Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৬ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৬ই রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    মাদরাসাছাত্রকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করল এক মাদকাসক্ত!



    দৈনিক শিক্ষা অনলাইন নিউজ পোর্টালের বরাতে জানা যায়, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারীর ভিটা গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল স্থানীয় রজব উদ্দিন নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।

    মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টায় শাকিল মাদরাসায় পড়তে আসে। এসে দেখে শিক্ষক শাহাজালাল তখনও মাদরাসায় আসেননি। তখন শাকিল সহপাঠীদের সঙ্গে গল্পগুজব করছিল। এ সময় বহরের ভিটা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মাদকাসক্ত মো রেজাউল করিম রেজা মাদরাসার দরজায় এসে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলেন। এ সময় শাকিল তাকে বলে, তোমাকে দেখলে সব ছাত্র ভয় পায়। তুমি এখান থেকে চলে যাও। এ সময় রেজা শাকিলকে শ্রেণিকক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়।

    শাকিলের সহপাঠীরা জানায়, রেজা শাকিলকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে প্রথমে তার পা ধরে শূন্যে কিছুক্ষণ ঘুড়ায়। এরপর মাদরাসা সংলগ্ন মিল চাতালের দক্ষিণ পূর্ব পাশে নিয়ে গিয়ে সহপাঠীদের সামনেই শাকিলের মাথা একটি ইটের ওপর রেখে আরেকটি ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় কসাই মান্নার ছেলে রেজাউল দৌঁড়ে এসে রেজাকে জাপটে ধরে ফেলে। পরে গ্রামবাসীরা এসে রেজাকে চাতাল সংলগ্ন গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে থানায় খবর দেয়।

    অপরদিকে গুরুতর আহতাবস্থায় শাকিলকে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শাকিলকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে উলিপুরের গুনাইগাছ এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সেই শাকিল মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। সন্তানের নির্মম মৃত্যুর খবর শুনে শাকিলের বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/04/28443/
    Last edited by Al-Firdaws News; 11-05-2019, 08:28 AM. Reason: উম্মাহ্ নিউজ # ৬ই রবিউল আউয়াল ১৪৪
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আবারও কোচের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ অ্যাথলেটের



    মৌলভীবাজারের অ্যাথলেট একাডেমির এক কোচের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন জাতীয় জুনিয়র দলের এক নারী অ্যাথলেট।

    গত বছর সেপ্টেম্বরে ধর্ষণের শিকার এক নারী ভারোত্তোলককে মানসিক হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ক্রীড়াঙ্গনে ঘটে গেল আরেকটি নেতিবাচক ঘটনা। এবার একজন কোচের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় জুনিয়র দলের এক নারী অ্যাথলেট। যৌন হয়রানির শিকার সেই অ্যাথলেট মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছেন যে আত্মহত্যার কথাও নাকি ভেবেছেন! ওই নারী অ্যাথলেটের অভিযোগ, তাঁকে যৌন হয়রানি করেছেন মৌলভীবাজারের স্থানীয় অ্যাথলেট একাডেমির এক কোচ।

    অভিযোগ পাওয়ার পর একাডেমি কর্তৃপক্ষ ওই কোচকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে। উল্টো যৌন হয়রানির শিকার অ্যাথলেটকে একাডেমি ছাড়তে বলা হয়েছে এবং নানাভাবে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে চাইলেও তাঁকে বাধা দিচ্ছে একাডেমির কর্মকর্তারা।

    গত ২৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শেষ হয় ৩৫তম জাতীয় জুনিয়র মিট। এই প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিতে মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতেন ওই নারী অ্যাথলেট। ২১ অক্টোবর অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পেয়ে গ্যালারিতে গিয়ে বসেন তিনি। অ্যাথলেটের অভিযোগ, কোচ তখন সেবা-শুশ্রূষার কথা বলে তাঁকে পাশের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে কোচের মাধ্যমেই যৌন হয়রানির শিকার হন তিনি। রুমে তখন আর কেউ ছিল না।

    কাল ওই অ্যাথলেট কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই প্রতিবেদককে বলছিলেন, ‘আমি যখন চোট পেয়ে গ্যালারিতে এসে বসি, স্যার এসে বলেন, এসো সামনের রুমে যাই। ওখানে তোমার কোথায় চোট লেগেছে, সেটা দেখব। অন্য সময় চোট পেলে মাঠের মধ্যেই স্যার দেখেন, কিন্তু ওই দিন রুমে যেতে বলায় শুরুতে যেতে চাইনি। কারণ, সেখানে মেয়ে শুধু আমি একা, ছেলেরা মাঠে অনুশীলনে ছিল। তারপরও স্যার যেহেতু বলেছেন, নিশ্চয় ভালো কিছু করবেন, এটা ভেবে সেখানে যাই। কিন্তু রুমে ঢুকেই তিনি আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জোর করে হাত দেন। আমি হাত সরিয়ে দিয়ে বলি, স্যার, আপনি এমন করছেন কেন? আমি বলি, স্যার, আজ অনুশীলন করব না এবং একপর্যায়ে অনেক কষ্টে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসি।’

    ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল ওই অ্যাথলেট কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না, ‘মাঠে তখন সবাই ছেলে। এই ঘটনা যে কারোর কাছে বলব, সেটাও পারছিলাম না। আমি জুনিয়র মিটে খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই ঘটনার পর কোন ভরসায় ওনার সঙ্গে ঢাকা যাব খেলতে? স্যারকে অনেক সম্মান করতাম। কিন্তু তাঁর এমন আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। মাঝেমধ্যে মনে হয় আত্মহত্যা করি।’

    মৌলভীবাজার সদরের এই অ্যাথলেট একাডেমির পাঁচ পরিচালকের অন্যতম অভিযুক্ত কোচ। ঘটনার কয়েক দিন পর মৌলভীবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা এবং একাডেমির পরিচালকেরা তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন। সে ক্ষমাও চায়। কিন্তু ওই অ্যাথলেটের দাবি ছিল, কোচকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হোক। কোচ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করলেও এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে সে, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে সবার সামনে ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু সত্যি করে বলছি, ওই মেয়ের সঙ্গে আমি কিছু করিনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনা। নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আমি নির্দোষ। আমি যদি খারাপ হতাম, তাহলে এলাকার পাঁচটি স্কুলের কোচের দায়িত্ব পেতাম না।’


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/04/28438/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      টানা ৩ মাস কাশ্মীরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে জুমা নামাজ বন্ধ রেখেছে গোপূজারি মোদি সরকার


      ভারতের কেন্দ্রীয় মুশরিক সরকার গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়ার পরে সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর থাকায় শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে শুক্রবার (১ নভেম্বর) জুমা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। এ নিয়ে একটানা ১২তম শুক্রবার সেখানে জুমার নামাজ হয়নি। খবরঃ ইনসাফ২৪

      বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জম্মু-কাশ্মীরকে অন্যায়ভাবে প্রদেশে পরিণত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে সেখানে নয়া আইন কার্যকর হয়েছে। বিগত জুমাবারের ন্যায় শুক্রবারও দখলদার প্রশাসন ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়নি।

      এ প্রসঙ্গে শুক্রবার ‘অল ইন্ডিয়া সুন্নাত অল জামায়াত’- এর সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল মাতীন বলেন, কাশ্মীর পরিস্থিতি সামাল দিতে মুশরিক মোদি সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কাশ্মীরের বড় বড় জামে মসজিদগুলোতে পর পর ১২ সপ্তাহ (৩ মাস) বা বারোটা জুমা নামাজ হয়নি। অথচ তারা বলছে যে, কাশ্মীরে শান্তি ফিরছে! এটা অত্যন্ত ব্যর্থতা তাদের। তারা কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে। আগামী জুমায় যাতে সেখানকার বড় বড় জামে মসজিদগুলোতে মুসুল্লিরা জুমা নামাজ পড়তে পারে দখলদার মুশরিক সরকার তার ব্যবস্থা করুক।

      কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা প্রসঙ্গে মুফতি আব্দুল মাতীন আরও বলেন, ৩৭০ ধারা যেটা তুলে দিয়েছে সন্ত্রাসী দখলদার সরকার, আমি বলব এটা কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে মোদি সরকার ‘চরম বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছে। অবিলম্বে যাতে কাশ্মীরে শান্তি ফেরে, সেখানকার মানুষ আজও মোবাইল-ইন্টারনেট পরিসেবা পাচ্ছে না। সুতরাং, দেশ থেকে সেটাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে দেয়াটা চরম অমানবিক।

      শুক্রবার (০১ নভেম্বর)) সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদসহ অন্য বড় মসজিদে নামাজ পড়তে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর পাশাপাশি কাশ্মির উপত্যকায় স্পর্শকাতর এলাকায় আংশিক বিধিনিষেধের মধ্যে দখলদারদের অতিরিক্ত কথিত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/04/28440/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসনে ভারতে মুসলিম তরুণদের অবস্থা দলিত আর পশ্চাদপদ শ্রেণিদের চেয়েও খারাপ!


        এই ২০১৯ সালের মালাউনদের পাতানো লোকসভার নির্বাচন আবারো ভারতীয় মুসলিমদের রাজনৈতিক প্রান্তিকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষটিতে এই সম্প্রদায়ের এমপিদের সংখ্যা খুবই কম। এই প্রক্রিয়া সম্প্রদায়টির সামাজিক-অর্থনৈতিক খাতে সুস্পষ্ট প্রান্তিকরণের মতোই দৃশ্যমান। ২০০৫ সালে সাচার কমিটি তার প্রতিবেদন দাখিল করার পর থেকেই দলিত ও হিন্দু অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণির (ওবিসি) কাছে হেরে যাচ্ছে মুসলমানরা।

        ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্টে জানা যায়, সাম্প্রতিক ‘চেপে যাওয়া’ এনএসএসও প্রতিবেদন (পিএলএফএস-২০১৮) ও এনএসএস-ইইউএস (২০১১-১২) ব্যবহার করে ভারতের অন্যান্য সামাজিক গ্রুপের সাথে মুসলিম তরুণদের আর্থসামাজিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। আমরা তিনটি চলক ব্যবহার করেছি: স্নাতক সম্পন্নকারী শিক্ষিত মুসলিম তরুণের হার (২১-২৯ বছর), শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সম্প্রদায়টির তরুণদের হার (১৫-২৪ বছর) এবং এনইইটি শ্রেণিতে (চাকরি, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে নয়) মুসলিম তরুণদের হার। এসব চলক সম্মিলিতভাবে দেশের তরুণদের শিক্ষাগত গতিশীলতার পর্থনির্দেশনা প্রতিফলন করে।

        স্নাতক সম্পন্নকারী (আমরা একে বলব শিক্ষা লাভ) তরুণদের হার ২০১৭-১৮ সময়কালে মুসলিমদের মধ্যে ছিল ১৪ ভাগ। এই হার দলিতদের মধ্যে ১৮ ভাগ, হিন্দু ওবিসির মধ্যে ২৫ ভাগ এবং উচ্চ বর্ণের হিন্দুর মধ্যে ৩৭ ভাগ। ২০১৭-১৮ সময়কালে দলিত ও মুসলিমদের মধ্যে পার্থক্য ৪ ভাগ। ২০১১-২০১২ সময়কালে তথা ছয় বছর আগে তা ছিল মাত্র এক ভাগ। মুসলিম ও ওবিসির মধ্যে ২০১১-১২ সময়কালে ছিল ৭ ভাগ। এখন তা হয়েছে ১১ ভাগ। সব হিন্দু ও সব মুসলিমের মধ্যে ২০১১-১২ সময়কালের ব্যবধান ৯ ভাগ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ ভাগ।

        হিন্দি বলয়ে মুসলিম তরুণদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তাদের শিক্ষা লাভ হরিয়ানায় সবচেয়ে কম, ২০১৭-১৮ সময়কালে ছিল ৩ ভাগ, রাজস্থানে ৭ ভাগ, উত্তর প্রদেশে ১১ ভাগ। উত্তর ভারতের একমাত্র মধ্য প্রদেশেই মুসলিমদের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো। এখানে তা ১৭ ভাগ। মধ্য প্রদেশ ছাড়া এসব রাজ্যে দলিতদের চেয়ে পিছিয়ে আছে মুসলিমরা। শিক্ষা লাভের দিক থেকে দলিত ও মুসলিমদের পার্থক্য হরিয়ানা ১২ ভাগ, উত্তর প্রদেশে ৭ ভাগ। ২০১১-১২ সময়কালে এসব রাজ্যে দলিতরা এই দিক থেকে সামান্য এগিয়ে ছিল।

        পূর্ব ভারতে মুসলিম তরুণদের শিক্ষা লাভ: বিহারে ৮ ভাগ, দলিতদের ৭ ভাগ; পশ্চিম বঙ্গে ৮ ভাগ, দলিত ৯ ভাগ; আসামে ৭ ভাগ, দলিত ৮ ভাগ। গত ছয় বছরে মুসলিম ও দলিতদের মধ্যকার ব্যবধান কমে এলেও দলিতরা অনেক ভালো করছে।

        পশ্চিম ভারতে ২০১১-১২ সময়কালে মুসলিমরা শিক্ষা লাভের দিক থেকে ভালো ছিল। কিন্তু দলিত ও হিন্দু ওবিসির সাথে তুলনা করলে ভালো মনে হবে না। গুজরাটে ২০১৭-১৮ সালে মুসলিম ও দলিতদের মধ্যে পার্থক্য ছিল ১৪ ভাগ। ছয বছর আগে তা ছিল মাত্র ৮ ভাগ। মহারাষ্ট্রে ২০১১-১২ সালে দলিতদের চেয়ে মুসলিমেরা কিছুটা (২ ভাগ) ভালো ছিল। কিন্তু এখন মুসলিমেরা ৮ ভাগ পিছিয়ে পড়েছে।

        তামিল নাড়ুতে মুসলিমেরা সারা ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এখানে মুসলিমেরা ৩৬ ভাগ শিক্ষা লাভ করেছে। কেরালায় ২৮ ভাগ, অন্ধ্র প্রদেশে ২১ ভাগ, কর্নাটকে ১৮ ভাগ মুসলিম তরুণ স্নাতক। তামিল নাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশে দলিতদের সাথে মুসলিমেরা প্রতিযোগিতা করলেও কেরালায় পিছিয়ে পড়ছে। দক্ষিণ ভারতে মুসলিমের দ্রুততার সাথে পিছিয়ে পড়ছে দলিত ও ওবিসিদের বিশেষ সুবিধা দেয়ার কারণে।

        শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তরুণদের বর্তমান উপস্থিতিবিষয়ক পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে আর্থ-সামাজিক খাতে মুসলিমদের কোণঠাসা হয়ে পড়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে ওঠে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া তরুণদের মধ্যে মুসলিমদের হার সবচেয়ে কম। ১৫-২৪ বয়সী গ্রুপে এই সম্প্রদায়ের মাত্র ৩৯ ভাগ সদস্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। অথচ দলিতদের মধ্যে তা ৪৪ ভাগ, হিন্দু ওবিসিতে ৫১ ভাগ, হিন্দু উচ্চ শ্রেণির সদস্য ৫৯ ভাগ।

        মুসলিম তরুণদের একটি বড় অংশই আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা ত্যাগ করে এনইইটি শ্রেণিতে চলে যাচ্ছে। মুসলিম তরুণদের ৩১ ভাগ এই শ্রেণিতে পড়ে। ভারতে যেকোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ। এর পর আছে দলিতদের ২৬ ভাগ, হিন্দু ওবিসি ২৩ ভাগ, উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের মধ্যে ১৭ ভাগ। হিন্দি বেল্টে বিষয়টি প্রকট। রাজস্থানে এনইইটির আওতায় মুসলিমদের হার ৩৮ ভাগ, উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানায় ৩৭ ভাগ, মধ্যপ্রদেশে ৩৫ ভাগ। দক্ষিণ ভারতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বাদ পড়া হার তুলনামূলকভাবে কম: তেলেঙ্গানায় ১৭ ভাগ, কেরালায় ১৯ ভাগ, তামিল নাড়ুতে ২৪ ভাগ, অন্ধ্র প্রদেশে ২৭ ভাগ।

        মুসলিমদের প্রান্তিক হয়ে পড়াটা কয়েক বছর আগে শুরু হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা প্রকট হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ‘ইন্টারজেনারেশনাল মোবিলিটি ইন ইন্ডিয়া: এস্টিমেটস ফ্রম নিউ মেথডস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডাটা’ শীর্ষক সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মুসলিমেরা যেখানে দ্রুত শিক্ষা চলমানতা থেকে বের হয়ে পড়ছে, সেখানে দলিতরা তাতে বেশি করে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এই সমস্যাপূর্ণ প্রক্রিয়ার সাথে মুসলিমদের রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক হয়ে পড়ার সম্পর্ক জানার জন্য আরো গবেষণা প্রয়োজন। নজরদারি গ্রুপগুলোর কার্যক্রম সম্ভবত মুসলিম তরুণদেরকে তাদের খোলস থেকে বের করতে পারে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/04/28432/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতীয় মুশরিকদের ভ্রান্ত্র বিশ্বাসের দীপাবলি উৎসবে ফোটানো বাজির বিষাক্ত গ্যাসে দিল্লিতে বায়ুদূষণ!


          বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথমেই নাম আসে দিল্লির। এবার নয়াদিল্লিতে বাতাসের ভয়ানক অবনতিতে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ জন্য ৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর সব স্কুল বন্ধ রাখাসহ আশেপাশের এলাকায় সবরকম নির্মাণকাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

          যুগান্তর সূত্রে জানা যায়, ভারতের রাজধানীতে শব্দদূষণের সঙ্গে বায়ুদূষণও যে ভয়ংকর আকার নিতে চলেছে, এ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে ‘একিউআই’ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) দিল্লির আবহাওয়াকে ‘খুব খারাপ’ বলে চিহ্নিত করেছে।

          একিউআই’র মান অনুযায়ী, দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা ৩০১-৪০০; যা শ্বাসকষ্টের সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতারও কারণ হতে পারে।

          ভারতে সদ্য হয়ে যাওয়া মুশরিকদের ভ্রান্ত্র বিশ্বাসের দীপাবলি উৎসবে বাজি ফোটানোর কারণে বিষাক্ত গ্যাসে দিল্লি এবং নয়ডার গড় একিউআই বেড়ে ৩০৬ ও ৩৫৬ -তে দাঁড়িয়েছিল। গত শুক্রবার রাজধানীতে তা ৫০০ ছাড়িয়েছে।

          জানুয়ারির পর এই প্রথম দিল্লিতে দম বন্ধ করা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। দূষণের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে ‘সিভিয়ার প্লাস’।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/04/28429/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকেও অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের নতুন মানচিত্র প্রকাশ!


            নয়া দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চিহ্নিত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করল অবৈধ দখলদার মালাউন ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে সদ্য গঠিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং লাদাখের সীমানা সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিটিতে ভারতের একটি নতুন মানচিত্রও রয়েছে। যার মধ্যে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মীরপুর ও মুজফ্ফরাবাদের মতো অঞ্চলও রয়েছে।

            সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি বরাতে জানা যায়, ভারতের নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে তৈরি হওয়া এবং তাদের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শপথ গ্রহণের দুদিন পরে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল।

            শনিবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কারগিল ও লেহ ব্যতীত পূর্বের রাজ্যের সমস্ত জেলা নিয়েই থাকবে। কারগিল ও লেহ থাকবে লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধীনে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/04/28425/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ! আপনি উম্মাহর করুণ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে একটি নয়া প্রভাতের উন্মেষ ঘটান। যেখানে সবাই শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment


              • #8
                আল্লাহ আমাদের শক্তি সাহস বাড়িয়ে দিন। আমীন।
                والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                Comment

                Working...
                X