Announcement

Collapse
No announcement yet.

রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস মতে এ উম্মতের গর বয়স হল

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস মতে এ উম্মতের গর বয়স হল

    রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস মতে এ উম্মতের গর বয়স হল ৬০-৭০ বছর।
    তিরমিযী ও ইবনে মাজার একাধিক হাদিসে এ বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। তবে বর্তমান বিশ্বের জরিপে দেখা যায়, তা আরও কমে ৪০-৫০ এ চলে এসেছে। একজন মানুষ রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা মতে যদিও দুনিয়ায় ৬০-৭০বছর বাঁচে, প্রকৃত হিসাব করলে, সে মাএ ২/৩ বছর দুনিয়ায় থাকে। কেননা মানুষের আসল ও প্রকৃত যিন্দিগী অতটুকুই যতটুকু ব্যয় হয় আল্লাহ তাআলার বন্দেগীতে। কারণ, একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই মানুষের খালিক, মালিক ও সৃষ্টিকর্তা। মানুষের জন্ম-মৃতু্্য তার একক দান, জ্বিন-ইনসানের হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ। এ মালিকেরই ঘোষণা, আমি জ্বিন ইনসানকে শুধু আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। এ কারণেই হায়াতের মালিক যিনি তার কাজে যতটুকু হায়াত ব্যবহার হবে সেটাই শুধু প্রকৃত ও আসল হায়াত। উপরোক্ত বিবেচনায় যদি মানুষের গোটা যিন্দিগী নিয়ে একটু জরুরী করি তাহলে অতি সহজেই অনুমান করতে পারব, আমাদের আসল হায়াতের পরিমাণ কত বছর? যেমন মানুষের শৈশব - কৈশোরের ১২/১৩ বছর চলে যায় খেলা - ধুলায়। এ বয়সে তাদের উপর শরীয়তের কোন হুকুম আরোপিত হয় না। তাহলে ৬৫-১২=৫৩ থাকল আর ৫৩ বছর। আন্তর্জাতিক আইনে একজন মানুষের ডিউটি টাইম হল ৮ ঘন্টা। আর ডাক্তারী মতে মানুষের সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুম ও রেস্টে থাকা দরকার। তাহলে প্রতিদিনের ২৪ ঘন্টা থেকে বাদ ১৬ ঘন্টা। এ হিসেবে মানুষ ৫৬ বছর হায়াতের ১৮ বছর কাটায় ঘুমে আর ১৮ বছর কাটায় কাজে মোট( ১৮+১৮)৩৬ বছর। এরপর ৫৩ বছর থেকে বাচল ১৭ মোট (১৮+১৮)৩৬ বছর। এরপর ৫৩ বছর থেকে বাচল ১৭ বছর। এ ১৭ বছরে যারা নামায পড়ি তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে সময় লাগে দুই আড়াই ঘণ্টা। তো এ ১৭ বছর এর সমস্টি দাঁড়ায় প্রায় দেড় বছর। তাহলে আমাদের প্রকৃত হায়াত বা আসল যিন্দিগী এ দেড় বছরই।
    আল্লাহর দেয়া এত লম্বা হায়াতের মাএ দেড় বছরের সামান্য সময়ই আমরা ইবাদতে ব্যয় করি। এরপরও আল্লাহ তার অসংখ্য অগণিত নিয়ামত দিয়ে আমাদেরকে বেস্টন করে রেখেছেন। মানুষ যখন আল্লাহর নাফরমানীতে লিপ্ত তখনও তিনি হরেক রকম নিয়ামতে ডুবিয়ে রাখেন বান্দাকে। ঘুমে থাকলেও মানুষ আপাদমস্তক ডুবে আছে নিয়ামতে। ঘুম একটি বড় নিয়ামত। ঘুমের মাধ্যমে সারা দিনের ক্লান্তি - শান্তি দুর হয়।
    আল্লাহ কুরআন পার্কে দিন ও রাতের ঘুমকে নিজ কুদরতের নিদর্শন বলেছেন। কয়েক বছর আগে জিদ্দায় প্রকাশিত একটি উদূ দৈনিকে এক সউদী ভদ্র মহিলার ঘটনা এসেছে ভদ্র মহিলার ঘুম আসত না। আমেরিকা, লন্ডনসহ দেশ বিদেশের কোনো চিকিৎসা বাকি রাখেন নি। কিন্তূ কোনো চিকিৎসাতেই তার কোনো কাজ হল না।
    অবশেষে তিনি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলেন, যে আমার ঘুমের ব্যবস্থা করতে পারবে তাকে দুই লাখ সউদী রিয়াল উপহার দিব। এত দামী ঘুম আল্লাহ তো আমাদেরকে মুফত দিয়ে যাচ্ছেন। এরপরেও আমরা আল্লাহর হুকুম মানি না। মুমিন জীবনের টার্গেট হল জান্নাত।
    আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, জান্নাত ও মাগফিরাত পেতে তোমরা দৌড়ে আস। জান্নাতের জন্য প্রতিযোগিতা কর। আসলে আমরা তো জান্নাতেরই অধিবাসী। জান্নাত ছাড়া আমাদের জরুরত পূরণ হবে না, আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না। যেমন সাগরের মাছ কোনদিনও কুয়ায় শান্তি পেতে পারে না, তেমন আমরা জান্নাতী মানুষ, ছোট্ট এ দুনিয়ায় আমাদের খাহেশাত মনোবাচ্ছানা পূরণ হতে পারে না। কুরআন বলে জান্নাত এমন জায়গা যার প্রশস্ততা হবে আসমান যমীন বরাবর। হাদীসে আছে, একজন সাধারণ জান্নাতীও এ দশ দুনিয়ার সমান জায়গা পাবে। সুবহানআল্লাহ। তাহলে জান্নাতের জন্য কী পরিমাণ চেষ্টা সাধনা মেহনত পরিশ্রম করা উচিৎ। আল্লাহ যেখানে জান্নাতের জন্য দৌড় দিতে বলছেন, আমরা সেখানে হাটতেও তৈরী না। তাহলে জান্নাতের চিন্তা আমরা কিভাবে করতে পারি? যে জান্নাতেরই জন্য আমাদের হায়াতের ৬৫ বছরই লাগানোর কথা ছিল, সেখানে আমরা মাএ দেড় বছর ব্যয় করছি। এরপরও জান্নাতের আশা কি নিতান্তই দূরাশা নয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শুভবুদ্ধি দিন, তার দেয়া সময় তার পছন্দনীয় কাজে ব্যয় করার তাওফীক্ক দান করুন। আমীন
Working...
X