Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ সফর ১৪৪১ হিজরী # ১৭ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ সফর ১৪৪১ হিজরী # ১৭ অক্টোবর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    আফগানিস্তানে ভারতীয় মালাউন সরকারের দেওয়া হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত!



    মাত্র গত সপ্তাহে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় মালাউন মোদি সরকার তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য আফগান মুরতাদ বাহিনীকে ২টি হেলিকপ্টার বিনামূল্যে দিয়েছিল। যার মধ্যে একটি (MI-17) গতকাল আফগানিস্তানের বলখ প্রদেশে বিধ্বস্ত হয়, যার ফলে আফগান মুরতাদ বাহিনীর ৭জন ক্রু নিহত হয়।
    বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ হিসাবে আফগান সরকারের পক্ষহতে জানানো হয় যে, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে MI-17 বিধ্বস্ত হয়েছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/17/28001/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এক মুরতাদের উপর শরয়ী হদ কায়েম করলো ইসলামী আদালত!



    পূর্ব আফ্রিকান ভিত্তিক আল-কায়েদার সবচেয়ে দূর্ধর্ষ ও শক্তিশালী শাখা হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ সোমালিয়ার বিস্তীর্ণ ভূমীর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানে শরিয়াহ বাস্তবায়ন করেছেন।

    যার ধারাবাহিকতায় গত ১৩ অক্টোবর সোমালিয়ার জোহার প্রদেশের মন্ত্রি “আলী আব্দুল্লাহ হাসান” এর ইরতিদাদ প্রমাণীত হওয়ায় হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের প্রতিষ্ঠিত ইসলামী আদালাত তার উপর হদ কায়েমের রায় দেয়। পরে ইসলামী আদালতের রায় অনুযায়ী জনসম্মুখে তার উপর হদ কায়েম (তাকে হত্যা) করা হয়।
    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/10/17/27998/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে আরএসএস উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীদের নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে – আকাল তখত



      শিখ ধর্মীয় সংগঠনগুলোর মধ্যে শীর্ষ সংগঠন আকাল তখন ভারতের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে। শিখ সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান বলেছে, আরএসএস যে হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় তা দেশের স্বার্থবিরোধী।আকাল তখতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান গিয়ানি হারপ্রিত সিং বলেছে যে তার বিশ্বাস আরএসএসের কর্মকাণ্ড দেশে বিভক্তি তৈরি করবে।

      বার্তা সংস্থা দি ওয়্যার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার অমৃৎসরে মিডিয়ায় দেয়া এক বিবৃতিতে সে বলেছে, আরএসএস নেতারা যেসব বিবৃতি দিচ্ছে তা দেশের স্বার্থে নয়।
      সম্প্রতি মুশরিকদের বিজয়াদশমীর এক অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী আরএসএস প্রধান মোহন ভগত ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় হারপ্রিত সিং ওই বক্তব্য দিয়েছে।

      সন্ত্রাসী আরএসএস প্রধান মোহন ভগতের বক্তব্যের নিন্দা করেছে আরেক শিখ ধর্মীয় সংগঠন ‘শিরোমনি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটি’।
      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/17/28005/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের কবলে অচল কাশ্মীর:মোবাইল ফোন বাজার অর্থ স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসা নয়



        কাশ্মীর উপত্যকায় মোবাইল ফোন বেজে ওঠাটা এখন একটা ঘটনা হয়ে উঠেছে। ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার যখন জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে এটাকে দুটো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা দেয়, তখন পুরো উপত্যকা ছিল নিরব। মোবাইল সংযোগ, ল্যান্ডফোন, মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ, কেবল টেলিভিশন – যোগাযোগের সব মাধ্যমকে সে সময় বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সব ধরনের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার পর এখন আবার মালাউন সরকার বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করতে একটু একটু করে হিসেব কষে কিছু সেবা চালু করতে শুরু করেছে।

        সংবাদ সংস্থা স্ক্রল. ইনের বরাতে জানা গেছে, কাশ্মীরে প্রথমে কেবল টেলিভিশন চালু করা হয়েছে, এরপর ল্যান্ডফোনের সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়েছে। ৭২ দিন পর ১৪ অক্টোবর পোস্টপেইড মোবাইল লাইনগুলো চালু করা হয়েছে। তবে ইন্টারনেট এখনও বন্ধ আছে। বন্ধ আছে প্রিপেইড মোবাইলও।

        বিশ্বের বহু জায়গায় ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১১ সালে জাতিসংঘ ইন্টারনেট সেবাকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করেছে। অন্যান্য অধিকার – যেমন মত প্রকাশের অধিকারের মতো বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য এই ইন্টারনেট এখন গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে মালাউনরা ইন্টারনেট এখনও বন্ধ করে রেখেছে।

        কাশ্মীরে বিশেষ করে রাজনৈতিক সিস্টেমকে এমনভাবে বিকৃত করে ফেলা হয়েছে যে, এখন সেটাকে চেনাই যাচ্ছে না। মালাউনরা আশা করছে, স্বাভাবিক বলতে কি বোঝায়, সেটা যেন মানুষ ভুলে যায়।

        উপত্যকা এখনও মালাউন সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য দিয়ে ভর্তি এবং দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে পাওয়া খবরে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, সামরিক কর্তৃত্ব আরও কঠোর করা হচ্ছে। ৫ আগস্টে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য যদি হয় স্বাধীনতাকামীদের আজাদী আন্দোলন করা, তাহলে বলতে হবে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। দুই সপ্তাহে কাশ্মীরে অন্তত দুটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটেছে। উপরন্তু, পুরো উপত্যকা জুড়ে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দোকানপাট এখনও বন্ধ রয়েছে, যে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে সরকার কাশ্মীরের কোন পক্ষের সাথেই আলোচনা করেনি।

        দুই মাসের দুর্বিসহ পরিস্থিতির মধ্যে পরিবারের সদস্যরা একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, চিকিৎসা সেবা দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে, দৃষ্টিসীমার বাইরে কোথায় কি ঘটছে জানার কোন উপায় নেই সেখানে। মোবাইল ফোন যে বাজতে শুরু করেছে, এটা শুধু বিশ্ববাসীকে কাশ্মীর বিষয়ে বিভ্রান্ত করা অচেষ্টা ব্যতিত আর কিছুই নয়। অন্যথায় পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক হয়নি।



        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/17/28008/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          অবৈধভাবে মাছ ধরা নিয়ে BGB ও BSF এর মাঝে সংঘর্ষ, নিহত এক ভারতীয় মেজর, আহত আরো ১



          দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে অবৈধভাবে টনকে টন মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় জেলেরা। এদিকে বাংলাদেশের জেলেদের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ভারতীয় জেলেদেরকে মাছ ধরার সুযোগ করে দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী ভারতপন্থী আওয়ামী অবৈধ সরকার। যার ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের জেলেদের মাঝে এক ধরণের উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছিল, কারণ তারা নিজ দেশের মাছ ধরতে পারছেন না অথচ ভারতীয়রা কোন বাধা ছাড়াই প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের জলসীমা হতে টনকে টন মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

          প্রতিদিনের মত আজও ভারতীয় জেলেরা অবৈধভাবে বাংলাদেশ জলসীমা মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির চর পাইকামারিতে এসে মাছ শিকার করতে থাকে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ BGB এর সদস্যরা তাদেরকে মাছ ধরতে বারণ করে, কিন্তু বিজিবির বারণ করা সত্যেও ভারতীয় জেলেরা অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে থাকে।

          পরে বিজিবি সদস্যরা বাধ্য হয়ে ৩ ভারতীয় জেলেকে আটক করে, আর বাকিরা পালিয়ে গিয়ে ভারতীয় সন্ত্রাসী BSF এর কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই BSF সদস্যরা BGB সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। জানা যায়, একপর্যায়ে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য BGB সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। আর এতেই ভারতীয় এক মেজর নিহত এবং আরো এক BSF সদস্য আহত হয়।

          ভারতীয় মিডিয়াগুলো এ বিষয়টিকে নিকৃষ্টভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জনমনে ঘৃণা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অথচ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা নিয়মিত বিরতিতে সীমান্তে বাংলাদেশী মুসলিমদের লাশ ফেলছে। সে বিষয়গুলো নিয়ে কোন কথা নেই। আজ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী মরলো বলে তাদের মানবতা জেগে উঠেছে!? নাকি বাংলাদেশের মুসলিমদের বিরুদ্ধে চরম ঘৃণা ও সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনার বাস্তবায়নেই তারা এরূপ প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে? সেই প্রশ্নই এখন মানুষের মনে। সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদীদের যে আগ্রাসন শুরু হয়েছে সেটাকে নতুন মাত্রা দিতেই তারা নতুন কোন চক্রান্ত সাজাতে পারে বলে ধারণা অনেকের।
          সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/10/17/28011/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            রিকশাচালক থেকে টাকার কুমির দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসী আ’লীগ নেতা সেলিম ১৭ অক্টোবর ২০১৯



            চাঁদপুর সদরের ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুর্নীতিবাজ সেলিম খান। ইউনিয়ন সসন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সভাপতি। এক সময় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত সে। এখন প্রাডো ও র*্যাভ-৪ জিপে চলাফেরা করে। যাপন করে বিলাসী জীবন। আছে বিশাল ‘হুন্ডা বাহিনী’।

            শুধু চাঁদপুর নয়, ক্যাসিনোর গডফাদার দুর্নীতিবাজ ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সহযোগী হিসেবে ঢাকায়ও সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে সে।
            যুগান্তরের বরাতে জানা যায় সন্ত্রাসী সেলিম খান আত্মগোপন থেকে ফের প্রকাশ্যে এসেছে। তার দাপটে চাঁদপুরের মানুষ তটস্থ। কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। ফলে তার সব অপকর্ম ঢাকা পড়ে আছে। তবে ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ কৌশলে তার ফুলেফেঁপে ওঠার গল্প গণমাধ্যমে জানাচ্ছেন।

            দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করলে তিনি যুগান্তরের বিরুদ্ধেও মামলার হুমকি দিয়েছে একাধিকবার। তার দুর্নীতি ও অপকর্মের বিষয়ে বক্তব্য নিতে ফোন করলে সে এ প্রতিবেদককেও একাধিকবার হুমকি দেয়।

            গত দশ বছরে রিকশাচালক থেকে কীভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হল- এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বুধবার সে বলে, আমি চাঁদপুরের একটি স্থানীয় দৈনিকের সম্পাদক ও প্রকাশক। ‘আমি একজন সম্মানীয় ব্যক্তি’। ৯ বছর একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। পত্রিকার সম্পাদক- প্রকাশক হতে হলে লেখাপড়া থাকতে হয়- এমন প্রশ্ন শুনে সে উত্তেজিত হয়ে মামলা করার হুমকি দেয়। কয়েক বছরের ব্যবধানে সেলিম খানের অস্বাভাবিক সম্পদ এলাকাবাসীর কাছে রূপকথার গল্পের মতো।
            সরেজমিন তার সম্পদ অর্জনের অনেক অজানা কাহিনী জানা গেছে। এলাকার লোকজন জানান সে ফসলি জমি ভরাটের মাধ্যমে নষ্ট করছে কৃষিজমি। মেঘনা নদী থেকে বছরের পর বছর বালু উত্তোলন করে চলছে। নদীতে শত শত ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করছে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের এই দুর্নীতিবাজ।
            ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজটি করছে। এসব কাজে তার বিশাল বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। ফলে চাঁদপুরের নদীতীরবর্তী এলাকা ভাঙনের মুখে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত বেড়িবাঁধ খাল দখল করে মাছ চাষ করছে।
            শাপলা মাল্টি মিডিয়া নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুলে সিনেমায় কালো টাকা বিনিয়োগ করছে। ঢাকার ক্যাসিনো ব্যবসাসহ তদবির বাণিজ্য করে সে এখন টাকার কুমির। সংশ্লিষ্টদের এ বক্তব্যের ডকুমেন্টও যুগান্তরের কাছে রয়েছে।
            তবে সে অবৈধভাবে ব্যবসার কথা অস্বীকার করে যুগান্তরকে বলে, সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে অনুমতি নিয়ে বালু উত্তলন করি। তবে এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেছে, সবাইকে ম্যানেজ করে সেলিম খান বিভিন্ন রকমের কাগজপত্র বানিয়ে নদী থেকে বছরের পর বছর বালু তুলে বিক্রি করছে। এর ফলে নদীভাঙন বাড়ছে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে চাঁদপুর-হাইমচর রক্ষাবাঁধ।
            সরেজমিন অনুসন্ধানকালে তার ইউনিয়নের অনেক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেছেন, তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। যে জমির শতাংশ এক লাখ টাকা সে জমি তিনি ৫-১০ হাজার টাকায় নিচ্ছে।

            এলাকাবাসী বলেন, চেয়ারম্যানের নিজের ইউনিয়নটি নদীর পাড়ে। সেখানে সে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলে গরিব দুঃখীদের ফসলি জমি ও ভিটেবাড়ি নামমাত্র মূল্যে গ্রাস করে নিচ্ছে। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলে যাদের জমি নিয়েছে তাদের মধ্যে স্থানীয় সুকা কবিরাজের বাড়িসহ প্রায় ২৫টি বাড়ির শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
            সুলতান খান, শাহালম খান, জাহাঙ্গীর, মুরাদ উকিলসহ অনেকের সম্পত্তি নামমাত্র মূল্যে কিনে তাদের উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলেন, সে চাইলে জমি দিতেই হবে। না দিলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। চেয়ারম্যানের অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের এক বাসিন্দা।

            তিনি যুগান্তরকে বলেন, সাত-আট মাস আগে নামাজরত অবস্থায় আমার দুই ছেলেকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল চেয়ারম্যানের ছেলে ও তার লোকজন। ঘটনার সময় সে (চেয়ারম্যান) উপস্থিত ছিল। বিষয়টি চাঁদপুরের এমন কোনো নেতা নেই যাকে আমি জানাইনি। কিন্তু কেউ কিছু করতে পারেনি। বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

            তিনি বলেন, আমার ৫৬ শতাংশ জমি জোর করে নিয়ে গেছে। এভাবে সে বহু মানুষের জমি দখল করছে। কিছু বলতে গেলে চলে নির্যাতন।
            অপরদিকে সম্রাটের সঙ্গে যোগ দিয়ে ঢাকা এবং আশপাশে নামে-বেনামে বিশাল সম্পদ গড়ে তুলেছে। সম্রাট ছাড়াও যুবলীগের খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আরমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাঈদসহ এ চক্রটির সঙ্গে মিলেমিশে নিজেকে অন্য প্রভাবশালীদের তালিকায় নিয়ে যায়। তার সম্পদের ফিরিস্তিও বিশাল। নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন কাকরাইলে তার চার তলা আলিশান বাড়ি রয়েছে।

            এ ছাড়া ডেমরায় তার ৬ তলা বাড়ি, নারায়ণগঞ্জের ভুইগড়, রাজধানীর হাতিরপুলসহ বিভিন্ন স্থানে বেনামি সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে। সিনেমায় বিনিয়োগ রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ির কাছে লাভলী স্টোরের জমি ২১ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে বলে জানা গেছে। তিনি ঢাকায় নিজের সাম্রাজ্য ধরে রাখতে সম্রাট, খালেদ, আরমান ও সাঈদ কমিশনারের সঙ্গে যোগ দিয়ে সিনেমার ব্যবসায় টাকা লগ্নি করে। তার নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম শাপলা মিডিয়া।
            আমি নেতা হব, চিটাগাইঙ্গা পোলা নোয়া খাইল্যা মাইয়া, ক্যাপ্টেন খান, শাহেনশাহ, প্রেম চোর, একটা প্রেম দরকার ও বিক্ষোভ ছবি তার টাকায় বানানো। যুগান্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ৭টি ছবির পেছনে কমপক্ষে ২৫ কোটি টাকা লগ্নি করেছে।তবে সিনেমা সংশ্লিষ্টদের মতে, টাকার পরিমাণ আরও অনেক বেশি।

            এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিপুল সম্পদের বর্ণনা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি যুগান্তরকে বলেন, চেয়ারম্যান সেলিমের সম্পদের বিবরণ শুনে মনে হয়েছে বড় ধরনের অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ-সম্পদ আহরণের একটি দৃষ্টান্ত। এটা পরিষ্কারভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি।
            সেলিম খানের বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন ও সাবেক সাখুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান খান ওরফে মনা খাঁ যুগান্তরকে বলেন, আমি যতটুকু জানি তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তা সঠিক। সে এক সময় রিকশা চালাত। তার বিশাল বিত্তবৈভব নিয়ে আমাদের সবার মাঝে প্রশ্ন আছে। কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছে, তা এলাকার মানুষের কাছে বিস্ময়।

            শত শত কোটি টাকার সম্পদের উৎস কী- জানতে চাইলে ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম খান উত্তেজিত হয়ে পড়ে। গত কয়েক দিন তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে সে মোবাইল ফোনে বারবার মামলার হুমকি দেয়।

            ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর অস্ত্র থানায় জমা দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বলেন, আমার বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় অস্ত্র জমা দিয়েছি। কথার এক পর্যায়ে ক্যাসিনো তালিকায় নাম রয়েছে জানালে সে ভড়কে যায়। তিনি সম্রাটের সঙ্গে যোগসাজশের বিষয়টি অস্বীকার করে বলে, আমি সম্রাটকে চিনি না।
            সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/10/17/28019/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              কথিত বড় ভাইয়ের নির্দেশে হত্যা করা হয় প্রতিবাদী দেশপ্রেমিক আবরারকে ১৬ অক্টোবর ২০১৯



              বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দেশপ্রেমিক মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে তার রুম থেকে ডেকে আনার নির্দেশ দেয় বুয়েটের পাঁচ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা। আর এর নেতৃত্বে ছিল হিন্দু সন্ত্রাসী অমিত সাহা।

              আবরারকে যখন তার রুম থেকে ডেকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নেয়া হয় তখন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন ছিল। তাদের নিষ্ঠুর পাশবিক নির্যাতনের কারণেই আবরারের মৃত্যু হয়।
              কালের কন্ঠের বরাতে জানা গেছে গত ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারকে শেরে বাংলা হলের তার রুম (নম্বর ১০১১) থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়। ৭ অক্টোবর রাত আড়াইটা পর্যন্ত ওই হলের ২০১১ ও ২০০৫ নম্বর রুমে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্রিকেট স্টাম্প ও লাঠিসোটা এবং রশি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্মম নির্যাতন চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই আবরার মারা যায়।

              পরে আসামিরা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে আবরারের মৃতদেহ ফেলে রাখে। কিছু ছাত্র আবরারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তদন্তকালে সাক্ষ্য-প্রমাণে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ পাওয়া গেছে।

              সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এক সদস্য নাজমুস সাদাত বলেছে, আমি আবরারকে ডেকে নিয়ে আসি। কয়েকজন বড়ভাই আমাদের ডেকে আনতে বলেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাদাত বলে, মারধরের এক পর্যায়ে আবরার পানি খেতে চায়।
              সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের আসামিরা আবরারকে মুখে কাপড় দিয়ে মেরেছে। পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি। সঠিক সময়ে ডাক্তারও দেখায়নি। এমনকি পুলিশও ঢুকতে দেয়নি ভারতের দালাল এই আসামিরা।
              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/17/28022/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আফগানিস্তানের গিজাব জেলার ৬৭টি চেকপোস্ট ও ৯টিরও অধিক ঘাঁটি বিজয় করে নিয়েছেন ইমারতে ইসলামিয়ার মুজাহিদীন!



                ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জানবায তালেবান মুজাহিদগণ গত ১৭ দিন যাবত আফগানিস্তানের দাইকান্দী প্রদেশের সবাচাই বড় জেলা “গিজাব” অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। আল-ফাতাহ অপারেশনের ধারাবাহিকতায় মুজাহিদগণ প্রথম দিকের অভিযানগুলোর মাধ্যমেই জেলাটির ৩৯টি চেকপোস্ট ও ৯টি সামরিক ঘাঁটি বিজয় করে নিতে সক্ষম হন।

                এভাবে ধীরে ধীরে আফগান মুরতাদ বাহিনীর জন্য জেলাটিকে সংকির্ণ করে ফেলেন তালেবান মুজাহিদগণ।

                সর্বশেষ গত ১৫ ও ১৬ অক্টোবর তালেবান মুজাহিদদের তীব্র হামলার ফলে আরো ২৮টি চেকপোস্ট ও সামরিক ঘাঁটি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় আফগান মুরতাদ বাহিনী। এসকল অভিযানে তালেবান মুজাহিদদের হাতে অনেক আফগান মুরতাদ সেনা নিহত ও আহত হয়।
                এদিকে গত ১৬ অক্টোবরের অভিযান হতে মুজাহিদগণ ১২টি মোটরসাইকেল, ২টি সামরিকযানসহ বিপুল পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র গনিমত লাভ করেন। এছাড়াও মুজাহিদদের তীব্র হামলার ফলে আফগান মুরতাদ বাহিনীর অনেক সামরিকযান ধ্বংস হয়ে যায়।আলহামদুলিল্লাহ্।
                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/10/17/28025/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X