Announcement

Collapse
No announcement yet.

দ্বীনের জন্য যে যত প্রয়োজনীয় তার পরীক্ষা তত কঠিন হবে।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দ্বীনের জন্য যে যত প্রয়োজনীয় তার পরীক্ষা তত কঠিন হবে।

    দাওয়াত ও তাবলীগ দ্বীনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সাধারণের প্রচুর ফায়দা হতো। আল্লাহ ওখানে চিরুনি চালিয়েছেন, বেছে ফেলেছেন। ঐ পদ্ধতি এখন সংশোধনের মধ্যে আছে। অনেক টানাপোড়েন, ঝড়-তুফান এখনও চলছে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে আল্লাহ এখান থেকে সঠিকদের বাছাই করে নিবেন।

    দ্বীনের আরেক বড় স্তম্ভ উলামায়ে কিরাম। বরং বলা যায় ইলমে দ্বীনই দ্বীনের মূল। এখন চলছে উলামায়ে কিরামের বাছাই। মূল যেহেতু এখানকার ঝড়-ঝাপটা দাওয়াতের চাইতে বেশিই হবে। এখনও ওটা চলমান। আল্লাহ মালুম, এ তুফান কোথায় গিয়ে থামে? সব উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে। উলামায়ে কিরামের ফিতনার তুলনায় দাওয়াতের ফিতনা কিছুই না।

    .........

    রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, কর্তারা নাগরিক সেবা নির্বিঘ্নের জন্য প্রয়োজন প্রতিরক্ষা বাহিনী। এরা অন্তরালেই থাকে কিন্তু রাষ্ট্রের চালক নির্ভর করে এদেরই উপর। এরা ঠিক থাকলে রাষ্ট্রপ্রধানও ঠিক। বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দটা থাকে এদেরই জন্য কারণ রাষ্ট্র এদের গুরুত্ব বোঝে। সুপার পাওয়ার সব সবচে বেশি ব্যয় করে প্রতিরক্ষা খাতে।

    তদ্রুপ দাঈ'র দাওয়াত আর আলিমের নির্বিঘ্ন ইলমের জন্যও প্রয়োজন দ্বীনের অতন্দ্র প্রহরী। এরা প্রকাশ্য না হলেও আলিমের ইলম সাধনা, দাঈর নিশ্ছিদ্র দাওয়াতের পেছনে এরাই। আল্লাহও মুজাহিদীনদের জন্য সর্বোচ্চ নি'আমত বরাদ্দ দেন।

    এটা আমাদের সহজে বুঝে আসার কথা না। মুসলিম বিশ্বে ধনী রাষ্ট্র অনেক আছে, আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্রও আছে আবার শিক্ষার হার ওয়ালাও আছে। দ্বীনের শত্রুরা কিন্তু এদের থোড়াই কেয়ার করে। বরং এদের সাথে যাচ্ছেতাই আচরণই করে। ভীতি নামক জিনিসটা শত্রুরা এদের ব্যাপারে একদমই করে না।

    অপরদিকে মুজাহিদরা খুব ধনী, খুব শিক্ষিত, খুব আধুনিক না হলেও পৃথিবীতে অমুসলিমরা এদেরই সবচে ভয় করে। কোন অঞ্চলে মানুষ জিহাদপ্রিয় হয়ে উঠবে, এ আশংকায়ও তারা মুসলমানদের সরাসরি ঘাটাতে, আঘাত করতে সাহস করে না।

    আমেরিকা যতটা না রাশিয়া, চীনকে ভয় করে তারচে শতগুণ বেশি ভয় করে তালেবান, আল কায়েদাকে। অপরদিকে রাশিয়া আমেরিকাকে নিয়ে যতটা না ভীত, তারচে বেশি ভীত সিরিয়া আর চেচনিয়ার মুজাহিদীনকে নিয়ে। এককথায় সকল অমুসলিমের ভীতি তালিবান, আল কায়িদা, আল শাবাবকে নিয়ে। ধনী, শিক্ষিত, আধুনিক মুসলমানদের নিয়ে তারা অতটা চিন্তিত না। অন্তত এই মুজাহিদীনদের ভয়ে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সাথে অনেক অন্যায় হতে তারা ভয়ে বিরত থাকে।

    বোঝা গেল, দাঈর দাওয়াত আর আলিমের নিরাপদ ইলমে মুজাহিদীনদের পরোক্ষ হাত আছে। যদিওবা তারা এটা স্বীকার না করুক কিংবা বুঝতে না পারুক। মুজাহিদীনদের জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ একেবারে বন্ধ হলে টের পাওয়া যাবে ইলম অন্বেষণ আর দাওয়াত কত কঠিন। কারণ তখন দ্বীনের শত্রুদের ভীতিই উঠে যাবে। তারা যেকোন অন্যায় করতে দ্বিধা করবে না।

    .........

    আল্লাহ বিশেষ সময়ের জন্য উম্মাহকে প্রস্তুত করছেন। এজন্য তাদের বাছাই করছেন। অধিকাংশ ঝরে অল্প হয়তো টিকে থাকবে বিশেষ কাজের জন্য।

    তাই ভয় হয়, দাওয়াত ও ইলমের পর ফিতনার ঝাপটাটা মুজাহিদীনদের মাঝে আসবে। আল্লাহ তাঁদের মধ্য হতেও বাছাই করবেন।

    অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তালিবানের মাঝেও অনৈক্যের খবর আসবে। হয়তো আল কায়িদাতেও নেতৃত্বের লড়াই আরম্ভ হবে।

    এগুলা আশংকা। হলেও যাতে আমাদের ঈমান যেন না নড়ে। কোন দল, নির্দিষ্ট মানহাজের মাঝে আমাদের ঈমান না। তাই তাদের বিরোধেও এটা টলবে না। সাময়িক খারাপ হয়তো লাগবে দাওয়াত ও ইলমের মত। কিন্তু আল্লাহ দাওয়াত, ইলম, জিহাদ কোনটাকেই নিশ্চিহ্ন করবেন না ক্বিয়ামাতের আগ পর্যন্ত।

    এটা শুদ্ধি অভিযান চলছে মাত্র।
    আল্লাহ আনে-ওয়ালা বড় কাজের জন্য উপযুক্তদের বাছাই করছেন। কাউকে নিশ্চিহ্ন করছেন না, ইনশা-আল্লহ!

    তাই কোনদিন মুজাহিদীনদের মাঝে অনৈক্যের খবর শুনলেও হতাশ হওয়ার কিছু নাই। হাসবুনাল্ল-হ!

  • #2
    আল্লাহ আমাদের সকলকে হিফাযত করুন। আমীন

    Comment


    • #3
      প্রিয় আখি,এসব পদ্ধতিকে আমরা খিলাফত নাই এইজন্য সাপোর্ট করছি। খিলাফত / ইসলামী ইমারত প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে প্রচলিত তাবলিগ বন্ধ হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ। দ্বীনের সঠিক ইলম শিক্ষা করা ফরজ। ভুল ইলম নয়। প্রচলিত তাবলিগে কালিমায়ে তয়্যিবারও ভুল অর্থ করা হয়। আরো গভীরভাবে লক্ষ করলে আয়াত ও হাদিসের অনেক তাহরিফ চোখে পড়বে।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        শুকরিয়া আখি..!!
        গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় একটি পর্যালোচনা..
        আল্লাহ তা'য়লা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন...আমীন..।।
        যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আমাদের সকলকে হিফাযত করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            এটা সাভাবিক ব্যাপার।ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ মুমিনদের সাহায্য করবেন।
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #7
              আল্লাহ আমাদের সকলকে হিফাজত করো আমিন
              CMS

              Comment

              Working...
              X