Announcement

Collapse
No announcement yet.

ওযর ও বাহানার মধ্যে পার্থক্য

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ওযর ও বাহানার মধ্যে পার্থক্য

    সুরা তাওবার ৪২ নং আয়াত— " যদি আশু লাভের সম্ভাবনা থাকতো এবং যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত হতো,
    তবে তারা অবশ্যই আপনার সহযাত্রী হতো, কিন্তু তাদের নিকট যাত্রাপথ সুদীর্ঘ মনে হল। আর তারা
    এমনই শপথ করে বলবে, আমাদের সাধ্য থাকলে অবশ্যই তোমাদের সাথে বের হতাম,এরা নিজেরাই
    নিজেদের বিনষ্ট করছে, আর আল্লাহ জানেন যে, এরা মিথ্যাবাদী।"

    সুরা তাওবার এ আয়াতে অলসতার দরুন জিহাদ থেকে বিরত রয়েছে এমন লোকদের একটি ওযরকে
    প্রত্যাখ্যান করে বলা হয় যে, এ ওযর গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ আল্লাহ্ যে শক্তি-সামর্থ্য তাদের দান করেছেন,
    তা আল্লাহর রাহে সাধ্যমত ব্যয় করেনি।

    গ্রহনযোগ্য ওযর ও বাহানার পার্থক্য : এ আয়াত থেকে একটি মূলনীতির সন্ধান পাওয়া যায়, যার দ্বারা
    প্রকৃত ওযর ও বাহানার মাঝে পার্থক্য করা যাবে। তাহল, সেই লোকদের ওযর প্রকৃত গ্রহনযোগ্য, য়ারা
    আদেশ পালনে প্রস্তুত, কিন্তু কোন আকষ্মিক দুর্ঘটনার ফলে পরে অসমর্থ হয়ে পড়ে। মা'যুরগণের সকল
    বিষয় এ নিরিখে যাচাই করা যাবে। কিন্তু আদেশ পালনে যার কোন ইচ্ছা ও প্রস্তুতি নেই, পরে তার যদি
    কোন ওযরও উপস্থিত হয়, তবে গুনাহের এ ওযর হবে গুনাহের চাইতে আরো নিকৃষ্ট। সুতারাং এ ওযর
    গ্রহনযোগ্য নয়। কেউ জুমুআ'র নামাজে শরীক হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু যেই মাত্র চলার ইচ্ছা করল,
    হঠাৎ এক ঘটনায় তার গতি স্তব্ধ হয়ে গেল। এ ধরণের ওযর গ্রহনযোগ্য এবং এতে আল্লাহ্ মা'যুর লোকের
    পূর্ণ সওয়াব দান করেন। কিন্তু যে জুমুআ'র কোন প্রস্তুতিই নেয়নি, তার কোনো ওযর উপস্থিত হলে তা হবে
    বাহানার নামান্তর।

    উদাহারণতঃ দেখা যায়, ভোরে ফজরের জামাআতে শরীক হওয়ার প্রস্তুতিস্বরূপ ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে রাখে,
    কিংবা সময়মত জাগাবার জন্য কাউকে নিয়োজিত রাখে, কিন্তু পরে দেখা যায়, ঘটনাচক্রে সকল চেষ্টাই ব্যর্থ।
    ফলে নামাজ কাজা হয়ে যায়। যেমন, রাসূলে কারীম (স.) র লাইলাতুত্ তা'রীসের ঘটনা। সময়মত জেগে
    উঠার জন্য তিনি হযরত বেলাল (র.) কে নিয়োজিত রাখেন যেন প্রত্যুষে সবাইকে জাগিয়ে দেন। কিন্তু
    ঘটনাচক্রে তাঁকেও তন্দ্রায় পেয়ে বসে। ফলে সূর্যোদয়ের পর সকলের চোখ খোলে। এ ওযর প্রকৃত ও
    গ্রহনযোগ্য। যে কারণে রাসূল(স.) সাহাবায়ে কেরামকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, لا تفريط فى النوم إنما التفريط فى اليقظة .
    অর্থাৎ, "ঘুমের মধ্যে মানুষ মা'যুর। তাই এটি হলো যা মানুষ জাগ্রত অবস্থায় করে।" সান্ত্বনার কারণ হল, সময়মত
    জেগে উঠার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

    সারকথা এই যে, আদেশ পালনের প্রস্তুতি ও অপ্রস্তুতির মাধ্যমে কোন্ ওযর গ্রহনযোগ্য তা জানা যাবে। নিছক
    মৌখিক জমা-খরচ দিয়ে কিছু লাভ হবে না। (মাআরেফুল কোরআন)

  • #2
    মাশাল্লাহ, আল্লাহ কবুল করুন আমীন।
    সম্মান নেইকো নাচে গানে,
    আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

    Comment


    • #3
      মাসাআল্লাহ, অনেক মুফিদ আলোচনা।
      আল্লাহ তা‘আলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X