Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমেরিকা- তালেবান চুক্তি নিয়ে ডেমক্র*্যাট ঘরানার টম ম্যালিনোস্কি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্র

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমেরিকা- তালেবান চুক্তি নিয়ে ডেমক্র*্যাট ঘরানার টম ম্যালিনোস্কি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্র

    ডেমক্র*্যাট ঘরানার টম ম্যালিনোস্কি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় যে আর্টিকেল লিখেন, তার অনুবাদঃ
    .
    একজন পোলিশ আমেরিকান হিসেবে আমি যা শুনে বেড়ে উঠেছি, তা হলো "আমরা (আমেরিকান) নেই, তো কিছুই নেই।" পূর্ব ইউরোপীয়দের জন্য কথাটা বেশ বেদনাদায়ক, কারণ এটা তাদের স্মরণ করিয়ে দেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যোসেফ স্ট্যালিন, উইন্সটন চার্চিল আর ফ্রাংক্লিন ডি রুজভেল্ট কিভাবে তাদের ভূমিকে ছোট ছোট খন্ড করে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সোভিয়েতের কর্তৃত্বাধীন করে দেয়। তালিবানদের সাথে আমেরিকার শান্তিচুক্তি দেখার আগে আমি কখনো ভাবি নি যে একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টও একটি জাতির সাথে এমন কাজটা করবে। এই চুক্তি আফগান সরকারের মাধ্যমে আফগানীদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারে, অথচ এ ব্যাপারে তাদের কোন মতামত নেয়া হয়নি।
    .
    মৌলিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও তালিবানদের চুক্তিতে কোন ভুল নেই। যদি এ চুক্তিতে উভয় পক্ষই সহিংসতা কমিয়ে আনবে আর আমেরিকা কিছু সেনা প্রত্যাহার করবে আর তালিবানরাও আফগান সরকারের সাথে আলোচনায় বসবে- এ বিষয়গুলো থাকত, তবে কোন সমস্যাই ছিল না। সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের আগে এ চুক্তির মাধ্যমে আমেরিকার মিত্র আফগান সরকারের প্রতি তালিবানদের আচরনের একটা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষন হয়ে যেত। ট্রাম্পের কথা শুনে কংগ্রেসের বেশিরভাগ সদস্যগন তাই ভেবেছিলাম
    .
    ১৫ ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির মিউনিখে কংগ্রেসের বেশ কিছু সদস্যদের একটি মিটিং-এ আমি সেক্রেটারি মাইক পম্পেওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আফগান সরকার কর্তৃক ৫০০০ তালিবান বন্দিদের মুক্ত করার ব্যাপারে, যা নিয়ে পরিস্কারভাবেই আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি রাজি না। পম্পেও আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল এই চুক্তিতে এমন কিছুই থাকবে না।
    .
    অথচ ২৯ ফেব্রুয়ারির চুক্তিতে বলা হয়, আন্তঃ আফগান আলোচনার আগেই ১০ মার্চের মাঝে ৫০০০ বন্দিমুক্ত করা হবে। এ চুক্তির মাধ্যমে ট্রাম্প সরকার যেন আগে থেকেই তালিবানদের জানান দিচ্ছে - আশরাফ গনি, যার কিনা এই চুক্তির ব্যাপারে কোন ভূমিকাই নেই, তালিবানরা যেন তার সাথে আলোচনায় না বসে। কারণ বন্দিমুক্তিতে রাজি না হয়ে সে চুক্তিভঙ্গ করেছে।
    .
    বাদবাকি চুক্তির ব্যাপারগুলোও সন্তোষজনক নয়। এই চুক্তি তালিবানদের আফগান বাহিনীর উপর গুলি চালানো থেকে বারণ করে না, শুধু বলে আমেরিকান সেনাপ্রত্যাহার চলাকালীন সময়ে আমেরিকানদের উপর গুলি না চালাতে। এই চুক্তি তালিবানদেরকে বলে না যেন তারা আল কায়েদার সাথে সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কছেদ করে, শুধু বলে তারা আফগান ভূমি থেকে আমেরিকায় হামলা করতে পারবে না। এই চুক্তিতে বলা হয়নি যে তালেবান যেন পাকিস্তান থেকেও আমেরিকার উপর হামলা না চালায়, অথচ পাকিস্তানেও তালিবানদের উপস্থিতি আছে।
    .
    এই চুক্তিতে চুক্তিভঙ্গের কোন শাস্তির কথাও উল্লেখ নেই। কিন্তু এই চুক্তিতে আমেরিকানদের বলা হয়েছে যুদ্ধ চলতে থাকলেও আগামী ১৪ মাসের মাঝে আমেরিকাকে সম্পূর্ণভাবে সেনাপ্রত্যাহার করে নিতে হবে। যদি তালিবান আফগান সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি না হয়, তাও আমরা সেনা প্রত্যাহার করবো, যদি তারা আফগান বাহিনীর উপর হামলা চালাতে থাকে, তবুও আমরা চলে যাবো। মূলত এটা তালিবানদেরকে হামলা করার গ্যারান্টি দেয়, আলোচনায় বসার না।
    .
    সংক্ষিপ্তভাবে এটা শান্তি চুক্তি নয়। বরং এটা আমাদের মিত্র আফগান সরকারকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে সেখান থেকে সটকে পড়ার ফন্দি।
    .
    আমি উপলব্ধি করতে পারি, বেশির ভাগ মার্কিনীরাই ১৮ বছর ধরে আমেরিকান সেনাদের এই যুদ্ধ নিয়ে ক্লান্ত। আমি নিজেও ক্লান্ত। আমি এর দুইটা উপায় দেখি।
    .
    প্রথমত সেই কাজটি করা, যা আমরা চেস্টাই করি নি, তা হলো সেনা প্রত্যাহারের কোন দিন-তারিখ নির্ধারণ না করে কিছু সেনা সেখানে রেখে দেয়া যতদিন আমাদের আফগান মিত্ররা চায়, যেমনটা আছে জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যত্র। তাদের মিশন হবে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়া, কিন্তু তারা প্রত্যক্ষভাবে কোন যুদ্ধ করবে না। এ ধরনের চুক্তি তালি/বানদের জানান দিবে যে আমাদের উপস্থিতি তারা অস্বীকার করতে পারবে না। এর মাধ্যমে তালি/বানদের সাথে আফগান সরকারের আলোচনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিবে, ফলে আফগানদের গনতন্ত্র ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। বস্তুত, সেনা প্রত্যাহারের থেকে বরং সেনা মোতায়েন রাখাই সহজতর।
    .
    মনে রাখতে হবে, ট্রাম্প যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেনা প্রত্যাহার করে "ঘরে প্রত্যাবর্তন" করার, তাদেরকে কিন্তু আমেরিকায় আনা হবে না। বরং তারা সেই অঞ্চলে থাকবে, যাতে করে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হলে তারা পুনরায় আফগানে ফিরে যেতে পারে। কিন্তু তখন ফিরে যাওয়াটা আরো বিপদজনক হবে।
    .
    দ্বিতীয়ত যেটা করা যায়, তা হলো, সিদ্ধান্ত নেয়া যে, আর যাই হোক, আমাদের আফগানে আর কোন কাজ নাই। এমনটাই যদি হয়ে থাকে, তবে আমাদের উচিত সরে আসা। কেন তালি/বানদেরকে বন্দিমুক্তির উপহার দিতে হবে? কেনই বা তালি/বান নেতাদের থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তুলে ফেলার চুক্তি করা হবে! আর কেনই বা এই "সন্ত্রাসী"দের সাথে প্রেসিডেন্টের কথার বৈধতা দিতে হবে?
    .
    সব থেকে খারাপ হবে যদি আমেরিকানদেরকে এই চুক্তির মাধ্যমে শান্তির একটা রূপকথা শোনানো হয়, যাতে তারা অপরাধবোধে না ভুগে বা যাতে ট্রাম্প গর্ব করে বলতে পারে যে সে " শান্তিচুক্তি" করেছে।
    .
    আসুন আমরা আফগানিস্তানে ভালো- মন্দ যাই করেছি তার দায়ভার বহন করি আর আমাদের মিত্র আফগান সরকারের সাথে কাজ করি। নয়তো একেবারে আফগানীদের উপর আফগানকে বুঝিয়ে দিয়ে সরে আসি।
    .
    - ওয়াশিংটন পোস্ট, ৭ মার্চ, ২০২০
    .
    এই কাফির আমেরিকানও বুঝতে পারে যে এই চুক্তি কিভাবে আমেরিকানদের নাকানি চুবানি খাওয়ায়ে আফগানের চোরাবালিতে শ্বাসরোধ করে মারার চুক্তি। বোঝা যায়, আমেরিকা যা করতে এসেছে বা করতে চায়, তার কিছুই এই চুক্তি দিয়ে করা সম্ভব না। আমরা না বুঝলেও তারা এই চুক্তির মার-প্যাচ ঠিকই বুঝে। অথচ মানুষ এই চুক্তি নিয়ে কতই না বিরুপ মন্তব্য করছে।
    .
    অনুবাদ করেছেন: আবু দুজানা আল হিন্দি ভাই
    Last edited by Galib Ibn Adam; 03-08-2020, 07:33 PM.
    (হে আল্লাহ)" মুক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই
    তোমার দেয়া প্রানটা নিয়েই হাজির হলাম তাই"

  • #2
    মাশাআল্লাহ।
    আনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      Originally posted by Galib Ibn Adam View Post
      সংক্ষিপ্তভাবে এটা শান্তি চুক্তি নয়। বরং এটা আমাদের মিত্র আফগান সরকারকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে সেখান থেকে সটকে পড়ার ফন্দি।
      আমেরিকা সাদ্দাম হোসেনকে যেমন টিস্যু পেপারের মত কাজ শেষে ফেলে দিয়েছিল ৷ আশরাফ ঘানির সাথেও মনে হয় এমন ব্যবহার করতে চাচ্ছে ৷
      "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ, প্রিয় আখি পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। Global 4g War fear, এ ইউএস হেরে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ। এটি আল্লাহর বিশেষ এক দান। আমেরিকা খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে টাকা দিয়ে ( আফগানিস্তানের ত্বাগুত বাহিনী) কাদের প্রতিপালন করছি। ইউএস চলে গেলে এক সপ্তাহের ওরা পালাবে। ইউএস এতদিন ওদেরকে ইউস করেছে।
        ان المتقین فی جنت ونعیم
        سورة الطور

        Comment


        • #5
          মনে হচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেনট কিছু টা যুদ্ধের সাধ উপলব্ধি করতে পারলেও তার দোসরদের এখনো মন ভরেনি..! তারা তাদের আরো ক্ষয়ক্ষতি চায় আআআ-------হহহহ কি আশ্চর্য্য এই তাগুত জাতি...! আল্লাহর সাথে দুশমনির কি সুফল তারা পাচ্ছে...! সুবহানাল্লহি ওয়াবি হামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম.... আল্লহু আকবার ওয়া। লিল্লাহিল হামদ.....! "অতএব তোমরা শয়তানের বন্ধু /অভিবাবকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকরো... নিশ্চয়ই শয়তানের সরযন্ত্র খুবই দূর্বল"
          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment


          • #6
            আল্লাহু আকবার!
            অভাবনীয় দুর্দান্ত বিজয়, আলহামদুলিল্লাহ।
            ইনশা আল্লাহ, সারা বিশ্বে ইসলামের বিজয়ও দ্বারপ্রান্তে।
            হে আল্লাহ! আমরা যদিও যোগ্য না, তারপরেও মেহেরবানী করে আমাদের সকলকে জিহাদী কাফেলাতে কবুল করে নাও...আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X