Announcement

Collapse
No announcement yet.

চলমান ইস্যুতে ভারতের মুসলিমদের অস্র গ্রহণ করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নাই||

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চলমান ইস্যুতে ভারতের মুসলিমদের অস্র গ্রহণ করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নাই||

    সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান বলেছিলেন- “মুসলমানের মানবাধিকার থাকতে নেই”
    আমার মনে হয়, এই কথাটার এক্সটেন্ড করার দরকার আছে। সেটা হবে-
    “মুসলমানের মানবাধিকারের দিকে তাকিয়ে থাকারও দরকার নেই”।

    আপনি সম্প্রতি ভারতের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে দেখুন-
    কত বড় বড় হাজার-লক্ষ লোকের সমাবেশ।
    কিন্তু কিছু পুলিশ এসে দেদারসে মুসলমানদের পিটাচ্ছে।
    ভারতীয় মুসলমানরা, সেই ছবিগুলোর নিচে ক্যাপশন লাগিয়ে ছড়াচ্ছে-
    “দেখুন বিশ্বমানবতা, হিউম্যান রাইটস, আমাদের কিভাবে মারা হচ্ছে”।

    সত্যি বলতে- “বিশ্বমানবতা” “হিউম্যান রাইটস” – এইগুলির দিকে আসলে মুসলমানরা তাকিয়ে লাভ নেই।
    আমি নির্যাতিত, আমি অত্যাচারিত, আনি নিগৃহিত, মুসলমানদের এইসব ভেক ধরেও লাভ নেই।
    যদি লাভ হতো- তবে রোহিঙ্গাদের লাভ হতো। তারা বিশ্বজুড়ে কম অত্যাচারিত, নিপীড়িত ফেস শো করেনি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ভারতীয় মুসলমানদেরও এই নিপীড়িত ফেস শো করে কোন লাভও হবে না।

    ভারতীয় মুসলমানরা আজকে যে পিটুনি সহ্য করছে,
    অমুক প্রদেশে ১০ জন মারা গেছে, তমুক প্রদেশে ১৫ জন মারা গেছে,
    এতে কখনই ঐ বিল সংশোধন হবে না এবং মুসলমানদের অবস্থারও পরিবর্তন হবে না।
    আজকে যদি তার বদলে খবর আসতো-
    ১০ জন বিজেপি কর্মী নিহত, বাধা দিতে গিয়ে ১৫ জন পুলিশ নিহত
    (লক্ষ মুসলমানের পক্ষে একসাথে তা গণপিটুনি দিয়ে অবশ্যই সম্ভব)
    তবে দেখা যেতো ১ দিনের মধ্যে মোদি সরকার নাকে খত দিতো।
    হয়ত বলতে পারেন- তবে কি মুসলমানদের সহিংস হতে বলছেন ?
    তারা তো মুসলমানদের এক্সট্রিমিস্ট বলবে।

    ইমরান খান তার জাতিসংঘের ভাষণে একটা কথা বলেছিলো-
    আজকে যদি বিশ্ববিবেক কাশ্মীরীদের সাথে না দাড়ায়, তবে তারা যদি ভিন্ন কিছু করে, তবে তার জন্য সবাই দায়ী থাকবে।

    এনআরসি, সিএএ যত আইন বলেন, এগুলো তো আন্ধার মধ্যে হচ্ছে না।
    সব দিনের আলোর মত পরিষ্কার, গরুর মাংশের জন্য মানুষ মারতেছে এটাও দিনের আলোর মত পরিষ্কার। সুপ্রীম কোর্ট থেকে রায় দিয়ে মসজিদের ভেঙ্গে মন্দির করতেছে এটাও দিনের আলোর মত পরিস্কার। এই পরিষ্কার জিনিস দেখেও যদি কেউ কিছু না করে, ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে না ধরা হয়, সবাই যদি ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে, তবে আপনি পিঠে দুইটা লাঠির বারি দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মানবতাবাদীদের ডেকে কি লাভ বলুন ?
    তার থেকে নিজে কিছু করতে পারেন কি না সেটা দেখান।
    হুদাই বিশ্ব বিবেক আর মানবতাবাদীদের ডেকে লাভ নেই।
    বরং মুসলমানরা যে সহিংস হয়েছে, এরজন্য তাদের না ডেকে, তাদের দায়ী করুন। কেন তারা ব্যবস্থা নিলো না। যে সহিংসতা হচ্ছে, এর জন্য তারা দায়ী- একথা বলুন।

    ইতিমধ্যে টুইরারে অনেক ভিডিও দেখা যাচ্ছে, পুলিশ আর বিজেপি কর্মী নিজেরাই জনগণের সম্পদ নষ্ট করে মুসলমানদের দোষ দিচ্ছে। অনেকের দাবী হলো- মায়ানমারে সরকারীই আরসা তৈরী করে মুসলমানদের ফাসিয়েছে। ঘটনা হইলো- আপনি যখন নিজে গ্রাউন্ড তৈরী করবেন না, তখন ঠিকই আপনার বিপরীত পক্ষ ফেক গ্রাউন্ড তৈরী করে আপনাকে দোষারোপ করবে। তাই আপনি ভালো থাকতে চেয়েও লাভ নেই।

    এখানে একটা ঘটনা আছে- ‘মানবতাবাদী ভেক’ এটা হলো ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের ইস্যু। বিশ্বজুড়ে তারা এটা তৈরী করে এবং সেটা নিয়ে ব্যবসা ও রাজনীতি করে।
    মুসলমানরা যদি ভাবে তারা মানবতাবাদী ভেক থেকে কোন ফায়দা নিবে, তবে ভুল করবে। ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের গ্রাউন্ডে হাটলে তারা আপনার হয়ে কথা বলবে, কিন্তু যতটুকুতে তাদের লাভ হবে, তারা ততটুকুই করবে, এর বেশি করবে না।
    যেমন- রোহিঙ্গা ইস্যুতে ডেমোক্র্যাটিক ব্লক ততটুকু প্রচার করছে, যতটুকুতে তারা ফান্ড দাতাদের বুঝিয়ে এনজিও বিজনেস করতে পারে। ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের আলটিমেট লক্ষ্য এনজিও বিজনেস করা, রোহিঙ্গারা সেখানে দান-খয়রাত ছাড়া পৃথক কোন সুবিধা পাবে, সেটা কিন্তু হবে না কখনই। এবং সেটা হয়ও নি।

    তবে ভারতীয় মুসলমানদের একটা কথা মনে রাখতে হবে- এই ক্ষোভ বিক্ষোভ কিন্তু একদিনের ক্ষোভ বিক্ষোভ না। এটা ৭২ বছরের জমে থাকা ক্ষোভ বিক্ষোভ। তারা এতদিন পর কোন ইস্যুতে সবাই একযোগে জেগে উঠছে এটাও একটা বড় বিষয়। তাই এখনই যদি কিছু আদায় না করা যায়, তবে ভবিষ্যতে যে কিছু করা যাবে, সেই আশা করা বৃথা। ইতিমধ্যে মোদি সরকার বড় বড় ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরী করছে, সেখানে অনেকের আশ্রয় হবে, আর বাকিদের রোহিঙ্গাদের মত তাড়ানো বা হত্যা করা হবে। তাই সেই পরিস্থিতি সহ্য করার আগে- অপরের কাছে ভিক্ষা প্রার্থনা করার থেকে নিজেরা ‘ডু অর ডাই’ চিন্তা করে এগোনোই উত্তম।

    -সংগ্রহীত

  • #2
    ভারতের মুসলিমদের পর্যন্ত এ লেখাগুলো পৌছার ব্যবস্থা করা হউক। আমাদের বাংলাদেশী মুসলিমরা মুসলিমদের জন্য কী কী করতে তার একটি দিকনির্দেশনামূলক পোস্ট দেওয়া সময়ের দাবী। ইন্ডিয়া যত পণ্য আছে সেগুলো আমরা বর্জন করতে পারি কি না????
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      ও বাংলার মুসলিম! তোমরাও এ বিষয়গুলো থেকে নসীহা গ্রহন করো ৷
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে প্রকৃত বাস্তবতা বুঝার তাওফিক দান করুন ও প্রস্তুতি নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X