Announcement

Collapse
No announcement yet.

এসকল স্থানে হামলা করার ব্যাপারে শারিয়াতের হুকুম জানতে চাই আহলে ইলম ভাইদের নিকট

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এসকল স্থানে হামলা করার ব্যাপারে শারিয়াতের হুকুম জানতে চাই আহলে ইলম ভাইদের নিকট

    প্রশ্নঃ দারুল কুফরে (যা মুসলিমদের দখলে নেই। অর্থাৎ, যেখানের অমুসলিমরা মুসলিমদেরকে জিযিয়া প্রদান করে না। এমন স্থানে) অবস্থানরত বি-ধর্মীয় উপাসনালগুলোতে হামলার ব্যাপারে এবং হামলাকারীর ব্যাপারে শরীয়তের বিধান কি?

    আহলে ইলম ভাইদের নিকট আবেদন উপরের প্রশ্নটির "শারয়ী দৃষ্টিকোণ" থেকে উত্তর জানালে খুব ভাল হয়। (কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে নয়)
    Last edited by Hammad Usama; 04-21-2019, 09:33 PM.

  • #2
    সাধারণ নাগরিক যারা বিভিন্ন উপলক্ষে উপসনালয়ে উপাসনা করার জন্য আসে তাদের হত্যা করতে তো নিষেধ নেই, আর হাদিসে যদিও রাহেব তথা সন্ন্যাসীকে হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে, কিন্তু উলামায়ে কেরাম বলেছেন, হাদিসে উল্লিখিত রাহেব দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এমন সন্ন্যাসী যারা নির্জনে ধ্যানমগ্ন থাকে, মানুষের সাথে মেলামেশা করে না। আর যদি রাহেবরা মানুষের সাথে মেলামেশা করে তবে তাদের হত্যা করতে কোন নিষেধ নেই। আবু বকর রাযিআল্লাহু আনহু যখন ইয়াযীদ বিন আবী সুফয়ান রাযিআল্লাহু আনহুকে শামে যুদ্ধের জন্য প্রেরণ করেন তখন তাকে ওসিয়্যত করে বলেছিলেন,
    «إنك ستجد قوما زعموا أنهم حبسوا أنفسهم لله. فذرهم وما زعموا أنهم حبسوا أنفسهم له. وستجد قوما فحصوا عن أوساط رءوسهم من الشعر. فاضرب ما فحصوا عنه بالسيف». أخرجه الإمام مالك في الموطأ: (2/447 ط. دار إحياء التراث العربي)

    তুমি এমন কিছু মানুষ পাবে যারা নিজেদের ধারণা অনুযায়ী নিজেদেরকে আল্লাহর জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছে, সুতরাং তুমি তাদেরকে ছেড়ে দাও, আর তুমি এমন কিছু মানুষ পাবে যারা নিজেদের মাথার মধ্যভাগের চুল হলক করে, তুমি তাদের মাথার সেই ভাগেই তরবারী দ্বারা আঘাত করো। -মুয়াত্তা মালেক, ২/৪৪৭

    ইমাম সারাখসী রহিমাহুল্লাহু শরহুস সিয়ার ও মাবসুতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এখানে আবু বকর রাযিআল্লাহু আনহু যে দুই দলের কথা উল্লেখ করেছেন, এদের প্রথম হলো তারা যারা নির্জনে ধ্যানমগ্ন থাকে, মানুষের সাথে মেলামেশা করে না। আর দ্বিতীয় হল ঐ ধর্মীয় গুরু ও পুরোহিতরা যারা মানুষের সাথে মেলামেশা করে, মানুষকে মুসলমানদের বিপক্ষে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করে, বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করে, ইমাম সারাখসী শরহুস সিয়ারুর কাবীরে (পৃ: ৪২ আশশারিকাতুশ শারকিয়্যাহ) বলেন,

    بعث أبو بكر الصديق - رضي الله عنه - يزيد بن أبي سفيان على جيش، فخرج معه يمشي وهو يوصيه.... ثم قال: إني موصيك بعشر فاحفظهن: إنك ستلقى أقواما زعموا أنهم قد فرغوا أنفسهم لله في الصوامع، فذرهم وما فرغوا له أنفسهم.
    وبه يستدل أبو يوسف ومحمد - رضي الله عنهما - في أن أصحاب الصوامع لا يقتلون. وهو رواية عن أبي حنيفة أيضا.
    وعن أبي يوسف - رحمه الله - قال: سألت أبا حنيفة عن قتل أصحاب الصوامع فرأى قتلهم حسنا. والحاصل أن هذا إذا كانوا ينزلون إلى الناس ويصعد الناس إليهم فيصدرون عن رأيهم في القتال يقتلون، فأما إذا أغلقوا أبواب الصوامع على أنفسهم فإنهم لا يقتلون. وهو المراد في حديث أبي بكر - رضي الله عنه - لتركهم القتال أصلا. وهذا لأن المبيح للقتل شرهم من حيث المحاربة، فإذا أغلقوا الباب على أنفسهم اندفع شرهم مباشرة وتسبيبا. فأما إذا كان لهم رأي في الحرب وهم يصدرون عن رأيهم فهم محاربون تسبيبا فيقتلون.
    قال: وستلقى أقواما قد حلقوا أوساط رءوسهم، فافلقوها بالسيف. والمراد الشمامسة، وهم بمنزلة العلوية فينا. وهم أولاد هارون - عليه السلام -. فقد أشار في هذا الحديث بطريق آخر: وتركوا شعورا كالعصائب. يصدر الناس عن رأيهم في القتال ويحثونهم على ذلك، فمنهم أئمة الكفر، قتلهم أولى من قتل غيرهم.
    وإليه أشار في هذا الحديث بطريق آخر فقال: فاضربوا مقاعد الشياطين منها بالسيوف أي في أوساط رءوسهم المحلوقة. والله لأن أقتل رجلا منهم أحب إلي من أن أقتل سبعين من غيرهم. قال الله تعالى: {فقاتلوا أئمة الكفر إنهم لا أيمان لهم} [التوبة: 12] والمراد بمقاعد الشياطين شعر رءوسهم، وذلك يكون في الرأس، كما قال أبو بكر - رضي الله عنه - في إقامة الحد: اضربوا الرأس فإن الشيطان في الرأس


    মাবসুত গ্রন্থে (১০/১৩৭ দারুল মারেফা) তিনি বলেন,
    وقيل لا خلاف في الحقيقة، فإنهم إن كانوا يخالطون الناس يقتلون عندهم جميعا؛ لأن المقاتلة يصدرون عن رأيهم، وهم الذين يحثونهم على قتال المسلمين، وإن كانوا طينوا على أنفسهم الباب، ولا يخالطون الناس أصلا، فإنهم لا يقتلون؛ لأنهم لا يقاتلون بالفعل، ولا بالحث عليه

    আর বর্তমান পাদ্রী ও সন্ন্যাসীরা যেহেতু মানুষের সাথে মেলামেশা করে তাই তাদের হত্যা মৌলিকভাবে বৈধ। বরং সন্ন্যাসী ব্যতীত অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিদের হত্যা করার বৈধতা তো চারো মাযহাবের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। (কাযায়া ফিকহিয়্যাহ ফি আলাকাতুদ দুওয়ালিয়্যাহ হালার হারবি, পৃ: ২৫০-২৫২) সুতরাং উপসনালয়ে হামলা করা শরিয়তের মৌলিক বিধান অনুযায়ী নিসন্দেহে যায়েজ।

    তবে উপাসনালয়ে হামলা করা বৈধ হলেও ওয়াজিব নয়, আর মুবাহ বা বৈধ বিষয়ে আমিরের আনুগত্য করা ওয়াজিব। আল্লামা শামী বলেন, طاعة الإمام فيما ليس بمعصية واجب গুনাহ নয় এমন বিষয়ে আমিরের আনুগত্য করা ওয়াজিব। -ফতোয়ায়ে শামী, ২/১৭২ দারুল ফিকর। শায়েখ আইমান জাওয়াহেরী নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার পর যে বয়ান *দিয়েছেন তাতে উপাসনালয়ে হামলা করতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং উপাসনালয়ে হামলা না করার বিধানটি এখন শুধু কৌশলগত বিধান হিসেবে বাকী রয়নি, বরং আমিরের আদেশের কারণে এখন হামলা না করা ওয়াজিবে পরিণত হয়েছে।
    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
      আপনার ইল্ম এবং আমলে বারাকাহ দান করুন।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ "আদনানমারুফ" ভাইকে দলীলসহ উত্তর দেয়ার জন্য।

        Comment


        • #5
          ভাই আল্লাহ আপনাকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন ।
          মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

          Comment


          • #6
            জাজাকাল্লাহ খাইরান আদনান মারুফ ভাই দলিলের আলোকে বিষয়টিকে স্পষ্ট করার কারনে
            আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলম ও আমলে বারাকাহ বাড়িয়ে দিক আমীন আমীন
            জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
            পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

            Comment

            Working...
            X