ যেহেতু একজন ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা থেকেই কালক্রমে এযাবৎ এসেছে। সুতরাং মানবসভ্যতার মূলে বিদ্যমান সে আদর্শিক ব্যক্তির মানবীয় মূল্যবোধ যে সকল বিষয়বস্তুর সমন্বয়ে পরিপূর্ণ হয়ে পূর্ণতা লাভ করেছে। সেগুলোর সবকটিই হবে একটি বিকশিত সমাজের মৌলিক উপকরণ। আর সেসব মানবীয় গুণাবলিসমূহই সে সমাজ সদস্যদের মানবিক মূল্যবোধ।

    এখন তুমি নিজেই নিজ বিবেকের কাছে এ বিষয়ের সিদ্ধান্ত চাও যে, সেই আদর্শিক ব্যক্তির মানবিয় দাবিগুলোর মধ্যে সত্যিকার ভালোবাসা-বন্ধুত্বের দাবি বিদ্যমান আছে কি না? সে আদর্শিক মানুষটি তার জীবনকার নিঃস্বঙ্গতার অন্ধকারকে কোনো হৃদয়ের সত্যিকার ভালোবাসা-বন্ধুত্বের আলো দ্বারা আলোকিত করার প্রয়োজন অনুভব করে কি না? সে আদর্শিক মানুষটি জীবনসংগ্রামের ঘুর্ণিপাকে পড়ে গিয়ে, পুনরায় জেগে উঠার স্বপ্ন নিয়ে, অশ্রæসিক্ত নয়নে কোনো হৃদয়ের ভালোবাসা-বন্ধুত্বের জন্য চেয়ে থাকবে কি না? সেই আদর্শিক মানুষটি জীবনসংগ্রামের সুদীর্ঘ পথ পারি দিতে গিয়ে, তোমার আন্তরিক বন্ধুত্বের প্রয়োজন অনুভব করতঃ তোমার জন্য পথ পানে চেয়ে থাকবে কি না? সেই আদর্শিক মানুষটি জীবনের একটু অবিজ্ঞতার জন্য তৃষ্ণার্থ হয়ে তোমার মানবিক মূল্যবোধের কাছে একটু ভালোবাসা-বন্ধুত্ব চাবে কি না?

    শোনো! উপরে উল্লিখিত সবকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজার আগে ধরে নিও, এখানে ভালোবাসা-বন্ধুত্বের প্রয়োজন অনুভব কারী ব্যক্তিটি তুমিই। অন্য কেউ নয়। তা হলে এটি পরিস্কার যে, মানবসভ্যতা বিণির্মানের পেছনে তুমি যে একজন ব্যক্তিসত্তার উপস্থিতি লক্ষ করলে সে ব্যক্তিই যদি জীবন চলার পথে সত্যিকার বন্ধুত্বের জন্য সর্বদায় চটপট করতে থাকে। তা হলে তার পরবর্তীতে তার দ্বারা রূপায়িত মানবসভ্যতা কীভাবে আদর্শিক ভালোবাসা-বন্ধুত্ব ছাড়াও একদম ঠিকঠাক মত চলতে পারে? পারে না।

    একটু চিন্তা কর! সত্যিকার, আন্তরিক, একনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কি না প্রয়োজন; তুমি শুনে আনন্দে লাফিয়ে উঠবে যে, তোমার প্রাণপ্রিয় ধর্ম ইসলাম তোমার ব্যবহারিক জীবনে তোমার ভালোবাসা-বন্ধুত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। এমন কি ভালোবাসা-বন্ধুত্বহীন জীবনকে একঘেয়ে জীবন বলে শতবার ধীক জানিয়েছে। কিন্তু দুনিয়ার অন্য কোনো ধর্ম বা মতাদর্শকে তুমি বন্ধুত্বের বিষয়টিকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে রেখে মানবতাকে ভালোবাসা-বন্ধুত্বের প্রতি উদ্বদ্ধ করতে দেখবে না। হ্যাঁ, নীতি-নৈতিকতাহীন কিছু বুলি হয়তু শিখিয়ে দিতে দেখবে। এই আর কি? এর চেয়ে বেশী কিছুই না।

    তাই কোরআন খুলে দেখবে, মহাগ্রন্থ আল কোরআন তোমার আদর্শিক ভালোবাসা-বন্ধুত্বকে অত্যন্ত ইতিবাচক ভাবেই গ্রহণ করেছে। তোমাকে তোমার বন্ধুর ব্যক্তিসত্তার এক ধরনের অংশ বলে ঘোষণা দিয়ে তোমার বন্ধুর অনুপস্থিতে তার অর্থ-সম্পদে তোমার প্রয়োজন পরিমাণ, ভারসাম্যপূর্ণ হস্তক্ষেপ করার অধিকার কোরআন তোমাকে বহুকাল আগেই দিয়ে রেখেছে। কিন্তু এ নব্যজাহিলী-সমাজ তোমার ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের মৌলিক অধিকারটুকু কেঁড়ে নেওয়ায় হয়তো আজ তুমি তা জানো না। আমার হৃদয়ের এ আহবান যদি তোমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, তা হলে সূরা নূরের ৬১ নাম্বার আয়াতখানি নির্ভরযোগ্য কোনো তাফসির গ্রন্থের সহায়তায় ভালোভাবে পড়ে নিও।

    হে আমার হৃদয়ের বন্ধু! এখন তুমিই বল! আমার হৃদয় যদি তোমাকে এমন বন্ধু বলেই গ্রহণ করে থাকে, তা হলে কীভাবে আমি তোমার খোঁজ-খবর ছাড়াও শান্তিতে থাকতে পারি? তোমার দুঃখ-কষ্ট দেখেও আমি সুখে মত্ত থাকতে পারি? ‘আজ কী খেয়েছ’ ‘কোথায় শুয়েছ’ ‘কীভাবে চলছো’ এসব আমি জানতে ‘না’ পারি। সফলতার রাজপথে যেন তুমি একজন বীর পুরুষের ন্যায় চলতে পার, এ জন্য তোমার হাতটি আমি ধরতে না পারি? মুক্তিরপথ আমি নিজে চিনেও (বল) কীভাবে আমি তোমাকে সেদিকে হেঁকে নিতে দ্বিধাবোধ করি? পাড়ি ‘না’ রে বন্ধু; আমি পাড়ি না। এ জন্যই হয়তো আজ তুর জন্য আমার এত কষ্ট। তুকে নিয়ে আমার যে আশা (আল্লাহর শপথ) এতেই তুর চির সফলতা।

    সর্বোপরি তুই আমার আর তুর বিষয়টিকে সেকালের কোনো মুক্তিকামী, মানবতার কাণ্ডারী ও তাঁর প্রাণপ্রিয় শীষ্যের অনুরূপই ধরে নিতে পারিস। যার হৃদয়ের ব্যথা আর আমার হৃদয়ের ব্যথায় কোনো তফাৎ নেই। হয়ত তিনি সেকালে কারো জন্যে কেঁদে ছিলেন আর আমি আজ তুর জন্য কাঁদছি। তুর ইহকালীন মুক্তির তরে কাঁদছি। তুর পরকালীন মুক্তির জন্যই সেই সোজাপথের দিকে, কাঁন্নারত হৃদয় নিয়ে তুকে আহবান করছি। যে পথের আদর্শে আমি একদিন বা দু’দিনে আদর্শবান হয়নি। জানিস? সে পথের বিষয়বস্তুসমূহ হাতে-কলমে শিখতেই আমার প্রায় একযোগ পেরিয়ে গেছে। তাই তুকে বলে রাখি, শোন! তুর বন্ধু ‘আমি’ আদর্শবান। সত্যিকার আদর্শেই আদর্শবান। মনে রাখবি! সে আদর্শই একদিন তুর হৃদয় পৃথিবীতে বিজয়ী হবে। তুকে মূগ্ধ করবে। তুকে অনুপ্রেরণা দিবে। হ্যাঁ... সত্য গ্রহণের কিঞ্চিৎ আলো যদি তোমায় অবশিষ্ট থাকে তবেই।

    হে আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু! সত্যবাদীর সে সংবাদটি কি তুমি জানো? যিনি বলেছিলেন, এ পৃথিবীর পুরোটাই একসময় মিথ্যায় চেয়ে যাবে। বস্তুবাদের কৃত্রিম অনুভব-অনুভূতির আবরণে নিঃস্বার্থতা ও একনিষ্ঠতার সমাধী রচিত হবে। আর তখন কোনো মুমিনকে ভালোবেসে বন্ধু বলে কাছে টেনে নিলে এ অবস্থাটি তার কাছে বাতুলতা বৈ অন্য কিছু মনে হবে না। আর তখন কেউ যদি কাউর কাছে সত্যিকার ভালোবাসা-বন্ধুত্বের সেই প্রকৃত স্বরূপটি তুলে ধরে, তখন ভালোবাসা-বন্ধুত্বের সেই সত্যিকার অবস্থাটিকে নকল বলে ফেলে দেওয়া হবে।

    যাক, আমি কিন্তু নিজ ইচ্ছায় তোমার বন্ধুত্বের ধারস্থ হইনি। বরং এর পুরোটাই করেছে তোমাতে বিদ্যমান কিছু মৌলিক মানবিয় গুণাবলি। সেগুলোই কেন যেন আজ জীবন সংগ্রামে আমাকে তোমার জন্য একটু ভালোবাসা-বন্ধুত্ব লালন করতে উৎসাহ দিচ্ছে। আর এ জন্যই হয়তো জীবন সংগ্রমারের কোনো মোড়ে সে তোমার জন্য আজও অপেক্ষা করছে। শুধু এ জন্যই হয়তো সে অপেক্ষমান অবস্থায় হৃদয় আমার বার বার প্রতিবারই তোমার কথা স্মরণ করছে। জানো বন্ধু? তোমার কথা স্মরণ হলে এখন আমি অনেক কষ্ট পায়। অনেক কষ্ট পাই। আর এ কষ্ট হয়তো ততকালই আমাকে করতে হবে যতকাল ‘না’ আমি তোমাকে ভুলে যায় কিংবা যতকাল না সত্যসংগ্রাম জিহাদের পথে আমি তোমাকে আমার পাশে বন্ধুর ভেসে দেখতে পাই। বুঝলে? একটু বুঝতে চেষ্টা কর!

  • #2
    মাশা-আল্লাহ!
    খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।
    বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
    কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

    Comment


    • #3
      মাশা আল্লাহ,
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment

      Working...
      X