Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রশ্নঃ মাসআলায় বুদ্ধির প্রয়োগ কি জাযেজ ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রশ্নঃ মাসআলায় বুদ্ধির প্রয়োগ কি জাযেজ ?

    প্রশ্ন উত্তরঃ ১


    শরয়ী মাসআলায় বুদ্ধির প্রয়োগ কি জাযেজ ?


    উত্তর দাতা: মুহাম্মাদ রাশীদ জিয়া
    আল-মানার ১০ , মহাররাম/ ১৩৫৪ হি:
    মিন্মবারুত তাওহীদ ওয়াল জিহাদ


    প্রশ্ন: কুরআন-সুন্নাহ, ইজমা ও নির্ভরযোগ্য কিয়াসে বর্নিত দ্বীনের শরয়ী মাসআলায় মানব বুদ্ধির সমাধান মানা কি জাযেজ ?
    অধিকাংশ মানুষ শরয়ী মাসআলায় আকলকে ব্যবহার করে। অত:পর যা বিবেক অনুযায়ী হয় তা মেনে নেয় এবং বিবেক বহির্ভূত গুলোকে ছেড়ে দেয়, যদিও ইহার ব্যপারে শরয়ী নস, ইজমা অথবা কিয়াস বিদ্যমান। ইহা কি জায়েজ ?


    উত্তর: মানুষ তার বুদ্ধির মাধ্যমে হেদায়াত পাওয়া সম্ভব না হওয়ার কারণেই আল্লাহ তায়ালা এই দ্বীনকে প্রনয়ন করেছেন।

    তাই এখন যে ব্যক্তি আল্লাত তায়ালার পক্ষ খেকে প্রেরিত দ্বীনের উপর বিশ্বাষ স্থাপন করবে তার জন্য জায়েজ নয় যে, সে শুধু তাহাই গ্রহন করবে যা তার বুদ্ধির অনুযায়ী হবে আর বিবেক বিরোদ্ধ্য হলে ছেড়ে দিবে। অথচ সে জানে মহান আল্লাহ তায়ালা তার উপর এই আমাল সমূহ ফরজ ও নিষিদ্ধ বিষয়গুলিকে হারাম করেছেন।

    যে ব্যক্তি এই ধরনের কাজ করবে; নিশ্চিতভাবে যে তার বিশ্বাষকৃত দীনের অনুসরণকারী নয়। বরং সে আল্লাত তায়ালার পক্ষ থেকে হেদায়াত ব্যতিত নিজ মনের অনুসারী।

    সুতরাং আক্বল বা বুদ্ধির কাজ হচ্ছে ; দ্বীনকে জানবে ও আমালের জন্য বুঝবে। দীনের ব্যপারে ফায়সালা দেয়া তার কাজ নয়। এবং তার কাজ ইহাও নয় যে, সে তার মত মানুষের বানানো বিধানের কাছে ফায়সালা চাইবে।

    নিশ্চই মানুষের বুদ্ধি অনেক মতবিরোধ করে ঐ সমস্ত বিষয়ে যাতে তার মত মানুষেরাই একমত পোষন করেছে বা বিরোধ করেছে। আর প্রত্যেকের এই চিন্তার পার্থক্য চায়, যারা দীনের ব্যপারে বুদ্ধির ফায়সালা মেনে নেয় তাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা ধর্ম থাকবে, যা একমাত্র তার ব্যক্তিগত। আর জনগণ; যদি তাদের বুদ্ধির অনুসরণকে দীন বলা হয় তাহলে তাদের সংখ্যা অনুযায়ী অসংখ্য ধর্ম থাকবে। আর ইহা কোন ভাবেই জায়েজ নয়।

    দীনের প্রত্যেক মাসআলায় বিবেকের কাছে ফায়সালা চাওয়া; সুস্থ বুদ্ধিরও বিপরীত।

    কেননা মানুষ্য বিবেক বলে যে; বুদ্ধিমান ব্যক্তি প্রথমে দীনের ভিত্তির ব্যপারে দলীল তালাশ করবে। অত:পর যার নিকট যখন নিশ্চিত ভাবে দীনের সত্যতা প্রমানিত হবে তখন তার উপর এই দীন থেকে যাই জানবে তার উপর আমাল করা আবশ্যক হয়ে যায়। সুতরাং আমরা যখন মুহাম্মাদ আলাইহিস সালামের নবুয়্যাতের উপর আকলী স্পষ্ট প্রমান পেয়েছি। তখন যে তার উপর ঈমান আনবে তার উপর আবশ্যক হয়ে পরবে দীনের বিষয়ে তিনি যা নিয়ে এসেছেন তার সবকিছুকে মান্য করা।

    এই দীনের মধ্যে কিছু বিষয় হচ্ছে মুসলমানদের ঐক্যমতে নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত। সেখানে বুদ্ধির কোন স্থান নেই যে অনুসন্ধান করবে বা দলীল খুজবে। আর কিছু বিধান আছে যা এমন নয়। বরং ইহার দলীল বা দলীলের প্রমানিকতার বৈপরিত্যের কারণে ইহা সাব্যস্ত বা নিষেধের ক্ষেত্রে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

    ক্বিয়াসের ক্ষেত্রে এই ধরণের ইখতিলাফের মধ্যে আরো আছে, যেমন: কোন একটা বিষয় সম্পর্কে; এটা কি শরয়ী দলীল নাকি নয়, এবং ইহার হাকীক্বত বা বাস্তবতা, ইহার উদ্দেশ্য, প্রমানের প্রকার ও গুণাগুন ইত্যাদি ভিবিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।

    তখন প্রত্যেক মুসলমানের আবশ্যক হচ্ছে তার বুদ্ধি দিয়ে সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী অনুসন্ধান করা। এবং যা সত্য তা গ্রহন করা। এখন সে যা গ্রহন করবে তা বুদ্ধি বা বিবেকের কারণে নয় বরং দলীল অনুযায়ী হওয়ার কারণে। ( অর্থাৎ বিরোধপূর্ন দলীলগুলো থেকে সঠিক দলীলটা সে খুজে বের করবে )

    কোন ব্যক্তির উপর আবশ্যক নয় যে সে কিছু সংখ্যক আলেম তাকে শরয়ী দলীল ছাড়া যা বলবে তার সবই মেনে নেবে যদিও মাসায়েলগুলো বিবেক বহির্ভূত হয়। আর এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই কথা জানা যে, মাযহাবের কিতাব সমূহের কোন কিতাবে কোন হুকুম বা মাসআলা উল্ল্যেখ থাকা শরয়ী দলীলের অন্তর্ভূক্ত নয়।
    Last edited by আল্লাহর বান্দা; 12-30-2015, 10:49 AM.

  • #2
    আলামদুলিল্লাহ!! অনেক ভালো লাগলো।। পড়লাম,বুঝলাম, জাযাকাল্লাহ ভাই!!

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ ভাই অনেক ভাল হয়েছে। প্রশ্ন উত্তরঃ ১ মানে কি সিরিজ আকারে চালিয়ে যবেন ? তাহলে তো অনেক ভাল।

      মাযহাবের কিতাব সমূহের কোন কিতাবে কোন হুকুম বা মাসআলা উল্ল্যেখ থাকা শরয়ী দলীলের অন্তর্ভূক্ত নয়।

      Comment

      Working...
      X