Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৬শে রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৪শে নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৬শে রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৪শে নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    মুসলমানদের চিন্তিত হওয়ার কারণ আছেঃ প্রসঙ্গ শ্রীলঙ্কা


    রাজাপক্ষে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কায় ধর্মীয় উত্তেজনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    গোতাবায়ার ভাই মাহিন্দা দু–দুবার প্রেসিডেন্ট পদে ছিল। গোতাবায়া নিজে তখন মাহিন্দা সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিল। দুই ভাই-ই কট্টর সিংহলি জাতীয়তাবাদ এবং বিরুদ্ধমতের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক আচরণের নীতিতে বিশ্বাসী। তাঁরা কঠোরভাবে তামিলদের দমন করেছে। গোতাবায়া নির্বাচনের প্রচারণার সময় কথিত ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের কঠোর হাতে দমন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। ফলে মনে করা যেতে পারে, সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে অজানা আশঙ্কা তৈরি হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে। মোট জনগণের ১০ শতাংশ নাগরিক এই মুসলমানরা সেখানে এখন নিরাপদ বোধ করতে পারছে না। গোতাবায়া ৫২ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেও সেই ভোটের মধ্যে সংখ্যালঘুদের ভোট নেই বললেই চলে।

    শ্রীলঙ্কায় বরাবরই মুসলমানদের ‘কিং মেকার’ হিসেবে দেখে আসা হয়েছে। তাদের সমর্থনের ওপর প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফল অনেকাংশে নির্ভর করত। কিন্তু এবার সে চিত্র বদলে গেছে। ২০১৫ সালে মুসলমানরা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা তামিল ও সিংহলিদের জোটে যোগ দিয়েছিলেন এবং মাহিন্দা হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ বছর নির্বাচনে তারা সে ধরনের কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি এবং নতুন মন্ত্রিসভায় (আগামী জানুয়ারিতে যাঁরা শপথ নেবেন) তাদের একজন প্রতিনিধিও নেই। কিন্তু মন্ত্রিসভায় তাদের কোনো প্রতিনিধি না থাকাই বর্তমান আতঙ্কের একমাত্র কারণ নয়।

    টানা ১০ বছর ধরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এবং অত্যন্ত নির্মমভাবে তামিল বিদ্রোহীদের দমন করার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোতাবায়ার প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল জাতীয় নিরাপত্তা দেওয়া, বিশেষ করে ‘মুসলিম উগ্রবাদ’ দমন করা। এ কারণে মানবাধিকার কর্মীদের আশঙ্কা, গোতাবায়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে মুসলমানদের দমনপীড়নের যে অভিযোগ উঠেছিল, সে অবস্থা আবার ফিরে আসতে পারে।

    গত ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় গির্জায় বোমা হামলায় আড়াই শর বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনার ওপর ভর করেই গোতাবায়া তাঁর নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে। এরপরই সংখ্যাগুরু সিংহলি বৌদ্ধরা মুসলমানদের ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে। তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক প্রচার চালাতে শুরু করে। নির্বাচনের আগে সেই প্রচার তুঙ্গে ওঠে। কুরুনেগালা, কুলিয়াপিটিয়া, মিনুয়ানগোড়াসহ বেশ কিছু এলাকায় তাদের হামলায় মুসলমানরা হতাহত হয়। ৩০টির বেশি মসজিদ-মাদ্রাসা, ৫০টির মতো মুসলমানের মালিকানাধীন দোকান ও শতাধিক বাড়িঘরে সিংহলি বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। বেনেরাবল রত্নাহিমি এবং গালাবোড়া গানাসারার মতো নেতৃস্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মগুরু ওই সময় মুসলিমদের বিরুদ্ধে জনতাকে খেপিয়ে তুলতে উসকানি দিয়েছে। তাঁরা মুসলমানদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে তুলে ধরেছে এবং এই প্রচারের পুরো সুফল পেয়েছে গোতাবায়া। সে নির্বাচনী ইশতেহারে জাতীয় নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে এবং ভোটাররা সেই আশ্বাসের ওপর বিশ্বাস রেখে তাঁকে ভোট দিয়েছে।

    এই চাপা উত্তেজনা ও আতঙ্ক আসলে আজকের নয়। এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বহু আগে শ্রীলঙ্কায় বাণিজ্য করতে আসা মুসলমানরা ব্যবসা–বাণিজ্যে এগিয়ে থাকার কারণে সিংহলিরা তাদের ঈর্ষার চোখে দেখে। এই ঈর্ষা থেকে তাদের মধ্যে প্রথম থেকেই শত্রুতামূলক মনোভাব রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ইস্টার সানডে হামলার আগেই বহুবার সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়েছে। সিংহলিরা সংখ্যাগুরু হওয়ার পরও তাদের মধ্যে এ ধরনের ভীতি আছে। তামিলরা চরমভাবে কোণঠাসা হলেও সিংহলিরা মনে করে, যেহেতু প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৭ কোটি তামিল আছে এবং মুসলমানদের সঙ্গে তামিলদের সম্পর্ক ভালো, সেহেতু তামিলদের সঙ্গে মুসলমানদের এককাট্টা হওয়া তাদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিতে পারে। এ কারণেও মুসলমানদের প্রতি তারা সহিংস মনোভাব রাখে। সিংহলিদের এ মনোভাবকে অনেক রাজনৈতিক নেতাই কাজে লাগাতে চায়।

    ২০০৯ সালে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরাজিত করতে মাহিন্দা রক্তক্ষয়ী অভিযান চালান এবং এরপর প্রতিরক্ষা খাতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় বাড়ায়। এতে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায় এবং মাহিন্দা সরকারের জনপ্রিয়তা কমে যায়। ওই সময় মাহিন্দা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে একমাত্র উপায় ছিল উগ্র বৌদ্ধ গ্রুপ বদু বালা সেনা এবং রাবণ বলয়ের মতো সংগঠন। মুসলমানদের শত্রু হিসেবে দেখা এই সংগঠনগুলো মাহিন্দার পাশে দাঁড়ায় এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধিকে ন্যায্যতা দিতে তারা প্রচার চালায়। ফলে তাদের কাছে রাজাপক্ষেদের ঋণ রয়ে গেছে। এবার মুসলমানদের দমনপীড়ন করে তাঁরা সেই ঋণ শোধ করবেন কি না, সেটাই সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রধান চিন্তার বিষয়।

    আল–জাজিরা থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনূদিত


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/24/28928/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত কি স্রেফ উর্ধ্বতনদের রক্ষার হাতিয়ার?


    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক দুটি ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি দুর্ঘটনা ছিল দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষে ১৬ জন মারা যায়। আরেকটি সংঘর্ষে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে বেশ কয়েকটি বগিতে আগুন ধরে যায়।

    এই দুটি ঘটনা কীভাবে হল তা খতিয়ে দেখতে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    বাংলাদেশে সব ট্রেন দুর্ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হয় এর কারণ খতিয়ে দেখার জন্য।

    কিন্তু এর মধ্যে কতগুলোর প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে?

    কথিত রেলমন্ত্রী বলছে গাফিলতি, বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

    একটি তদন্ত রিপোর্ট

    ট্রেন দুর্ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি করার কথা শোনা যায়, যেমনটি দেখা গেছে সাম্প্রতিক দুটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে।

    কিন্তু তদন্তের পর কী হল সেটা অনেকের কাছে অজানা থাকে।

    এসব তদন্তের প্রতিবেদন এবং এর প্রেক্ষিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হল সেটা অনেকটাই গোপন থাকে।

    বিবিসির কাছে রেলওয়ে বিভাগের করা একটি প্রতিবেদন রয়েছে যেখানে ঢাকা বিভাগে ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের ১৬টি দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে।

    যেখানে ঘটনার তারিখ, স্টেশন, ট্রেন নম্বর, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ,দায়ী কর্মচারী/বিভাগ ও শাস্তির বিবরণ দেয়া হয়েছে।

    ১৬টি দুর্ঘটনার শাস্তির বিবরণে লেখা রয়েছে:

    ৮ জনকে তিরস্কার করা হয়েছে,৩ জনকে সতর্ক, ৪ জনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা প্রক্রিয়াধীন ৩টি ঘটনায় কেউ দায়ী নয,় ১৮ জনের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন ৪৫০ টাকা বেতন কাটা থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের বেতন কেটে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    এই প্রতিবেদনে যাদের শাস্তির তালিকায় আনা হয়েছে তারা ট্রেনচালক, সিগনাল-ম্যান, গার্ড এই ধরণের কর্মচারীদের নাম রয়েছে।

    রেল-বিভাগের এই ধরনের তদন্ত প্রতিবেদন সাধারণত জনসমক্ষে আসে না।

    তবে রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটিগুলো এমনভাবে গঠন করা হয় যাতে করে এই কমিটিতে যারা থাকে তারা তদন্তে একেবারে নিচের পর্যায়ের ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করতে পারে।

    এর ফলে উপরের পর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা রয়েছেন,যারা নিয়োগ বা প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে তারা সবসময় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়।

    কী ব্যবস্থা নেয়া হয়:

    রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামছুজ্জামানের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আপনারা কী ব্যবস্থা নেন?

    উত্তর: ‘তদন্তের আগেই আমরা বুঝতে পারি কাদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সেসব কর্মচারীকে আমরা প্রত্যাহার করি বা সাময়িক বরখাস্ত করি। কারণ আমরা মনে করি সেই মুহূর্তে তাদের যদি আমরা সার্ভিসে রাখি তাহলে আরো দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তদন্তের পর যদি দেখি তারা দোষী না, তাদের আমরা পুনর্বহাল করি। আর যারা দোষী সাব্যস্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়’।

    প্রশ্ন: কী ধরণের শাস্তি দেয়া হয়?

    উত্তর:ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা এবং দায়-দায়িত্ব বিবেচনায় আমরা পেনাল্টি ইমপোজ করি। আমরা বদলি করা, পদাবনত করা, চাকরীচ্যুতও করি।

    প্রশ্ন: কিন্তু একটা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তিরস্কার বা সতর্ক করা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বলতে আপনারা কি করেন?

    উত্তর: ২০১৬তে আমরা দুইজনকে চাকরীচ্যুত করেছি। তারা এখনো চাকরি পায়নি। ২০১৭তে আমরা চাকরীচ্যুত করেছি দোষী কয়েকজনকে।

    ক্ষতিপূরণ:

    ২০১৮ সালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের রাসেল আহমেদ – ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনি ট্রেনে দুর্ঘটনায় পড়েন।

    সেই দুর্ঘটনায় মি. আহমেদ পায়ে আঘাত পান। চিকিৎসার এক পর্যায়ে তার পা কেটে ফেলে দিতে হয়।

    রাসেল আহমেদের ভাই রুহেল আহমেদ বলছিলেন, একজন কর্মক্ষম মানুষ যখন বেকার হয়ে পড়ে তখন তার এবং পুরো পরিবারের জন্য বিষয়টা দুর্বিষহ হয়ে পরে।

    তিনি বলছিলেন “আমরা ক্ষতিপূরণ পাইনি। আমরা জানি না ক্ষতিপূরণ কীভাবে পেতে হয়। তবে আমরাও চাইনি। কারণ ক্ষতিপূরণ নেয়ার চেয়ে রেলের যারা এই দুর্ঘটনার সাথে দায়ী তাদের শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই। আমরা মনে করি এটা করলে আরো দশটা মানুষের জীবন বাঁচবে”।

    বাংলাদেশের রেলের যে আইন রয়েছে সেটা বহু পুরনো ১৮৯০ সালের।

    সেখানে দুর্ঘটনায় হতহতদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ হাজার টাকা দেয়ার নিয়মের কথা বলা হয়েছে।

    বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছিলেন রেলের মহাপরিচালকের সাথে।

    মি. শামছুজ্জামান বলেছে এই নিয়মটা পরিবর্তন করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন তারা। সেটা এখন সংসদের এখতিয়ারে রয়েছে।

    দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান:

    বাংলাদেশ রেল বিভাগ বলছে ২০১৪সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ এর জুন পর্যন্ত গত ৫ বছর দুর্ঘটনা হয়েছে ৮৬৮টা।

    এই দুর্ঘটনাগুলোতে ১১১ জন নিহত এবং আহত হয়েছে ২৯৮জন।

    তবে সম্প্রতি দুটো দুর্ঘটনা ধরলে এই সংখ্যা আসে ৮৭০টা।

    এই দুর্ঘটনাগুলোতে ১২৭ জন নিহত এবং আহত হয়েছে তিনশর অধিক।

    ২০১০ সালের ৮ই ডিসেম্বর। বিকাল চারটার সময় মহানগর গোধুলী এবং চট্টলা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয় নরসিংদীতে।

    দুর্ঘটনায় ১৪জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।

    সেই দুর্ঘটনার কারণ, এবং কারা দায়ী সেটা অনুসন্ধানে কাজ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিডেন্ট এন্ড রিসার্চ ইন্সটিউটের একদল গবেষক শিক্ষক।

    তাদের একজন কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ সেই তদন্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত একটা কপি দেখিয়ে বলছিলেন, সেই ঘটনার প্রতিবেদন তারা রেল বিভাগে জমা দিয়েছিলেন।

    কিন্তু যেসব, কারণ, সুপারিশ এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা তারা বলেছিলেন তার কোনটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি।

    তিনি বলছিলেন, “২০১০ সালে আমরা দুর্ঘটনা এড়ানোর যে কারণগুলো উল্লেখ করেছিলাম তার কোনটাই নেয়া হয়নি। একটা বড় বিষয় ছিল ‘ডেড ম্যান প্যাডেল’, যেটা চালককে পা দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি বেশিরভাগ ট্রেনে এটা অকার্যকর। ২০১০ এ এটা ফেল করার কারণে দুর্ঘটনা হয়। একই কারণে আমরা দেখলাম ২০১৯ সালে ১২ নভেম্বর দুর্ঘটনা হল”।

    এ বছরের জুনের ২৪ তারিখে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়।

    সেই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন সিলেটের ওসমানী মেডিকেলের নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী ফাহমিদা ইয়াসমিন ইভা।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/24/28934/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      তাস খেলার জেরে সন্ত্রাসী আ’লীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ, আহত ২৫


      ভোলার রাজাপুর ও পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন সীমানায় রোদেরহাটে জুয়া (তাস) খেলাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।

      শনিবার এই সংঘর্ষে এক গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলে রাজাপুর ৫ নং ওয়ার্ড সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে ছিল পশ্চিম ইলিশা ৫ নং ওয়ার্ড সন্ত্রাসী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন বেপারী ও তার চাচা সফিকুল ইসলাম সফি বেপারী। আহতদের ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

      ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিন্দু রতন কুমার জানায়, সংঘর্ষের খবরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। উভয় পক্ষই লাঠিসোটা ও দেশীয় দা ব্যবহার করে। খবরঃ যুগান্তর

      রাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান জানায়, ৩ দিন আগে খালেকের ভাই হারুন ও মামুনের ভাই শরীফের তাস খেলা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। ওই সময় হারুনকে মারধর করা হয়। হারুন ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এ বিষয়ে সকালে উভয় পক্ষকে ডাকা হয়।

      বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে ইউপি চেয়ারম্যান বৈঠকস্থল ত্যাগ করতেই ফের খালেকের পক্ষে ফারুক ও মামুন গ্রুপের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।শনিবারের হামলা প্রথমে শুরু করে মামুন গ্রুপ। পরে পাল্টা হামলা করে খালেক গ্রুপ। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

      মামুন দাবি করে, তাদের ১৫ জন আহত হয়। অপরদিকে খালেক দাবি করে, তাদের ১২-১৩ জন আহত হয়েছে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/24/28931/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বাংলাদেশে ভারতীয় মুসলিমদের অনুপ্রবেশ’ : সীমান্তে অপেক্ষমান অসংখ্য নারী-পুরুষ


        ভারত সরকার আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশ করার পর থেকে ভয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অনেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে।

        সন্ত্রাসী বিজিবি ও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

        সীমান্তের এখনও অপেক্ষমাণ আরও অসংখ্য নারী-পুরুষ। তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে সুযোগের অপেক্ষায় আছে।

        প্রসঙ্গত, ভারতের আসামে গত (৩১ আগস্ট) এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়। এতে ঠাঁই পাইনি ১৯ লাখের বেশি মানুষ। তালিকা প্রকাশের পর বিশাল সংখ্যক মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এ নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একাধিকবার আশ্বস্ত করে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

        এদিকে গত দুই সপ্তাহে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় ২১৪ জনকে আটক করেছে সন্ত্রাসী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর মধ্যে গত দুই দিনে আটক হয়েছে ১১ জন। আটকদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ জন শিশু।

        জানাগেছে, ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহেশপুর উপজেলা প্রশাসন।

        সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পরিষদগুলোর (ইউপি) চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটি সীমান্ত এলাকায় অপরিচিত কোনো ব্যক্তি দেখলেই নিকটবর্তী বিজিবির সদস্যদের কাছে খবর পৌঁছে দেবে।

        সীমান্তবর্তি এলাকার মানুষ জানান, ভারত থেকে সবসময়ই মানুষ আসে। মাঝরাত ও সকালের দিকে বেশি লোক ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে ইছামতি নদী পার হয়ে কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়ে। তবে বিকেলের দিকেও মাঝে মধ্যে লোক আসে। বিজিবি যে পাশে থাকে বিপরীত পাশ দিয়ে তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পার হয়ে লোক ঢুকে পড়ে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/24/28925/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          অন্যের জমির ধান কেটে রসুন বুনেছে নারী ইউপি সদস্য


          নাটোরের গুরুদাসপুরে কৃষকের জমির ধান কেটে রসুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রাহিমা বেগম উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য।

          ভুক্তভোগী কৃষক মো. খলিল শেখ কালের কণ্ঠকে বলেন, ৩০ বছর ধরে খামারপাথুরিয়া গ্রামের ১৫ কাঠা জমি ভোগ করছি। কিন্তু গত এক বছর ধরে রাহিমা বেগমের শ্বশুর ফালু শেখ জমিতে চাষাবাদ শুরু করে। উচ্চ আদালতে মামলা থাকলেও রাহিমা বেগমের নির্দেশে ফালু শেখ ও তার সহযোগীরা আমাদের জমি দখল করেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় ফালু শেখসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা এখনো চলমান রয়েছে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/24/28922/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বহু দিন ধরে উইপোকা খেয়ে গেলে যা হয়। বাঙ্গালী মুসলিমদের অবস্থা তাই মনে হচ্ছে। এই কুফরি তন্ত্র আমাদেরকে ধংস করে দিচ্ছে।
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #7
              এই কুফরী শাসনব্যবস্থায় শোষণের শেষ কোথায়? জানি শেষ নেই। কারণ, এখানে শাসকশ্রেণীরাই লাভবান আর জনগণ কেবলই শোষিত হয়েই যাবে...!! তাই ইসালামী খেলাফত তথা শাসনব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই।
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment

              Working...
              X