Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফতোয়া চাই || Mali 'তে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বাংলাদú

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফতোয়া চাই || Mali 'তে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বাংলাদú


    ফতোয়া চাই || Mali'তে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আর্মির যুদ্ধ প্রসঙ্গে

    আপনারা সবাই জানেন বাংলাদেশ আর্মি টাকার বিনিময়ে কুফরসংঘ'র (UN) সাথে যুক্ত হয়ে মালিতে আল-কায়েদা মুজাহিদীনদের শরিয়াহ প্রতিস্থিত ভুমিতে কুফরদের হয়ে লড়াই করছে।

    মালিতে
    ১) বাংলাদেশ আর্মির সদস্য = ১৩৪১ জন
    ২) নৌ-বাহিনীর সদস্য = ১০৬ জন
    ৩। বিমান-বাহিনীর সদস্য = ১ জন

    মোট = ১৪৪৮ জন

    সুত্রঃ- বাংলাদেশ আর্মড ফোর্স

    তাছাড়াও ইরাক, সোমালিয়া, আফগানিস্তান, সুদানে বাংলাদেশ আর্মি, নৌ ও বিমান বাহিনী কাফেরদের হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

    বিস্তারিত দেখুন এই লিঙ্কেঃ- http://www.afd.gov.bd/index.php/un-p...-in-un-mission

    ঈমান আনার পর প্রথম ফরজ মুসলিম ভূমির রক্ষা ।

    কিন্তু এই সকল মুসলিম নামধারী দেশের সেনারা কুফরসঙ্ঘের হয়ে মুসলিম বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, তাহলে এই সকল সেনার বিরুদ্ধে ফতোয়া কি ???

    আশা করি, বিজ্ঞ-আলেমদের নিকট যেই পারেন প্রশ্ন পৌঁছে দিবেন দিবেন এবং বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে কি করা উচিত সেই ফতোয়া জানাবেন ?

    বাংলাদেশ আর্মি, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যের উপর হামলা কি বৈধ হবে, নাকি শুধুমাত্র কুফরসংঘের হয়ে মিশনে অংশগ্রহণকারী সেনাদের উপর আক্রমণ বৈধ ?

    ***নোটঃ স্পেনের মাদ্রিদে ট্রেন আক্রমণের পর ১৯১ জন নিহত হয়, এই চাপে স্পেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে।
    বাংলাদেশে সেই রকম মুসলিম দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার কাড়ানোর জন্য মিলিটারি/ নৌ-বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে আক্রমণ কি বৈধ হবে ???

    বিস্তারিত জানান ।

    ------------------------------------------------

    আরও লিঙ্কঃ-
    https://en.wikipedia.org/wiki/United...Western_Sahara

    http://bdnews24.com/bangladesh/2015/...t-dead-in-mali

    http://www.afd.gov.bd/index.php/un-p...ing-operations








    Last edited by Abu Anas; 11-20-2015, 11:59 PM.

  • #2
    যুদ্ধরত কাফিরদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারে শাইখুল আরব ওয়াল আজম মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রঃ) এর ফতোয়া
    ================================================== ================
    فتاوي الأئمة في براءة الكفرة

    شیخ العرب والعجم مولانا حسین احمد مدنی رحمہ اللہ کا فتوی

    ” قتل مسلم کی تیسری صورت یہ ہے کہ کوئی مسلمان کافروں کے ساتھ ہو کر ان کی فتح و نصرت کے لئے مسلمانوں سے لڑے یا لڑائی میں ان کی اعانت کرے اور جب مسلمانوں اور کافروں میں جنگ ہو رہی ہو تو کافروں کا ساتھ دے-یہ صورت اس جرم کے کفرو عدوان کی انتہائی صورت ہے اور ایمان کی موت اور اسلام کے نابود ہو جانے کی ایسی اشد حالت ہے جس سے زیادہ کفر اور کافری کا تصور بھی نہیں کیا جا سکتا- دنیا کے وہ سارے گناہ، ساری معصیتیں، ساری ناپاکیاں،ہر قسم کی نافرمانیاں جو ایک مسلمان اس دنیا میں کر سکتا ہے یا ان کا وقوع دھیان میں آ سکتا ہے سب اس کے آگے ہیچ ہیں- جو مسلمان اس کا مرتکب ہو وہ قطعا کافر ہے اور بدترین قسم کا کافر ہے- اس نے صرف قتل مسلم کا ارتکاب نہیں کیا بلکہ اسلام کے برخلاف دشمنان حق کی اطاعت و نصرت کی ہے- اور یہ بالاتفاق اور بالاجماع کفر صریح ہے-جب شریعت ایسی حالت میں غیر مسلموں کے ساتھ کسی طرح کا علاقہ محبت رکھنا بھی جائز نہیں رکھتی تو پھر صریح اعانت فی الحرب کے بعد کیونکر ایمان و اسلام باقی رہ سکتا ہے-“

    [قتل مسلم ،کتاب: معارف مدنی افادات مولانا حسین احمد مدنی ]
    جمع و ترتیب:مفتی عبدالشکور ترمذی

    ——————————-
    বাংলা অনুবাদঃ-

    যুদ্ধরত কাফিরদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারে শাইখুল আরব ওয়াল আজম মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রঃ) এর ফতোয়া

    ——————————

    মুসলমান হত্যার তৃতীয় রূপ হচ্ছে এই যে, কোন মুসলমান কাফেরদের পক্ষ নিয়ে তাদের সাহায্য ও বিজয়ের জন্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, অথবা যুদ্ধে তাদের সহায়তা করে কিংবা যখন মুসলমান ও কাফেরদের যুদ্ধ চলতে থাকে তখন কাফেরদেরকে সমর্থন জানায়।

    এমতাবস্থায় উপরোক্ত অপরাধটি কুফরি ও সীমালঙ্ঘনের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয় এবং ঈমান ধ্বংস ও ইসলাম শূন্যতার এমন জঘন্য ও নিকৃষ্ট অবস্থায় পৌঁছায়, যার চেয়ে মারাত্বক কুফর ও কুফরী কর্মকাণ্ড কল্পনাও করা যায়না।

    বিশ্বে যে কোন মুসলমানের পক্ষে সম্পাদন করা সম্ভব অথবা কোন মুসলমানের কল্পনায় আসতে পারে এমন যাবতীয় পাপ, সকল সীমালঙ্ঘন, সকল অপবিত্রতা এবং সর্বপ্রকার অবাধ্যতা – এই অপরাধের সামনে তুচ্ছ।

    যে মুসলমান এতে লিপ্ত হবে, সে নিশ্চিত কাফের এবং নিকৃষ্টতম কাফের।

    সে শুধু মুসলমান হত্যায় জড়িত হয়েছে এটুকুই নয় বরং ইসলামের বিরুদ্ধে হক্ব এর শত্রুদের আনুগত্য ও সহায়তা করেছে এবং এটি সকলের ঐক্যমতে সর্বসম্মতিক্রমে কুফরে ছরীহ – সুস্পস্ট কুফর।

    এমতাবস্থায় শরীয়ত যেখানে অমুসলিমদের সাথে কোন প্রকার মহব্বতের সম্পর্কেরও বৈধতা দেয়না, সেক্ষেত্রে যুদ্ধে সুস্পষ্ট সহযোগিতার পরেও কি করে ঈমান ও ইসলাম বাকি থাকতে পারে?

    ========================

    অধ্যায়ঃ কতলে মুসলিম; মাআ’রেফে মাদানী; মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রঃ)

    সংকলন ও বিন্যাসঃ- মুফতী আব্দুস সাকুর তিরমিজী।

    Comment


    • #3
      পাকিস্তানের সাবেক মুফতী শাইখ নিজামুদ্দীন শামজাই (রহঃ) এর ফতোয়া
      ======================================

      فتوى الشيخ نظام الدين شامزي مفتي باكستان السابق

      بعد الحملة الأمريكية على أفغانستان فإن الأحكام الشرعية على المسلمين هي :

      —————————–

      أولاً : أصبح الجهاد فرض عين على المسلمين كلهم خاصة وأنه في الأوضاع الحالية فإن الإمارة الإسلامية في أفغانستان هي البلد الإسلامي الوحيد الذي تطبق فيه الشريعة الإسلامية والدفاع عنها واجب كل المسلمين والهدف الأصلي من الهجوم الأمريكي اليهودي هو القضاء على النظام الإسلامي في أفغانستان .

      ثانيا: لا يجوز لمسلم في أي بلد كان سواء كان موظفا حكوميا أو غير ذلك أن يقدم أي مساعدة كانت ومن أي نوع كان للعدوان الأمريكي على أفغانستان خاصة وأن الهجوم يشكل حملة صليبية على أفغانستان المسلمة. وأي مسلم يقدم المساعدة في هذا العدوان يعتبر مرتدا عن الدين

      ثالثا :أي شخص يخالف أوامر الله عز وجل وشريعته فإن من كانوا تحته من موظفين أو جنود أو غير ذلك عليهم مخالفة أوامره ورفض الانصياع إليها .

      رابعا : البلدان الإسلامية التي تؤيد أمريكا في هذه الحرب وتقدم مساعدة معلوماتية أو أرضية أو أجواء ويمنعون المسلمين من تأدية واجباتهم فإن على المسلمين واجب إزالة هذه الحكومات والحكام بأي وسيلة كانت.

      خامسا : دعم المجاهدين في أفغانستان ماليا ومعنويا وماديا فريضة على كل مسلم في الوقت الحاضر، ومن يمكنه الوصول إلى أفغانستان والقتال إلى جانبه فأن الواجب الشرعي عليه أن يبادر إلى ذلك مباشرة ومن لا يستطيع ذلك عليه تقديم الدعم بكل وسيلة ممكنة لهم .

      كراتشي الثامن من أكتوبر 2001م



      পাকিস্তানের সাবেক মুফতী শাইখ নিজামুদ্দীন শামজাই (রহঃ) এর ফতোয়াঃ

      ———————————

      আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার পর মুসলমানদের উপর শরীয়তের বিধান নিম্নরূপঃ

      প্রথমতঃ সকল মুসলমানের উপরই জিহাদ ফরজে আইন হয়ে আছে। বিশেষতঃ বর্তমান প্রেক্ষাপটে। কেননা ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সেই একক ইসলামী রাস্ট্র যেখানে শরীয়তের বিধান বাস্তবায়িত। এর প্রতিরক্ষা প্রতিটি মুসলমানের উপর ওয়াজিব। ইহুদী- আমেরিকী এই আক্রমণের মূল লক্ষ্য আফগানিস্তানের ইসলামী শাসনকে ধ্বংস করে দেয়া।

      দ্বিতীয়তঃ যে কোন দেশের যে কোন মুসলমান, হোক সে সরকারি চাকুরীজিবী অথবা অন্য কেউ – তার জন্য আফগানিস্তানে আমেরিকার আগ্রাসনে যে কোনরূপে, যে কোন ধরনের সহয়তা করা জায়েজ নেই। বিশেষতঃ মুসলিম আফগানিস্তানের উপর আগ্রাসন ক্রুসেড যুদ্ধের রুপ পরিগ্রহ করেছে। যে কোন মুসলমান এই আগ্রাসনে সহায়তায় এগিয়ে আসবে সে ধর্মত্যাগী মুরতাদ বলে গন্য হবে।

      তৃতীয়তঃ যে কেউ আল্লাহ পাকের বিধানাবলী এবং তার শরীয়তের বিরোধীতা করে, তার অধিনস্থ কর্মচারী অথবা সেনাসদস্য বা অন্য সবার উপর সেই ব্যক্তির নির্দেশাবলীর বিরোধীতা করা ও তার আনুগত্য পরিহার করা ওয়াজিব।

      চতুর্থতঃ যে সকল দেশ এই যুদ্ধে আমেরিকাকে সমর্থন দিচ্ছে এবং ভূমি, আকাশ অথবা তথ্য দ্বারা সহায়তা করছে এবং মুসলমানদেরকে তাদের কর্তব্য পালনে বাঁধা দিচ্ছে, এ ধরনের প্রশাসন ও শাসকদেরকে যে কোন উপায়ে অপসারন করা মুসলমানদের উপর ওয়াজিব।

      পঞ্চমতঃ বর্তমান সময়ে আফগান মুজাহিদদেরকে আর্থিক, নৈতিক ও রশদ-সামগ্রী দ্বারা সাহায্য করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ, আর যার পক্ষে আফগানিস্তানে পৌঁছা এবং তাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করা সম্ভব নিশ্চিতভাবে তার জন্য শরয়ী ওয়াজিব হলো সরাসরি তাতে অংশগ্রহণ করা। আর যে এতে অক্ষম তার কর্তব্য হলো সম্ভাব্য সব পদ্ধতিতে তাদেরকে সহায়তা করা।

      —————————-

      করাচী, ৮ অক্টোবর ২০০১

      ******************

      পরিচয়ঃ

      ******************

      মুফতী নিজামউদ্দিন শামজাই (রঃ) সোয়াতে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর ১৯৬০ সালের দিকে দ্বীনি তালিম হাসিলের জন্য করাচির দারুল খায়ের মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘদিন ছাত্র এবং শিক্ষক হিসেবে জামিয়া ফারুকিয়া মাদ্রাসার সাথে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ চৌদ্দ বছর তিনি জামিয়া ফারুকিয়া মাদ্রাসার ইফতা বিভাগের প্রধান ছিলেন।

      ১৯৮৮ সালে মুফতি এবং শিক্ষক হিসেবে তিনি করাচির বিনরি টাউনে জমিয়াতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসায় যোগ দেন এবং শাহাদাত লাভের পূর্ব পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। মাওলানা হাবিবুল্লাহ মুখতার এর মৃত্যুর পর থেকে তিনি জমিয়াতুল উলুম ইসলামিয়ার ইফতা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।

      ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে, জামশর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইমাম বুখারীর শায়েখদের (শিক্ষকের) উপর পিএইচডি করেন। তারপর থেকে তিনি বিনরি টাউন মাদ্রাসায় বুখারী শরীফেরও দারস দিতেন।

      তিনি আরবি, ফারসি, পুশতু ও উর্দু ভাষায় পন্ডিত ছিলেন। প্রতি জুমুয়াবার উর্দু ‘দৈনিক জং’ পত্রিকায় তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতেন। এর আগে তাঁর উস্তাদ মাওলানা মোহাম্মাদ ইউসুফ লুদিয়ানবি (রঃ) করাচিতে শহীদ হবার আগ পর্যন্ত এই প্রশ্ন-উত্তর প্রদান করতেন।

      মুফতি শামজাই (রঃ) ছিলেন ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান এবং তালিবান মুজাহিদীনদের একজন বড় সমর্থক। আফগানিস্তানের ইসলামিক শাসনামলে তিনি কয়েকবার সেখানে সফর করেন এবং মোল্লা মোহাম্মদ ওমর (দাঃ বাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করেন। মোল্লা ওমর (দাঃ বাঃ) তাঁকে অনেক সম্মান করতেন।

      মুফতি শামজাই (রঃ) ঐ সকল আলেমদের অন্যতম যারা ১৯৭৯-৮০ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদের ফাতওয়া প্রদান করেন। ২০০১ সালের শেষের দিকে ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানে ক্রুসেডার আমেরিকার হামলার পরও তিনি মুজাহিদীনদেরকে ক্রমাগতভাবে সমর্থন দিয়ে যান।

      ২০০৪ সালের মে মাসে ইসলামের শত্রুরা আততায়ী প্রেরণ করে তাঁকে শহীদ করে দেয়। তাঁর শাহাদাত লাভের পর করাচিতে শেরশাহ এলাকার জামিয়া উসমানিয়ার প্রধান ক্বারী মোহাম্মদ উসমান তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেনঃ

      “তিনি ছিলেন পাকিস্তানে ইসলামের সর্বোচ্চ আলেম। যদিও পাকিস্থানের মুফতি–এ–আম হচ্ছেন মুফতি রাফিউদ্দিন উসমানী কিন্তু আমরা সহজেই মুফতি নিজামউদ্দিন শামজাইকে সমান মাপের বলতে পারি।”

      Comment

      Working...
      X