Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ ll ২৫ই জুমাদিউস সানী, ১৪৪০হিজরী ৩রা মার্চ, ২০১৯ইং

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ ll ২৫ই জুমাদিউস সানী, ১৪৪০হিজরী ৩রা মার্চ, ২০১৯ইং

    হেলমান্দের “শোরাব” (বোস্তান) শত্রুঘাঁটিতে তালিবান মুজাহিদদের হামলার সর্বশেষ রিপোর্টঃ নিহত ৩৯৭, আহত আরো ৮৮ কুফ্ফার শত্রুসেনা।






    ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র ক্বারী মুহাম্মদ ইউসূফ আহমাদী হাফিজাহুল্লাহ শোরাব ঘাঁটিতে ইমারতে ইসলামিয়ার তালেবান মুজাহিদদের পরিচালিত ৪৬ ঘন্টার বরকতময়ী সফল অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন।

    গত ১লা মার্চ শুক্রবার আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে মার্কিন ও আফগান মুরতাদ বাহিনীর সর্ববৃহৎ “শোরাব” (যাকে বোস্তান ঘাঁটিল বলা হয়) ঘাঁটিতে ইমারতে ইসলামিয়ার ৯ জন জানবাজ ইস্তেশহাদী মুজাহিদ তাদের বীরত্বপূর্ণ অভিযান শুরু করেন।
    প্রথমে জানবায মুজাহিদগণ কুফ্ফার বাহিনীর এই মজবুত ঘাঁটিতে তিনদিক থেকে প্রবেশ করতে সক্ষম হন, এরপর ক্রুসেডার ও মুরতাদ আফগান বাহিনীর সদর দফতরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন এবং আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে টার্গেটকৃত স্থানগুলোতে পৌঁছতে সক্ষম হন।
    মুজাহিদগণ অভিযানের সময় কুফ্ফার বাহিনীর যানবাহন, যুদ্ধ সরঞ্জামাদি, ইনস্টেলেশনের উপর নজর রাখেন। প্রথমে মুজাহিদগণ কুফ্ফার বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নিয়ন্ত্রনে নেন, এরপর তাদের গুদাম, গোলাবারুদ ও বিমানগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেন।

    এরপর শুরু হয় ঈমান ও কুফর বিপরীত মতাদর্শী যোদ্ধাদের মধ্যকার তীব্র লড়াই। প্রকম্পিত হয়ে উঠে “শোরাব” ঘাঁটির আশপাশের এলাকাগুলো। ঘাঁটি হতে আগুনের আগ্নিস্ফুলিঙ্গ বাতাসের সাথে উপরের দিকে উঠতে থাকে, আলোকিত হয়ে উঠে রাতের শোরাব ঘাঁটির আশপাশের এলাকা। প্রতি মুহূর্তেই বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হতে থাকে মার্কিন বাহিনীর অস্ত্রের ভান্ডারগুলো।
    এভাবেই চলতে থাকে ঘাঁটির ভিতরে তীব্র লড়াই, ভিতরে অবস্থানরত মুজাহিদগণ প্রতিমুহূর্তেই ঘাঁটির ভিতরের সংবাদ পাঠাতে থাকেন ইমারার দায়িত্বশীলদের নিকট। রাত যখন ১০ টা যুদ্ধ তখন ৪৬ ঘন্টা পার হয়েছে, হঠাৎ ইমরার দায়িত্বশীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শোরাব ঘাঁটিতে লড়াইরত মুজাহিদদের।
    এরপর ইমারার দায়িত্বশীলদের বুঝতে আর বাকি রইলোনা, ভিতরে অবস্থানরত মুজাহিদগণ এখন কোন অবস্থানে আছেন, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে হয়তো শাহাদাতের মর্যাদা দান করেছেন, (আমাদের ভাইদের ক্ষেত্রে আমরা এমনটাই ধরণা রাখি)।

    তবে যোগাযোগ বিচ্চিন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁরা বীরত্বের সাথে কুফ্ফার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন, জানতে পারিনি দীর্ঘ এই ৪৬ ঘন্টা লড়াইয়ে আমাদের ভাইরা কি আহার করেছেন, সামান্যও কি বিশ্রাম নিতে পেরেছেন, হয়তো কোনটিরই সুযোগ হয়নি উম্মাহর এই অতন্দ্র প্রহরী আমাদের এই প্রিয় জানবায মুজাহিদ ভাইগুলোর। ৪৬ ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের মাঝেও উম্মাহকে আপডেট সংবাদ জানাতে তাঁরা ভুল করেননি, শাহাদাতের আগ পর্যন্ত তাঁরা ইমারার কাছে আপডেট সংবাদ জানিয়ে যাচ্ছিলেন।

    মুজাহিদদের দেওয়া সর্বশেষ রিপোর্টগুলোতে কুফ্ফার বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলোঃ
    ৪৬ ঘন্টার এই বরকতময়ী অভিযানে মুজাহিদদের হামলায় সর্বমোট ৩৯৭ কুফ্ফার শত্রুসেনা নিহত হয়। আহত হয় আরো ৮৮ শত্রুসেনা।

    মুজাহিদদের এই সফল বীরত্বপূর্ণ অভিযানের ফলে জাহান্নামে পৌঁছে ১৩৭ ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসী শত্রুসেনা, যার মধ্যে রয়েছে ১৫ পাইলট এবং ১৮ বিমান প্রকৌশলী।
    আহত হয় আরো ১৯ মার্কিন শত্রুসেনা।

    এছাড়াও আফগান মুরতাদ বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্নেল সিরাজুদ্দীন ও বিশেষ বাহিনীর অধিনায়ক মানসূর সহ ২৬০ আফগান মুরতাদ শত্রুসেনা নিহত হয়, এদের মাঝে রয়েছে ১৪২ আফগান বিশেষ বাহিনীর সৈন্য, এবং ১১৮ সাধারণ আফগান সৈন্য। আহত হয় আরো ৭৩ মুরতাদ শত্রুসেনা।

    এমনিভাবে মার্কিন ও আফগান বাহিনীর অনেক বিমান ও সামরিকযান ধ্বংস করেন মুজাহিদগণ।
    ধ্বংস করা হয় ২টি হেলিকপ্টার, বিধ্বস্ত হয় আরো ২টি হেলিকপ্টার। ধ্বংস হয়ে যায় ৩৩টি হাম্বি, ১৯টি অত্যাধুনীক ট্যাংক, ২৭টি বাস ও রেঞ্জার গাড়ি, ২১টি গাড়ি, ৭টি সামরিক অ্যাম্বুলেন্স, ১১টি জ্বালানী ভর্তি ট্যাংকার, ১টি খাদ্য গুদাম, ১টি গোলাবারুদভর্তি গুদাম, ১টি বিমানের ওয়ার্কশপ, ২টি ট্যাংক ও রেঞ্জার গাড়ির ওয়ার্কশপ।
    এছাড়াও অনেকগুলো সামরিক তাবু যা খাদ্য ও সামরিক সরঞ্জামাদি দ্বারা পূর্ণ ছিল তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
    পরিকল্পনা অনুযায়ী ধ্বংস করা হয় কুফ্ফার বাহিনীর একটি রাডার সিস্টেম, এছাড়াও আরো অনেক যুদ্ধাস্ত্র মুজাহিদগণ ধ্বংস করতে সক্ষম হন।
    অন্যদিকে কুফ্ফার বাহিনীর ঘাঁটিতে মৌজুদ ৪০% সামরিক সরঞ্জামাদিই ধ্বংস করে ফেলেন মুজাহিদগণ। অপারেশনের সময় মুজাহিদগণ কুফ্ফার বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদেরই বিপুল সংখ্যক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করেছেন।

    আল্লাহ তা’আলা তার প্রিয় বান্দাদেরকে জান্নাতের সু-উচ্চ মাক্বাম দান করুন, সর্বোত্তম শহীদ হিসাবে ক্ববুল করুন আমিন।






    সূত্র:http://gazwah.net/?p=19035



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে মুজাহিদদের হামলায় ৪০ শত্রুসেনা হতাহত।






    কাশ্মীর সীমান্তের হান্ডওয়ারা শহরে টানা ২১ ঘন্টার লড়াই সামাপ্ত ঘোষণা করেছে ভারত। পুলওয়ামা হামলার পর থেকে উত্তপ্ত কাশ্মীর উপত্যকা৷ দফায় দফায় চলছে কাশ্মীরী মুজাহিদ ও ভারতীয় সন্ত্রাসী শত্রুবাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই।

    পুলওয়ামায় মুজাহিদদের হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর উপত্যকা। গত ২রা মার্চ শনিবার সোপিয়ান জেলার হান্ডওয়ারায় অবস্থিত ভারতীয় সন্ত্রাসী শত্রুবাহিনীর সেনা ক্যাম্প লক্ষ্য করে হামলা চালান কাশ্মীরী মুজাহিদগণ।

    শুরু হয় মুজাহিদ ও ভারতীয় সন্ত্রাসী শত্রুসেনাদের মাঝে গুলির লড়াই৷ দীর্ঘ ২১/২২ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় এই লড়াই। দীর্ঘ এই সময়ে মুজাহিদদের কৌশলী হামলায় জাহান্নামে পৌঁছে যায় সিআরপিএফের দুই অফিসার সহ মোট ৮ সন্ত্রাসী শত্রুসেনা। আহত হয় আরো ৩২ ভারতীয় সন্ত্রাসী শত্রুসেনা। আহত অনেক সেনার অবস্থাই এখন খুবই আশংকাজনক।
    অন্যদিকে, ভারতীয় সন্ত্রাসী শত্রুবাহিনী দীর্ঘ এই লড়াইয়ে ২ জন জানবায মুজাহিদকে শহীদ করার দাবী করে সুখের ঢেকুর তুলে !






    সূত্র:http://gazwah.net/?p=19041


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আফগানিস্তানের সারপাল প্রদেশে তালেবানদের হামলায় ৭৭ শত্রুসেনা হতাহত।





      ইমারতে ইসলামিয়ার তালেবান মুজাহিদগণ সারপাল প্রদেশের সাঙ্গিচার জেলায় মুরতাদ আফগান শত্রুবাহিনীর উপর একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন।

      সাঙ্গিচার জেলায় মুরতাদ আফগান শত্রুবাহিনী তাদের বিপুল পরিমাণ শক্তি নিয়ে তালেবানদের উপর হামলা চালানো শুরু করে। যারফলে পাল্টা জবাব দিতে বাধ্য হন তালেবান মুজাহিদগণ। তালেবান মুজাহিদদের হামলা এতটাই তীব্রতর ছিলো যে, মুরতাদ শত্রুবাহিনী তাদের বিপুল পরিমাণ যুদ্ধ সরঞ্জামাদি থাকা সত্যেও পিছু হটতে বাধ্য হয়।

      মুরতাদ শত্রুবাহিনী পলায়ন শুরু করলে মুজাহিদগণ তাদেরকে টার্গেট করে তাদের হামলার তীব্রতাকে আরো বাড়িয়ে দেন। যার ফলে ৩৩ মুরতাদ শত্রুসেনা নিহত হয়, আহত হয় আরো ৪৪ মুরতাদ শত্রুসেনা, তালেবানদের হাতে বন্দী হয় ৪ শত্রুসেনা।

      মুজাহিদগণ গণীমত হিসেবে লাভ করেন ৫টি ট্যাংক ও রেঞ্জার গাড়ি, ১টি অ্যাম্বুলেন্স, ৭টি মোটরসাইকেল, ২টি ক্লাশিনকোব, ১৬টি বন্দুক এবং ১টি রকেটলাঞ্চারসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ। আলহামদুলিল্লাহ্* ।






      সূত্র:http://gazwah.net/?p=19046



      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পাকিস্তানের হায়াতাবাদে হাইকোর্ট জজের উপর হামলা চালিয়েছেন তালেবান মুজাহিদগণ।






        তাহরিকে তালেবান পাকিস্তানের সিংহখ্যাত মুজাহিদদের বিশেষ টিম এম.এস.জি হায়াতাবাদে পেশোয়ারের হাইকোর্টের জজ আইয়ুব খানকে সফলতার সঙ্গে টার্গেট করতে সক্ষম হয়েছেন। এতে টার্গেটকৃত জজ মারাত্ত্বকভাবে আহত হয়। পরে মুজাহিদগণ নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসেন।
        উল্লেখ্য, পাকিস্তানে বিদ্যমান সকল শরীয়তবিরোধী ও শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিবন্ধক সকল কার্যালয়কে আমরা জুলুমের শাসন মনে করি। শরীয়ত প্রতিষ্ঠায় এই কোর্টপদ্ধতি সবচে বড় প্রতিবন্ধক,যারা প্রশাসনের ইশারায় মুজাহিদদের ফাঁসি ও বন্দীর আদেশ জারি করে। এজন্য, এরা আমাদের লক্ষ্যের অন্যতম এবং এধরণের হামলা আল্লাহ চাহেতু সবসময় বলবৎ থাকবে।


        মুহাম্মাদ খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ
        মুখপাত্রঃ তাহরিকে তালেবান পাকিস্তান
        ২৩ই জুমাদিউস-সানী ১৪৪০ হিজরী
        ২৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ঈসায়ী





        সূত্র:http://gazwah.net/?p=19051



        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদ ভাই দের কে সাহায্য করুক আমিন

          Comment


          • #6
            লিল্লাহি তাকবীর...
            আল্লাহু আকবার...

            আজকের সংবাদগুলো অন্তরসমূহকে প্রশান্ত করে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!

            আল্লাহ সুব. মুজাহিদীন ভাইদের মেহনতগুলো কবুল করুন ও তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন ও আমাদেরকেও কবুল করুন,আমীন ইয়া রব্বাশ-শুহাদায়ী ওয়াল মুজাহিদীন।
            বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
            কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

            Comment


            • #7
              আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

              Comment

              Working...
              X