Announcement

Collapse
No announcement yet.

ওলামা সু - দের দিয়ে নিল নকশা অংকন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ওলামা সু - দের দিয়ে নিল নকশা অংকন

    জঙ্গি ঠেকাতে এক লাখ আলেমের স্বাক্ষরে ‘ফতোয়া’

    জঙ্গি ঠেকাতে এক লাখ আলেমের স্বাক্ষরে ‘ফতোয়া’ শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশের এক লাখ ইমাম, ওলামা-মাশায়েখ একযোগে ফতোয়া দেবেন যে, ‘জঙ্গিবাদ ইসলাম ধর্ম পরিপন্থী। জঙ্গিরা পথ ভ্রষ্ট। তাদের মদদদাতারা বিদেশি, বিধর্মী এবং ইসলাম ধর্মের প্রকাশ্য শত্রু। ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই।

    এছাড়া পবিত্র কুরআন, হাদিস এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর আলোকে তারা জঙ্গিবাদ বিরোধী পুস্তক প্রণয়ন করবেন। যা সারাদেশে মসজিদ, মাদ্রাসা ও ওয়াজ-মাহফিলে তুলে ধরা হবে।

    পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক’র সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত “ইসলামের দৃষ্টিতে জঙ্গিবাদ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এসময় ইসলাম ধর্মের কথা বলে যারা জঙ্গিবাদ করছে- তাদেরকে একযোগে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন সভায় অংশগ্রহণকারী আলেম ওলামাগণ।

    মতবিনিময় সভায় পুলিশ হেডকোর্টার্সের এআইজি (গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো. মঈনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মো. আবুল কাশেম, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মাওলানা রুহুল আমীন খান উজানী, মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন সাইফী, মাওলানা যাকারিয়া নো’মান ফয়েজী, মাওলানা আইয়ূব আনসারী, মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা হাবীবুর রহমান খান, মাওলানা শোআইব আহমদ, মাওলানা নাসীরুদ্দীন কাসেমী, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, মাওলানা আব্দুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    এ কে এম শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আলেম ওলামা মাশায়েখগণই বিভ্রান্তির হাত থেকে তরুণদেরকে সুপথে পরিচালিত করতে পারেন। যারা বিপথগামী হয়েছে তাদের বিভ্রান্তি দূর করতে পারেন। আর বিভ্রান্ত করার জন্য যারা প্ররোচিত করছে ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণী তুলে ধরে তাদের প্ররোচণা প্রতিহত করতে পারেন।

    তিনি বলেন, আমরা আপনাদেরকে নিয়ে জঙ্গিবাদকে দেশ থেকে নির্মূল করতে সক্ষম হবো। মতাদর্শের পার্থক্যের কারণে একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে নাস্তিক, মুরতাদ বলতে পারে না। হত্যা করতে, বোমা মারতে বা গুলি করতে পারে না।

    তিনি আরও বলেন, এদেশে এক সময় চরমপন্থী, সর্বহারা, নকশাল আন্দোলন হয়েছিল। বহু তরুণের মগজ ধোলাই হয়েছিল, হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। পরে তারা শান্তির পথে ফিরে এসেছে।

    তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে একেকজন একেক ধরনের কথা বললে মানুষ বিভ্রান্ত হবে। ইসলামের ব্যাখ্যা একই রকম হতে হবে। তিনি বলেন, শহীদ হবার লোভে যে সব যুবক সন্ত্রাসে লিপ্ত হচ্ছে তাদেরকে সঠিক পথে আনতে হবে। তারা যেন বিপথে না যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইএস প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ফসল হচ্ছে আইএস।

    ব্লগার হত্যা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, কোনো ব্যক্তি কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। সেজন্য কাউকে হত্যা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, আমরা কোনো মসজিদ-মাদ্রাসায় খবরদারি করি না, গোয়েন্দা দিতেও চাই না। তিনি মসজিদে জুমার খুতবার পূর্বে বয়ানে, ওয়াজ-মাহফিলে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আলেম-ওলামাদের প্রতি আহবান জানান।

    পুলিশ প্রধান বলেন, জেহাদের নামে মসজিদে নিরীহ মানুষ হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম দেশপ্রেমের শিক্ষা দেয়। গুটি কয়েক লোক ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে। এটা কোন মুসলমানের কাজ হতে পারে না।

    স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আলেমরা ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সজাগ করতে পারেন।

    অতিরিক্ত আইজিপি (এ্যাডমিন এন্ড অপস্) মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, মুসলমানদেরকে নিয়ে নানা চক্রান্ত চলছে। মুসলমানের নামে মুসলমানদেরকে হত্যা করে ইসলামের ভাবমর্যাদা ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধভাবে এ চক্রান্ত জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে হবে।

    মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, যারা ইসলামের নামে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে তারা ইসলামের দূশমন, মুসলমানদের দূশমন। তারা ইসলামের যে ক্ষতি করছে তা আবু জাহেলও করতে পারেনি। তারা বিকৃত চেতনার মানুষ।

    জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলেমদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন চুপ করে থাকার সময় নেই। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা ইমানি দায়িত্ব। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যও প্রয়োজন। নইলে তারা হুরপরি পাওয়ার জন্য আপনাদের গলায়ও ছুরি ধরতে পারে। তিনি বলেন, ওলামা-মাশায়েখদের বয়ান ও ওয়াজ মাহফিলে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।

    মাওলানা মাসউদ বলেন, সারা দেশে প্রায় তিন লাখ ইমাম আছেন। আরো তিন লাখ মুয়াজ্জিন আছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এক লাখ ইমামের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ফতোয়া বের করে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।


    লিংক: http://anonym.to/?http://www.sheersh...&st_refQuery=/

  • #2
    যারা ইসলামের নামে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে তারা ইসলামের দূশমন, মুসলমানদের দূশমন।
    "নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভালোবাসেন যারা আল্লাহর পথে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় যুদ্ধ (জিহাদ) করে।" [সূরা আস সাফ]

    এটা কারো নিকট এখন আর অস্পষ্ট নয় যে, ফরিদুদ্দিন মাসুদ নিজেই ইসলামের বিরুদ্ধে,উলামা মাশায়েখদের বিরুদ্ধে দুশমনিতে লিপ্ত। সে যে সরকারের চাটুকার/দালাল সেই সরকারই ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। এই ধরনের (নাস্তিকদের পৃষ্টপোষক মুরতাদ শাসকের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরজে আইন। বরং জিহাদ না করা কবিরাহ গুনাহ। এই ব্যাপারে যুগে যুগে সকল ইমাম ও ফোয়াহায়ে কেরামগণ ফতওয়া দিয়ে গেছেন। আর এখন যে সকল উলামা এই ফরজিয়াতের ফতওয়া দিচ্ছেন না তারা অধিকাংশই সরকারের যুলুমের ভয়ে দিচ্ছেন না।
    তবে আগামীর দিন গুলি মনে হচ্ছে এই মাঝামাঝি অবস্থানের কোন সুযোগ থাকবে না। জিহাদ কেন প্রয়োজন আল্লাহ তায়ালা এই ফতওয়া দিতে উলামাদের বাধ্য করবেন। আল্লাহু আ'লাম।
    সরকার নিজের ভীতকে টিকিয়ে রাখার জন্যই এই দরবারী মৌলভীর দারা এই কুফরী ফতওয়া প্রচার করার প্লান হাতে নিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তোদের সকল কুচক্রান্তকে নিজেদের ফাঁদে পরিনত করুন।
    এই ফতওয়া জারি করে জিহাদকে কখনোই বন্ধ করতে পারি না ইনশাল্লাহ। এই জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।
    যাদের সাথে শেষ পর্যন্ত ইমাম মাহদি মিলিত হবেন ইনশাল্লাহ।
    Last edited by Ahmad Faruq M; 01-04-2016, 09:14 AM.

    Comment


    • #3
      বরং এই সকল মুরতাদ শাসকের বিরুদ্ধে যুগে যুগে উলামারা যে ফতওয়া দিয়ে গেছেন তাঁর কিঞ্চিৎ নিন্মে তুলে ধরলামঃ-

      أجمع العلماء على أن الإمامة لا تنعقد لكافر وعلى أنه لو طرأ عليه الكفر انعزل قال وكذا لو ترك إقامة الصلوات والدعاء إليها قال وكذلك عند جمهورهم البدعة قال وقال بعض البصريين تنعقد له وتستدام له لأنه متأول قال القاضي فلوطرأ عليه كفر وتغيير للشرع أو بدعة خرج عن حكم الولاية وسقطت طاعته ووجب على المسلمين القيام عليه وخلعه ونصب أمام عادل أن أمكنهم ذلك فإن لم يقع ذلك الا لطائفة وجب عليهم القيام بخلع الكافر)فَصْلٌ فِي شُرُوطِ الْإِمَامِ الْأَعْظَمِ –تحفة المحتاج(
      সকল উলামাগণ এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন যে, কোনো কাফের খেলাফতের দায়িত্বযোগ্য নয় এবং কোনো খলীফার মাঝে যদি কুফরী প্রকাশ পায় তাহলে সে অপসারিত হবে। তিনি বলেন, এমনিভাবে শাসক যদি নামায প্রতিষ্ঠা করা অথবা নামাযের দিকে আহবান করা ছেড়ে দেয় (তাহলেও)। তিনি আরও বলেন, জমহুরের মতে শাসক যদি বিদ‘আত করে (তবে তাদের হুকুম একই)। কতিপয় বসরী আলেমের মত হলো, বিদ‘আতির জন্য শাসনভার থাকবে এবং সেটা সার্বক্ষণিক হবে, কেননা সে তাবিলকারী। কাজী ইয়ায (রহঃ) আরও বলেন: শাসকের উপর যদি কুফর আপতিত হয় এবং সে যদি শরী‘য়ার কোনো বিধান পরিবর্তন করে অথবা বিদ‘আত করে তবে তার থেকে শাসন ভার চলে যাবে এবং তার আনুগত্যের অপরিহার্যতা শেষ হয়ে যাবে। মুসলমানদের উপর ওয়াজিব হবে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, এবং তাকে অপসারণ করা আর একজন ন্যায়পরায়ণ খলিফা নির্ধারণ করা, যদি এটা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়। আর যদি এটি করতে গিয়ে একটি বড় দলের প্রয়োজন হয়, তবে তাদের উপর ওয়াজিব হবে এই কাফেরকে অপসারণের জন্য উঠে দাঁড়ানো। (তুহফাতুল মুহতাজ, খন্ড:৩৮, পৃষ্ঠা:১৮৫,শরহে মুসলিম লিল ইমাম নববী, অধ্যায়-ওজূবু তআতিল উমারা, খন্ড:১২, পৃষ্ঠা:২২৯)
      Last edited by Ahmad Faruq M; 01-04-2016, 09:30 AM.

      Comment


      • #4
        আল্লামা ইবনে কাসীর (রহঃ) এর ফতওয়া:
        ينكر تعالى على من خرج عن حكم الله المحكم المشتمل على كل خير الناهي عن كل شر وعدل إلى ما سواه من الآراء والاهواء والاصطلاحات التي وضعها الرجال بلا مستند من شريعة الله .......... فمن فعل ذلك فهو كافر يجب قتاله حتى يرجع إلى حكم الله ورسوله فلا يحكم سواه في قليل ولا كثير]تفسير ابن كثير[

        আল্লাহ তা‘আলা এমন ব্যক্তির নিন্দা করেছেন যে আল্লাহর দৃঢ় বিধানকে ছেড়ে দেয়। অথচ তা সকল কল্যাণকে সমন্বিত করে, সকল ক্ষতিকারক বস্তু থেকে নিষেধ করে। কুরআন-সুন্নাহ্* বাদ দিয়ে সে ফিরে যায় এমন কিছু মতামত, রীতিনীতি ও প্রথার দিকে, যা প্রণয়ন করেছে মানুষেরাই। আল্লাহর শরীয়ার সাথে যার নেই কোনো সম্পর্ক। ............ যে ব্যক্তি এমন কাজ করবে সে কাফের হয়ে যাবে। তার বিরুদ্ধে কিতাল করা ওয়াজিব যতক্ষণ না সে আল্লাহর কিতাব ও রসূলের (সাঃ) সুন্নাহর দিকে ফিরে আসে এবং কম হোক বেশী হোক কোনো অবস্থাতেই আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য কোনো বিধান দ্বারা ফয়সালা না করে। [তাফসীর ইবনে কাসীর, খন্ড:৩, পৃষ্ঠা: ১৩১]
        ============

        আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) এর ফতওয়া:
        ইবনে হাজার (রহঃ) এ ব্যাপারে ইবনে বাত্তাল, ইবনে তীন, দাউদী (রহঃ) সহ অন্যান্যদের ইজমা উল্লেখ করে বলেন:
        وملخصه أنه ينعزل بالكفر إجماعا فيجب على كل مسلم القيام في ذلك، فمن قوي على ذلك فله الثواب، ومن داهن فعليه الإثم، ومن عجز وجبت عليه الهجرة من تلك الأرض
        মোট কথা : তাকে তার কুফরীর কারণে অপসারণ করতে হবে। সুতরাং প্রতিটি মুসলমানের উপর ওয়াজিব হলো তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। যে তাতে সক্ষম হবে তার জন্য রয়েছে প্রতিদান। যে অবহেলা করবে সে হবে গুনাহগার। আর যে অক্ষম হবে তার উপর ওয়াজিব হলো ঐ এলাকা থেকে হিজরত করা। (ফাতহুল বারী, কিতাবুল ফিতান, ১৩/১২৩)

        Comment


        • #5
          আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) এর ফতওয়া:
          فأيما طائفة امتنعت من بعض الصلوات المفروضات ، أو الصيام ، أو الحج ، أو عن التزام تحريم الدماء ، والأموال ، والخمر ، والزنا ، والميسر ، أو عن نكاح ذوات المحارم ، أو عن التزام جهاد الكفار ، أو ضرب الجزية على أهل الكتاب ، وغير ذلك من واجبات الدين ومحرماته التي لا عذر لأحد في جحودها وتركها التي يكفر الجاحد لوجوبها فإن الطائفة الممتنعة تقاتل عليها وإن كانت مقرة بها ، وهذا مما لا أعلم فيه خلافا بين العلماء "
          মুসলিমদের কোনো দল যদি কিছু ফরজ নামাজ ছেড়ে দেয় অথবা রোযা, হজ্জ থেকে বিরত থাকে, বা জুয়া, সুদ, জিনা, অন্যায় রক্তপাত, অন্যের মাল ভক্ষণকে হারাম না করে, গাইরে মাহরামকে বিবাহ করে বা জিহাদকে আঁকড়ে না ধরে, আহলে কিতাবদের উপর জিযিয়া ধার্য না করে অথবা এ ধরনের কোনো ওয়াজিব ছেড়ে দেয়, অথবা এমন কোনো হারাম থেকে বিরত না থাকে যেগুলোকে অস্বীকার করা বা ছাড়ার ব্যাপারে কোনো ওজর গ্রহণযোগ্য হয় না এবং যার অস্বীকারকারী কাফের বলে বিবেচিত হয়, এই নিবৃত দলটির বিরুদ্ধে কিতাল করতে হবে। যদিও তারা এ ইবাদাতগুলোকে স্বীকার করে। আর এ ব্যাপারে আমার জানা মতে উলামাদের মাঝে কোনো ধরনের দ্বিমত নেই। (মাজমুয়ুল ফাতাওয়া: ২৮/৫০২)

          তিনি আরো বলেন :
          كل طائفة خرجت عن شريعة من شرائع الإسلام الظاهرة المتواترة فإنه يجب قتالها باتفاق أئمة المسلمين ، وإن تكلمت بالشهادتين. فإذا أقروا بالشهادتين وامتنعوا عن الصلوات الخمس وجب قتالهم حتى يصلوا … وكذلك إن امتنعوا عن الحكم في الدماء والأموال والأعراض والأبضاع ونحوها بحكم الكتاب والسنة
          মুসলমানদের কোনো দল যদি ইসলামী শরীয়তের কোনো একটি স্পষ্ট মোতাওয়াতির বিধান থেকে বিরত থাকে মুসলিম জাতির সকল ইমামদের মতানুসারে তাদের বিরুদ্ধে কিতাল ওয়াজিব যদিও তারা কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করে। যদি তারা কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করে কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে তাহলে নামাজ আদায়ের পূর্ব পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে হবে। যদি যাকাত প্রদান থেকে বিরত থাকে তাহলে যাকাত প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত তাদের সাথে কিতাল করতে হবে। একই হুকুম রমজানের রোজা ও হজ্জ্ব আদায় না করলেও প্রযোজ্য। একই ভাবে যদি জান, মাল, সম্মান, ইজ্জত ইত্যাদি ক্ষেত্রে কুরআন সুন্নাহ্* দ্বারা বিচার করা থেকে বিরত থাকে তাহলেও প্রযোজ্য।(মাজমুয়ুল ফাতাওয়া: ২৮/৫১০)

          Comment


          • #6
            দামেশ্*কী (রহঃ) এর ফতওয়া:
            اتَّفق الأئمةُ على أن الإمامةَ فرضٌ...، وأن الإمامةَ لا تَجُوز لامرأةٍ ولا لكافر
            ইমামগণ একমত পোষণ করেছেন শাসক নির্ধারণ ফরজ..., আর কোনো মহিলা বা কাফেরের জন্য শাসন ভার বৈধ নয়।(রহমাতুল উম্মাহ, পৃষ্ঠা:২৮৩)

            বিশ্বাস ও উক্তি উভয়দিক থেকে সর্ব সম্মতিক্রমে প্রতিষ্ঠিত মাসআলাগুলোর মধ্য থেকে হলো, স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোনো আনুগত্য নেই, আনুগত্য শুধুমাত্র ভালো কাজের ক্ষেত্রে। আর মুসলিম শাসক যখন ইসলাম থেকে মুরতাদ হয়ে যায় তখন তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা ওয়াজিব। সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিষ্ঠিত কোনো হারামকে বৈধতা প্রদান যেমন: জেনা, মদ, আল্লাহতা‘আলার হুদুদ পরিবর্তনের বৈধতা প্রদান, আল্লাহতা‘আলা যার অনুমতি দেননি এমন ধরনের আইন প্রণয়ন, এগুলো হচ্ছে কুফর ও রিদ্দাহ। (তাফসীরুল মানার, খন্ড:৬, পৃষ্ঠা:৩৬৭)


            শায়েখ উসামা বিন মুহাম্মাদ বিন লাদেন (রহঃ) এর ফতওয়া:

            وقد اجمع علماء الاسلام على ان الولاية لا تنعقد لكافر، فاذا طرأ عليه الكفر سقطت ولايته فوجب القيام عليه بالسلاح،
            উলামায়ে ইসলাম একমত পোষণ করেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার কাফেরের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে না। যদি শাসকের উপর কুফর আপতিত হয়, তবে তার দায়িত্বভার চলে যাবে এবং তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ ওয়াজিব হবে।


            শায়েখ আবু ইয়াহইয়া আল-লিবী (রহঃ) এর ফতওয়া:

            اتفق العلماء قاطبةً على أن الولاية لا تنعقد لكافرٍ، وأنه لو طرأ على الإمام كفرٌ انعزل به ووجب الخروج عليه وخلعه عند الاستطاعة.
            সকল আলেমগণ একমত পোষণ করেছেন যে, শাসনের দায়িত্বভার কোনো কাফেরের জন্য হতে পারে না। আর যদি কোনো শাসকের উপর কুফর আপতিত হয়, তবে সে অপসারিত হবে। আর সক্ষমতা থাকলে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করা ও তাকে অপসারণ করা আবশ্যক হবে। [আল-জিহাদ ও মা‘আরেকাতুশ শুবহাত, পৃষ্ঠা:২৩]

            Comment


            • #7
              فعن أبي هريرة قال: لما توفي النبي صلى الله عليه وسلم واستخلف أبو بكر وكفر من كفر من العرب قال عمر: يا أبا بكر كيف تقاتل الناس وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : [أمرت أن أقاتل الناس حتى يقولوا لا إله إلا الله، فمن قال لا إله إلا الله عصم مني ماله ونفسه إلا بحقه وحسابه على الله] قال أبو بكر: والله لأقاتلن من فرق بين الصلاة والزكاة، فإن الزكاة حق المال، والله لو منعوني عناقا كانوا يؤدونها إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم لقاتلتهم على منعه، قال عمر : فوالله ما هو إلا أن رأيت أن قد شرح الله صدر أبي بكر للقتال فعرفت أنه الحق. متفق عليه
              আবু হোরায়রা (রাদিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করলেন, আবু বকর (রাদিঃ) খেলাফতের দায়িত্বগ্রহণ করলেন, এ সময় আরবের অনেক ব্যক্তি কুফরী করলো। তখন উমর (রাদিঃ) বললেন, হে আবু বকর আপনি মানুষদের সাথে কিভাবে কিতাল করবেন? অথচ রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে, যাতে আমি মানুষদের সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত কিতাল করি যতক্ষণ না তারা বলে লা-ইলাহা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই)। আর যে ব্যক্তি লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে সে তার মাল ও জানকে আমার কাছ থেকে নিরাপদ করে নেবে তবে তার হক্বের কারণে আর তার হিসাব আল্লাহ তাআলার কাছে ন্যস্ত। আবু বকর (রাদিঃ) বললেন: আল্লাহর শপথ অবশ্যই আমি এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিতাল করবো যে নামায ও যাকাতের মাঝে পার্থক্য করবে। কেননা যাকাত হলো মালের হক্ব। আল্লাহর শপথ তারা যদি এমন একটি ছাগল ছানা দেয়া পর্যন্ত বিরত থাকে যা তারা রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রদান করতো তাহলে এই বিরত থাকার কারণে অবশ্যই আমি তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করবো। উমর (রাদিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ আমি প্রত্যক্ষ করেছি এটি একারণে হয়েছে যে,আল্লাহতা‘আলা কিতালের ব্যাপারে আবু বকর (রাদিঃ) এর বক্ষকে উন্মোচন করে দিয়েছিলেন। আর আমিও বুঝতে পেরেছি যে এটাই হক্ব। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫২৬)

              ইমাম নববী (রহঃ) উক্ত হাদীসের আলোকে বলেন:

              وفيه وجوب قتال ما نعى الزكاة أو الصلاة أو غيرهما من واجبات الاسلام قليلا كان أو كثيرا لقوله رضى الله عنه لو منعونى عقالا أو عناقا

              এতে এ প্রমাণ বিদ্যমান আছে যে, যারা যাকাত, নামায অথবা অন্য কোনো ওয়াজিব আদায় করা থেকে বিরত থাকে - চাই কম হোক কিংবা বেশী, তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করা ওয়াজিব। কেননা আবু বকর (রাদিঃ) বলেছেনঃ যদি তারা আমাকে একটা রশি (অপর রেওয়াতে এসেছে) যদি একটা উটের বাচ্চা পর্যন্ত দেয়া থেকে বিরত থাকে (তথাপি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো)। (শরহে মুসলিম লিন নববী,খন্ড:১, পৃষ্ঠা:২১২)

              আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
              আপনি তাদের মালামাল থেকে যাকাত গ্রহণ করুন যাতে আপনি এর দ্বারা তাদেরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করতে পারেন। (সূরা তাওবা, আয়াত:১০৩)
              এর ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে কাছীর (রহঃ) বলেন:
              ولهذا اعتقد بعض مانعي الزكاة من أحياء العرب أن دفع الزكاة إلى الإمام لا يكون، وإنما كان هذا خاصًا برسول الله صلى الله عليه وسلم؛ ولهذا احتجوا بقوله تعالى: {خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ إِنَّ صَلاتَكَ سَكَنٌ لَهُمْ} وقد رَدَّ عليهم هذا التأويل والفهم الفاسد الصديق أبو بكر وسائر الصحابة، وقاتلوهم حتى أدوا الزكاة إلى الخليفة، كما كانوا يُؤدونها إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، حتى قال الصديق: والله لو منعوني عِقالا -وفي رواية: عَناقًا -يُؤدُّونه إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم لأقاتلنهم على منعه.]
              আর একারণে আরব কবীলাগুলোর মধ্য থেকে যাকাত প্রদানে অসম্মতি জ্ঞাপনকারী কিছু ব্যক্তির অভিমত ছিল “খলীফাকে যাকাত প্রদান করতে হবে না। বরং এটি রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর জন্য খাস ছিল।” আর এর স্বপক্ষে তারা আল্লাহতা‘আলার বাণী দিয়ে দলিল পেশ করেছিল: আপনি তাদের মালামাল থেকে যাকাত গ্রহণ করুন যাতে আপনি এর দ্বারা তাদেরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করতে পারেন। আর আপনি তাদের জন্য দোয়া করুন, নিঃসন্দেহ আপনার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনা স্বরূপ। আবু বকর (রাদিঃ) ও সকল সাহাবায়ে কেরাম তাদের এই ব্যাখ্যা ও ভ্রান্ত চিন্তা-ধারা খন্ডন করেন। তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করেন যতক্ষণ না তারা খলীফাকে যাকাত প্রদান করে যেমন তারা রসূলসল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লামকে প্রদান করতো। এমনকি আবূ বাকর (রাদিঃ) ঘোষণা প্রদান করেন: যদি তারা আমাকে লাগামটি পর্যন্ত প্রদান করা থেকে বিরত থাকে (পর রেওয়াতে এসেছে একটি ছাগল ছানা) যা তারা রসূলসল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রদান করতো, সেটি প্রদানে বিরত থাকার কারণে অবশ্যই অবশ্যই আমি তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করবো। (তাফসীরে ইবনে কাছীর, খন্ড:৪, পৃষ্ঠা:২৭০)

              Comment


              • #8
                যাজাকাল্লাহ @Ustad Ahmad Faruq ভাই বিস্থারিত জানানোর জন্য............

                Comment


                • #9
                  এরা না থাকলে আমরা যে মুমিন এটা প্রমাণ হবে কিভাবে?

                  Comment

                  Working...
                  X