Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    জামেয়া মিলিয়া-আলীগড়ের শিক্ষার্থীদের উপর মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশের অভিযান, ব্যাপক হতাহত (ভিডিও)


    বিতর্কিত মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল জামিয়া মিলিয়া এবং আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উপর ভয়াবহ দমন চালিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

    জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে সোমবার মিলিয়াসহ এর আশপাশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করেছে হিন্দুত্ববাদী মালাউন প্রশাসন।

    গত রবিবার রাতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দিল্লি সন্ত্রাসী পুলিশ। বিনা অনুমতিতে গায়ের জোরে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন চিফ প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান। এমনকি জোর করে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।




    বার্তা সংস্থা( Documenting Oppression Against Muslims) ডোমের টুইটার সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসীরা জামিয়া মিলিয়া ভার্সিটির মসজিদেও হামলা চালিয়েছে।

    গত জুমআর পর বিশাল বিক্ষোভ করেছিল দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামা, জামিয়া মিলিয়াও আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও। ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে মালাউন সন্ত্রাসীরা আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেট পরিসেবা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ছাত্র নেতারা। কিন্তু মালাউন সন্ত্রাসীরা নেট সেবা বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি সরাসরি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে।

    ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভির লাইভ প্রোগ্রামে এসব খবর প্রকাশ করেছে। লাইভে দেখা যায়, পুলিশ হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বানচাল করে দেয়। এবং দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করতেও দেখা যায়।




    এমনিভাবে, ডোমের টুইটারে প্রকাশিত ভিডিওতেও দেখা গেছে, ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসীরা আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উপর চালিয়েছে ভয়াবহ অভিযান। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় শিক্ষাথীদের উপর লাটিচার্জ করতেও দেখা যায় বিভিন্ন লাইভ প্রোগ্রামে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/16/29817/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে রাতভর বিক্ষোভ!


    গত রবিবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে হওয়া মিছিল নিয়ন্ত্রণে ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অ্যাক্টিভিস্টরা সারারাত বিক্ষোভ করেছে।

    দিল্লির একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মারধর করার প্রতিবাদে মূলত এই বিক্ষোভ হচ্ছে ।

    দিল্লির শিক্ষার্থীদের সমর্থনে ভারতের আরো কয়েকটি জায়গায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

    বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভের সময় রবিবার ভারতের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।

    পার্শ্ববর্তী তিনটি মুসলিম প্রধান দেশের অমুসলিম অভিবাসীরা ধর্মীয় সহিংসতার শিকার হলে তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি রয়েছে নতুন এই আইনে। আইনটি পাস হওয়ার পর থেকে উত্তর ও পূর্ব ভারতের অনেক এলাকায় বিক্ষোভ করছে মানুষ। গত পাঁচ দিনের অস্থিরতায় সেসব জায়গায় মারা গেছে ছয় জন।

    নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জের ধরে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের গৌহাটিসহ ১০টি সংবেদনশীল এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে।

    আসামে মানুষ যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে সেজন্য কারফিউ শিথিল করা হয় শনিবার। সেখানে সোমবার পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালাউন সরকার সরকার।

    গত দুই দিনে বিক্ষোভকারী এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর সংঘর্ষে আসামে এ পর্যন্ত ২৭ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন গৌহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।



    দিল্লিতে কী হয়েছে?

    স্বনামধন্য জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয় তাদের।

    বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মারধর করে।

    আন্দোলন থামাতে মালাউন হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন দক্ষিণ দিল্লির ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের স্কুলগুলো সোমবার বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়।

    কেন বিতর্কিত এই আইন?

    বিতর্কিত নতুন আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব অমুসলিম অভিবাসী অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, তারা সেখানকার নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে। মূলত মুসলিমদের কোণঠাসা করার উদ্দেশ্যেই এই আইন। এছাড়া ভারতের কুফরী সংবিধানে উদ্ধৃত ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকেও খর্ব করে এই আইন।

    এ সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা নতুন আইনের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরে এবং আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করে।

    অসমীয়া সংগঠনগুলো বলছে, এই আইন বাস্তবায়নের ফলে বহিরাগতরা তাদের জমি ও চাকরির দখল নিয়ে নেবে এবং তাদের সংস্কৃতিকেও প্রভাবিত করবে।

    পাশাপাশি নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে কথিত অবৈধ বাংলাদেশিদের আসামের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিরোধিতা করছেন তারা।

    পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বাংলাভাষী মুসলমানরা যে প্রতিবাদ করছে সেখানেও ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়ার বিরোধিতা রয়েছে।

    তবে তাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক রয়েছে যে, তাদের একটা অংশকে এই আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রহীন করে দেয়া হতে পারে।

    তারা বলছেন যে, এনআরসির মাধ্যমে যে ১৯ লাখ নাম বাদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অমুসলিমরা হয়তো এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন তবে মুসলমানরা কিন্তু বাদই রয়ে যাবেন। তাদেরই হয়তো রাষ্ট্রহীন করে দেয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।

    সূত্র: বিবিসি


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/16/29820/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতের বর্তমান সন্ত্রাসী শাসকদের নিয়ে যা বললেন সেই বলবীর সিং


      বাবরি মসজিদে প্রথম আঘাতকারী বলবীর সিং এখন মাওলানা আমের। তিনি বলেছেন, ভারতীয় শাসকরা মানসিক রোগী, তাদের পাগলখানায় নেয়া দরকার। খবর ডেইলি জং-এর।

      মাওলানা মুহাম্মদ আমের বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদীসহ দেশের বর্তমান শাসকরা মানসিক রোগী, তাদের পাগলখানায় রাখা দরকার।

      একসময় ভারতের কট্টর সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের প্রাক্তন কর্মী, বাবরি মসজিদে হামলার পর মুসলমান হয়েছিলেন মাওলানা আমের। জিও নিউজের অনুষ্ঠান ‘জারগা’য় আয়োজক সালিম সাফির সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

      জারগায় সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় প্রাক্তন এ আরএসএস কর্মী বলেন, সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদীর পূর্বপুরুষরা তাদের জন্মভূমির সময়কালে ইংরেজিকে সমর্থন করেছিল এবং ভারতের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। আর সন্ত্রাসী আরএসএসও জনগণ ও দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে আসছিলো। তারা রানী ভিক্টোরিয়ার অনুগত ছিল। আজ তারাই দেশের হর্তাকর্তা।

      মাওলানা মোহাম্মদ আমির আরও বলেন, ভারতে বর্তমানে যারা শাসক তারা সবাইকে মনোচিকিৎসক দেখানো উচিৎ। কারণ তারা সবাই মানসিক রোগী। তারা দেশে কী ধরণের আইন করছে নিজেরাও বুঝছে না। তাদের আসলেই ডাক্তার দেখানো দরকার।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/16/29823/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        প্রতিবাদকারীদের দোষী সাবস্ত করতে, দিল্লিতে বাসে আগুন ধরিয়েছে মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশরাই!


        নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের এই মুহূর্তে উত্তাল ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। এরই মধ্যে দেশটির মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

        দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালীন পরিস্থিতি যাতে আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেই জন্যে কিছু বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে পুলিশই, এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে।

        বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে পুলিশ, এমন দাবির পক্ষে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাসে কেরোসিনের জার থেকে তেল ছিটিয়ে দিচ্ছে দেশটির পুলিশ সন্ত্রাসীরাই।



        রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ দেশটির রাজধানী দিল্লি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। দক্ষিণ দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি অঞ্চলে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতাকারী সহিংস বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধলে এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

        এরই মাঝে পুলিশের বাসে আগুন দেয়ার ভিডিও দেশটির সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ সন্ত্রাসী নিজেই একটি ফাঁকা বাসে কেরোসিনের জার থেকে কোনও তরল ছুঁড়ছে।




        ভিডিওতে আরো দেখা যায়, বেশ কয়েকটি বাস ও দু’চাকার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াসহ অনেকেই অভিযোগ করছে, পুলিশেরই কিছু সন্ত্রাসী এই ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।



        দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এক টুইট বার্তায় লিখেছে, এই ছবিটি দেখুন … দেখুন কে বা কারা বাসে এবং গাড়িতে আগুন দিচ্ছে … এই ছবিটি সন্ত্রাসী দল বিজেপির করুণ রাজনীতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ … বিজেপি সন্ত্রাসীরা এর প্রতিক্রিয়ায় কী বলবে?




        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/16/29830/
        Last edited by Munshi Abdur Rahman; 12-17-2019, 12:36 PM.
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতের মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব আইন ঘৃণাব্যঞ্জক ও বৈষম্যমূলক:- আল্লামা কাসেমী


          সম্প্রতি ভারতীয় সংসদে পাশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে মুসলমানদের প্রতি ঘৃণাব্যঞ্জক ও বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

          গত (১৫ ডিসেম্বর) রোববারে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি ভারতে সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নগ্নভাবে একের পর এক মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা ও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করে সে দেশের মুসলমানদের জান-মাল’সহ সার্বিক নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে এবং বাংলাদেশের উপর বহুবিদ হুমকি তৈরি করেছে।

          তিনি বলেন, বিজেপি সরকারের প্রথম মেয়াদে গো-রক্ষার নাম করে মুসলমানদের উপর সহিংস আক্রমণ চালিয়ে সারা ভারতের মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিল। ভারতের ঐতিহাসিক স্থানসমূহের মুসলিম নাম বদলিয়ে দিয়েছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও চাকুরিতে মুসলমানদের জন্য বহুবিধ বাধা তৈরি করেছে। ঘর ওয়াফেসির নামে মুসলমানদের উপর হিন্দুত্বকরণের প্রকল্প চালিয়েছে।

          তিনি বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর কোন রাখঢাক ছাড়াই মুসলমানদের তালাক আইন রদ করে আক্রমণের সূচনা করেছে। ইতিমধ্যেই এনআরসির নামে আসামের লাখ লাখ মুসলমানের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার তোড়জোড় চালাচ্ছে। ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭০ ও ৩৫/এ ধারা বিলোপ করে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নবিদ্ধ রায়ে অযোধ্যার ৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের আগ্রাসী ভূমিকা পাল করছে। ভারত থেকে মুসলমানদেরকে উচ্ছেদ করার এনআরসি প্রকল্পকে সহজতর করতে এবার মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব আইন পাশ করেছে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/16/29842/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            নাগরিকত্বের সাম্প্রদায়িক বিল: ভারতীয় মালাউন শাসকরা ভারতকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে?


            সম্প্রতি ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নামে একটি আইন লোকসভায় পাশ হওয়ার পর থেকে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। এ আইনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রতিবেশি দেশ- বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেবে তারা যদি হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী হয় তবে তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে মুসলিম শরণার্থীদের সে ‘সুযোগ’ দেওয়া হবে না।

            ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার ভারতের এই আইনটিকে সাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যপূর্ণ আইন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে। ভারতের ভেতরে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ছাড়া কংগ্রেসসহ অন্য সব দল এ আইনের বিরুদ্ধে কথা বলছে। কোনো কোনো দল আন্দোলনেরও ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছে, আইনটি শুধু মুসলিমবিরোধী বা সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের দোষেই দুষ্ট নয়, এটি ভারতের সংবিধানেরও পরিপন্থি। সংক্ষেপে এই আইনটিকে বলা হচ্ছে ক্যাব।

            অনেকেই মনে করছে, বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলটি আনা হয়েছে সম্প্রতি আসামসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চালু করা এনআরসি বা নাগরিকপুঞ্জি নামক নতুন একটি পদক্ষেপের সম্পূরক হিসেবে। কারণ ওই আইনে যেসব হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবে-এই ক্যাব-এর জোরে তারা ভারতের নাগরিক হয়ে যেতে পারবে। পক্ষান্তরে এনআরসিতে যেসব মুসলমানকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হবে, তারা আর কোনোভাবেই ভারতে অবস্থানের বৈধ অধিকার পাবে না। চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শত শত ভারতীয় মুসলিম নর নারীকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টার খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

            অপরদিকে এই বিলটি পাশ করানোর সময় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসী অমিত শাহ তার বক্তব্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ করে তাদের (হিন্দুদের) ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ‘যৌক্তিকতা’ তুলে ধরেছে। এই বক্তব্য ও এই সাম্প্রদায়িক নাগরিকত্বের আইনটি নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ অপরাপর মুসলিম দেশগুলোতে বসবাসরত হিন্দুদের নাগরিকত্বের একটি পা ভারত নিজের দিকে টেনে নিয়ে গেছে। এ সব দেশের হিন্দুদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং ভারতের প্রতি হিন্দুদের নির্ভরতা ও আনুগত্যের নতুন একটি পোস্ট বসানো হয়েছে। এতে করে গোটা উপমহাদেশেই একটি ধর্মকেন্দ্রিক অস্থিরতা ও বিদ্বেষ তৈরির পথ খুলে দেওয়া হয়েছে।

            এ আইনের ফলে লাখো লাখো শুধু নয়, কয়েক কোটি ভারতীয় মুসলিম নাগরিককে এনআরসির মাধ্যমে প্রথমে নাগরিকত্ব বঞ্চিত করতে পারলে পরের ধাপে আশপাশের মুসলিম দেশগুলোতে তাদের ঠেলে দেওয়ার নষ্ট খেলায় নামতে পারে ভারত। সে আলামত ও আশংকা ভারতজুড়েই এখন চলমান। এ জন্য আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। দিল্লিতেও এ বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে ভারতের এই আইনের কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একবার প্রতিবাদী একটি বক্তব্য দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হচ্ছে, এটি ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। বাংলাদেশ হিন্দুঘেষা সরকার চায় না ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো টানাপোড়েন সৃষ্টি হোক।

            কোন দিকে যাচ্ছে ভারত? ভারতের মুসলমানদের জীবনের সামনে কী আছে? এ আইনের ফলে বাংলাদেশে কী কী সংকট তৈরি হতে পারে-এসব প্রশ্ন নিয়ে গভীর উদ্বেগে আছে দেশের প্রায় সব চিন্তা ও পক্ষের নাগরিকরা। দেশে সরকারের মন্ত্রীরা ‘স্বস্তি মেশানো’ কথা যাই বলুক, ভেতরের কথা হলো, সরকারের ভেতরেও ভারতের এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক পদক্ষেপ নিয়ে নানামাত্রিক ভাবনা-চিন্তা চলছে। সম্প্রতি দু’জন মন্ত্রীর ভারত সফর স্থগিত করা আবার সে সফর হবে বলে ঘোষণার মধ্যে অনেকেই সেই ভাবনা-চিন্তার আলামত খুঁজে পাচ্ছেন। বাস্তবে ভারতের এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক আইনি পদক্ষেপের অপ-ফসল থেকে বাংলাদেশ যে কোনো ভাবেই মুক্ত থাকবে না- এটা বুঝতে কারোরই বেগ পেতে হচ্ছে না।

            সূত্র: ইসলাম টাইমস/ শরীফ মুহাম্মদ


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/16/29839/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তা‘আলা ভারতীয় মুসলিদেরকে হিফাযত করুন এবং তাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
              “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

              Comment


              • #8
                হে আল্লাহ মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তায়ালা ভারতের মুসলমানদের জাগিয়ে তুলুন,
                  সেই জাগরণ বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করুন, আমীন।
                  মুজাহিদীনকে ভালবাসুন, তাদের সাপোর্ট করুন!
                  কেননা, তারাই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথে অটল রয়েছেন।

                  Comment

                  Working...
                  X