Announcement

Collapse
No announcement yet.

গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে...

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে...

    গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন—— ইসলামী ঐক্যজোট

    “২০ দল ভূক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেযামে ইসলামী পার্টির সভাপতি এ্যাড. মাওলানা আব্দুর রকিব গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল করে গ্রহণযোগ্যপূর্ণ নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান” (জাতীয় দৈনিক: ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯)

    বর্তমান সময়টি সত্যিকার অর্থেই আমাদের জন্যে অত্যন্ত কষ্ট ও বেদনার সময়। যে কষ্ট-বেদনার যতখানি না আমাদের বাহ্যিক অধঃপতন আর পরাজয়ের এর চেয়ে আরো তীব্রতর বেদনার বিষয় হলো আমাদের আদর্শিক ভগ্নদশার । বিজাতীয় আগ্রাসনের সামনে আমাদের বলিদশার। সত্যই আমরা আজ চলমান এই পৃথিবীতে এযাবৎ কাল এসে স্রোতে ভাসমান খড়কুটায় পরিণত হয়েছি। আমাদের চোখের সামনে চলে আসা এজাতীয় সংবাদসমূহই তা প্রমাণ করে।

    মুসলিম মিল্লাতের বীরপরুষ উলামাদের আদর্শিক অধঃপতন আর দূরাবস্থার চিত্রসমূহই প্রমাণ করে, মুসলিম জাতি যে আজ কি পরিমাণ আদর্শিক অধঃপতন আর ভগ্নদশার শিকার। ইসলামিক আদর্শের ফেরিওয়ালা, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাম আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইনটেক উত্তরসূরী হওয়ার দাবিদ্বার আলেমদের বিভিন্ন ক্রিয়া-কর্ম, পন্থা-পদ্ধতিই আজ জানান দেয়, এজাতি সোজা পথ ছেড়ে বাকা পথে অনবরত চলতে চলতে ঐশী হেদায়তহীন কোন সে গহীন জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছে। কোরআন হাদিস তো দূরের কথা চুল-দাঁড়ি বেশ-ভুষা টুপি-পাঞ্জাবীর মূল্যমানটুক পর্যন্ত যারা বিকিয়ে দিতে কোন্ঠাবোধ করেননি, তাদের এসব কর্মকান্ডই আজ প্রমাণ করে দেহ-প্রাণ রক্ত-মাংস সত্ত্বেও মুসলিমজাতি যে আদর্শ অনুভব-অনভূতিহীন কোনো মানবমূর্তি।

    তা না হলে যে সকল আল্লাদ্রেহী মুরতাদ শাসকদের কারণেই আজ আল্লাহর দ্বীন এপৃথিবী হতে বিতাড়িত। সেসব আল্লাদ্রেহী মুরতাদ শাসকদের জন্যে কেনই বা তাদের এত মায়াকান্না? যে সকল জালিম শাসকদের কারণেই আজ পৃথিবী ব্যাপী মুসলমানরা লাঞ্ছিত, অপদস্ত, অপমানিত। সেসব শাসকদের জন্যে কেনই বা তাঁদের এত প্রেম-প্রীতি আর ভালোবাসা? গণতন্ত্র নামিয় যে অস্রের আঘাতেই ইসলাম আজ ক্ষতবিক্ষত, সে গণতন্ত্রের জন্যেই বা কেন তাঁদের দূর্বার আন্দোলনের প্রত্যয়-প্রত্যাশা? ইসলাম আজ যে মতবাদের আগ্রাসনের শিকার, সে মতবাদের সাথে কেনই বা তাদের এত সখ্যতা-হৃদ্যতা?

    অতচ ইসলাম এমন এক স্বচ্ছ দ্বীন যাতে ভেজাল বা ডুব্লিগেটের কোনো স্থান নেই। অতচ ইসলাম এমন এক আলোকরশ্মির ফোয়ারা, যাতে আঁধার বা অন্ধাকারের কিঞ্চিৎও কোনো সম্ভাবনা নেই। যে আদর্শের রাত দিন সবই বরাবর। তাছাড়াও একজন মুমিন মানেই তো হল এক মহাসত্যের প্রতিচ্ছবি। একজন মুসলিম মানেই তো হলো একটি জাতিসত্তার মূর্তপ্রতীক। যার সারাংশ এভাবেও তুরে ধরা যায়, একটি পাহাড় স্বস্থান হতে টলতে পারে কিন্তু একজন মুমিন তার আদর্শিক যায়গা হতে চুল পরিমানও টলতে পাড়ে না। সাগর মহাসাগর সাহারা মরুপ্রান্তরে পরিণত হতে পারে কিন্তু একজন মুসলিম কিছুতেই কুফুরের সাথে আপোষ করতে পারে না।

    আর এই আদর্শিক অবস্থান মুহাম্মাদে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উত্তরসূরী হওয়ার দাবিদার একজন আলেমের জন্যে কি পরিমান গুরুত্ববহ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কোরআন হাদিসের আলোকে বিষয়টি খুবই গুরুত্বের দাবি রাখে। একজন অন্ধ ব্যক্তির গর্তে পড়ে যাওয়া যতটুকু না স্বাভাবিক, তার চেয়ে হাজার গুণ অস্বাভাবিক হলো দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ একজন ভালো মানুষের গর্তে পড়ে যাওয়া। সুতরাং কুফুরি ক্রিয়া-কর্মের বহিঃপ্রকাশ একজন স্বাধারণ মানুষ থেকে প্রকাশ পাওয়া যতটুক না দুঃখজনক একজন আলেম থেকে তা প্রকাশ পাওয়া হাজার গুণ বেশি বেদনাদয়ক।

    কিন্তু শত আফসোস আর আক্ষেপের বিষয় এই যে, আলেমরা আজ গণতন্ত্রের মুক্তির জন্যে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলেন। একজন গণতন্ত্রীয় মুরতাদ শাসকের জন্যে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। আবার সেই আন্দোলনকে ইসলামি আন্দোলন বলেও অবহিত করেন। গ্রীক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস প্রথম ধারণা দেন যে পদার্থের অবিভাজ্য একক আছে, যার নাম দেওয়া হয়ে ছিল এটম (এই নামটি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে ব্যবহার করা হয়) তবে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় তার ধারণাটি প্রমাণের কোনো সুযোগ ছিল না বলে সেটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। সেই সময়কার সবচেয়ে বড় দার্শনিক এবং বিজ্ঞানী এরিস্টটলের মাটি, পানি, বাতাস ও আগুন দিয়ে সবকিছু তৈরি হওয়ার মতবাদটিই অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ছিল। কিন্তু এরিস্টটলের সেই মতবাদটি কালের প্রবাহে আজ মাটির গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। বিপরীত, গ্রীক দার্শনিক ডেমোক্রিটাসের মতবাদটিই আজ গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে।

    আমাদের মনে রাখতে হবে, ইসলামের কোনো বিষয়ই সাইন্টিক মতবাদের মত অন্তসারশূন্য নয়। যা কোনো সময় কারো কাছে সত্য প্রমাণিত হয় আবার কিছুদিন পর অন্যান্যদের কাছে মিথ্যা বলে গৃহীত হয়। ইসলাম সর্বকালের জন্যেই অনন্য এক ধর্ম। যে ধর্ম আপন রূপ-সৌন্দর্য়ের বিবেচনায় দুনিয়ার তাবৎ মতবাদ হতে ভিন্ন। যে ধর্মের রঙ দিয়ে রঙ্গীন হওয়ার পর অন্য কোনো মতবাদের রঙ লাগানোর প্রয়োজন হয় না, আর তা আশাও করা যায় না। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন!!
    Last edited by ibn masud; 03-13-2019, 09:41 PM.

  • #2
    প্রিয় আখি!
    মাশাআল্লাহ আপনার লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে।
    কিন্তু অত্যাধিক মাত্রায় বানান ভুল পরিলক্ষিত হচ্ছে। আপনাকে বলবো বাংলা বানানরীতি এবং ভাষা নিয়ে কিছু পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং ভালো মানের সাহিত্যিকদের লেখা পড়ুন। এবারকার মত বানান ঠিক করে এপ্রুভ করে দিলাম। (যদিও আরো কিছু ভুল রয়ে গেছে দেখা যাচ্ছে)
    এরপর থেকে এত ভুল দেখা গেলে পোষ্ট এপ্রুভ করা হবে না। তাই আশা করি এ ব্যাপারে সজাগ হবেন ইনশাআল্লাহ।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আরও ভালো করে লেখার তাওফীক দিন। আমীন।।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন, যেনো বাংলা শুদ্ধ করে লিখতে পারি,আমীন।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা আমদের কে সঠিক বুঝ দান করুক? আমিন

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            ইনশাল্লাহ সবই একসময় ঠিক হয়ে যাবে। সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

            Comment

            Working...
            X