Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ # ১৩ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১১ই ডিসেম্বর, নভেম্বর ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ # ১৩ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১১ই ডিসেম্বর, নভেম্বর ২০১৯ ঈসায়ী।

    সোমালিয় মুরতাদ বাহিনীর একটি কমপ্লেক্সে আল-কায়েদার হামলা, হতাহত ৭৭ এরও অধিক মুরতাদ সদস্য!


    সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের নিকটে এই হামলার ঘটনা ঘটে, যাতে ২৫ এরও অধিক মুরতাদ নিহত এবং ৩৯ এরও অধিক আহত হয়েছে।

    আল-কায়েদা সোমালিয়ান শাখা হারাকাতুশ শাবাব
    মুজাহিদিন এর "প্রেস অফিস" গত মঙ্গলবার রাজধানী মোগাদিসুতে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের নিকটে সরকারী হোটেল "এসওয়াইএল" -এ আল-কায়েদা যোদ্ধাদের আক্রমণ সম্পর্কিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

    উক্ত বিবৃতিটি আরবি অনুবাদ করে প্রকাশ করেছে হারাকাতুশ শাবাব এর সহকারী "শাহাদাহ" সংবাদ সংস্থা।

    হারাকাতুশ শাবাব এর সম্মানিত মুখপাত্র "শেখ আবদেল আজিজ আবী মুসআব" হাফিজাহুল্লাহ্ এর স্বাক্ষরিত উক্তি বিবৃতিটিতে বলা হয়- গত মঙ্গলবার সন্ধ্যারত ৬:৪০ মিনিটের সময় রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের নিকটে অবস্থিত সরকারি একটি কমপ্লেক্সে মুজাহিদিনরা হামলা চালান। প্রথমে কমপ্লেক্সের প্রবেশপথে মুরতাদ রক্ষীদের হত্যা করা হয়। তারপরে এক মুহুর্তেই মুজাহিদিনরা কমপ্লেক্সের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সরকারী কর্মকর্তাদের অনুসরণ করতে করতে উপরের তলায় পৌঁছে যান।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: "ধর্মত্যাগী মিলিশিয়ারা মুজাহিদদের হামলা বন্ধ করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়।

    হামলার ফলাফল সম্পর্কে বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে: “কমপ্লেক্সটিতে দীর্ঘ ৮ ঘন্টা মুজাহিদদের অব্যাহত
    অভিযানের ফলে উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, পুলিশ অফিসার, রাষ্ট্রপতি গার্ড, সরকারী কর্মচারী এবং গোপন গোয়েন্দা এজেন্টসহ ২৫ এরও বেশি মুরতাদ সদস্য মারা যায়। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সদস্য মুরতাদ তুর্কি মিলিশিয়ায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল।

    কমপিউন্ডে অভিযান শেষ করে ফেরার পথে মুজাহিদিনরা আরও ১৩ মুরতাদ সদস্যকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিল।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: "হামলায় কমপক্ষে 39 শত্রু আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী, সরকারি প্রতিনিধি এবং সাসরিক বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

    উপসংহারে বিবৃতিতে বলা হয়েছে: "সোমালিয়া ও মুসলিম ভূমিগুলো ক্রুসেডারদের দখল থেকে মুক্ত না হওয়া এবং ইসলামী শরিয়া সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ না করা পর্যন্ত মুজাহিদিনরা ধর্মত্যাগ (মুরতাত) ও তাদের কাফের মিত্রদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।"

    পরিবর্তে, স্থানীয় সূত্রগুলি নিশ্চিত করেছে যে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের নিকটে সরকারী হোটেল "এসওয়াইএল" -এ মুজাহিদদের হামলার সময় ২৫ মুরতাদ সদস্য নিহত হয়েছিল, তাদের মধ্যে সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আদালতের বিচারক আবদেল কাদের, ওমর আবদেল, কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান সংসদ সদস্য, সোমালিয়ার পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা, "ফুয়াদ আগাস ইয়াকুব" সমুদ্র বন্দরের মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা "আবদুল গণি ওমর মাহমুদ", রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ বাহিনীর সেনাপতি "মাহমুদ ইসমাইল মফক" এবং বিশেষ পুলিশ হিসাবে পরিচিত হারারাড এর "লিবিয়ান নূর" এবং সুরক্ষা ও গোয়েন্দা পরিষেবা ওয়াইয়ের এক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের পাহারা দায়িত্বরত মুরতাদ সদস্য ছাড়াও আরো অনেক সামরিক বাহিনীর সদস্য রয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী “আবদুল কাদির আলী ওমর” এবং “মাহমুদ আলী মুকান” সোমালি সংসদের সদস্য “জিসাদি” সহ 39 জন আহত হয়েছে।

    এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও হারাকাতুশ শাবাব সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্গে তাদের লক্ষ্যবস্তু করার ক্ষমতা এবং রাজধানীর সুরক্ষা দৃশ্যের উপর তাদের অবিচ্ছিন্ন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    আর এটি দেশটির মুরতাদ ও আমেরিকান নীতির ব্যর্থতাও নিশ্চিত করে, কেননা তারা রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে মুজাহিদদের আক্রমণ চালানো থেকে নিজেদেরকে রাক্ষা করতে পারে নি।

    লক্ষণীয় বিষয় যে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের মিডিয়া শাখা "কাতাইব ফাউন্ডেশন" এর আগে "কুফ্ফার লিড়ারদের বিরুদ্ধে লড়াই 3" শীর্ষক একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, এতে সরকারী হোটেলগুলিকে টার্গেট করার কৌশলটি স্পষ্ট করা হয়েছে, এবং তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্যবস্তু রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তথাপিও এই কুফ্ফার বাহিনী মুজাহিদদের হামলা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারেনি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/11/29600/
    Last edited by Al-Firdaws News; 12-12-2019, 02:45 PM. Reason: মুজাহিদীন নিউজ # ১৩ই রাবিউস-সানি ১
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সিরিয়ার আলেপ্পো সিটিতে কুখ্যাত নুসাইরী বাহিনীর উপর আল-কায়েদার হামলা!


    আল-কায়দার সিরিয়ান ভিত্তিক শাখা তানযিম "হুররাস আদ-দ্বীন" এর নেতৃত্বাধীন "ওয়া হাররিদীল মু'মিনীন" অপারেশন রুমের মুজাহিদগণ গত ৫ ডিসেম্বর সিরিয়ার আলেপ্পো সিটিতে পৃথক দুটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন।

    যার মাঝে তাদের একটি অভিযান পরিচালিত হয় আলেপ্পো সিটির "তিল-আলুশ" এলাকায়।

    এখানে মুজাহিদগণ ভারী অস্ত্র দ্বারা কুখ্যাত নুসাইরী শিয়া/মুরতাদ বাহিনীর উপর তীব্র হামলা চালান, যার ফলে কতক মুরতাদ সেনা হতাহতের শিকার হয়।

    এমনিভাবে ঐদিন আলেপ্পো সিটির "হারিশাহ" এলাকাতেও কুখ্যাত নুসাইরী শিয়া/মুরতাদ বাহিনীর অবস্থানে রকেট হামলা চালান আল-কায়েদার জানবায মুজাহিদগণ।

    আলহামদুলিল্লাহ্, এখানেও মুজাহিদদের রকেট হামলায় কুখ্যাত নুসাইরী শিয়া/মুরতাদ বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/11/29562/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইদলিব ও লাতাকিয়াতে আল-কায়েদার হামলা, উচ্চপদস্থ এক কমান্ডারসহ অনেক মুরতাদ সেনা হতাহত!


      সিরিয়ান ভিত্তিক আল-কায়েদা শাখা তানযিম "হুররাস আদ-দ্বীন" এর দ্বারা পরিচালিত "ওয়া হাররিদীল মু'মিনীন" অপারেশন রুমের মুজাহিদগণ গত ৬ ডিসেম্বর সিরিয়ার ইদলিব সিটির "উম্মুত-তাইনাহ" গ্রামে কুখ্যাত নুসাইরী মুরতাদ বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কমান্ডারকে টার্গেট করে সফল স্নাপার হামলা চালান।

      যার ফলে ঘটনাস্থলেই উক্ত নুসাইরী মুরতাদ বাহিনীর কমান্ডার নিহত হয়। আলহামদুলিল্লাহ্।

      একই দিনে সিরিয়ার লাতাকিয়া সিটিতেও পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে আল-কায়েদার নেতৃত্বাধীন "ওয়া হাররিদীল মু'মিনীন" অপারেশন রুমের মুজাহিদগণ।

      মুজাহিদগণ লাতাকিয়াতে তাদের অভিযান দুটি পরিচালনা করেন "তিল্লাতুল বুরকান" ও "কাতফু-হুসুন" নামক দুটি গ্রামে। এই অভিযান দুটিতে মুজাহিদগণ কুখ্যাত নুসাইরী মুরতাদ বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে তীব্র রকেট হামলা চালান। যাতে অনেক নুসাইরী মুরতাদ সেনা হতাহতের শিকার হয়।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/11/29559/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হামা সিটিতে আল-কায়েদার রকেট ও স্নাইপার হামলা, নিহত ১ সেনাসহ আরো কতক সেনা হতাহত!


        জিহাদের পবিত্র ভূমি সিরিয়ায় চলছে কুফর ও ইসলামের মধ্যকার এক দীর্ঘ সময়ের লড়াই। এই লড়াইয়ের এক প্রান্তে রয়েছে জুন্দুল্লাহ (আল্লাহর বাহিনী) অন্য প্রান্তে রয়েছে জুন্দুশ শয়তান (শয়তানের বাহিনী)।

        সিরিয়ায় চলমান এই রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে কুফ্ফার বাহিনীর বিরুদ্ধ আল্লাহর মুষ্টিযোদ্ধা তানযিম হুররাস আদ-দ্বীন (AQ) প্রাণপন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

        এরি ধারাবাহিকতায় গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার হামা সিটির "সাহলুল-ঘাব" অঞ্চলে কুখ্যাত নুসাইরী বাহিনীকে টার্গেট করে স্নাইপার হামলা আল-কায়েদার জানবায মুজাহিদগণ। যাতে মুরতাদ বাহিনীর ১ সদস্য নিহত হয়।

        একই দিনে হামা সিটির "মাবাকার" এলাকাতেও কুখ্যাত নুসাইরী বাহিনীর উপর রকেট হামলা চালান আল-কায়েদার জানবায আল্লাহ ভীরু মুজাহিদগণ। যাতে কতক মুরতাদ সেনা হতাহতের শিকার হয়।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/11/29556/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হুররাস আদ-দ্বীন: আল-কায়েদার সিরিয়ান শাখা



          সিরিয়ার জিহাদে ফেতনার ছড়াছড়িতে মুজাহিদীনের মাঝে বার বার বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। তবে, মহান রব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানিতে সিরিয়াকে কুফফার বাহিনীর কবল থেকে উদ্ধারের জন্য এখনো সেখানে জিহাদ চলমান রেখেছেন হক্বপন্থী মুজাহিদ সংগঠনগুলো। তেমনই একটি সংগঠন হলো আল-কায়েদার নবগঠিত সিরিয়ান শাখা তানযিম হুররাস আদ-দ্বীন। এ দলটি সিরিয়ার জিহাদকে ফেতনামুক্ত রেখে জিহাদী দলগুলোর ঐক্যগঠনে যেমন ভূমিকা পালন করছে, তেমনি অন্যান্য হক্বপন্থী জিহাদী দলগুলোর সাথে মিলে কাফের বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। আর তাই, সিরিয়ায় কাফের বাহিনীর প্রধান আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তানযিম হুররাস আদ-দ্বীন। দলটির নেতাদের ধরিয়ে দিতে কাফেররা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে, পাশাপাশি দলটির উপর বিমান হামলা চালানোরও চক্রান্ত করছে তারা। আল্লাহ মুজাহিদীনকে হেফাজত করুন, সাহায্য করুন।

          এ বিষয়গুলো নিয়ে ২০১৯ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর ‘দ্য ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট’-এর ওয়েবসাইটে এ*্যারন ওয়াই.জেলিন নামের এক গবেষকের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। *প্রতিবেদনটি উপকারী বিবেচনায় আমরা সেটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছি এবং বাংলাভাষী পাঠকদের সুবিধার্থে নিচে সেটি হুবহু পেশ করছি।

          যদিও অপারেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে হুররাস আদ-দ্বীন এখনো তার শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর উপর নির্ভরশীল, তবুও উদীয়মান সংগঠনটি ইদলিব প্রদেশে তাদের উপস্থিতি জোরদার করে চলছে; অন্যান্য দলসমূহকে নিজেদের পতাকাতলে ভেড়ানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি ভবিষ্যত বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিতে কার্যকরীভাবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করছে; জোরালোভাবে নিজেদেরকে সামনের কাতারে নিয়ে আসছে।

          কয়েকসপ্তাহ পূর্বে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুররাস আদ-দ্বীনকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং এর তিনজন নেতাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে। হুররাস আদ-দ্বীন সিরিয়ায় আল-কায়েদার অফিসিয়াল শাখা। হাইআতু তাহরীর আশ-শাম প্রকাশ্যে নিজেদেরকে তাদের মূল অভিভাবক সংগঠন আল-কায়েদা থেকে গুটিয়ে নেয়ার পর, হুররাস আদ-দ্বীন উক্ত অবস্থান দখল করেছে।* এদিকে গত আগস্টে প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামপন্থীরা হুররাস আদ-দ্বীনের সিনিয়র নেতা আবু খালেদ আল মুহান্দিস (ওরফে সুহাইব)-কে হত্যা করে।

          এ পর্যায়ে খুবই জরুরি বিষয় হচ্ছে- হাইআতু তাহরীর আশ-শামের সাথে সংগঠনটির আদর্শিক দ্বন্দ্ব খুঁজে বের করা এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এর (হুররাস আদ-দ্বীন) সদস্যরা আসলে কী করছে তা অনুসন্ধান করা। যদি আসাদ সরকার ইদলিবে হামলা করার বা তা পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে হুররাস আদ-দ্বীন এ থেকে ফায়দা লুটতে পারবে। আসাদ সরকার এ ধরনের (ইদলিবে হামলা বা দখল) কিছু করলে তারা যৌক্তিকভাবে দাবি করতে পারবে যে,* প্রতিদ্বন্দ্বীরা ব্যর্থ হয়েছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ব্যর্থ হয়েছে অঞ্চলটিতে দখল বজায় রাখতে; হাইআতু তাহরীর আশ-শাম ব্যর্থ হয়েছে তুরস্কের সাথে সাময়িক শান্তি চুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে। এভাবে তারা সিরিয়ার অপরাপর জিহাদি সংগঠনগুলোকে নিজেদের দলে ভেড়াতে এবং ভবিষ্যত বিদ্রোহের নেতৃত্ব গ্রহণে সক্ষম হবে।

          যৌথ সামরিক অভিযান

          হাইআতু তাহরীর আশ-শাম আল কায়েদা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর 2018 সালের ফেব্রুয়ারীতে হুররাস আদ-দ্বীন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সেই থেকে সংগঠনটি এর প্রধান নেতা খালেদ আল আরুরী ওরফে আবুল কাসেম আল উরদুনী এবং শূরা* সদস্যদের পরামর্শক্রমে পরিচালিত হচ্ছে। শূরা সদস্যদের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন: সামির হিজাজী ওরফে আবু হামাম আল শামী ওরফে ফারুক আল সূরী, সামী আল উরাইদী ওরফে আবু মোহাম্মদ আল শামী, বেলাল খুরাইসাত ওরফে আবু হুযায়ফা আল উরদুনী, ফারাজ আহমদ নানা এবং আবু আবদুল করিম আল-মাসরী।

          দলটি তার প্রতিষ্ঠালগ্নে মুসলিমদের অবশিষ্ট ঘাঁটির সুরক্ষায় সকল দল ও উপদলগুলোকে নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়। তাদের ঐক্যের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্তত ষোলোটি দল হুররাসুদ দ্বীনের সাথে জোটবদ্ধ হয়। দলগুলো হল:

          ১/জায়শুল মালাহিম

          ২/জায়শুস সাহিল

          ৩/ জায়শুল বাদিয়া

          ৪/ সারিয়*্যা কাবুল

          ৫/ সারিয়*্যা আল গূতা

          ৬/ কাতিবাতু আবু বকর সিদ্দিক

          ৭/ কাতিবাতু আবী উবায়দা ইবনে জাররাহ

          ৮/ সারিয়্যা আল গুরাবা

          ৯/ কাকিবাতু বদর

          ১০/ সারিয়*্যা সাহিল

          ১১/ সারিয়্যা আব্দুর রহমান বিন আউফ

          ১২/ কাতাঈবু জুনদিশ শাম

          ১৩/ কাতাঈবু ফুরসানিল ঈমান

          ১৪/ কুওয়াতুন নুখবাহ

          ১৫/ মাজমূআতু আব্দুল্লাহ আযযাম

          ১৬/ কাতিবাতু উসদিত তাওহীদ।

          ঐক্যের এই বিষয়টিকে হুররাস আদ-দ্বীন পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ব্যাপকভাবে প্রচার করে। এর পেছনে তাঁদের লক্ষ্য এই ছিল যে, মানুষ বুঝবে সংগঠনটি নিঃসঙ্গ নয়। এর প্রতি স্থানীয় দলগুলোর সমর্থন রয়েছে। সেই থেকে তাঁরা যোদ্ধাদের জন্য কমপক্ষে চারটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালু করেন।

          তাঁদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে একাধিক যুদ্ধসংঘ গঠন করেন। প্রথমবারের মত ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে হুররাস আদ-দ্বীন এবং আনসারুত তাওহীদ মিলে হিলফু নুসরাতিল ইসলাম নামে একটি যুদ্ধসংঘ গঠন করেন। তেমনি ২০১৮ সালের অক্টোবরে* গঠিত হয় ‘ওয়া হাররিদ্বিল মুমিনীন অপারেশন রুম’। এই সংঘের মধ্যে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জাবহাতু আনসারুদ দ্বীন এবং জামায়াতু আনসারুল ইসলাম নামে পরিচিত ছোট দুটি দলও ছিল।

          হুররাস আদ-দ্বীন এককভাবে এবং জোটবদ্ধভাবে (২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট 200 হামলার দায় স্বীকার করে। এই হামলাগুলো হয়েছে বিভিন্ন পল্লী এলাকায় ও ছোট ছোট শহরে। এর মধ্যে আলেপ্পো প্রদেশে বারোটি, হামা প্রদেশে ষোলোটি, ইদলিবে সাতটি এবং* লাতাকিয়া প্রদেশের পনেরোটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এসব হামলার কমপক্ষে তিনটি হামলা পরিচালিত হয়েছে হুররাস আদ-দ্বীন ও হাইআতু তাহরীর আশ-শামের যৌথ অংশগ্রহণে। এ থেকে বোঝা যায় যে, দল দুটির সম্পর্ক যতটা অম্লমধুর বা বৈরী মনে করা হয় তারা আসলে ততটা বৈরী নয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আবুল লাইস আল হাবিবি নামে পরিচিত হাইআতু তাহরীর আশ-শামের একজন যোদ্ধা ব্রিটিশ ডক্টরাল স্টুডেন্ট আইনান তামীমীর* সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, হুররাসুদ দ্বীনের খাদ্য ও গোলাবারূদের সম্পূর্ণ যোগান দেয় হাইআতু তাহরীর আশ-শাম।* ২০১৯ এর জুলাইয়ে জার্মান বংশোদ্ভূত হুররাস আদ-দ্বীনের একজন যোদ্ধা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের সমস্যা কেবল হাইআতু তাহরীর আশ-শামের নেতাদের সাথে। দুই দলের সাধারণ যোদ্ধাদের মাঝে কোন মতবিরোধ নেই।

          [বি.দ্র: গত ৪ঠা ডিসেম্বরেও সিরিয়ার ইদলিবে হাইআতু তাহরির আশ-শামের মুজাহিদগণের সাথে মিলে *হুররাস আদ-দ্বীন নেতৃত্বাধীন ওয়া হাররিদ্বিল মু’মিনীন অপারেশন রুমের মুজাহিদগণ নুসাইরীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ করেছেন।- সম্পাদক]




          দাওয়াহ, হিসবাহ এবং ফান্ড সংগ্ৰহ

          সামরিক তৎপরতার পাশাপাশি সংগঠনটি ইদলিব প্রদেশের বিভিন্ন অংশে জোরালোভাবে তাদের মতাদর্শ প্রচার করছে। দুআতুত তাওহীদ আল দাআওয়ী সেন্টারের মাধ্যমে তাঁরা একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এর পরিচালনায় রয়েছেন উসামা আল শাওকানী। এই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন: হুরায়রা আল শামী, আবুল বারা আল মুহাজির ওরফে আল তিউনিসী, আবু আদনান আল শামী, আবু মোহাম্মদ আল শামী এবং আবু আব্দুর রহমান আল মাক্কী।

          এই প্রতিষ্ঠানের কর্মতৎপরতার কয়েকটি হচ্ছে: জুমার নামাজে সমবেত মানুষকে বোঝানো, যুবকদের মাঝে আলোচনা করা, সাধারণ মানুষের মাঝে দাওয়াতী কাজ করা, বিভিন্ন আলোচনা সভায় আলোচনা করা, দাওয়াহর উদ্দেশ্যে সফর করা, সভ্যতা ও সংস্কৃতি শিক্ষা দেওয়া, হাসপাতাল পরিদর্শন করা এবং অসুস্থদের খোঁজখবর নেওয়া। তেমনি এর সদস্যরা গাড়ীর চেকপয়েন্টে নিজেদের আদর্শ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করে থাকেন এবং তাঁদের মতাদর্শ ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে থাকেন।

          এই প্রতিষ্ঠান অনলাইনের সুবিধা নিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ইদলিব প্রদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে অনুরূপ একশত সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।* খুব সম্ভব আরো অনেক বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন তাঁরা করেছেন, তবে সেগুলো কেবল স্থানীয়ভাবে প্রচার করা হয়েছে।

          প্রতিষ্ঠানটি ৫ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য সাহল আল রৌজ এলাকায় একটি গ্রীষ্মকালীন স্কুল চালু করেছে। এর ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত খরচ প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে। এখানে আরবি ও ইংরেজি ভাষা এবং ধর্মীয় বিষয়াদি তথা কুরআন-হাদীস ও শরীআহ শিক্ষা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্রীড়া চর্চার ব্যবস্থা রয়েছে।

          হুররাস আদ-দ্বীন সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে বাধা দেয়ার জন্য স্বতন্ত্র একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি অন্যান্য কাজের পাশাপাশি হিসবাহ পেট্রোল তথা মানুষের নৈতিকতা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করেন এবং তা তদারকি করেন। স্কুল ছাত্রীদের মাঝে শরিয়াসম্মত শালীন পোষাক বিতরণ করেন।

          জাহ্হিযুনা ক্যাম্পেইনের আওতায় হুররাস আদ-দ্বীন এবং এর শাখা ওয়া হাররিদ্বিল মু’মিনীন অপারেশন রুম সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য স্থানীয়ভাবে এবং অনলাইনে ফান্ড সংগ্রহ করে থাকেন। এই ক্যাম্পেইনের মূলনীতিতে বলা হয়েছে "অর্থ জিহাদের মেরুদণ্ড। অর্থের অভাবে মুজাহিদীনের সক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে"। এই অর্থ অস্ত্রশস্ত্র (যেমন একে ৪৭, বুলেট, রকেট চালিত গ্ৰেনেড) খাদ্যদ্রব্য, জ্বালানী, আহত যোদ্ধাদের* চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে ব্যবহৃত হয়। এই ক্যাম্পেইন শুরু হয় মে মাসের মাঝের দিকে। তাঁরা নিজেদের সমর্থকদেরকে নিবেদিত টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে মেসেজ পাঠানোর দিকনির্দেশনা দেন এবং এসকল অ্যাকাউন্টে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা হয়। ফলে কেউ ফান্ড পাঠাতে চাইলে পাঠাতে পারেন। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সিস্টেমে ঢোকার কিছু পথ হুররাস আদ-দ্বীন কর্মকর্তাদের রয়েছে। সম্ভবত ফ্রন্ট অ্যাকাউন্টের মধ্য দিয়ে।

          ভবিষ্যত বিদ্রোহের অপেক্ষায়

          সামরিক ও সামাজিক এতসব তৎপরতা সত্ত্বেও ইদলিবে হুররাস আদ-দ্বীন সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী গ্রুপ নয়। এটি এখনো অনেকাংশে হাইআতু তাহরীর আশ-শামের ওপর নির্ভরশীল। যদি হুররাস আদ-দ্বীন লক্ষণীয়ভাবে শক্তি সঞ্চয় করে তাহলে হয়তো হাইআতু তাহরীর আশ-শাম নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে এবং একে দমন করতে হুররাস আদ-দ্বীনের নেতাদের গ্রেফতার করতে পারে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে স্থানীয়ভাবে বিকাশের সম্ভাবনা হুররাস আদ-দ্বীনের সামনে অনেকটা সীমিত। আল-কায়েদার সমর্থকদের সামনে সব সময় বড় একটি সমস্যা হচ্ছে, যখন তাঁরা বিস্তার লাভ করেন এবং জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন,তখন তাঁরা পড়ে যান উভয় সংকটে; তাঁরা তাঁদের মতাদর্শের উপর অবিচল থাকবেন নাকি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে প্রয়োগবাদী হবেন? এই উভয় সংকটের কারণে হাইআতু তাহরীর আশ-শাম নিজেদেরকে আল কায়েদা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। ফলশ্রুতিতে আল-কায়েদা নতুন সমর্থকগোষ্ঠী হিসেবে হুররাস আদ-দ্বীন গঠন করতে বাধ্য হয়েছে।

          এখন* মার্কিন নীতিনির্ধারকদেরকে ভেবে দেখতে হবে যে, হুররাস আদ-দ্বীনের এই সক্রিয়তা ও গতিশীলতা তাদেরকে আরো অধিক সংখ্যক অভ্যন্তরীণ হামলা চালাতে তাড়িত করবে কিনা। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনা সংস্থাকে সংগঠনটির তৎপরতা ও অপারেশনগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজন হলে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন সেনারা যেভাবে বিমান হামলা করেছে, তেমনি তাঁদের উপরও সুচিন্তিতভাবে বিমান হামলা চালাতে হবে। পাশাপাশি ওয়াশিংটনকে আসাদ সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর গতিবিধির ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। যদি এই দলগুলোর ইদলিব দখলের ভবিষ্যত কোনো পরিকল্পনা থাকে এবং ইদলিবের পতন হয় তাহলে হুররাস আদ-দ্বীন বিদ্রোহের নেতৃত্বে চলে আসতে পারে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/11/29541/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আফগান মুরতাদ বাহিনীর উপর তালেবান মুজাহিদদের হামলায় নিহত ৩৩, ট্যাংক ও সামরিকযান ধ্বংস ২৪টি!


            আল-ফাতাহ্ অপারেশনের ধারাবাহিকতায় ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জানবায তালেবান মুজাহিদীন গত মঙ্গলবার ও সোমবার আফগানিস্কানের হেরাত, হেলমান্দ ও কুন্দুজে বেশ কিছু সফল অভিযান চালিয়েছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-

            হেরাত প্রদেশের "পাশ্তোন" জেলায় মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযান। তালেবানদের পক্ষ হতে জানানো হয় যে, গত ৩দিন যাবত উক্ত জেলাটির "দাশ্তনিজো" এলাকায় আফগান মুরতাদ বিহিনীর সাথে তীব্র লড়াই চলছে। এখন পর্যন্ত তালেবান মুজাহিদদের সফল হামলায় মুরতাদ বাহিনীর ৪টি ট্যাংক, ৪টি সামরিকযান ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি ১০+ সেনা নিহত এবং ১৫ সেনা আহত হয়েছে। মুজাহিদগণ ২টি গাড়িসহ অনেক অস্ত্র গনিমত লাভ করেছেন।

            একই জেলার অন্য একটি স্থানে গত মঙ্গলবার রাতে আফগান মুরতাদ বাহিনীর একটি কাফেলার উপর হামলা চালানো শুরু করেন তালেবান মুজাহিদীন। হামলাটি ঐদিন সকাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এসময় তালেবান মুজাহিদদের হামলায় আফগান মুরতাদ বাহিনীর ৩টি ট্যাংক, ৩টি রেঞ্জার গাড়ি এবং মুরতাদ বাহিনীর মালামাল বাহনকারী ৬টি গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। যার ফলে ৪ মুরতাদ সেনা নিহত হয় আর বাকিরা পালিয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ্, মুজাহিদগণ ২টি ক্লাশিনকোভসহ অনেক যুদ্ধাস্ত্র গনিমত লাভ করেন।

            এদিকে হেলমান্দ প্রদেশের ৩টি স্থানে মঙ্গলবার তালেবান মুজাহিদদের পরিচালিত পৃথক তিনটি হামলায় আফগান মুরতাদ বাহিনীর ৩টি ট্যাংক ও ১টি সামরিকযান ধ্বংস হয়ে যায়। এসময় ৩ এরও অধিক মুরতাদ সেনা নিহত হয়।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/11/29540/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আফগানিস্তানে মার্কিন বাসভবনে বজ্রপাত, নিহত ৭ মার্কিন ক্রুসেডার!


              আফগানিস্তানে লক্ষ লক্ষ নিরাপরাধ মুসলিম হত্যাকান্ঠের নেতৃত্বদানকারী দখলদার ও ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসীদের উপর আসমানী গজব।

              আল-ইমারাহ সংবাদ সূত্রে জানা যায় যে, গত মঙ্গলবার ভোর সাতটার সময় আফগানিস্তানের রোজগান প্রদেশের "তিরিনকোট" শহরে অবস্থিত ক্রুসেডার ও দখলদার মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর বাসভবনের উপর বজ্রপাত হয়। উক্ত বজ্রপাতের ফলে ক্রুসেডারদের বাসভবনটি ধ্বংস হয়ে যায়। যাতে ৭ মার্কিন ক্রুসেডার সন্ত্রাসী সৈন্য নিহত হয়।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/11/29594/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ!
                আলহামদুলিল্লাহ, হৃদয় প্রশান্তকারী নিউজ।
                সকল ভাইদের পড়া উচিত।
                “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                Comment


                • #9
                  হুররাস আদ-দ্বীন: আল-কায়েদার সিরিয়ান শাখা
                  এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেল। সব ভাইদের পড়া দরকার বলে মনে করছি।
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    মুজাহিদদের সফল হামলার কথা শুনে অন্তর প্রশান্ত হয়ে যায় ৷
                    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                    Comment


                    • #11
                      এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনাটি আলাদা থ্রেডে প্রকাশ করলে মনে হয় ভালো হবে।
                      আর কেউ আবু মুহাম্মাদ আয-যুলানী হাফিযাহুল্লাহর কোনো আপডেট জানাতে পারবেন? কেননা উনার সম্পর্কে অনেকদিন হলো কোন নিউজ পাচ্ছিনা।

                      Comment


                      • #12
                        লিল্লাহে তাকবীর... আল্লাহু আকবার..!!!
                        কুফ্ফার বাহিনীর উপর মুজাহিদীন ও আসমানি দুই গজব ই শুরু হয়ে গেছে..!!
                        ইনশাআল্লাহ.. অচিরেই তারা লেজ গুটিয়ে পালানোর পথটিও খুঁজে পাবেনা।।
                        যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ। দেরীতে হলেও সিরিয়ান ভাইদের নিউজ পেয়ে খুবি আনন্দিত। জাযাকুমুল্লাহ।
                          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                          Comment

                          Working...
                          X