Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল-কোরআনে মানুষের বৈশিষ্ট্য very nice

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল-কোরআনে মানুষের বৈশিষ্ট্য very nice

    পতাকা তুলে নাও ...

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম





    জীবনে চলার পথে আমরা নানান ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হই। তবে আমরা আমাদের পছন্দসই শ্রেণীর সাথেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলি। তাদেরকে নিয়ে,তাদেরকে ঘিরে আমাদের জীবন সাজাই। তাই কুরআন খুললে আপনি দেখতে পাবেন আল্লাহ্* আপনাকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। আমরা যেন এইসব শ্রেণীর কার্যক্রম এবং পরিণতি দেখে সঠিক শ্রেণীটির অংশ হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারি সেজন্য কুরআনে আল্লাহ্* সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন স্বভাবের মানুষের বৈশিষ্ট্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এর উদাহরণ হিসাবে আমরা দেখতে পাইঃ





    মু'মিনরা 'অর্থহীন বিষয়ে লিপ্ত হয় না' (২৩:৩) আর 'অর্থহীন অপ্রয়োজনীয় বিষয়াদি তাদের সামনে উপস্থিত হলে তারা নিজেদের সম্মান সমুন্নত রেখে বিনয়ের সাথে সেসব বিষয় এড়িয়ে যায়' (২৫:৭২)।
    অন্যদিকে 'এমন মানুষও আছে যারা অর্থহীন কথাবার্তায় নিমজ্জিত থাকে' (৩১:৬)। এই দুই শ্রেণীর সাথে পরিচিত হওয়ার পর আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কোন দলের অংশ হতে চান। তারপর সিদ্ধান্ত নিন।






    সামনে এগোলে আল্লাহ্* আপনাকে অন্য এক শ্রেণীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবেন। এরা 'অসহায়দের খাবার দিতে উৎসাহিত করে না' (৮৯:১৮) এবং 'নিজেদের ধন-সম্পদ গভীরভাবে ভালোবাসে' (৮৯:২০)। একই সাথে তিনি এদের বিপরীত শ্রেণীর সাথেও পরিচয় করিয়ে দেন যারা 'অন্যদেরকে যা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ঈর্ষা পোষণ করে না এবং দারিদ্র্যের হুমকির সম্মুখীন হয়েও নিজেদের উপর অন্যের কল্যাণকে প্রাধান্য দেয়।' (৫৯:৯)




    আপনি পরিচিত হবেন তাদের সাথে 'যারা নিতান্ত অলসভাবে এবং লোক দেখানোর জন্য সলাতে দাঁড়ায় আর আল্লাহকে কদাচিৎ স্মরণ করে।' (৪:১৪২) এবং তাদের সাথেও 'যারা নিজেদের সলাতে বিনয়ী এবং একাগ্রচিত্ত' (২৩:২)।




    এমন মানুষও আপনার জীবনে আসবে যারা শুধুই 'ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে আর চতুষ্পদ জন্তুর মতো খাওয়া-দাওয়া করে' (৪৭:১২) আবার সেই সমস্ত চিন্তাশীল লোকেরা আপনাকে নাড়া দিয়ে যাবে যারা 'আকাশ এবং পৃথিবীর সৃষ্টি নৈপুণ্য নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে' (৩:১৯১)।






    'নিজের প্রবৃত্তিকেই রবের আসনে বসিয়ে নিয়েছে' (৪৫:২৩) এমন মানুষের পাশাপাশি 'অন্যান্য সবকিছুর চেয়ে আল্লাহকে বেশী ভালবাসে' (২:১৬৫) এমন মানুষও আপনি দেখতে পাবেন।


    এমনকি আপনি অবাক হয়ে আবিষ্কার করবেন যে ১৪০০ বছরের পুরোনো কুরআন কি অবিকলভাবে আজকের এই পৃথিবীর গল্প আপনাকে শোনাচ্ছে! কুরআন যেন আমাদের সময়ের নেতৃবর্গ আর সরকারসমূহের কথাই বলছে 'যারা পৃথিবীর বুকে অত্যাচারের নেতৃত্ব দেয় এবং পৃথিবীর মানুষকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে অনুগত করে রাখে আর তাদের মাঝেই একদলের সন্তানদের হত্যা করে তাদের উপর অত্যাচার চালায়' (২৮:৪) আর 'যারা অনুগত হতে অস্বীকার করে তাদের জেলে বন্দী করে রাখার ভয় দেখায়।'( ২৬:২৯) এই শাসকেরা 'মুসলিম নারী শিশুদের আগুনের মুখে ঠেলে দেয় ' (৮৫:৫) 'শুধু এই কারণে যে তারা আল্লাহ উপর ঈমান এনেছে।' (৮৫:৮) অথচ এই অত্যাচারীরাই নিজেদের অর্থবিত্ত ও প্রযুক্তিতে অগ্রগামী এবং সভ্য সমাজের মুখপাত্র দাবী করে। (২৮:৭৬) আর এতেই কেউ কেউ ধোঁকা খেয়ে তাদের কুফর এবং অন্যদের উপর তাদের অত্যাচারকে বেমালুম ভুলে গিয়ে বিস্ময়ভরা চোখে তাদের সমাজ- সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়ে মনে মনে ভাবে, যদি তাদের মতো হতে পারতাম! (২৮:৭৯) কিছু সত্যনিষ্ঠ আলেম মানুষকে সচেতন করতে উঠে দাঁড়ায় (২৮:৮০)। এর ফলে কিছু মুসলিম জেগে ওঠে এবং শত্রুর ভূমিতে নিগৃহীত হওয়ার পর ইসলামের ভূমিতে হিজরত করে (১৬:১১০) এবং কেউ কেউ বিশ্বের বিভিন্ন অংশে নির্যাতিত নারী-পুরুষ এবং শিশুদের রক্ষার্থে আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে (:৭৫)। তবে অধিকাংশ মানুষই দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে তোলা এসব শত্রুর ভূমিতে থাকাটাই পছন্দ করে (:৯৭)। শুধু তাই নয় বরং গৃহপালিত দাসের মতো 'বসে থেকে নিজেদের ভাইদের সম্বন্ধে বলে, যদি তারা আমাদের কথা শুনত, তবে নিহত হত না' (৩:১৬৮) এটুকুও যেন যথেষ্ট নয়। যেই অত্যাচারীরা -
    • পরিস্কারভাবে 'একে অপরের সহযোগী'( ৮:৭৩, ৪৫:১৯),
    • যারা চায় আমরা যেন ইসলামকে নির্বিষ তত্ত্বকথায় পরিণত করি,(৬৮:)
    • আমরা ইসলাম পরিত্যাগ করে সম্পূর্ণরূপে তাদের অনুসরণ করলেই শুধু যারা আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবে, (:১২০)

    সেই অত্যাচারী কাফির গোষ্ঠীকে দুনিয়ার মোহে আবিষ্ট কিছু মুসলিম মিত্র হিসাবে গ্রহণ করে। তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে তাদের সেই মিত্রদের আশ্বাস দিয়ে বলে, ' "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে " আমরা শেষ পর্যন্ত তোমাদের সাথে আছি।' (৫৯:১১) কিন্তু যেহেতু 'এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত; এদিকে ও নয় ওদিকে ও নয়' (৪:১৪৩) , তাই তারা মু'মিনদেরকেও আশ্বস্ত করে বলে যে আমরা তো বিশ্বাসী (:১৪) আর আমরাও তো ইয়ে ... মানে ... আসলে উম্মাহর বিজয়ই চাই। আর তাই 'যারা পরীক্ষায় পড়লেই পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়' (২২:১১) এমন মানুষদের সাথে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। তবে আপনি এমন মানুষের দেখা পাওয়ার সৌভাগ্যও লাভ করবেন 'যারা আল্লাহ সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে' এবং ' যাদের সংকল্প বিন্দুমাত্র ও পরিবর্তিত হয়নি' (৩৩:২৩)






    আর এভাবেই কুরআন পড়ার সময় মানবজাতির সর্বোত্তম থেকে শুরু করে সর্বনিকৃষ্ট পর্যন্ত নানান বৈচিত্র্যময় চরিত্রের মানুষ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য আপনার সামনে উপস্থাপিত হয়। আল-হাসান আল-বাসরি (র) বলেন, 'তোমাদের আগে যারা এসেছিল তারা কুরআনকে আল্লাহ্*র পক্ষ থেকে কতগুলো বার্তার সংকলন হিসাবে দেখত। তারা রাতের বেলায় এগুলো নিয়ে চিন্তা করত আর দিনের বেলায় তা কাজে পরিণত করত।'





    সুতরাং এবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, 'আমি এদের মধ্যে কোন দলটির অংশ হতে চাই? আমি কি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি?'
    কুরআন আপনার দিকে ঠিক এই চ্যালেঞ্জটাই ছুঁড়ে দেয়।


    ড. তারেক মেহান্নার 'Carry the flag' প্রবন্ধ থেকে সংক্ষেপিত এবং অনুদিত।
    Last edited by কাল পতাকা; 12-30-2015, 04:53 AM.

  • #2
    jazak-Allohu khoira apnar ei shundor post er jonno. Very thoughtful Tareq Mehenna.
    اتامرون الناس بالبر وتنسون انفسكم وانتم تتلون الكتاب افلا تعقلون

    তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ ভাই!!

      Comment

      Working...
      X