Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৩ মুহাররম ১৪৪১ হিজরী # ২৩সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৩ মুহাররম ১৪৪১ হিজরী # ২৩সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেম থেকে ৫৮ জন ফিলিস্তিনীকে তুলে নিয়ে গেছে ইহুদী সন্ত্রাসীরা!





    ফিলিস্তিনের জবরদখলকৃত জেরুজালেমের সিলওয়ান এবং ইসাউইয়া শহরে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৫৫ জন ফিলিস্তিনীকে তুলে নিয়ে গেছে দখলদার ইসরাঈলী ইহুদী সন্ত্রাসীরা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, দখলদার ইসরাঈলী ইহুদী সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী, পুলিশ সদস্যের একটি শক্তিশালী বাহিনী জেরুজালেম এর ৪টি এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় প্রতিটি এলাকায় তল্লাশী চালিয়ে ধ্বংস করা হয় মুসলিমদের অনেক আসবাবপত্র। এছাড়াও প্রশিক্ষিত কুকুর ও গ্রেফতারীর ভয় দেখিয়ে অনেককেই নির্যাতন করে ইহুদী সন্ত্রাসী সেনারা।

    সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ভোর বেলায় শুরু হওয়া এই অভিযান ও তল্লাশীর নামে “সিলওয়ান এবং ইসাউইয়া” শহর দুটি হতে কমপক্ষে ৫৫ ফিলিস্তিনীকে তুলে নিয়ে যায় দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা।

    গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- মোহাম্মদ আবদুল্লাহ দারি, তার ভাই মাহমুদ আবদুল্লাহ দারি, দিয়া আইমান ওবায়েদ, মোহাম্মদ ফওজি ওবায়েদ, সুফিয়ান নাসের মাহমুদ, তার দুই ভাই মোহাম্মদ ও আকরাম নাসের মাহমুদ, ফাদি আলী মোস্তফা, হারুন মোহাম্মদ মুহাইসিন, ওয়াসিম আইয়াদ দরি, জায়েদ আজলৌনি ও আলী জামাল প্রমুখ। বদর, বাসিল মোহাম্মদ দরবাস, তার ভাই কূসাই মোহাম্মদ দরবাস, সমীর আকরাম আটিয়া, ওয়াসিম নায়েফ ওবায়েদ, রাশাদ আমজাদ নাসের, হামজা মোহাম্মদ ইসা নাসের, তার ভাই ইসা মোহাম্মদ ইসা নাসের, মাহমুদ জামাল আটিয়া এবং মুহাম্মদ রজব ওবায়দ।

    অন্যদিকে পশ্চিম তীরের বেথেলহামে অবস্থিত একটি ফিলিস্তিনী শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে তল্লাশি করে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসী সেনারা। সেখানে তারা ভাংচুর করার পাশাপাশি ৩ ফিলিস্তিনী যুবককে তুলে নিয়ে যায়।

    ইসরাঈলী দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমের শহরগুলোতে প্রতিদিনই মুসলিমদের ঘর-বাড়িতে তল্লাশির নামে শত শত ফিলিস্তিনীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনকে যুবক শূণ্য করা।

    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/23/27066/

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আফগানিস্তানে বিয়ে বাড়িতে সন্ত্রাসী আমেরিকার হামলা, ৪০ এরও অধিক নিরপরাধ মুসলিম নিহত!




    আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের “মুসা কিল্লাহ” জেলার একটি বাজার ও তার পাশেই থাকা একটি বিয়ের বাড়িতে আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল বেলায় সাধারণ নিরপরাধ মানুষ ও বাজারের দোকান-পাটের উপর বর্বরোচিত নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে ক্রুসেডার মার্কিন ও আফগান মুরতাদ সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনী। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ এরও অধিক বেসামরিক জনগণ।

    এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নানগাহার প্রদেশেও নৃশংসভাবে জনসাধারণের উপর ড্রোন হামলা চালায় ক্রুসেডার আমেরিকা ও আফগান মুরতাদ সেনারা। যার ফলে প্রায় ৪৫ জন নিরপরাধ আফগান জনসাধারণকে প্রাণ দিতে হয়, এসময় আহত হয়েছিলেন আরো ৯০ এরও অধিক বেসামরিক ও নিরপরাধ আফগান জনগণ।
    প্রথমদিকে ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলাকে তালেবানদের উপর চালানো তাদের সফল অভিযান বলে অপপ্রচার চালানো শুরু করে, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন ক্রুসেডার আমেরিকার আসল চেহারা জনসম্মুখে চলে আসে, তখন ক্রুসেডারদের পক্ষ হতে বলা হয়, এটা ভুলবশত হামলা ছিল। এভাবেই ভুলবশত হামলা বলে প্রতিনিয়ত অগণিত বনী আদমকে হত্যা করে যাচ্ছে ক্রুসেডার আমেরিকা ও তাদের গোলাম শাসক শ্রেণী।
    অন্যদিকে ক্রুসেডারদের এমন বর্বরোচিত নৃশংস হত্যাকাণ্ঠে নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে হলুদ মিডিয়াগুলো। বিষয়টা যেন এমন যে, তারা কিছুই জানেনা বা কিছুই হয়না। বিপরীতে যখন এসকল সন্ত্রাসীরা মুজাহিদদের হামলার শিকার হয়ে কুকুরের মত মারা যায়, তখন এসকল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদেরকে ‘নিরপরাধ লোক’ বলে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মিথ্যা প্রচার করতে শুরু করে এই হলুদ মিডিয়াগুলো।

    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/23/27058/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ল্লী বিদ্যুতের টাকা দেয় গ্রাহক কিন্তু মালিকানা সমিতির, ক্ষোভ সাধারণ জনগণের





      পাঁচ কিংবা সাত, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় ধরে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করেও নিজের ব্যবহার করা মিটারের মালিকানা পাচ্ছেন না পল্লী বিদ্যুত সমিতির (পবিস) গ্রাহকরা। সংস্থাটির হিসেব মতেই দুই কোটি ৭২ হাজার গ্রাহক প্রতি মাসে তিন হাজার কোটি টাকা নির্ধারিত হিসাবে জমা দিয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, একটি মিটারের দাম যেখানে নয় শ’ থেকে ১২ শ’ টাকা, সেখানে তারা মাসিক কিস্তিতে দ্বিগুণের বেশি টাকা পরিশোধ করেও ওই মিটারের মালিকানা পাচ্ছেন না। তবে এ বিষয়ে পবিসের বক্তব্য হচ্ছে, কোনো মিটারই গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয়নি। গ্রাহকরা শুধু মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে এই মিটার ব্যবহার করবে। প্রয়োজনে পবিস এই মিটার প্রতিস্থাপন কিংবা ফেরতও নিতে পারবে।

      উপরন্তু বিদ্যুতের প্রি-প্রেইড মিটার প্রতিস্থানের নামে আবারো কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণের আবরণে আবদ্ধ হচ্ছে পবিস এর দুই কোটি ৭২ হাজার গ্রাহক। কোনো কোনো গ্রাহক ১০ বছর পর্যন্ত নিয়মিতভাবে মিটারের টাকা প্রতি মাসে পরিশোধ করার পরও এখন পুরাতন এই মিটার ফেরত নিয়ে পুনরায় প্রি-পেইড মিটার ভাড়ায় নিতে বাধ্য করছে পবিসের আওতাধীন ১১টি অফিস।
      পবিসের গ্রাহকদের সাথে কথা জানা যায়, বর্তমানে বিদ্যুতের যে মিটার গ্রাহকরা ব্যবহার করছেন এগুলোর দাম কম-বেশি নয় শ’ থেকে ১২ শ’ টাকা। প্রতিটি সংযোগের শুরুতেই একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা জমা দিয়েই প্রত্যেক গ্রাহককে এই মিটার নিতে হয়। এর পর প্রতি মাসেই মিটার ভাড়া হিসেবে তাকে বিদ্যুৎ বিলের সাথে অতিরিক্ত আরো ১০ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে । কিন্তু এভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গ্রাহক তার ব্যবহৃত মিটারের পুরো টাকা পরিশোধ করার পরও ওই মিটারের মালিকানা তিনি পাচ্ছে না। এভাবে প্রতি মাসে তাকে মিটারের ভাড়া দিয়েই যেতে হয়।

      গ্রাহকদের অভিযোগ, আমরা যদি প্রতি মাসে মিটার ভাড়ার টাকা পরিশোধ করি তাহলে তো একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে এই মিটার আমাদের নিজেদেরই হওয়ার কথা। কিন্তু এর কোনো নিয়মই মানা হচ্ছে না। নিয়মিতভাবেই প্রতি মাসেই মিটার ভাড়ার টাকা আমাদের কাছে থেকে নেয়াই হচ্ছে। দীর্ঘ দিনেও ভাড়ার এই টাকা নেয়া বন্ধ হচ্ছে না। এখন আবার আমাদের আগের মিটার ফেরত নিয়ে সেখানে প্রি পেইড মিটার প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। একইভাবে এই প্রি-পেইড মিটারের ভাড়াও আমাদের কাছ থেকেই আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু আশা করেছিলাম আমাদের পুরাতন মিটারের প্রতিস্থাপন করে বিনা ফি বা বিনা ভাড়ায় নতুন মিটার আমারকে দেয়া হবে। অর্থাৎ আমরা যারা দীর্ঘ দিন ধরেই হাজার হাজার কোটি টাকা মিটার ফি হিসেবে জমা দিলাম সেই টাকার হিসাবতো মিলাতে পারছি না।

      এদিকে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর দেয়া তথ্যমতে দেশে এখন বিদ্যুতের মোট গ্রাহক প্রায় সাড়ে তিন কোটির উপরে। সব গ্রাহকই প্রতি মাসে মিটার ভাড়া পরিশোধ করছেন। অর্থাৎ মিটার প্রতি গড় হিসেবেও এক হাজার টাকা ধরলে এ যাবৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া হয়ে গেছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।

      সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/23/27022/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মসজিদের সোলার নিয়ে গেল সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা, ব্যবহার করছে নিজের বাড়িতে




        কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে মসজিদের জন্য বরাদ্ধকৃত সোলার প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট তুলে নিজের বাড়ির পাশে স্থাপন করেছে এক সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ ক্যাডার।

        আওয়ার ইসলামের বরাতে জানা যায়, সন্ত্রাসী এই আওয়ামী লীগ সদস্য উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের হাজীপুরা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আবুল খায়ের। সে মৈশাতুয়া ইউনিয়ন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

        স্থানীয়রা জানান, হাজীপুরা মজুমদার বাড়ি মুরশিদিয়া জামে মসজিদের ল্যাম্পপোস্টের সোলার প্যানেলটি স্থাপনের তিনদিন পর সে খুলে নিয়ে যায়। ১৬ সেপ্টেম্বর এই নিয়ে তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা মসজিদ কমিটির সভাপতি মুহা. এনায়েত উল্লাহ মজুমদার।

        এনায়েত উল্লাহ মজুমদার বলেন, আবুল খায়ের লোকজন নিয়ে মসজিদের সোলার ল্যাম্পপোস্ট তুলে নিয়ে যায়। মসজিদের কমিটির লোকজন ও মুসল্লিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ করি। আমরা মসজিদের সম্পত্তি ফেরত চাই। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হচ্ছে।

        সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/23/27034/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বিনা স্বার্থে ভারতীয় মালাউনদের সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত করছে রামগড়




          ভারতীয় মালাউনদের একের পর এক সুবিধার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে এ দেশের ক্ষমতালোভী ভারতীয় দালালরা। সুবিধগুলোর অন্যতম হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।বাংলাদেশের বুকচিরে স্বল্প সময়ে সীমান্ত পার হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব। এসব সুবিধার কারণে ভারতের জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য প্রবেশদ্বার হয়ে উঠছে ‘রামগড়’। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে রামগড় পৌরসভার কাছেই নির্মাণ হচ্ছে স্থলবন্দর। রামগড়ের মহামুনি এবং ত্রিপুরার আনন্দপাড়া সীমান্ত সংযোগ হিসেবে ফেনী নদীর উপর তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১। যা পার হলে মাত্র ৭২ কিলোমিটার দূরত্বেই নাগাল মিলবে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের। ফলে ত্রিপুরা হবে ভারতের ভূমিবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর প্রবেশমুখ এবং রাজ্য সাতটি সুযোগ পাবে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সরাসরি আমদানি-রফতানির।

          এর আগে আশুগঞ্জকে ট্রান্সশিপমেন্ট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে আখাউড়া-আগরতলা দিয়ে প্রবেশের যে দ্বারটি ভারত পেয়েছিল তার মূল ভিত্তি ছিল মংলা বন্দর।

          এছাড়া ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ স্বাক্ষরিত নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় থাকা তিনটি রুটের মধ্যে কলকাতা-হলদিয়া-রায়মঙ্গল হয়ে বাংলাদেশের চালনা-খুলনা-মোংলা-কাউখালী-বরিশাল-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-ভৈরব বাজার এবং আশুগঞ্জ রুট ধরে এসে স্থল পথে আখাউড়া সীমান্ত পার হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনেরও সুযোগ পেয়েছে ভারত।
          তবে আশুগঞ্জ-আখাউড়ার ওই রুটটি ব্যবহার করে কলকাতা থেকে আগরতলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হচ্ছে ৩৫০ কিলোমিটার পথ। তারও আগে কলকাতা থেকে আসামের গৌহাটি ঘুরে ত্রিপুরার আগরতলা যেতে পাড়ি দিতে হতো ১৬৫০ কিলোমিটার পথ। কিন্তু এবার ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ধরে সড়ক পথে মাত্র ৭২ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই রামগড় সীমান্ত এবং সীমান্তের ওপারে সাব্রুম-উদয়পুর হয়ে ১৩৩ কিলোমিটারের মাথায় আগরতলা।

          দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর শর্টকাট রুটের এই সুবিধা পেতে যাচ্ছে ভারত। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রামগড়ে স্থলবন্দর স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিল। জানা গেছে, ওই বছরের ২৮ জুলাই স্থলপথ ও অভ্যন্তরীণ জলপথে ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি-রপ্তানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে ১৭৬টি শুল্কস্টেশনের তালিকা ঘোষণা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ওই তালিকার ৪৮ নম্বরে ছিল রামগড় স্থল শুল্কস্টেশনের নাম। কিন্তু দীর্ঘ দিন উদ্যোগটি চাপা ছিলো। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেনী নদীর ওপর প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন। ন্যাশনাল হাইওয়েজ এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এনএইচআইডিসিএল) তত্ত্বাবধানে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে গুজরাট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আগরওয়াল কনস্ট্রাকশন।

          পরিকল্পনা হচ্ছে আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

          রানসেতু থেকে ওপারে প্রায় ১২শ মিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ হচ্ছে। যা নবীনপাড়া-ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়কে যুক্ত হবে। এদিকে বাংলাদেশ অংশে রামগড়-বারৈয়ারহাট হয়ে ৩৮ কিলোমিটার চার লেনের অ্যাপ্রোচ রোড ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। যা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকা বাস্তবায়ন করবে।

          এছাড়া বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষের তত্বাবধানে এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রামগড়ে ১০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের ২৩তম স্থল বন্দর। এ প্রক্রিয়ায় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে স্থলবন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী। সে বলেছে, ২০২১ সাল নাগাদ নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা।

          সর্বশেষ গেল জুনে স্থলবন্দর ও মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস। এরও আগে গত বছরের জানুয়ারিতে এক সঙ্গে পরিদর্শনে গেছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। সবারই বক্তব্য বন্দর, সেতু এবং কানেকটিভিটি পাহাড়ে প্রবৃদ্ধি বাড়াবে, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে কর্মসংস্থানও। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে বিবিআইএন-মটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্ট ও আঞ্চলিক যোগাযোগ বিষয়ক একটি সংলাপ অনুষ্ঠানেও ওই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি শোনা যায় সরকারের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব সালমা আক্তার খুকীর বক্তব্যে।

          তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘টার্গেট চট্টগ্রাম বন্দর’। বিশেষ করে সেভেন সিস্টার হিসেবে পরিচিত ভূমিবেষ্টিত ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের ব্যবসায়ী ও সরকার কম সময় ও কম ব্যয়ে আমদানি রফতানি করে উপকৃত হবে।

          আর বাংলাদেশ ‘লাভবান হবে’, ‘সুফল পাবে’ এমনসব বক্তব্যকে ‘বিজ্ঞাপনী বুলি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবিদ এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা আন্দোলনের সংগঠক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, রিজিওনাল কানেকটিভিটির নামে যা কিছুই হচ্ছে তার সবগুলোই ভারতের ট্রানজিট পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। এর মধ্যে বাংলাদেশের স্বার্থের কিছু নেই।
          তিনি আরও বলেন, দেখা যাচ্ছে ওইসব পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সড়কের উন্নয়ন করা হচ্ছে। যোগাযোগের অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে। তাতে পরিবেশের ক্ষতির একটা দিক আছে, অন্যান্য আরও কিছু ঘটনা আছে। কিন্তু সরকার কখনোই এ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেনি। গবেষণাও করেনি। নির্দিষ্ট করেও বলছেনা লাভটা কোথায় হবে এবং ক্ষতিটা কি হতে পারে।

          সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর
          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/23/27053/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আসামে সন্ত্রাসী মালাউন পুলিশি অত্যাচারে মুসলিম মহিলার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট



            ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি–*র হাতে আসামে সংখ্যালঘু মুসলমারাই শুধু নন, মুসলিম মায়দের গর্ভে থাকা সন্তানরাও নিরাপদ নয়। সপ্তাহখানেক আগে সন্ত্রাসী পুলিশি অত্যাচারে এক মুসলিম মহিলার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু বিজেপি এমপি শিলাদিত্য দেব প্রকাশ্যেই প্রশংসা করেছে সেই গর্ভের বাচ্চা হত্যাকারী সন্ত্রাসী পুলিশকর্মীর। শুক্রবার আসামে ফের আরও এক মুসলিম মহিলার পুলিশি জুলুমে গর্ভপাত হয়েছে । বিজেপি নেতাদের উৎসাহেই পুলিশ আরও বেশি হিংস্র হয়ে উঠছে।

            আসামের বরপেটা জেলার আমগুড়ি থানার খুদুনাবাড়ি গ্রাম থাকেন রুকেয়া খাতুন (২৫)। শুক্রবার রাতে পুলিশ আসে তাঁর বাড়িতে। দরজা বন্ধ করে বাড়ির অন্যদের সঙ্গে তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। দরজা খুলতে দেরি হওয়ার ‘অপরাধ’–এ পুলিশ ঘরে ঢুকেই অকথ্য অত্যাচার শুরু করে। বাদ যাননি ২ মাসের গর্ভবতী রুকেয়াও। শুরু হয় রক্তপাত। তারপরও পুলিশের অত্যাচার থামেনি। রুকেয়াদের ‘অপরাধ’, তাঁর ভাই শহিদুল বিয়ে করেছেন জয়নাব খাতুনকে। জয়নাবের বাড়ির লোকের অমতে। তাঁরা পুলিশে অভিযোগ জানায়। তারপরই শুরু হয় পুলিশি অত্যাচার।

            সম্প্রতি অসমেরই দরং জেলার বুরহায় আরেক গর্ভবতী সংখ্যালঘু মুসলিম মহিলাও পুলিশি বর্বরতার শিকার হয়েছিলেন। তাঁরও গর্ভপাত হয়ে যায়। তাঁর ভাই একই গ্রামের এক সাবালিকা হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করেছিল। সেই ‘অপরাধ’–এ গর্ভবতী ওই মহিলা–*সহ সেই যুবকের তিন বোনের ওপর চলে অত্যাচার। গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়তে রাজ্য পুলিশ অভিযুক্ত ওসি মহেন্দ্র শর্মা এবং পুলিশ কনস্টেবল বিনীতা বোড়োকে বরখাস্ত করে।
            কিন্তু ওই ঘটনার পরই বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের হয়ে সাফাই গাইতে শুরু করে।

            ঘটনা প্রসঙ্গে মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী তথা আসামের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব মন্তব্য করেছে, ‘বিজেপি নেতাদের কথাতেই পুলিশ সংখ্যালঘুদের ওপর আরও বেশি করে হিংস্র হয়ে উঠছে।’

            সূত্র : আজকাল
            সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/23/27069/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              বিয়ে বাড়িতে বোম্বিং করে মুসলিমদের শহিদ করে দিচ্ছে, আবার বলে কী তালিবান আক্রমণ করার কারণে চুক্তি বাতিল করেছে! ইনশাআল্লাহ সন্ত্রাসীরা খুব দ্রুতই ধংস হয়ে যাবে।
              ان المتقین فی جنت ونعیم
              سورة الطور

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন, আমীন।
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment

                Working...
                X