Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ সংক্রান্ত কিছু মাসয়ালা (পার্ট-২)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ সংক্রান্ত কিছু মাসয়ালা (পার্ট-২)

    জিহাদ সংক্রান্ত কিছু মাসয়ালা
    ১২.আমরা ছোট জিহাদ (কিতাল) থেকে বড় জিহাদ (জিহাদ বিননাফ্স) -এর দিকে ফিরে এসেছি ” এ কথাকে হাদিস রুপে পেশ করা নিতান্তই ভূল ও বাতিল।
    কেহ যদি এটাকে হাদিস হিসেবে উপস্থাপন করে তবে তাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হবে। এই উক্তিটি ইব্রাহিম ইবনে আবী আবালা নামক এক ব্যক্তির উক্তি যার কোন ভিত্তি নেই এবং যার সাথে বাস্তবতার ও কোন মিল নেই ।
    ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, এই হাদিসের কোন সঠিক উৎস নেই এবং মুসলমান আলেমদের মধ্যে কেউ উক্ত জাল হাদিসটি বর্ণনা করেননি।
    কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা সর্বাপেক্ষা উত্তম ইবাদত এবং মানুষের মঙ্গলের জন্যে অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ ।
    খতিব আল বাগদাদী এটিকে জঈফ (দূর্বল) বলেছেন,একজন বর্ণনাকারীর জন্যে আর তার নাম হল খালাফ বিন মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল আল খিয়াম।
    আল হাকিম এই বর্ণনাকারী সম্পর্কে বলেছেন, তার হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়।

    ১৩.জিহাদ ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়া এবং একটি পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি। এর প্রথম ধাপে আছে হিজরত।অতঃপর প্রস্তুতি, এরপর বিরাত এবং সব শেষে যুদ্ধ।
    জিহাদের উদ্দেশ্যে হিজরত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সহিহ হাদিসে মারফু সনদে জুনাদা হতে বর্ণিত আছে, “হিজরত ততদিন পর্যন্ত বন্ধ হবে না যতদিন পর্যন্ত জিহাদ চলতে থাকবে।
    বিরাতের অর্থ হল মুসলমানদের কে রক্ষা করার জন্যে মুসলিম ভূখণ্ডের সীমান্তে পাহারায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

    ১৪.বর্তমান পরিস্থিতিতে জান মাল দিয়ে জিহাদ করা প্রত্যেক মুসলিম উম্মতের উপর ফরজে আইন।
    আর মুসলিম সমাজ ততদিন পর্যন্ত গুনাহের ভাগীদার হতে থাকবে যতদিন না তারা সম্পূর্ণ মুসলিম ভূখণ্ড কাফেরদের আধিপত্য থেকে আবার নিজেদের আয়াত্বে নিয়ে এসে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করতে পারে। শুধু মাত্র মুজাহিদীন ব্যতীত কোন ব্যক্তিকেই এই গুনাহ থেকে দায়মুক্ত করা হবে না।

    ১৫.রাসূল(সাএর যামানায় জিহাদ বিভিন্ন প্রকারের
    ছিল। অর্থাৎ বদর যুদ্ধ মানদুব ও মুস্তাহাব ছিল এবং তাবুক ও খন্দকের যুদ্ধ প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজে আইন ছিল।
    তাবুক যুদ্ধকে রাসূল (সা“নাফীরে আম” ঘোষণা করেছিলেন এবং খন্দকের যুদ্ধ এই জন্যে যে কাফের সম্প্রদায় মদীনার ইসলামের পবিত্র নগরীতে আক্রমণ করেছিল। এবং খায়বারের যুদ্ধ ছিল ফরজে কেফায়া কেননা রাসূল (সাঃ ) যারা হুদায়বিয়ার সন্ধিতে উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে ব্যতীত অন্য কাউকে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদান করেননি।

    ১৬.সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনদের যামানায় জিহাদ সর্বসাধারণের জন্যে ফরজে কেফায়াই ছিল।
    কেননা এটা ছিল নতুন বিজিত এলাকা এবং তখন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা বিজয় হচ্ছিল।

    ১৭.বর্তমানে স্ব-শরীরে জিহাদ করা পরিপূর্ণভাবে ফরজে আইন হয়ে গেছে।

    ১৮.আল্লাহ তায়ালা জিহাদ ত্যাগকারীদের কারো ওজর কবুল করবেন না শুধুমাত্র কুজো, বুড়ো, অন্ধ, অসুস্থ, নাবালেগ বাচ্চা, বৃদ্ধ এবং সেই সকল রমনী ছাড়া যারা জিহাদ ও হিজরত করার পথ ও কৌশল জানেনা,বরং অসুস্থ ও অপারগদের অসুস্থতা তীব্র না হয় এবং মুজাহিদদের শিবিরে নামাজ আদায় করতে সক্ষম হয় তবে তাদের উপরও ওয়াজিব যে, সে মুজাহিদদের সাথে যোগ দিবে এবং তাদেরকে কোরআন ও নামাজ শিক্ষা দিবে এবং জিহাদে উৎসাহ ও প্রেরণা যোগাবে।
    অর্থাৎ সর্বোত্তম হলো, সে কমপক্ষে প্রশিক্ষণ শিবিরে
    উপস্থিত থাকবে। যেমনিভাবে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রাযি. উহুদ ও কাদেসিয়ার যুদ্ধে শরিক ছিলেন এবং তাছাড়া চাই কোন শ্রমিক হোক বা কারিগর হোক অথবা সকল কাজের দ্বায়িত্বশীল হোক বা কোন বড় ব্যবসায়ী হোক, স্ব-শরীরে জিহাদ ত্যাগ করার কারণে করো কোন আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হবে না, যদিও সে নিজের সমস্ত সম্পদ জিহাদের ময়দানে পাঠিয়ে দিক তথাপিও।

    ১৯.জিহাদ হচ্ছে একটি সম্মিলিত ইবাদত। এবং প্রত্যেক গ্রুপের একজন আমীর থাকা চাই এবং আমাদের অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে -আমীরের আনুগত্য করা জিহাদের অন্যতম শর্ত।
    সুতরাং মনকে আমীরের আনুগত্য করার জন্যে প্রস্তুত করতে হবে। যেমনভাবে রাসূল (সাঃ)বলেছেন:
    عليكم السمع والطاعة فى عسرك و يسرك ونشطك ومكرهك واثره عليك.
    ইমাম মুসলিম রহ. হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, তোমাদের উপর আমীরের কথা শুনা ও তাঁর আনুগত্য করা সুখে দুঃখে, আনন্দে -বেদনায় সর্বাবস্থায় ওয়াজিব। চাই এর দ্বারা তোমাদের কোন প্রকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকুক না কেন তথাপিও।

  • #2
    আখি,খুবি গুরুত্বপূর্ণ লিখা,আল্লাহ কবুল করুন আমীন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      আখি,খুবি গুরুত্বপূর্ণ লিখা,আল্লাহ কবুল করুন আমীন।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আপনাকে অতি উত্তম প্রতিদান প্রদান করেন।
        লেখাটি খুব সুন্দর। তবে প্রতিটি মাসআলার সাথে কিতাবের উদ্ধৃতি তুলে দিলে ভালো হবে। এতে লেখাটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে ইনশাআল্লাহ
        হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

        Comment


        • #5
          জাঝাকাল্লাহ অতি উত্তম পোষ্ট

          Comment


          • #6
            আখিঁ এখন আমাদের একমাত্র করনিয় দায়িত্ব হলো হিজরত করা।

            আল্লাহর কসম আমি প্রহর গুনে যাচ্ছি হিজরতের অপেক্ষায়

            আখিঁ আমার রবের খাতিরে দয়া করে আমাকে খোরাসানে হিজরতের রাস্থাটা বাতলে দিন।আল্লাহর কসম এরিয়ে যাবেন না আমার রবের জন্য বলুন তার এই গুলামকে।আল্লাহর কসম আপনাদের দায়িত্ব আমাদের মত হিজরত কামিদের হিজরত করার পথ বাতলে দেওয়া। ��

            Comment


            • #7
              প্রিয় আখি, আপনার এই লেখা কে আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন?
              আমিন

              আর ভাই আপনি আপনার পার্ট চালিয়ে যান ইনশাআল্লাহ

              Comment


              • #8
                ভাইজান হিজরত এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় বিষয় ।
                ফোরামে এটা না বলাই ভাল।

                Comment


                • #9
                  জিহাদ সংক্রান্ত উপরোক্ত লিখার দ্বারা আমি বেশি উপকৃত হয়েছি বলে মনে করি। এ ধরনের লেখা বেশি বেশি করে লিখবেন। যাতে আমরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে পারি।
                  জিহাদ বিষয়ে প্রায় মুসলিমেরই জজবা আছে,আর জজবা থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই আমার ফোরামের অভিজ্ঞ ভাইদের বলছি,ফোরামে এমন কোনো প্রশ্ন বা প্রশ্নের জবাব লিখবেন না,যা আমাদের গতিবিধি ও অন্যান্য গোপনীয় বিষয় বাতিলরা জেনে যায়। কারন, বাতিলরাও এখানে প্রতিনিয়তই বিচরণ করে।
                  আপনি আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করতে চাইলে আপনার প্রিয় মাসূল ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করুন। আর আমার জন্যও দোয়া করবেন,যেন আমিও আপনার ন্যায় আল্লাহর রাস্তায় পরিবারসহ হিজরত করতে পারি। ফি-আমানিল্লাহ।

                  Comment

                  Working...
                  X