Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রথম ব্লগার হত্যার রায় আগামীকাল !

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রথম ব্লগার হত্যার রায় আগামীকাল !





    সূত্রঃ- সিলেটটুডে২৪
    লিঙ্কঃ- http://www.sylhettoday24.com/news/de...National/14120


    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    লেখক-ব্লগার-প্রকাশক হত্যার বছরে দেশে প্রথমবারের মত কোন ব্লগার হত্যার রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে। বছরের শেষ দিন (৩১ ডিসেম্বর) ব্লগার প্রকৌশলী আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার বিচারের রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ

    ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে ব্লগার রাজীব হায়দার শোভনকে (থাবাবাবা) পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা কুপিয়ে হত্যা করে। ব্লগার পরিচয়ের বাইরেও রাজীব ছিলেন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগ গণজাগরণ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক।

    রাজীব হায়দার ছিলেন প্রথম ব্লগার যিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় জঙ্গিদের কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর ২০১৫ সালে এক বছরে আরও ৪ ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করে ধর্মীয় মৌলবাদীরা। এ হত্যাকাণ্ডের শিকার অপরাপর ব্লগাররা হলেন- অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নিলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় (নিলয় নীল)।

    ২০১৫ সালে অপর এক হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন প্রগতিশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফায়সাল আরেফিন দীপন, যিনি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ছিলেন।

    মামলার বিচারিক ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি সিএমএম কোর্টে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নিবারন চন্দ্র বর্মণ। ১৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে হত্যাকাণ্ডের ২ বছর পর এই হত্যার বিচার শুরু হয়। এর কিছুদিন পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এ পাঠানোর আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১১ মে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এই আদেশে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে বদলি করেন।

    চলতি বছরের ১৮ মার্চ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাত ছাত্রসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানা ছাড়া সবাই কারাগারে।

    গ্রেফতারের পর রাজীব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ৫ ছাত্র ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, এহসান রেজা রুম্মান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজ। ঢাকার সিএমএম আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

    এরপর বিচার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) আদালতে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল, ফারুক আহমেদ ও জসিম উদ্দিন। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন বিশেষ পিপি মাহবুবুর রহমান। মামলাটিতে ৫৫ জন সাক্ষীর মধ্যে রাজীবের ছোট ভাই স্থপতি নেওয়াজ মর্তুজা হায়দারসহ ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

    মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানি, ঢাকার খিলক্ষেত চৌধুরীপাড়ার মো. ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রামের মো. এহসান রেজা রুম্মান, ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার ধলেশ্বর গ্রামের মাকসুদুল হাসান অনিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কলেজপাড়ার নাঈম ইরাদ, চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ উপজেলার হারামিয়া গ্রামের নাফিজ ইমতিয়াজ, ঢাকার কলাবাগান থানার ভুতের গলির সাদমান ইয়াছির মাহমুদ ও ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার জয়লস্করের রেদোয়ানুল আজাদ রানা।

    জসীমউদ্দিন রাহমানি ছাড়া সবাই নর্থ সাউথের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পলাতক রানাকে রাজীব হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    ব্লগার রাজীব হায়দারের সহ-ব্লগার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু মশিউর রহমান বিপ্লব বলেন, "প্রথম থেকেই এই মামলা পর্যবেক্ষণ করে আসছি। প্রথমবার ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিট দেবার পর অনেক চেষ্টা করে পুনরায় নতুন করে চার্জশিট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাথে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও বদলের জন্য চেষ্টা করে সফল হই।

    আসামীপক্ষ এই মামলার ২/৩ জন সাক্ষীকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করেছিল এমন অভিযোগ করে মশিউর বলেন, সুখবর হচ্ছে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রসিকিউশন দল মামলাটা সফলভাবে পরিচালনা করেছেন। যে সমস্ত প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে আমি মনে করি সব আসামী সর্বোচ্চ সাজা পাবে।"

    মশিউর বলেন, এর পর শুরু হয় সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যবেক্ষণ করা। যতটা সম্ভব পেরেছি সবার সাথে যোগাযোগ রেখেছি।

    মশিউর রহমান বিপ্লব বলেন, সব কিছু পর্যবেক্ষণে আশা করি এই মামলাতে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে।
    Last edited by Agent Basir; 12-30-2015, 04:40 PM.

  • #2
    শায়েখের জন্য দোয়া করি আল্লাহ সুবঃ যেন তাকে দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।
    ইলম আমাদের বুঝতে শিখায় এবং জিহাদ আমাদের মানতে শিখায়

    Comment


    • #3
      ওহে! নাস্তিকদের দালাল কুকুরেরা, শুনে রাখ

      তোরা বেচে থাকাকে যত ভালবাসিস আমরা শাহাদাতকে তার চেয়েও বহু গুনে ভালবাসি।

      তোরা যদি এই ধারনা করে থাকিস যে, আমাদেরকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বিরত রাখবি তাহলে, আমাদের ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখ এটাই হবে তোদের সবচেয়ে বড় ভূল।

      Comment

      Working...
      X