Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৭শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৭শে রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ভারতের চলমান লড়াই মুসলমানদের, তাঁদেরকেই লড়তে হবে!


    ভারতজুড়ে সিএএ–এনআরসি বিরোধিতা চরমে উঠেছে। মুসলিম বিরোধী কথিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলছে আন্দোলন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি বলেছে জামা কাপড় সাজসজ্জা দেখেই সে বুঝতে পেরেছে গোটা দেশজুড়ে কারা ‘গণ্ডগোল’ করছে। সে বুঝে ফেলেছে এনআরসি, সিএএ বানচাল করতে কারা নেমেছে রাস্তায়। টিভির পর্দায় চলমান ছবি আর খবরের কাগজে রঙিন স্থিরচিত্র দেখেই প্রধানমন্ত্রী বুঝে নিয়েছে, তারা মুসলমান।

    ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনী সভায় মোদি বলেছিল,আগুন কারা লাগাচ্ছে, সেটা কিন্তু তাদের পোশাক দেখলেই চিনতে পারা যায়! তার দ্বারা সে মুসলিমদেরকেই বুঝিয়েছে।

    এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলন খুব স্বাভাবিক কারণেই পছন্দ নয় নরেন্দ্র মোদির। তার ওপর সেই প্রতিবাদ যদি হয় মুসলমানদের। তবে তার বা অন্য কারো পছন্দ হোক বা না হোক, এ কথাটা সত্যি যে এটা তো মুসলমানদেরই লড়াই। এ লড়াই তাদেরই লড়তে হবে। মুসল*মানরাই লড়ছেন। দেয়ালের লেখা সঠিকভাবে পড়ে ভারতীয় মুসলমানরা আজ নিজের প্রতিবাদ নিজে করার সংকল্প নিয়ে পথে বেরিয়েছেন। তাদের অধিকার রক্ষার লড়াইটা অন্য কেউ লড়ে দেবে, সেই ভরসায় আর বসে নেই মুসলমান।

    যদি এই গণতান্ত্রিক মিটিং মিছিল করে সফল হওয়া যাবে না।

    কিন্তু ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকে কোনো কিছুতেই মুসলমান যেন নিস্পৃহতা কাটছিল না। মুসলমানের বিরুদ্ধে যাবতীয় অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ভাষা যেন হারিয়ে ফেলেছে।

    মুম্বই আর গুজরাটের ভয়াবহ দাঙ্গা, তারও পরে উত্তর প্রদেশের পর পর ঘটে যাওয়া মুসলমান নিধনের ঘটনাগুলোর পরেও তেমন করে প্রতিবাদ করেনি মুসলমান। এমনকী ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া বাবরি মসজিদের ওপর রাম মন্দির নির্মাণের যে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিল, তার বিরুদ্ধেও কোনো সোচ্চার প্রতিবাদ মুসলমানদের তরফ থেকে চোখে পড়েনি। গোরক্ষার নামে তুচ্ছ কারণে একটার পর একটা গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। তারও প্রতিবাদ করেনি মুসলমান। বিজেপি নেতারা দিনের পর দিন মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করে চলেছেন। এবং নিশ্চিতভাবেই তাতে দলের ওপর মহলের অনুমোদন থাকে। তারও কোনো প্রতিবাদ হয়নি। তাঁরা এ ভেবেই নিশ্চিন্ত ছিল, তাঁরা নিরাপদেই আছে।

    সুতরাং যেন ভারতীয় মুসলমান ভুলতে বসেছিল প্রতিবাদের ভাষা। অথচ গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়ে মুসলমানদের ঠেলতে ঠেলতে খাদের কানায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে কেন্দ্রের সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকার। হয় তাকে প্রবল শক্তিতে নিজের ক্ষমতায় নিরাপদ জায়গায় ফিরতে হবে নয়তো খাদে পড়ে মরতে হবে। এমন একটা জায়গায় পৌঁছে তার প্রতিবাদে গর্জে ওঠা ছাড়া উপায় ছিল না। এই প্রতিবাদ দেখে কেবল বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা নয়, বহু সাধারণ মানুষও বলতে শুরু করেছে, নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বা এনআরসিতে মুসলমাদের উল্লেখ পর্যন্ত নেই, ‘ওদের’ এত ভয় পাওয়ার কী হয়েছে?

    কী আশ্চর্য! নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা নাগরিকপঞ্জীর পরিণাম জানার পরও যদি কেউ ভয় না পায় তাহলে তার বোধ-বুদ্ধির বিকাশ বা মনুষ্যত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যতই বলুন, নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জী মুসলমানদের লক্ষ্য করে করা হয়নি, সে আশ্বাস কোনো যুক্তিতেই ধোপে টেঁকে না। কারণ অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বলে চলেছে, গোটা দেশেই এনআরসি হবে। এ দিকে, নতুন নাগরিকত্ব আইনে ভারতে এই প্রথম নাগরিকত্বের সঙ্গে ধর্মকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এবং তা করা হয়েছে ভারতের সংবিধানের মৌল শর্তগুলো অস্বীকার করে। এবং সেই আইনে কোথাও মুসলমান নেই। সরকারের যুক্তি, প্রতিবেশী তিনটি মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন এবং পারসিরা শরণার্থী হয়ে ভারতে চলে এলে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। এই আইনের সুরক্ষা পাবে কেবল অমুসলমানেরাই। তাতে মুসলমানদের তো কোনো ক্ষতি হবে না!

    অথচ এটা এখন পানির মতো পরিস্কার যে জাতীয় পঞ্জিকরণ বা এনআরসি প্রক্রিয়ায় কোনো মুসলমান যদি বাদ পড়ে যান তাহলে তাকে ভারতীয় নাগরিক প্রমাণ করার জন্য যেতে হবে বিদেশি ট্রাইবুনালে। কোনো হিন্দু যদি এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়ে তাহলে নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সাহায্য নেয়ার সুযোগ তার থাকছে। নতুন এই আইনের মধ্যে দিয়ে বিজেপি সরকার মুসলমানকে আরো ‘অপর’ করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল বলে মনে করছেন অনেকে। দেশের মূলস্রোত থেকে মুসলমানকে বিয়োজনের এ কৌশল চিনতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মুসলমানের আতঙ্কটা সেখানেই।

    তাছাড়া মুসলমানের নামের হেরফেরে, সম্পত্তির উত্তরাধিকারের জটিলতায় কিংবা জন্মপ্রমাণ দাখিল করার টানাপোড়েনে তাদের বাদ দেয়ার কিংবা বাতিল করে দেয়ার চক্রান্ত এই জাতীয় পঞ্জিকরণ বা এনআরসি। আর তার আগের ধাপ হলো নতুন সংশোধিত লাগরিকত্ব আইন। একই দেশে একসঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে হাজার বছর ধরে বাস করার পরে যদি স্রেফ ধর্মের কারণে রাষ্ট্র কাউকে ‘আলাদা’ করে দেয়ার জন্য আইন প্রণয়ন করে তবে তো শঙ্কার কারণ থাকবেই। যেমন আসামে এনআরসি থেকে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। তাদের মধ্যে যারা হিন্দু, নতুন লাগরিকত্ব আইন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার একটা সুযোগ করে দিচ্ছে। কিন্তু মুসলমানরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এছাড়া যারা এনআরসি থেকে বাদ পড়া এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রসাদ না-পাওয়াদের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প প্রস্তুত রয়েছে বা নতুন নতুন আরো শিবির তৈরি হচ্ছে। আসামে ইতিমধ্যে ছ’টি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে বিভিন্ন জেলখানার সঙ্গে। এছাড়া গোয়ালপাড়ায় একটা ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে যেটা আয়তনে সাতটা ফুটবল মাঠের সমান।

    মুম্বই আর বাঙ্গালুরুতেও ওই রকম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। ডিটেনশন ক্যাম্পের আতঙ্কও মুসলমানদের তাড়া করছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী জনসভায় দাঁড়িয়ে বলছেন, দেশে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প নেই।

    এর প্রতিবাদে তো মুসলমানকেই পথে নামতে হবে। এটা একান্তভাবে তার লড়াই। তার হয়ে কে করে দেবে প্রতিবাদ? আবার মুসলমান পথে নেমে প্রতিবাদ করলে তাকে সাম্প্রদায়িক বলতেও কারো কারো অসুবিধা হচ্ছে না। বিজেপির এক নেতা তো গুজরাতে সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিক্রিয়া কী সাংঘাতিক হতে পারে তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। এই ধরনের শাসানি চলছেই।

    উত্তরপ্রদেশে প্রতিবাদকারীদের ধরে ধরে চিহ্নিত করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরিতে ঢুকে পুলিশ যেভাবে পাঠরত ছাত্রছাত্রী পিটিয়েছে তা বহুদিনের পুষে রাখা আক্রোশ ছাড়া বোধহয় সম্ভব নয়। তারপরও প্রতিবাদ হচ্ছে, মিছিল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বললেও গণপিটুনিতে মুসলমানদের খুন হয়ে যাওয়া থেমে থাকেনি। এই সব হত্যা নিয়ে মোদিজিকে বিশেষ উদ্বিগ্ন হতেও দেখা যায়নি। মোদি বলছে, কাউকে দেশের বাইতে বের করে দেয়া হবে না।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ— দুজনে পরস্পর বিরোধী বিবৃতি দিয়ে চলেছে। অমিত শাহ প্রায় প্রতিদিন বলেছে, গোটা দেশে এনআরসি হবে। কোনো অবৈধ নাগরিককে দেশে রাখা হবে না। কোথাও বলেছে, ‘হিন্দু বৌদ্ধ আর শিখ ছাড়া যেকোনো অনুপ্রবেশকারীকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে’। আবার কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহই বলেছে, কোনো ভারতীয় নাগরিকের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। কাউকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে না। কার কোন কথায় বিশ্বাস করবে মানুষ। কার ওপর আস্থা রাখবে সে?

    এই সব আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মুসলমানকে ভারতে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রাখতে চায় বিজেপি— এমন আশঙ্কা অনেকেই করছেন। হিন্দু রাষ্ট্রের লক্ষ্য পুরণের এটাই প্রথম পদক্ষেপ। তারও দরকার নেই— মুসলমানকে স্রেফ অনিশ্চয়তা আর আতঙ্কের মধ্যে রেখে দিতে পারলেই বিজেপি এবং তার নাটের গুরু সন্ত্রাসী দল আরএসএসের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। সেই কাজটাই শুরু হয়েছে ভারতে।

    (মিলন দত্ত বরিষ্ঠ সাংবাদিক ও পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। মতামত ব্যক্তিগত)
    সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30305/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতেও


    সন্ত্রাসী দল বিজেপি–*শাসিত কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি। শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। ১ জানুয়ারি থেকে চালু হয়ে যাবে ডিটেনশন ক্যাম্প। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিৎকার করে বলছে, দেশের কোথাও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই। সবই মিথ্যে রটনা।
    বেঙ্গালুরু থেকে ৩০ কিমি দূরে সোন্দেকোপ্পা গ্রামে তৈরি হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প। উঁচু পাঁচিলে ঘেরা। পাঁচিলের ওপর কাঁটাতারের বেড়া। ক্যাম্পের দুই প্রান্তে রয়েছে দুটি সুরক্ষা টাওয়ার। ইংরেজি অক্ষর এল আকৃতির ডিটেনশন ক্যাম্পের ভেতর রয়েছে ১৫ শয্যার সাতটি ঘর, একটি রান্নাঘর ও একাধিক শৌচালয়। এসব তৈরি। এখন স্টাফ কোয়ার্টারের কাজ চলছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢোকার মুখেই রয়েছে পুলিশি পাহারা। ভেতরের কাজকর্ম কেমন চলছে, ঘুরে দেখছেন কর্ণাটক সমাজকল্যাণ দপ্তরের কর্মীরা। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা।
    ডিটেনশন ক্যাম্প হওয়ার আগে এটা একটা ছাত্রাবাস ছিল। অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়ারা থাকত এখানে। ছাত্রাবাস পরিচালনা করত রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ দপ্তর। ছাত্রাবাসকে ডিটেনশন ক্যাম্প করার তোড়জোড় শুরু হয় মাসখানেক আগে।
    ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ১৫ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হয় কর্ণাটকে। কর্ণাটক হাইকোর্ট তাদের রাখার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। তারপর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশের পর কর্ণাটক সরকার ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির তোড়জোড় শুরু করে। গতমাসে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশকে ছাত্রাবাসটি নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। চলতি মাসের ৯ তারিখে রাজ্য সরকার জানায়, ২০২০ সাল থেকেই ডিটেনশন ক্যাম্পটি পুরোদস্তুর চালু হয়ে যাবে।
    সমাজকল্যাণ দপ্তরের এক কর্মী বলেন, ‘১ জানুয়ারি থেকেই ডিটেনশন ক্যাম্প চালু হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে, স্টাফ কোয়ার্টারের কাজ শেষ করতে হবে। রান্নাঘর ও অন্য ঘরগুলি তৈরি, বিদ্যুৎ–জল সব রয়েছে। বিভিন্ন কাজের কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।’*


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30308/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এবার ত্রিপুরায় যুবককে পিটিয়ে মারল গো-সন্ত্রাসী মালাউনরা


      মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসী বিপ্লব দেবের রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। দেশজুড়ে যখন গোহারা ডাক উঠেছে তখন গরু চুরির সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল এক যুবককে। ত্রিপুরায় গরু চোর এবং পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে মারা হল এক ২৯ বছর বয়সি যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সিপাহিজালা জেলায়। এই ঘটনায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
      ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে খবর, গত রবিবার স্থানীয় গো রক্ষক বাসিন্দারা ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ থেকে এক যুবককে গরু পাচারকারী সন্দেহে ধরে। তখন তাঁর সঙ্গে ছিল দুটি গরু। এই দেখে তাঁকে চোর বলে সন্দেহ করে কয়েকজন। তারা চিৎকার করে আরও কিছু গ্রামবাসীকে জোগাড় করে। তারপর বেধড়ক মারধর করা হয় ওই যুবককে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30309/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        এবারে ভারতীয় মুসলিমদের দেশ ছাড়তে বললো গুজরাটের সন্ত্রাসী মুখ্যমন্ত্রী রুপানি


        বিজেপির সন্ত্রাসী বিজয় রুপানি। ভারতের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি ভারতের নাগরিতকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে চলমান উত্তাল আন্দোলনে ঘি ঢেলে দিয়ে নতুন বিতর্কে জন্ম দেয় রুপানি। নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে আয়োজিত র*্যালী পূর্ব সমাবেশের এক বক্তব্যে বলেছে, ‘মুসলিমদের জন্য দেড়শ দেশ আর হিন্দুদের জন্য শুধুই ভারত।

        দ্য হিন্দুস্তান টাইমস-এর তথ্য মতে, ‘নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গুজরাটে ৬২টি ব়্যালির প্রদর্শনী হয়। আমেদাবাদের র*্যালিতে অংশগ্রহণ করে রূপানি বলেছে, ‘মুসলমানদের জন্য বিশ্বে ১৫০টি দেশ রয়েছে। তারা সেখানে যেতে পারেন। কিন্তু হিন্দুদের জন্য একটিই দেশ, আর তাহলো ভারত। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে, ‘মুসলমানদের জন্য বিশ্বে ১৫০টি দেশ রয়েছে। তারা সেখানে যেতে পারে। কিন্তু, হিন্দুদের জন্য একটি-ই দেশ রয়েছে, তাহলো ভারত।’

        নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাইকে মিথ্যে অভয় দিয়ে বলছে, কারোর ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির আসল রহস্য ফাঁস করে দিয়েছে, তার ভাষায়-

        ‘বিজেপির অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এনআরসি। অভিবাসী নাগরিকদের তাড়াতে এনআরসি লাগু হবেই। পাশাপাশি তার দাবি, ভোটের আগে বিজেপি বলেছিল, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হবে, সিএএ লাগু হবে, রাম জন্মভূমি তৈরি হবে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সবকটিই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30318/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে আরেকটি মুসলিম বিরোধী তালিকা করছে সন্ত্রাসী মোদি সরকার


          মুসলিম বিরোধী কথিত বিতর্কিত নাগরিক পঞ্জি ও নাগরিকত্ব আইনের পর এবার ভারত জুড়ে আদমশুমারি ও জনসংখ্যা জরিপ (ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার) করার পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

          আগামী বছর থেকে ওই আদমশুমারি শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। তবে, সমালোচকেরা বলছেন, তালিকাটি হবে আরেকটি মুসলমান বিরোধী তালিকা।

          কেননা জরিপ চালানোর সময় কোনও নাগরিক সম্পর্কে যদি কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়, তাহলে তাকেই প্রমাণ করতে হবে তিনি ভারতের নাগরিক।

          ভারতে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অব্যাহত বিক্ষোভের মধ্যেই নতুন করে একটি আদমশুমারি ও জনসংখ্যা জরিপের জন্য তহবিল অনুমোদন করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, এই জরিপ ভারতের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের ওপর চালানো হবে।

          ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই আদমশুমারি ও জনসংখ্যা জরিপ চালানো এজন্য মোদি সরকার প্রায় চার হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে। এছাড়া আরো প্রায় নয় হাজার কোটি রুপি ব্যয় হবে আদমশুমারি চালানোর জন্য।

          কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি হবে একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ, অর্থাৎ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল রাজ্যের সব সাধারণ বাসিন্দার ওপর একযোগে এই জরিপ চালানো হবে।

          সরকার বলছে, কোন নাগরিক যদি কোন এলাকায় অন্তত ছয় মাস বাস করে অথবা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় ছয় মাস বা তার বেশি সময় বসবাসের পরিকল্পনা করে, তাহলে তাকে সাধারণ বাসিন্দা হিসেবে গণ্য করা হবে। এর মানে হচ্ছে এখন ভারতে বসবাসরত বিদেশিরাও এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

          কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, জরিপ চালানোর সময় কোন নাগরিক সম্পর্কে যদি কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়, তাকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ভারতের নাগরিক। এর ফলে যে কোন নাগরিকের অ-ভারতীয় হিসেবে নথিভুক্ত হবার আশংকা থেকে যায় বলে মনে করেন সমালোচকেরা।

          এর আগে গত আগস্টে আসাম রাজ্যে বিতর্কিত নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বাস্তবায়ন করে সেখানকার বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার। এর উদ্দেশ্য ছিলো মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কায়দা করে বহিরাগত হিসাবে ঘোষণা করা। এটি বাস্তবায়িত হওয়ার পর দেখা যায় আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে বাঙালি হিন্দুর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ লাখ। আর বাঙালি মুসলিম বাদ পড়েছেন দেড় থেকে দু’লক্ষ।

          এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর চলতি মাসের গোড়ার দিকে বিরোধী দলগুলোর চরম আপত্তি অগ্রহ্য করে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাস্তবায়ন করে মোদি সরকার। এ আইনের উদ্দেশ্য হলো, দেশে বহিরাগতক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভারতের নাগরিক হিসাবে ঘোষণা করা, যাতে আগামী নির্বাচনে বিজেপির ভোট ব্যাংক আরোও শক্তিশালী হয়।

          কেননা এই নতুন আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ ছয়টি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই তিন দেশ থেকে আগত মুসলিমরা এই সুবিধা পাবেন না। এই বৈষম্যমূলক আইনটি পাশ হওয়ার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে গোটা ভারত। গত কয়েক দিনের বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30319/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            উত্তরপ্রদেশে বদলার নামে মুসলিমদের সম্পত্তি জব্দ করছে সন্ত্রাসী যোগি আদিত্যনাথ সরকার


            ভারতের উত্তর প্রদেশে সরকার যেভাবে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে ‘বদলা’ নেওয়ার কথা বলছে এবং তাদের সম্পত্তি জব্দ করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা করছে তার কড়া নিন্দা করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

            আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর প্রদেশ সরকার এই ‘বদলা’ নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরই মুজাফফরনগর জেলায় কোনও আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে অন্তত ৭০টি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সব দোকানপাটের প্রায় সবগুলোরই মালিক মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন।

            মুজাফফরনগর উত্তর প্রদেশের একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসির বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে সেখানে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়েছে।

            বিজনৌর, সম্ভল, লখনৌ, মুজফফরনগরসহ এই রাজ্যের বহু এলাকা গত কয়েকদিন ধরে এই প্রতিবাদ-আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল। এর ফলে নষ্ট হয়েছে ট্রেন, বাসসহ বহু সরকারি সম্পত্তিও।

            এযাবৎ সারা দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভকারীর মৃত্যুও হয়েছে উত্তরপ্রদেশেই – ১৮ জন। এরই মধ্যে উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, তারা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করে তাদের দোকানপাট ও সম্পত্তি জব্দ করবে, যাতে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ক্ষতি সেখান থেকে পুষিয়ে নেওয়া যায়।

            স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছে, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, হামলাকারীদের সম্পত্তি নিলাম করেই সেই ক্ষতির অর্থ উসুল করা হবে।”

            “এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিশোধ নেব,” এ কথাও বলেছে ঐ সন্ত্রাসী।

            যোগী আদিত্যনাথের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বিবিসি বাংলাকে বলেছে, “প্রথমত সরকার কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে সাধারণ মানুষের দোকানপাট সিল করে দিতে পারে না।”

            “সরকার তাদের মর্জিমাফিক এরকম কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে না। একমাত্র আদালত বললে তখনই হয়তো এধরনের শাস্তি দেওয়া যায়।”

            “আর দ্বিতীয়ত, একজন মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে বদলা নেওয়ার কথা বলতে পারে?”

            মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব। সে আইনের কথা বলবে, তার মুখে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা কোনও মতেই শোভনীয় নয়।”

            এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা যতই প্রতিবাদ করুন, উত্তরপ্রদেশ সরকার কিন্তু যেমন কথা, তেমন কাজ এর মধ্যেই শুরু করে দিয়েছে।

            মুজফফরনগরে জনৈক নাসিম আহমেদের পুত্র ইনাম ইলাহীর দোকান ‘ওপি এন্টারপ্রাইজ’ ক্রোক করে পুলিশ এর মধ্যেই সেখানে নোটিশ লটকে দিয়েছে।

            নোটিশে বলা হয়েছে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করার অপরাধে ইনাম ইলাহীর সাত লক্ষ রুপিরও বেশি জরিমানা করা হয়েছে – যে অর্থ আদায় করা হবে তার দোকান ও সম্পত্তি নিলামে তুলে।

            সেই সরকারি নোটিশের প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়ে উঠেছে – যা শেয়ার করে অনেকেই লিখছেন, “যোগী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়” – অর্থাৎ কি না, “যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় থাকলে সবই সম্ভব!

            সূত্র: বিবিসি বাংলা


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30320/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ‘মুসলিমদের জন্য দেড়শ দেশ, হিন্দুদের জন্য শুধুই ভারত’ মন্তব্য হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী


              মুসলিম বিরোধী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে ভারতজুড়ে চলছে বিতর্ক। এবার সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিল গুজরাটের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। সিএএ-এর পক্ষে মঙ্গলবার গুজরাটে ৬২টি ব়্যালি হয়। আমেদাবাদের ব়্যালিতে রুপানি বলে, ‘মুসলমানদের জন্য বিশ্বে ১৫০টি দেশ রয়েছে।

              তারা সেখানে যেতে পারে। কিন্তু, হিন্দুদের জন্য একটি-ই দেশ রয়েছে, তা হল ভারত।

              ভিড়ে ঠাসা বিজেপির ব়্যালিতে রুপানি দাবি করে, ভারতে মুসলমানরা সম্মানের সঙ্গে বসবাস করার সুযোগ পান।

              তাদের জনসংখ্যাও বেড়েছে। তার কথায়, ‘৯ থেকে মুসলমানদের জনসংখ্যা ভারতে ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধানের কারণে মুসলমানরা এদেশে সম্মানের সঙ্গে খুব ভালভাবে বসবাস করছেন। ’

              সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30336/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                পরস্পরবিরোধী কথা বলছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী নেতা মোদি ও অমিত শাহ


                ভারতের সব জায়গায় নাগরিকপঞ্জিকরণ (এনআরসি) করা নিয়ে পরস্পরবিরোধী কথা বলছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কথিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এই দু’জনের মধ্যে কে সত্যি বলছে সেটাই দেখার বিষয়। এমনভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি প্রয়োগ করতে দেবে না বলে এর আগেও হুঙ্কার ছাড়ে তৃণমূল নেত্রী।

                সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে করা একটি সমাবেশে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছে ,বিজেপির চেয়ে বড় কোনও জালিয়াত ছিল না এবং এই দলের উদ্দেশ্য নিয়ে জনগণের সচেতন হওয়া উচিত।

                মমতা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী বলছে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি সারা দেশে চালু হওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা বা প্রস্তাব হয়নি। অথচ কিছুদিন আগেই বিজেপি সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছে যে, এনআরসি দেশজুড়েই করা হবে। উভয় বক্তব্যই পরস্পরবিরোধী। আমরা আশ্চর্য হচ্ছি এটা ভেবে যে কে সত্যি কথা বলছে। তাঁরা আসলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

                গত রবিবার ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে একটি সমাবেশ চলাকালীন জানায়, তাঁর সরকার ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনওদিনই গোটা দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি চালু হবে এমন কথা আলোচনা করেননি।

                মমতা দাবি করে বলে, বিজেপি ভারতকে ভাগ করার চেষ্টা করছে তবে দেশের মানুষ তা কিছুতেই হতে দেবে না।

                সূত্র : এনডিটিভি


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30339/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  মুসলিম বিরোধী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে গুলি চালানোর কথা স্বীকার ভারতীয় সন্ত্রাসী পুলিশের


                  মুসলিম বিরোধী কথিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে গুলি চালানোর কথা প্রথম বারের মতো স্বীকার করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

                  এই বিক্ষোভে রাজ্যটিতে ১৫ জন নিহত হয়েছে। এদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করলেও রাজ্য পুলিশের দাবি ছিলো তাদের তরফে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি।

                  তবে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা বিজনর পুলিশ সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেছেন, ওই শহরে নিহত দুই জনের এক জন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।

                  গত ১২ ডিসেম্বর ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভে সহিংসতায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু উত্তর প্রদেশেই নিহত হয়েছে ১৫ জন।

                  গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজ্যটিতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিনের বিক্ষোভে বিজনরে নিহতদের মধ্যে ছিল সুলেমান নামে ২০ বছরের এক তরুণ।

                  সুত্রঃ ইনসাফ২৪


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30344/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    শাজাহান খানকে বড় চাঁদাবাজ বলল জাহাঙ্গীর কবির নানক


                    সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভায়ই বচসায় জড়ালো দুই সন্ত্রাসী নেতা। প্রেসিডিয়ামে নতুন অভিষিক্ত হওয়া সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে চাঁদাবাজ বলে মন্তব্য করে আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

                    ২১ তম সম্মেলনে আংশিক কমিটি ঘোষণার পর মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রেসিডিয়ামের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

                    সভার একপর্যায়ে কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কমিটিতে সাবেক শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে রাখার বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। এতেই গোল বাধে।

                    নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলে ওঠেন, হাবিবুর রহমান চাঁদাবাজ লোক। তাকে কমিটিতে না রাখাই ভালো।

                    এ সময় শাজাহান খানকে চ্যালেঞ্জ করে প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, হাবিবুর রহমান কোথায় চাঁদাবাজি করল? তিনি যদি চাঁদাবাজ হন, তা হলে শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে যারা যুক্ত সবাই চাঁদাবাজ। আপনি বড় চাঁদাবাজ। আপনি পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করছেন। শাজাহান খানও জবাব দিতে থাকে।

                    সুত্রঃ যুগান্তর


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30341/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হামলার শিকার ফারাবী এবার এইচডিইউতে


                      ডাকসু ভবনের সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হামলায় আহত তুহিন ফারাবীকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

                      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) হামলায় আহত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীকে (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেবিন থেকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেওয়া হয়েছে।

                      হাসপাতালের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

                      তিনি বলেন, আইসিইউ থেকে ফারাবীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে অতিরিক্ত দশনার্থীদের চাপের পাশাপাশি তার একটু শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল।

                      এসব বিষয় বিবেচনায় তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তিনি ভালো আছেন। নিজে হেঁটেই টয়লেটে যেতে পারছেন।

                      ডাকসুর ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বদা সজাগ রয়েছে জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, আহতদের জন্য নয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। সব সময় তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

                      এর আগে, রবিবার দুপুরে ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ। এছাড়া বাইরে থেকে ইট-পাটকেল ছোড়াও হয়।

                      এতে ভিপি নুরসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতা আহত হন। আর গুরুতর আহতদের মধ্যে তুহিন ফারাবী একজন।

                      সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30331/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        বৃহস্পতি-শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা, আরও কমতে পারে তাপমাত্রা


                        দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর এই সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও পরে আরও কমে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

                        আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমল হক বলেন, কুষ্টিয়া ও টাঙ্গাইল অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

                        তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

                        বৃষ্টিকালীন সময়ে আকাশে মেঘ থাকতে পারে। বৃষ্টিপাত কেটে যাওয়ার পরে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি কমে যেতে পারে এবং চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও বেশি অঞ্চলজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে।

                        ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

                        আর আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

                        সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/25/30333/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহ তায়ালা উপমহাদেশের মুসলিমদের যুদ্ধের জন্য তৈরি করুন, কাংখিত গাজওয়াতুল হিন্দের মুবারক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, তার বিজয়ের সাক্ষী হওয়ার তাওফিক দান করুন।
                          মুজাহিদীনকে ভালবাসুন, তাদের সাপোর্ট করুন!
                          কেননা, তারাই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথে অটল রয়েছেন।

                          Comment


                          • #14
                            হে আল্লাহ মুসলামানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                            আল্লাহ আপনাদের কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
                            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                            Comment

                            Working...
                            X