Announcement

Collapse
No announcement yet.

সিয়াহাতুল উম্মাহ গ্রন্থের অনুবাদ! দ্বিতীয় কিস্তি(কিছু আহাদিস যেগুলো জিহাদের আদেশ নি

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সিয়াহাতুল উম্মাহ গ্রন্থের অনুবাদ! দ্বিতীয় কিস্তি(কিছু আহাদিস যেগুলো জিহাদের আদেশ নি

    কিছু আহাদিস যেগুলো জিহাদের আদেশ নিয়ে আলোচনা করেঃ
    ১. ইমাম বুখারি ও মুসলিম রহ. বর্ণনা করেন,
    عن أبا هريرة قال لما توفي النبي صلى الله عليه وسلم واستخلف أبو بكر وكفر من كفر من العرب قال عمر يا أبا بكر كيف تقاتل الناس وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أمرت أن أقاتل الناس حتى يقولوا لا إله إلا الله فمن قال لا إله إلا الله فقد عصم مني ماله ونفسه إلا بحقه وحسابه على الله
    আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, যখন নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যু হল এবং আবূ বকর (রাঃ) খলীফা হলেন আর আরবের যারা কাফির হল, তখন ‘উমর (রাঃ) বললেন, হে আবূ বকর! আপনি কিভাবে লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করবেন? অথচ নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে ততক্ষণ পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যতক্ষণ না তারা ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ্* ব্যতীত কোন ইলাহ্* নেই) বলবে। আর যে কেউ ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্*’ বলে, যথার্থ কারণ না থাকলে সে তার জান-মাল আমার হাত থেকে রক্ষা করে নেয়। আর তার হিসাব আল্লাহ্*র দায়িত্বে।
    ২. ইবনে আবি শায়বা ও আব্দুর রাজ্জাক রহ. বর্ণনা করেন,
    عن حذيفة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: " الإسلام ثمانية أسهم الإسلام سهم، والصلاة سهم، والزكاة سهم، وحج البيت سهم، والصيام سهم، والأمر بالمعروف سهم، والنهي عن المنكر سهم، والجهاد في سبيل الله سهم، وقد خاب من لا سهم له "
    হযরত হুযাইফা আল ইয়ামেনি রা. বলেন রাসুল সা. বলেছেন, ইসলোমের আটটি অংশ। সালাত একটি অংশ, যাকাত একটি অংশ,হজ্ব একটি অংশ,সিয়াম একটি অংশ, ভালো কাজে আদেশ একটি অংশ, মন্দ কাজে বাধা প্রদান করা একটি অংশ, আল্লাহর রাহে জিহাদ করা একটি অংশ, আর সেই তো হতভাগা যার কোন অংশ নেই।
    ৩. ইমাম বুখারি ও মুসলিম রহ. বর্ণনা করেন,
    عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏لا هجرة بعد الفتح ولكن جهاد ونية، وإذا استنفرتم فانفروا ‏"‏‏.‏
    ইব্*নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘(মক্কা) বিজয়ের পর আর হিজরত নেই। বরং রয়েছে কেবল জিহাদ ও নিয়ত। যখন তোমাদের জিহাদের ডাক দেয়া হয়, তখন বেরিয়ে পড়।’
    এ হাদিসটি একথা বুঝায় যে যখন ইমাম কোন ব্যাক্তিকে জিহাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেবেন তার জন্য তখন জিহাদে বের হওয়া ফরজ হবে। কেননা হাদিসে (وإذا استنفرتم فانفروا) এ ভষ্য একথাই বুঝায়।
    সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণের (রাযিআল্লাহু আনহুম) জিহাদ বিষয়ে উক্তি সমূহঃ
    হাকেম ও ইবনে জারির আবি রাশেদ আল হিবরানি থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, আমি মিকদাদ বিন আসওয়াদ রা. কে হামস নামক স্থানে পেলাম যিনি রাসুল সা. এর অশ্বারোহী ছিলেন। তিনি পোদ্দারদের বাক্সের উপর বসে আছেন,( جالسا علي توابيت الصيارفة بحمص)। আর তিনি দেহকায়ে মোটা হওয়ার দরুন একটু বেশি.....,আর সে তখনও যুদ্ধের ইচ্ছা রাখতো। তখন আমি তাকে বললাম, আল্লাহ তো আপনাকে অযরগ্রস্থ করে দিয়েছেন।তখন মিকদাদ রা. বললেন, সুরা আল বুউস আমাকে রুখসতকে মেনে নিতে বারণ করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
    ) انفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا وَجٰهِدُوا بِأَمْوٰلِكُمْ وَأَنفُسِكُمْ فِى سَبِيلِ اللَّهِ ۚ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ (
    অর্থাৎ,“ তোমরা হালকা ও ভারী উভয় অবস্থায় যুদ্ধে বের হও এবং তোমাদের মাল ও জান নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।”
    ইবনে মুবারক কিতাবু জিহাদে আতিয়্যহ ইবনে আবি আতিয়্যহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি কুফার যুদ্ধকালীন কোন সময়ে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাকতুমকে জিহাদের ময়দানে যুদ্ধের কাতারে একটি লোহার প্রসস্থ বর্ম টেনে নিতে দেখেছেন।
    অথচ আব্দুল্লাহ ইবনে মাকতুম ছিলেন অন্ধ। আল্লাহ তাকে অযরগ্রস্থ বানিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। এবং কাদাসিয়ার প্রান্তেরে মুসলিম বাহিনিতে শরিক হয়েছিলেন। ইসলামের পতাকা বহন করেছিলেন। এবং সে রণাঙ্গনেই শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেছিলেন। কেউ কেউ বলেন মদিনায় ফিরে এসে মৃত্যু বরন করেন।
    ইবনে আবি শায়বা আত তাবারি বর্ণনা করেন, মানসুর বিন যাজান (انفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا) এই আয়াত প্রসংগে বলেছেন, তোমরা ব্যাস্ত অবস্থায় এবং ফারাহাতের অবস্থায়, উভয় অবস্থাতেই জিহাদে বাহির হও।
    ইবনে যারির তাবারি তার তাফসির গ্রন্থে বলেন, কতক মুজাহিদ পদব্রজে বিলাদুস সাম বিজয়ের ইচ্ছা করলেন। অথচ বার্ধ্যক্যের কারনে তাদের চোখের ভ্রু চোখকে ঢেকে ফেলেছে। তখন তাদের একজন তাদেরকে বললেন, চাচা আল্লাহ তো আপনাদেরকে ওজরগ্রস্থ করেছেন! তখন তারা বললেন, শোন ভাতিজা,আল্লাহ আমাদেরকে হালকা ও ভারী উভয় অবস্থায় যুদ্ধে বের হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

  • #2
    আল্লাহ আমাদের মুজাহিদ হিসাবে কবুল করুন আমীন।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ ভাই খুব ভাল হয়েছে
      আল্লাহ তায়ালা আপনার কলম কে আর খুর দার করে দিক আমিন
      এবং আপষহিন বানাক আমিন
      জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
      পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

      Comment


      • #4
        জিহাদ কি ফরজে কেফায়া নাকি ফরজে আইন (সিয়াহাতুল উম্মাহ গ্রন্থের অনুবাদ! তৃতীয় কিস্তি)

        জিহাদ কি ফরজে কেফায়া নাকি ফরজে আইনঃ
        কাফেরদের বিরুদ্ধে তাদের আবাস্থলে গিয়ে জিহাদ করা ফরজে কেফায়। এব্যাপারে সকল উলামায়ে কেরাম এক মত।
        ইবনে মুসায়্যাব এবং ইবনে শাবরমাহ থেকে রর্ণিত এ অবস্থায়ও জিহাদ করা ফরজ।
        তবে প্রসিদ্ধ মত হল, মহান আল্লাহ যাদেরকে অযরগ্রস্থ করেছেন তারা পিছিয়ে থাকার কারনে গুনাহগার হবেন না।
        কমপক্ষে প্রতিবছরে একবার জিহাদ করা সুন্নাত। আর সর্বসম্মতি ক্রমে এরচে বেশি জিহাদ পরিচালনাা করা অতিউত্তম। কোন বছর জিহাদ মুক্ত থাকা এটা জায়েজ নয়। তবে যদি কোন শরয়ি ওজর থেকে থাকে তাহরে ভিন্ন কথা। যেমন মুসলিমগণ দুর্বল হয়ে পড়া। শত্রু সংখ্য বেশি হওয়া। মুসলমানদের নির্মুল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এবিধান তখনই যখন মুসলিমগণ সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেবে।
        সুতরাং যদি কোন জরুরত কিংবা কোন অজর না থাকে তাহলে কোন অবস্থাতেই একটি বছরও সম্মুখ যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে থাকা বৈধ হবে না। আর এটা ইমাম শাফেয়ী এবং তার অনুসারীদের মত।
        আর উলামাগণ প্রতি বছরে অন্তত একবার জিহাদ পরিচালনার যে কথা বলেছে তা সাধারণ অবস্থার ভিক্তিতে। কেননা প্রতি বছরে অন্তত একবার জিহাদের রসদ পত্র যোগার কারা এবং বাহিনি প্রস্তুত করা, অতি সহজেই করা যায়।
        ইবনে কুদামা আল মাগান্নি গ্রন্থে বলেন, প্রতি বছরে অন্তত একবা জিহাদ পরিচালনা করা। আর এটি ফরজ। তবে কোন অজর থাকলে সেটা ভিন্ন কথা। আর যদি কোন বছরে একবারের বেশি জিহাদ পরিচালনার প্রয়োজন দেখা যায় তাহলে সেটাও ফরজ হবে। ফরজে কেফায়া। সুতরাং যত সংখক লোক প্রয়োজন হবে তাদের সবার উপর জিহাদ ফরজ হবে।
        শিশু,পাগল,মহিলা, এবং যুদ্ধ থেকে বিরত রাখে এমন অসুস্থ ব্যক্তির উপর জিহাদ ফরজ হবে না।
        এক চক্ষু অন্ধ,মাড়ির রোগে আক্রান্ত,মাথা ব্যাথায় আক্রান্ত,সাধারণ জ্বরাক্রান্ত এবং খোড়া ব্যাক্তির উপর জিহাদ ফরজ হবে।
        সন্তানের জন্য পিতামাতার অনুমতি ব্যাতিত সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ বৈধ নয়। আনুমতির ক্ষেত্রে পিতামাতার অবর্তমানে দাদা-দাদি তাদের স্থলাবর্তী হবেন। তবে যদি জিহাদ শুরু হয়ে যাওয়ার পর পিতা-মাতা জিহাদে অংশ গ্রহনে নিষেধ করেন তাহলে সন্তানে জন্য জিহাদের ময়দান পরিত্যাগ করা বৈধ হবে না।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে মুজাহিদ হিসাবে কবুল করুন। আমীন
          আপনার মেহনতকে কবুল করুন ও জাযা দান করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X