Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ # ৮ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৭ অক্টোবর ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ # ৮ সফর ১৪৪১ হিজরী # ৭ অক্টোবর ২০১৯ ঈসায়ী।

    আফগানিস্তানে ক্রুসেডার মার্কিন আগ্রাসনের ১৮ বছর পূর্তিলগ্নে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।




    ৭ অক্টোবর ২০১১ ইসায়ী ইতিহাসে আফগান মুসলিমদের জন্য, শুধু আফগান মুসলিম বললে ভুল হবে, কারণ এই দিনটি ছিল কয়েক শতক বছর পরে কোন মুসলিম ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র ইসলামিক ইমারত তার শাসনভার হারানোর নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। যাকে নিয়ে পুরো মুসলিম বিশ্ব নতুন করে বিজয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। যার আশ্রয়ে বিশ্ব মুজাহিদীন প্রস্তুত হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে মুজাহিদগণ অনেকটা সফলও হয়েছেন।
    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে ক্রুসেডার মার্কিন আগ্রাসনের ১৮ বছর পূর্তিলগ্নে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেন, আজ থেকে আঠারো বছর আগে আজকের এই দিনে ক্রুসেডার আমেরিকা আমাদের স্বদেশের (আফগানিস্তান) বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র অজুহাত দেখিয়ে এবং কোন যথার্থ প্রমাণ, সমর্থন ও প্রকৃত যাচাই বাছাই ব্যতিরেকে ফিল্মি কায়দায় আক্রমণ চালিয়েছিল।
    ক্রুসেডার মার্কিন হানাদার বাহিনী ১১ সেম্টেম্বরের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে এ হামলা পরিচালনা করেছিল। অথছ এই ঘটনার সাথে আফগানিস্তানের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আর না এখানে এমন একটি অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতির কোনো সুযোগ ছিল। যেখানে এই জাতীয় পদক্ষেপগুলি সংগঠিত ও সম্পাদন করা যেতে পারে।
    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সাথে কোনো ধরনের আলোচনার পরিবর্তে এবং উক্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের সকল প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে ৭ই অক্টোবর ২০০১ ক্রুসেডার আমেরিকা অন্ধভাবে আফগানিস্তানের উপর হামলা করে বসে।

    ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী প্রথমে স্বদেশীয় গাদ্দার ও দ্বীন-ঈমানকে বিক্রিকারী কিছু ছদ্ম-আফগানীকে স্থল সেনা হিসাবে ব্যবহার করে, আর ক্রুসেডাররা আকাশপথে আক্রমণ শুরু করে।
    যার ফলে ইমারতে ইসলামিয়্যাহ ধর্মীয় ও জাতীয় দায়িত্ব হিসেবে মহান আল্লাহ তা’য়ালার উপর ভরসা করে এবং জাতির সমর্থন নিয়ে আগ্রাসী ক্রুসেডার আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন।
    বর্তমানে আফগান যুদ্ধ আঠারো বছর অতিক্রম করেছে এবং আমেরিকান দখলদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে, গত 18 বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে তারা আমাদের অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ কে হত্যা করেছে। স্থল ও আকাশ পথে বিমান হামলা পরিচালনার মাধ্যমে অকল্পনীয় ভয়াবহ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে চলছে, এবং তাদের দুর্নীতিবাজ, ব্যর্থ, দাসত্বমূলক ব্যবস্থা এবং পুতুল সরকারকে আফগানদের উপর বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
    তবে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে জিহাদ এবং সংগ্রামের ক্ষেত্র সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, ত্যাগের সাথে আমাদের জাতি আমেরিকান হানাদার এবং তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে বীরের মতো লড়েছেন এবং শাহাদাৎ বরণ করেছেন।
    আল্লাহর রহমতে শত্রুর সমস্ত কৌশল, ষড়যন্ত্র, সামরিক নীতি ও সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিচ্ছেন।

    বর্তমানে আফগানিস্তানের যুদ্ধ মার্কিনীদের জন্য এক উন্মুক্ত ক্ষতে পরিণত হয়েছে। তাদের হাজার হাজার সৈন্য নিহত, আহত এবং বিকলাঙ্গ হয়েছ ও হচ্ছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেও তারা আফগানিস্তানে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে অক্ষম।
    আজ সমগ্র দুনিয়া বুঝতে পারছে আফগানিস্তানে মার্কিনীদের দখলদারীত্ব ও এই লড়াই আমেরিকাকে মানবিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষত্রে ক্ষতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। আমেরিকার মানসম্মান ধুলোতে লুন্ঠিত হচ্ছে। এই লড়াই আমেরিকার রাজনৈতিক প্রতিপত্তি তে আঘাত হেনেছে ,এবং বিশ্ব রাজনীতি এক মুখী অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছে। এই লড়াইতে মানসম্মান এবং প্রতিপত্তি হারিয়েছে ন্যাটো-র মতো একটি দুর্দান্ত সামরিক জোট। আমেরিকা এবং তার যুদ্ধবাজ সামরিক জেনেরালরা এই অবস্থার জন্য দায়ী, কারণ তাদের সামরিক বাজার ধরে রাখতে এই যুদ্ধ চালিয়ে রেখেছে এবং তাদের দেশের জনগণ কে বিভ্রান্ত করছে এই বলে যে, তারা আফগানিস্তানের জনগণ কে সাহায্য করছে। আমেরিকার জনগণকে এই ভাবে বোকা বানানো হচ্ছে এবং আফগানিস্তানের মুসলিম জনতার ওপর থেকে কষ্টের বোঝা নামিয়ে রাখার চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে তারা।

    আফগানিস্তানের ইসলামিক ইমারাত তার যুক্তিপূর্ণ এবং নীতিপূর্ণ অবস্থান থেকে ক্রুসেডারদেরকে এই পরামর্শই দিচ্ছে যে সম্পূর্ণ সামরিক এবং রাজনৈতিক পরাজয় থেকে বাঁচতে ,আমেরিকার উচিত অবিলম্বে এই ব্যর্থ লড়াই বন্ধ করা এবং এক নীতিপূর্ন রাস্তা নিয়ে এই লড়াই এর ময়দান পরিত্যাগ করা।
    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/07/27711/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আলেপ্পোতে কুখ্যাত নুসাইরী মুরতাদ বাহিনীর অবস্থানে আল-কায়েদার হামলা!




    আল-কায়েদা সিরিয়ান শাখা তানযিম হুররাস আদ-দ্বীন ও তাদের নেতৃত্বাধীন “ওয়া হাররিদ্বিল মু’মিনীন” অপারেশন রুমের জানবায মুজাহিদগণ গত ৫ অক্টোবর থেকে সিরিয়ার আলেপ্পো সিটির দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরণের অভিযান চালাতে শুরু করেছেন।

    এরি ধারাবাহিকতায় গত ৬ অক্টোবর আলেপ্পোর দক্ষিণাঞ্চলীয় পল্লী এলাকা # “হারিশাহ্”তে কুখ্যাত নুসায়রি শিয়া/মুরতাদ বাহিনীর যানবাহন চলাচলেরর উপর কঠোর পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেন মুজাহিদগণ। এবং সুযোগ বুঝে ভারী যুদ্ধাস্ত্র ও মেশিনগান দ্বারা মুজাহিদগণ কুখ্যাত নুসাইরী বাহিনীর উপর তীব্র হামলাও চাচ্ছেন। যার ফলে অনেক কুখ্যাত নুসাইরী শিয়া/মুরতাদ সেনা হতাহতের শিকার হচ্ছে।



    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/07/27708/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গজনিতে মার্কিন সামরিক বহরে ইমারতে ইসলামিয়ার হামলা, ১৫ মার্কিন সেনাসহ আরো ১৫ মুরতাদ সেনা হতাহত!



      ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জানবায তালেবান মুজাহিদগ গত ৬ অক্টোবর রাতে আফগানিস্তানের গাজনি প্রদেশের শালগার জেলায় ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর একটি কনভয়ে সফল অভিযান পরিচালনা করেন।

      প্রাথমিক সংবাদ মতে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হা. জানান যে, মুজাহিদদের উক্ত সফল হামলায় ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর ৩টি সামরিকযান ধ্বংস হয়ে যায়। যার ফলে ৩ মার্কিন ক্রুসেডারসহ ৬ আফগান মুরতাদ সেনা নিহত এবং ২ মার্কিন ক্রুসেডারসহ ৭ আফগান মুরতাদ সেনা আহত হয়।

      তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া সর্বেশেষ সংবাদ হচ্ছে, তালেবান মুজাহিদদের উক্ত সফল হামলায় ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর ৪টি সামরিকযান ধ্বংস হয়েছে। যার ফলে সামরিকযানে থাকা ১০ মার্কিন ক্রুসেডার নিহত এবং আরো ৫ মার্কিন ক্রুসেডার গুরুতর আহত হয়েছে। অন্যদিকে আফগান মুরতাদ বাহিনীর ৮ সেনা নিহত এবং আরো ৭ সেনা গুরুতর আহত হয়েছে।




      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/07/27705/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ!!!
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          যুদ্ধ কত প্রকার ও কী কী এমেরিকা এত দিনে আসলেই বুঝে গেছে!!!!!যুদ্ধ শুধু হাম্বি কিংবা ট্রেংকের ভেতরে থেকেই করার নাম নয়।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
          سورة توبة ٤٦

          Comment


          • #6
            সম্মানীত ভাইগণ,! আমার নিজের বোঝার কমতি তাই জানার জন্য বিষয়ট উল্লেখ করছি, উপরক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছেঃ "ক্রুসেডার মার্কিন হানাদার বাহিনী ১১ সেম্টেম্বরের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে এ হামলা পরিচালনা করেছিল। অথছ এই ঘটনার সাথে আফগানিস্তানের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আর না এখানে এমন একটি অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতির কোনো সুযোগ ছিল। যেখানে এই জাতীয় পদক্ষেপগুলি সংগঠিত ও সম্পাদন করা যেতে পারে।"
            এখানে ১১সেপ্টেম্বরের হামলার সাথে আফগানের কোন সম্পর্ক নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্ত আমি ব্যপারটা এরকম জানি যে, হামলাটি আমীরুল মুজাহিদীন শায়খ উসামা বিন লাদেন রহঃ এর নেতৃতে আল-কায়দার পক্ষ্য থেকে করা হয়েছিল, আর আল-কায়েদা মুলত আফগানিস্থানেই আফগান মুজাহিদগণের সহযোগিতায় গঠন করা হয়েছিল, তাহেল এখানে ব্যপার টা আফগানীদের থেকে আলাদা করার বিষয়টি কি,,?

            বিষয়টির খোলাসা করে দিলে অনেক উপকৃত হব,

            Comment

            Working...
            X