Announcement

Collapse
No announcement yet.

কিয়ামত দিবস পর্যন্ত জিহাদ চলতে থাকবে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কিয়ামত দিবস পর্যন্ত জিহাদ চলতে থাকবে

    জিহাদের প্রথম বৈশিষ্ট্যঃ

    কিয়ামত দিবস পর্যন্ত জিহাদ চলতে থাকবে



    كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

    “তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হল, যদিও তোমাদের নিকট তা অপ্রিয়। কিন্তু তোমরা যা অপছন্দ কর, সম্ভবত তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং যা ভালবাস, সম্ভবত তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ্ জানেন আর তোমরা জান না।” (সূরা আল-বাকারাঃ ২১৬)

    প্রথম বৈশিষ্ট্যঃ কিয়ামত দিবস পর্যন্ত জিহাদ চলতে থাকবে


    সমগ্র পৃথিবী আজ ইসলামের একটি ইবাদতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, আর তা হচ্ছে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ। অনেক জাতি বিশেষ করে যারা শক্তিশালী, জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর বিরুদ্ধে লড়তে বিভিন্ন উৎস থেকে (সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, প্রচারমাধ্যম, জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গ, দল ইত্যাদি) জোড় চেষ্টা করছে। ধর্মীয় শক্তির দিক থেকে দেখলে, আমেরিকা এবং ইসরাঈল ধর্মীয় কারণে ইসরাঈলী রাষ্ট্রের জন্য একত্রে কাজ করছে, আর এর কারণটি হচ্ছে- মাসীয়াহর (ঈসা ) অবতরণ। রাজনৈতিক শক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে, সমগ্র পৃথিবীই আজ ইসলামী জঙ্গীবাদ দমন নিয়ে উদ্ধিগ্ন। পৃথিবীর প্রতিটি সরকারই মুসলিম ও অমুসলিম উভয়ই রাজনৈতিকভাবে ইসলামের বিরূদ্ধে লড়তে (বিশেষ করে জিহাদের বিরূদ্ধে) একত্রিত হয়েছে। আর মিডিয়া সমস্ত জাতিকে ইসলামের আসল রূপ সম্পর্কে প্রতারিত করতে বেশ ভাল ভূমিকা রাখছে। তারা ইসলামকে এমন রূপে তুলে ধরছে, যা সত্যিই প্রতারণাপূর্ণ।

    জিহাদের পূর্বে “তারবিয়্যাহ” কি সত্যিই (জিহাদ না করার) একটি যৌক্তিক ওজর?


    আল্লাহ্ বলেন,

    كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

    “তোমাদের জন্য ক্বিতালের (যুদ্ধ) বিধান দেয়া হল, যদিও তোমাদের নিকট তা অপছন্দনীয়। কিন্তু তোমরা যা অপছন্দ কর, সম্ভবত তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং যা ভালবাস, সম্ভবত তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ্ জানেন আর তোমরা জান না।” (সূরা আল-বাকারাঃ ২১৬)

    এই আয়াতে মুসলিমদের যুদ্ধ করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে।অনেক মুসলিম এবং ইসলামী জামা’আত বলে যে,জিহাদ করার পূর্বে, তারবিয়্যাহ অবশ্যক। তারা ব্যাপারটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন, “তারবিয়্যাহ হচ্ছে জিহাদের পূর্বে অবশ্য পূরণীয় একটি শর্ত। অতএব, এটি ছাড়া জিহাদ করা যাবে না।” যার মানে দাড়াচ্ছে যে, তারবিয়্যাহ জিহাদের পূর্বেঅবশ্য পালনীয় হুকুম।

    অন্যরা বলে, “আমরা এখন মক্কী যুগের অবস্থায় আছি। অতএব এখন কোন জিহাদ নেই।” এটা কি যুক্তি সঙ্গত?জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ স্থগিত রাখার কোন ন্যায় সঙ্গত কারণ আছে কি? বুঝার সুবিধার জন্য এবার প্রশ্নটি একটু পরিবর্তন করা যাক। যদি কেউ রমাদান মাসে মুসলিম হয়, তবে কি আপনি তাকে বলবেন যে, রোযা রাখার পূর্বে তাকে তারবিয়্যাহ করতে হবে? তাকে কিবলবেন যে, আমরা এখন মক্কী অবস্থায় আছি অতএব, আপনাকে রোযা রাখতে হবে না? রোযা শুরু করার আগে আপনার ঠিক ১৫ বছর সময় আছে, কারণ সেই সময়ই রোযার আদেশ এসেছিল। অতএব, এর আগে রমাদানে একটি রোযাও না রেখে খাওয়া দাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন। এটা আসলে কথার কথা। এমনটি কেউই বলে না। তাহলে কেবল জিহাদের বেলায় কেন আমরা এমনটি বলি? এদের মধ্যে পাথর্ক্য কোথায়, যেখানে জিহাদের হুকুম ও সিয়ামের হুকুমের ধরণ একই?

    كتب عليكم الصيام
    “তেমাাদের উপর সিয়ামের বিধান দেয়া হল ...।” (সূরা আল-বাকারাঃ ১৮৩)

    كتب عليكم القتال
    “তোমাদের উপর ক্বিতালের বিধান দেয়া হল ...।” (সূরা আল-বাকারাঃ ২১৬)

    দু’টি বিধানই সূরা বাকারায় এসেছে। ‘তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেয়া হল’ এবং ‘তোমাদের জন্য ক্বিতালের বিধান দেয়া হল’; তাহলে আমরা এদের মধ্যে পার্থক্য করছি কেন? সত্যি বলতে গেলে, সিয়ামের বিধান জিহাদের পরে এসেছে। সিয়ামের বিধান এসেছে নবুয়্যতের ১৫বছর পর আর জিহাদের বিধান এসেছে নবুয়্যতের ১৩ বছর পর। এদের মধ্যে ২ বছরের পার্থক্য কেন? অতএব, যুক্তিসঙ্গত কথা বললে, আমাদের বলতে হয়, সিয়াম পালনের পূর্বে তারবিয়্যাহ করতে হবে। আমরা কিভাবে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর পূর্বে তারবিয়্যাহ বিধান দেই, যেখানে রসূলﷺ তা করেন নি? যখন কেউ মুসলিম হত, তিনি কি তাকে শাইখদের কাছে পড়তে বলতেন এবং এরপর সে জিহাদ করার উপযুক্ত হত? তিনি কি বলতেন জিহাদ করার পূর্বে তোমার আরবী শিখতে হবে অথবা বিদেশে গিয়ে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করে আসতে হবে?

    আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ “আমর ইবন উকায়শ প্রাক-ইসলামী যুগে সুদের বিনিময়ে ঋণ দিয়েছিল, সেই টাকা ফেরত নেয়ার পূর্বে সে ইসলাম কবুল করাটা অপছন্দ করল। উহুদের (যুদ্ধের) দিন সে এসে জিজ্ঞাসা করলঃ ‘আমার অমুক ভাই কোথায়?’ তারা উত্তর দিলঃ ‘উহুদে,’ সে জিজ্ঞাসা করলঃ ‘অমুক কোথায়?’ তারা বললঃ ‘উহুদে’, সে জিজ্ঞাসা করলঃ ‘অমুক কোথায়?’ তারা বললঃ ‘উহুদে’ অতঃপর সে তার জামা পড়ে ঘোড়ায় চড়ে বসল, এরপর তাদের দিকে এগিয়ে চলল। মুসলিমরা যখন তাকে দেখল, তারা বলে উঠল, ‘দূরে থক আমর’, সে বলল, ‘আমি মুসলিম হয়েছি’ সে আহত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করল। অতঃপর তাকে আহত অবস্থায় তার পরিবারের নিকট নিয়ে যাওয়া হল। সা’দ ইবন মুআয(রাঃ) তাঁর বোনের কাছে এসে বললঃ ‘তাকে জিজ্ঞাসা কর তো (সে কিসের জন্যে যুদ্ধ করেছে) গোত্রের জন্য, তাদের ক্রোধের ভয়ে, নাকি আল্লাহর ক্রোধের ভয়ে।’ সে বললঃ ‘আল্লাহ্ ও তাঁর সূলের ক্রোধের ভয়ে।’ এরপর সে মৃত্যুবরণ করল এবং জান্নাতে প্রবেশ করল। সে আল্লাহর জন্য কোন (এক ওয়াক্ত) সলাতও আদায় করেনি।” (সুনান আবু দাউদঃ বই-১৪, নং-২৫৩১)

    যখন সে মুসলিম হয়েছিল,রসূলﷺ কি তাকে কুরআন ও হাদীস পড়তে বলেছিলেন? উকাইশ (রাঃ) কিছুই করেনি, কেবল আল্লাহর পথে জিহাদ করেছিল এবং শহীদ হয়েছিল। একজন মুসলিমের পক্ষে সর্বোচ্চ যে মর্যাদা তাই সে অর্জন করেছিল। একজন ইহুদীর চেয়ে অধিক তারবিয়্যাহ আর কার দরকার হতে পারে? মানুষ বলে জিহাদের পূর্বে বেশি তারবিয়্যাহ দরকার। বুখায়রীক উহুদের ময়দানে মুসলিম হয়েছিলেন এবং শহীদ হয়েছিলেন। রসূলﷺ বলেনঃ “বুখায়রীক ইহুদীদের মধ্যে সর্বোত্তম।” সে কোন আত্মিক উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নেয়নি। তারপরও রসূলﷺ তাঁকে ইহুদীদের মধ্যে সর্বোত্তম আখ্যা দিয়েছেন। কেন? কারণ সে ময়দানে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন। এটা তারবিয়্যাহকে ছোট করে দেখার জন্য নয়, কিন্তু যখন একে আমরা জিহাদের সাথে অত্যাবশ্যক পূর্বশর্ত হিসেবে জুড়ে দেই, তখন দেখা যায় যে, এটা আসলে জরুরী নয়। তাহলে, কেন মুসলিমদের জিহাদের পূর্বে তারবিয়্যাহ প্রয়োজন? কারণ আল্লাহ মহামহিম বলেন, “তোমাদের জন্য ক্বিতালের বিধান দেয়া হল এবং তোমরা তা অপছন্দ কর ...।” (সূরা আল-বাকারাঃ ২১৬) - এটাই কারণ। কারণ মানুষ এটা অপছন্দ করে এবং এর থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন উপায় বের করতে থাকে। অতএব তারা বলে যে, আমাদের তারবিয়্যাহ দরকার অথবা শত্রুপক্ষ বেশি শক্তিশালী। এটা মানুষের ফিতরাতের অংশ। আল্লাহ্ তাই বলেছেন। যুদ্ধের বাস্তবতাটা এরকমই যে বেশিরভাগ মানুষই তা অপছন্দ করে। সাহাবীদের সময়ও এমন ছিল, এখনও তাই আছে।

    সালাহউদ্দিন (রাঃ)-এর সময়কার কিছু উলামাঃ


    সালাহউদ্দিন আল-আয়্যুবী (রাঃ) -এর সময়, তিনি তাঁর সেনাবাহিনীর জন্য সেচ্ছাসেবকদের আহবান করলেন এবং এর ফলে কিছু শাইখ ও তাদের ছাত্ররা যোগদান করল। খবর ছড়িয়ে পড়ল যে ক্রুসেডাররা সমগ্র ইউরোপ থেকে সেনাবাহিনী সমাবেশ করেছে। তখনকার দিনের তিন শক্তিশালী রাজার নেতৃত্বে তিনটি বাহিনী এগিয়ে আসছিল। রিচার্ড দ্যা লায়ন হার্ট (সিংহ হৃদয়), ফ্রান্সের রাজা ফিলিপ এবং জার্মানীর রাজা ফ্রেডরিক। ডরিকের একারই ৩,০০,০০০ সৈন্য ছিল (৩ লক্ষ)। অতএব, যখন উলামারা এ খবর জানতে পারল, তারা সেনাবাহিনী ত্যাগ করে চলে গেল। এসব উলামাগণ তো জানত যে তাদের লড়াই করা উচিত। তারা জানত, এ ব্যাপারে কি হুকুম আছে। কিন্তু হুকুমের কথা জানা মানেই এই না যে কেউ যুদ্ধ করবে।

    আল্লাহ্ আহ্কামুল হাকীমিন বলেনঃ
    وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ * وَلَوْ شِئْنَا لَرَفَعْنَاهُ بِهَا وَلَٰكِنَّهُ أَخْلَدَ إِلَى الْأَرْضِ وَاتَّبَعَ هَوَاهُ ۚ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ الْكَلْبِ إِن تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ تَتْرُكْهُ يَلْهَث ۚ ذَّٰلِكَ مَثَلُ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا ۚ فَاقْصُصِ الْقَصَصَ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ

    “তাদেরকে ঐ ব্যক্তির বৃত্তান্ত পড়ে শুনাও যাকে আমি দিয়েছিলাম নিদর্শন, অতঃপর সে তাকে বর্জন করে, পরে শয়তান তার পিছনে লেগে যায়, আর সে বিপথগামীদের অন্তর্ভূক্ত হয়। আমি ইচ্ছা করলে এর দ্বারা তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করতে পারতাম, কিন্তু সে দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়েও তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। তার অবস্থা কুকুরের ন্যায়; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। যে সম্প্রদায় আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের অবস্থাও এইরূপ, তুমি বৃত্তান্ত বিবৃত কর যাতে তারা চিন্তা করে।” (সূরা আরাফঃ ১৭৫-১৭৬)

    এটা এমন একজন আলিমের কাহিনী যে হুকুম জানতো,কিন্তু তা মেনে চলেনি। কেন? আল্লাহ্ বলেনঃ “কিন্তু সে দুনিয়ার প্রতিঝুকে পড়ে ও তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করে।” আল্লাহ্ তাকে কুকুরের সাথে তুলনা করেছেন। অতএব, কেবল জ্ঞান থাকাই পরিত্রাণ পাবার উপায় নয়। সেই জ্ঞান অনুযায়ী আমল করতে হবে। বেশির ভাগ মানুষই এই অবস্থানে এসে বলে যে, তাদের কাছে এই বিষয়ের উপরে কোন ফাতওয়া নেই; অতএব তারা কিছু করতে সক্ষম নয়। কিন্তু এটা কিয়ামতের দিন তাদেরকে বাঁচাবে না। যদি আপনি জানেন যে এটাই সত্য, তাহলে আপনাকে সে অনুযায়ী আমল করতে হবে, কোন আলিম তা অনুসরণ করুক আর না করুক।

    আহলে কিতাবীদের সাথে মুসলিমদের সম্পর্কঃ


    কিছু মানুষ বলে যে, আহলে কিতাবীদের সাথে আমাদের শান্তি এবং মতামত আদান-প্রদানের ভিত্তিতে সম্পর্ক হওয়া উচিত ।

    অথচ আল্লাহ্ বলেনঃ
    قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّىٰ يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ [٩:٢٩]

    তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। (সূরা আত-তাওবাহঃ ২৯)

    আল্লাহ্ আরও বলেনঃ
    فَإِذَا انسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ ۚ فَإِن تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٩:٥]

    অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আত-তাওবাহঃ ৫)

    এই ধরনের ইবাদতকে সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গীবাদ এবং এর অনুসারীদের সন্ত্রাসী, জঙ্গী, উগ্রপন্থী, মিলিশিয়া ইত্যাদি নাম দিয়ে কাফিররা এর বিরূদ্ধে লড়ছে। আর মুনাফিকরা তাদেরকে নিমোক্তভাবে সাহায্য করে আসছে-

    ১) তারা বলে যে, জিহাদ কেবলই আত্মরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক নয়।

    ২) জিহাদ কেবলই একটি মুসলিম অঞ্চল বারাষ্ট্রকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

    ৩) জিহাদ কেবল মাত্র ইমামের অনুমতি ও নির্দেশ অনুযায়ী করা যাবে।

    ৪) জিহাদ বর্তমান বিশ্বব্যাপী শান্তির সময়ের জন্য প্রযোজ্য নয়।

    দুঃখজনক ভাবে, আমাদের আলিমগণ জিহাদ সম্পর্কিত এ সমস্ত ভুল তথ্যাবলী প্রচার করছে। আমরা পশ্চিমা মত অনুযায়ী জিহাদের ব্যাখ্যা কেন করব, যেখানে রসূলﷺ-এর হাতে গড়া সাহাবাদের থেকে আমরা জিহাদ বুঝতে পারি? আমাদের পূর্ববর্তী সালাফগণ আমাদেরকে জিহাদ মানে কি তার শিক্ষা দিয়েছেন, তাই এ বিষয়ের উপরে কোন অমুসলিম অথবা তথাকথিত মুসলিম পুতুল সরকারের উপদেশ বাণী আমাদের দরকার নেই।

    কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদ চলবে- এ ব্যাপারে প্রাথমিক দলিল সমূহঃ

    কিয়ামত না আসা পর্যন্ত জিহাদ বন্ধ হবে না- আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল আমাদের এটা জানিয়ে দিয়েছেন। এর প্রমাণ কী?

    আল্লাহ্ বলেনঃ

    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ [٥:٥٤]

    হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। (সূরা আল-মায়িদাঃ ৫৪)

    এ আয়াতে একটি ব্যাপার উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা হচ্ছে ‘সুন্নাহ রব্বানিয়্যাহ’। এটা হচ্ছে আল্লাহর একটি সুন্নাহ যা চিরস্থায়ী। আর এখানে সেই চিরস্থায়ীটি হচ্ছে ‘প্রতিস্থাপন’ সংক্রান্ত। যারাই তাদের দায়িত্ব পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতিস্থাপন করবেন, তারা যেই হোক না কেন। মনে রাখবেন, এই আয়াতটি সাহাবাদের উদ্দেশ্যে নাযিল হয়েছিল। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, আল্লাহ কারও সাথে কোন বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করেন না। ইহুদীরা ভেবে নিয়েছিল যে তারা আল্লাহর ‘মনোনীত দল’ এবং এরপর তারা তাদের দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানালে আল্লাহ্ তাদের অভিশপ্ত জাতিতে পরিণত করেন।

    অনেক ইসলামি জামা’আত বলে থাকে যে তাদের জামা’আত ২০-৩০ বছর ধরে টিকে রয়েছে। অতএব, তারাই সরল সঠিক পথের উপর রয়েছে। এটা মোটেও ঠিক নয়। যেই মূহুর্তে আপনি আপনার উপর অর্পিত দায়িত্ব পরিত্যাগ করবেন, আল্লাহ্ আপনাকে প্রতিস্থাপন করবেন। শেষে যে কাজটি আপনি করেছেন বা করবেন সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সেই কাজের উপর মৃত্যুবরণ করেন, ভাল বা মন্দ যাই হোক না কেন, তাই বিচার দিবসে আপনার অবস্থার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাপ করা অবস্থায় মৃত্যু ইসলামে অত্যন্ত নিন্দনীয়।
    অনেক মানুষই একটি প্রশ্ন করে যে, চারদিকে এত ইসলামী দল, আমরা কোনটাতে যোগ আর বিভ্রান্ত হব না, বরং আমাদের উত্তর খুঁজে পাব। রসূলﷺ আমাদের আত-তায়ীফা আল-মানসুরা (বিজয়ী দল ) সম্বন্ধে বলেছেন। তিনি শুধু আমাদের এটুকুই বলেননি যে তারা বিজয়ী, বরং তিনি এই বিজয়ী দলের বৈশিষ্ট্যগুলোও বলে দিয়েছেন। যে কেউ এই বৈশিষ্টগুলো শুনবে সে আর উপরোক্ত প্রশ্নটি করবেন না। কুরআনে বর্ণিত বৈশিষ্টগুলো দিয়েই শুরু করা যাক। (সূরা মায়িদাঃ ৫৪) নং আয়াতে আল্লাহ্ তোমাদের স্থলাভিষিক্ত বা প্রতিস্থাপন করবেন তাদের দ্বারাঃ-

    ১)‘আল্লাহ্ যাদের ভালবাসেন’

    ২)‘তারা আল্লাহকে ভালবাসবে’

    এই দুইটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা কখনই হয়ত জানতে পারব না,কারণ এগুলো সবই আমাদের কাছে অদৃশ্য। কিন্তু যদি কেউ তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পন্ন করে, তবে তারাই সেই সব ব্যক্তি যাদের আল্লাহ্ ভালবাসেন এবং তারাও আল্লহকে ভালবাসে।

    ৩) ‘তারা মু’মিনদের প্রতি বিনয়ী হবে’

    এর অর্থ তারা মু’মিনদের ভালবাসে, তাদের জন্য উদ্ধিগ্ন। মুসলিমদের ঘটনা গুলো নিয়ে তাঁরা উদ্ধিগ্ন হবে। সমগ্র পৃথিবীর মুসলিমদের সাথে কি ঘটছে, সেই খবর তারা রাখে। পৃথিবীর যেকোন জায়গায় যে মুসলিমই থাকুক, সে তাদেরই ভাই, তাদেরই বোন। যদি পশ্চিমে বসবাসকারী কোন মুসলিম শুনে যে পূর্বের কোন মুসলিম ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, তাকে রক্ষা করা তারই দায়িত্ব বলে মনে করে। এই ভাইয়েরা, যখন শুনে যে তাদের ভাই-বোনদের সাথে খারাপ কিছু হচ্ছে, তখন তারা তাদের ডাকে সাড়া দেয় এবং সত্যিই সেখানে যায়। তারা মু’মিনদের রক্ষা করতে নিজের জীবন দিয়ে দিতে রাজী। নিজেদের টাকা-পয়সা ও সম্পত্তি খরচ করে তাদের ভাইদের, ঈমানদারদের রক্ষা করতে তারা রাজী। অপরদিকে, আমরা দেখি যে, এমন অনেক মুসলিম আছে, যারা অন্য মুসলিমদের ব্যাপারে ভীষণ সমালোচনাকারী। আপনারা দেখবেন যে, তারা কুফ্ফারদের সাথে একই কাতারে দাড়াতে ইচ্ছুক এবং মুসলিমদের উপর গুপ্তচরগিরি ও তাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করতে আগ্রহী।

    ৪) ‘তারা কুফ্ফারদের প্রতি কর্কশ রূঢ়’

    তারা কুফফারদের প্রতি কর্কশ রূঢ়। তারাই কুফফারদের অত্যাচারের বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ইচ্ছুক। তারাই সেই দল যারা কুফফারদের সন্ত্রস্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত করতে চায়, যেমন আল্লাহ্ বলেছেনঃ “তোমরা কাফিরদের মোকাবিলা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও সদাসজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে যদ্দারা আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করবে ...।” (সূরা আন-ফালঃ ৬০)
    অপর দিকে, এমন মুসলিম দেখা যায় যারা অন্য মুসলিমদের প্রতি অত্যন্ত সমালোচনাকারী কিন্তু কুফ্ফারদের প্রতি ভীষণ নম্র। তারা এ ব্যাপারে দাওয়ার যুক্তি দেখায়। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। তারা ওদেরকে ঠিক করে বলছে না ইসলাম আসলে কি। তারা ইসলাম সম্বন্ধে ওদেরকে ভুল ধারণা দিচ্ছে।

    ৫) ‘তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে’

    বর্তমান সময়ে কারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছে- এটা বের করা কঠিন কিছু নয়।

    ৬) ‘তারা অপবাদকারীদের মিথ্যারোপে ভীত নয়’

    মুনাফিকরা তাদের দোষারোপ করবে। আর স্বাভাবিকভাবেই কুফ্ফাররা তাদের বিরূদ্ধে সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদিতে অপপ্রচার চালাবে। সবচেয়ে বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম, সংবাদপত্র তাদের ব্যাপারে কি বলল এ ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ উদাসীন। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ তাদের কাজে সন্তুষ্ট, আর কোন কিছুতেই তাদের কিছু যায় আসে না।

    সা’দ বিন মু’য়ায(রাঃ) জাহিলিয়্যার যুগে বানু কুরাইদার মিত্র ছিল। উনি যখন মুসলিম হলেন, সাথে সাথে এই সম্পর্ক ছিন্ন করলেন, কেননা ইসলামের দাবী অনুসারে এখন তার আনুগত্য কেবলমাত্র আল্লাহ্, তাঁর রসূলও মু’মিনদের প্রতি। পরে যখন বানু কুরায়দা আত্মসমর্পন করে তারা সা’দ বিন মুয়ায(রাঃ) -এর নির্দেশ মেনে নিতে সম্মত হয়, যেহেতু জাহিলিয়্যার যুগে সে তাদের মিত্র ছিল। আল আওস গোত্র সা’দ (রাঃ) -কে তার বিচারে দয়া প্রদর্শন করতে বলল। সা’দ (রাঃ) বললঃ “সা'দের জন্য এটাই সময় আল্লাহর জন্য নিন্দুকের নিন্দা ভয় না করার।” একথা শোনার সাথে সাথে তারা বুঝে গেল যে, তাদের পূর্বের মিত্রতা শেষ! সা'দ (রাঃ) ইহুদীদের জিজ্ঞাসা করল যে, ‘তার বিচার মেনে নিতে তারা একমত কিনা’, তারা বলল, ‘হ্যাঁ’। একইভাবে, ‘সে মুসলিমদেরকে-ও একই প্রশ্ন করল যে, তার সিদ্ধান্ত তারা মেনে নিবে কিনা’। তারাও ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দিল। সা’দ(রাঃ) বললঃ “আমার সিদ্ধান্ত এটাই যে- সমস্ত পুরুষদের হত্যা করা হবে এবং তাদের মহিলা ও শিশুরা মুসলিমদের অধিকৃত হবে।” রসূলﷺ বললেনঃ “তোমার রায় আর সাত আসমানের উপর থেকে আল্লাহর রায় একই।” সে দিন ৯০০ জন ইহুদীকে হত্যা করা হয়েছিল। কেন এমন করা হয়েছিল? কারণ তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।

    এখন আসুন,আত-তায়ীফা আল-মানসূরা’ বৈশিষ্ট্য সমূহের প্রতি আমরা লক্ষ্য করি, যা বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ-

    • তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে।
    • তারা জামাআহ বদ্ধ হয়ে একত্রে কাজ করে।
    • যে কেউ তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করে অথবা তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে- যে যাই বলুক, সে মুসলিম হোক আর অমুসলিম হোক, কিছুই তাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না।


    বাস্তবে তারা সংখ্যায় বৃদ্ধিই পাচ্ছে। রামসফেল্ড তার গোপন ডায়রীতে বলেছিল যে, আমেরিকা বহু জঙ্গী ধরেছে, হত্যা করেছে, কিন্তু তারপরও ওদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এর কারণ তোমরা আত-তায়ীফা আল-মানসূরার সাথে যুদ্ধ করছ, যাদেরকে আল্লাহ্ স্বয়ং রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা যতই থামাক বা গ্রেফতার করুক না কেন, জিহাদ চলবেই ইনশাল্লাহ্।

    লেখক কেন এই আয়াত (সূরা আল-মায়িদাঃ ৫৪) উল্লেখ করলেন সে দিকে ফিরে যাই। উনি উল্লেখ করেছেন যে আয়াতে আছে “يُجَاهِدُونَ” যার অর্থ “তারা জিহাদ করছে”- এটা বর্তমান কালের ক্রিয়া। অন্যভাবে বলতে গেলে, যে কোন সময়ে আপনি এই আয়াত তিলাওয়াত করবেন, কোথাও না কোথাও, কেউ না কেউ জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্ করতে থাকবে। এটি একটি নিদর্শন বা ইঙ্গিত যে কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদ চলতে থাকবে।

    আল্লাহ্ যিনি অসীম দয়ালূ তিনি বলেনঃ

    وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لِلَّهِ ۖ فَإِنِ انتَهَوْا فَلَا عُدْوَانَ إِلَّا عَلَى الظَّالِمِينَ [٢:١٩٣]

    আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)। (সূরা আল-বাকারাঃ ১৯৩)

    এই আয়াতে ফেতনা অর্থ কুফুর। অর্থাৎ এই আয়াত বলছে যে, যুদ্ধ কর যতক্ষণ পর্যন্ত না কুফুর (অবিশ্বাস) দূরীভূত হয়। আর রাসূল ﷺ এর হাদীস সমূহ থেকে আমরা জানতে পারি যে, কিয়ামত পর্যন্ত কুফুর (অবিশ্বাস) থাকবে। আর যেহেতু আমাদেরকে পৃথিবী থেকে কুফুর দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে, অতএব জিহাদও চলবে।

    এখানে উল্লেখ্য যে, জিহাদ শেষ হবে যখন ঈসা এই পৃথিবী শাসন করবেন। এর কারণ কি? কেননা, ঈসা কুফরের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করবেন এবং এরপর আর কোন কুফর থাকবেনা। ঈসা -এর মৃত্যুর পর আর কোন জিহাদ হবে না, কারণ আল্লাহ্ ঈমানদারদের জান নিয়ে নিবেন এবং দুনিয়াতে কেবল কুফ্ফাররাই অবশিষ্টা থাকবে শেষ সময় অতিবাহিত করার জন্য। আরও উল্লেখ্য যে, ইয়াজুজ ও মাজুজের বিরূদ্ধে কোন জিহাদ হবে না, কারণ ওদের বিরূদ্ধে জিহাদের সামর্থ্যই নেই। তারা অলৌকিকভাবে ধ্বংস প্রাপ্ত হবে।




    সাওয়াবিত আলা দারবিল জিহাদ
    Last edited by কাল পতাকা; 01-04-2016, 11:46 AM.

  • #2
    জাযাকাল্লাহ

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ। জাযাকাল্লাহ।
      যোপ বুঝে কোপ মেরেছেন ভাই।
      ফুরিদুদ্দীন মাসুদদের মুখের উপর এই পোষ্ট টি ।

      Comment

      Working...
      X