Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২১শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১৭ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২১শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১৭ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    ক্রুসেডার ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরির ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার নানা দিক



    ক্রুসেডার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা ঘোষণার আগেই এর ধ্বংসাত্মক পরিণতির ব্যাপারে নানা রকম আশঙ্কা করা হচ্ছিল। পরিকল্পনা ঘোষণার পর ওইসব আশঙ্কাই এখন সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে।

    ফিলিস্তিনের হামাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা উসামা হামদান বলেছেন, ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আসলে পশ্চিম এশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, এ অঞ্চলে ইসরাইলকে একটি স্বাভাবিক দেশে পরিণত করা ও সবার কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায় করা এবং এভাবে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা।” বাস্তবতা হচ্ছে, ট্রাম্পের এ ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনাকে যেদিক থেকেই মূল্যায়ন করা হোক না কেন তাতে দেখা যায় ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়টিকে উপেক্ষা করে কেবল দখলদার ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। খবর: পার্সটুডের

    এ ছাড়া, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ৩০ শতাংশ ভূখণ্ড ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর, গাজা উপত্যকায় হামাসকে নিরস্ত্র করা, ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের জন্য বিশ্বের দেশগুলোর পক্ষ থেকে স্বীকৃতি আদায়, ইহুদি উপশহরগুলো থেকে কোনো ইসরাইলিকে বহিষ্কার না করা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফিলিস্তিন শরণার্থীদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরতে না দেয়া ও সেখান থেকেই শরণার্থী সমস্যার সমাধান এবং সর্বপরি বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য। এ ছাড়া, ইহুদি উপশহরের ব্যাপারে সামরিক ব্যবস্থাপনা উঠিয়ে নেয়া, ভবিষ্যতে এসব শহরের ব্যাপারে কোনো শর্ত না মানা, উপশহরের প্রতি ইসরাইলের পূর্ণ সমর্থন বজায় থাকবে এবং এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইল বিরোধী কোনো প্রস্তাব উত্থাপিত হলে তাতে ভেটো দেয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায়।

    অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কেবল কিছু করণীয় ঠিক করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ কিছু পরামর্শ দেয়ার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ। এমনকি ফিলিস্তিনিদের যেটুকু সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে তাও শর্ত সাপেক্ষে। অর্থাৎ আমেরিকার কথামত চললেই তারা তা পাবে এর অন্যথায় ফিলিস্তিনিরা কোনো সুবিধাই পাবে না। উদাহরণ স্বরূপ এসব শর্তের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পেতে চাইলে হামাসকে অবশ্যই নিরস্ত্র করতে হবে, পুরো গাজা উপত্যকাকে অস্ত্রমুক্ত করতে হবে, ফিলিস্তিন শরণার্থীদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনার দাবি থেকে আসতে হবে, ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে মেনে নিতে হবে, ইসরাইলের নতুন সীমানাকে স্বীকৃতি দিতে হবে, বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মেনে নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরাইল বিরোধী উস্কানিমূলক শিক্ষা প্রদান বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।

    এ ছাড়া, ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পের ওইসব অন্যায্য শর্ত মেনে নিলে শরণার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন, ফিলিস্তিন সরকারের জন্য গাজা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের মধ্যে সড়ক ও টানেল নির্মাণ, প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার মূল্যের বিভিন্ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সৃষ্টির জন্য ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালে পরবর্তী চার বছর পর্যন্ত ইহুদি উপশহর নির্মাণ স্থগিত রাখা, পূর্ব বায়তুল মোকাদ্দাস এলাকা প্রতিরক্ষার সুযোগ দেয়া, নাকাব মরুভূমি এলাকা ফিলিস্তিনিদেরকে দেয়া, ভবিষ্যতে কিছু ফিলিস্তিন শরণার্থীদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসার সুযোগ প্রভৃতির প্রলোভন দেয়া হয়েছে ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায়।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে পরিকল্পনা উত্থাপন করেছেন তাতে ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের যে রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে তা হবে অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের সমষ্টি মাত্র। কারণ ইসরাইল এমনভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে যে, ফিলিস্তিনের অবশিষ্ট এলাকাগুলো একটি অপরটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে এবং কেবলমাত্র সুড়ঙ্গ পথের মাধ্যমেই যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। বায়তুল মোকাদ্দাস, জর্দান উপত্যকা ও উত্তর বাহার আল মিয়াত এলাকা আলাদা আলাদাভাবে ইসরাইলি সীমান্ত দিয়ে ঘেরাও হয়ে আছে। নতুন ম্যাপে ইসরাইলগামী সড়কের সঙ্গে যুক্ত জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের কিছু এলাকায় কালো দাগ রয়েছে যা আসলে অবৈধ ইহুদি উপশহরের চিহ্ন।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা তুলে ধরলেও শুধু যে হামাস ও স্বশাসন কর্তৃপক্ষসহ ফিলিস্তিনের সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এর বিরোধিতা করছে তাই নয় একইসঙ্গে তারা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেবে না বলেও প্রতিজ্ঞা করেছে। স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরাইলের সঙ্গে আপোষ রফায় পৌঁছার জন্য এ পর্যন্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও তিনিও ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি নজিরবিহীন ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ট্রাম্পের টেলিফোনেরও জবাব দেননি।

    ইসরাইলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট লিখেছে, মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনাকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

    ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব যিয়াদ আল নাখালে বলেছেন, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদেরকে ধ্বংস করা এবং তা সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

    ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মার্কিন সরকার তাদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে। ট্রাম্পের উপদেষ্টা জারেড কুশনার ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। কুশনার ট্রাম্পের এ পরিকল্পনাকে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের বর্তমান নেতারা ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলেও ভবিষ্যত নেতারা এর প্রতি সমর্থন জানাবে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/17/34567/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাবরি মসজিদ মামলার রায় দাতা সেই মালাউনকে বানানো হলো রাজ্যসভার সদস্য



    ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হয়েছেন দেশটির সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি মালাউন রঞ্জন গগৈ। সোমবার (১৬ মার্চ) তাকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ। সাধারণত শিল্পী ও তারকারা এই পদে মনোনয়ন পেয়ে থাকেন। তবে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ না দিয়েও রঞ্জন গগৈ-এর এই মনোনয়নকে অভূতপূর্ব আখ্যা দিয়েছে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি।

    দুই কক্ষ বিশিষ্ট ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা। বর্তমানে সেখানে সর্বোচ্চ ২৪৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ২৩৩টি আসনের সদস্যরা রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আইনপ্রণেতাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। আর সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে বাকি ১২ জনকে ছয় বছর মেয়াদের জন্য মনোনীত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজ সেবায় অবদানের ভিত্তিতে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়।

    প্রায় ১৩ মাস ভারতের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করে গত বছরের নভেম্বরে অবসরে যান রঞ্জন গগৈ। দায়িত্ব পালনের সময় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন তিনি।

    অযোধ্যার বিতর্কিত রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিল এই বিচারপতি মালাউন রঞ্জন গগৈ। রাফায়েল জেট ক্রয় দুর্নীতি মামলায় মালাউন সরকারকে অব্যাহতি দেওয়া বেঞ্চের অংশ ছিলেন তিনি। যৌন হয়রানির অভিযোগও ছিলো তার বিরুদ্ধে। আদালতের এক কর্মী ওই অভিযোগ আনলেও তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে তিন সদস্যের সুপ্রিম কোর্ট প্যানেল।

    ভারতের অনেকেই মনে করেন বিচারপতি হিসেবে রঞ্জন গগৈ-এর দেওয়া অনেক রায়ই ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপির পক্ষে গেছে। এবার তাকেই রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করলেন বিজেপি সরকারের সময়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পাওয়া রাম নাথ কোবিন্দ। সোমবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে জানানো হয়, মেয়াদ পূর্তির কারণে রাজ্যসভায় শূন্য হওয়া একটি আসনে রঞ্জন গগৈকে সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি। আইনজীবী কেটিএস তুলসির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ওই আসনটি শূন্য হয়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/17/34580/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে ধেয়ে আসছে পঙ্গপালের নতুন গযব!



      চলতি বছরের মে মাস থেকে পঙ্গপালের আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে ভারত। সোমবার বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) এ বিষয়ক সতর্কতা জারি করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

      ফাও’র পঙ্গপালবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পূর্বাভাস কর্মকর্তা কেইথ ক্রেসম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বছর ভারতে দুই দফায় পঙ্গপালের আক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই পঙ্গপাল তেড়ে আসবে ইরান ও হর্ন অব আফ্রিকা (জিবুতি, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়া) অঞ্চলের মরুভূমি থেকে।’

      পঙ্গপালের আক্রমণে জনজীবন যেমন বিপর্যস্ত হয়, তেমনি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে ফসল। ঝাঁকে ঝাঁকে আসা পঙ্গপাল নষ্ট করে ফেলে জমি বা বাগানের ফসল।

      সম্প্রতি পাকিস্তানও এই পঙ্গপালের আক্রমণের মুখে পড়ে। দেশটির পূর্বাঞ্চলের সিন্ধু প্রদেশে প্রথমে এ আক্রমণ শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অংশে।

      ফাও বলছে, কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পঙ্গপালের আক্রমণের মুখে পড়েছে বিশ্ব। এ কারণে কয়েক মিলিয়ন মানুষ খাদ্য সংকটে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই বিপদ আফ্রিকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বেশি ভোগাতে পারে। সেজন্য পঙ্গপালের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় সাত কোটি ডলারের তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ফাও ও জাতিসংঘ।

      বিশ্বজুড়ে পঙ্গপালের এমন উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার পেছনে ভারী বর্ষণ ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দায়ী করছে ফাও। তারা বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পঙ্গপালের প্রজনন হু হু করে বেড়ে গেছে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/17/34585/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মিয়ানমারের সীমান্তসন্ত্রাসী বিজিপির পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত



        মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্য রেখায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মনির উল্লাহ (২৫) নাইক্ষ্যংছড়ির শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। গত সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

        রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে ফিরে যেতে না পারেন সে জন্য সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশ বিজিপি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। সোমবার সকালে কাঠ কুড়াতে যাওয়ার সময় তার শিবিরের এক রোহিঙ্গা সদস্য মাইন বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

        সীমান্তে দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার মৃত্যুর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

        নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শূন্য রেখার মিয়ানমারে অংশে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/17/34574/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন জনই সুস্থ



          ইউরোপে পাল্লা দিয়ে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। তবে চিনে কমেছে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার। আর প্রতিবেশী ভারতেও বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগী। তবে অনেকে সুস্থ হচ্ছেন। এসবের মাঝেই আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত তিন রোগী সুস্থ হয়েছেন। আগেই দু জনের সুস্থতার খবর জানানো হয়েছিল।

          ঢাকায় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নিয়ম অনুসারে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে করোনা সংক্রমণমুক্ত ঘোষণা করা হয়। সেই অনুসারে নমুনা পরীক্ষার পর গত ১৩ মার্চ দুজনকে করোনামুক্ত ও ১৫ মার্চ অপর আরেকজনকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হল।

          এরপরই ডা. সেব্রিনা বলেন, বিদেশ থেকে কেউ এলে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অনেকে বলছেন বাইরে থেকে এসেছি আমার মধ্যে কোনও উপসর্গ নেই। বাইরে থেকে এলে কোনও লক্ষণ না থাকলেও ১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কারণ জীবাণু ভেতরে থাকতে পারে।

          কাজেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে। তিনি আরও বলেন, কেউ এই নিয়ম না মানলে তাদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বিষয়ে কোনো আপোষ করা হবে না। ডা. ফ্লোরা জানান, বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন আছেন ২ হাজার ৩১৪ জন। আইসোলেশনে আছেন ১০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টানে আছেন ৮ জন।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/17/34571/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভয়াবহ সঙ্কটে বাংলাদেশের পোশাক খাত



            বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে নানামুখী সঙ্কটে দেশের তৈরি পোশাক খাত। একের পর এক বাতিল হচ্ছে অর্ডার। আসছে না নতুন অর্ডার। বন্ধ হচ্ছে রফতানি। এভাবে চলতে থাকলে পোশাক খাত ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে, যা সামাল দেয়া কঠিন বলছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।

            তাদের মতে, করোনা এখন চীন ছাড়িয়ে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি দীর্ঘমেয়াদি হলে দেশের প্রধান রফতানি আয়ের তৈরি পোশাক খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। নতুন করে অর্ডার আসছে না। আগের ক্রয়াদেশ স্থগিত রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিদেশি ক্রেতারা। এতে পণ্য শিপমেন্ট বন্ধ হলে সঙ্কটে পড়বেন পোশাক মালিকরা। এভাবে চলতে থাকলে সামনে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

            পোশাক খাতের পরিস্থিতি বিষয়ে জানতে চাইলে এ খাতের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ)’ সভাপতি ড. রুবানা হক জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত গভীর সঙ্কটের মধ্যে পার করছে। একের পর এক পোশাক কারখানার ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে এ খাত ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে।

            তিনি বলেন, অর্ডার কমে যাওয়ায় মিয়ানমার ও কম্বোডিয়া ইতোমধ্যে তাদের কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে। কিন্তু আমরা কর্মী ছাঁটাই করব না। কারণ শ্রমিক আমাদের বেশি গুরুত্ব। শ্রমিকের কথা চিন্তা করে আমরা ক্রেতাদের বলছি আপনারা অর্ডার বাতিল করবেন না। এখন এ মুহূর্তে যদি ক্রয়াদেশ বাতিল করতে শুরু করে; শিপমেন্ট করতে না দেয় তাহলে শ্রমিকের বেতন-বোনাস নিয়ে সামনে সাংঘাতিক বিপদের মধ্যে পড়বে।

            করোনার ধাক্কা সামলানোর মতো সক্ষমতা পোশাক খাতে আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এক্সপোর্ট ইমপোর্টের ব্যবসা। এটি যদি বন্ধ থাকে তাহলে যে ক্ষতি হবে তা সামলানোর মতো সক্ষমতা আমাদের কারো নেই। যদি রফতানি বন্ধ থাকে তাহলে আমাদের ব্যবসাই তো বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে আমরা কী করব। আমরা অর্থ সঙ্কটে পড়ব, যা সামাল দেয়া সম্ভবও নয়। কারণ আমাদের অন্য কোনো ব্যবসা নেই।

            কয়েক দিনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশ স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, এ পর্যন্ত বড় বড় ২০টি কারখানা ক্রয়াদেশ স্থগিত করার কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে লিড বায়ার রয়েছে অন্তত সাতজন। প্রত্যেক বায়ার বলছেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করুন। পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে অপেক্ষা করা মানেই এটি বাতিল। কারণ ক্রেতারা কোনো সময় বলেন না আমরা পণ্য কিনব না। তারা বলেন, একটু অপেক্ষা করেন। পরে তৈরি করেন। এখন চাহিদা কম বিক্রি কম। পরে নেবো। কিন্তু সরাসরি কখনই বলেন না আমরা নেবো না। পরে যদি নেয়ও এখনকার দাম দেবে না। ডিসকাউন্ট চাইবে।

            পণ্য তৈরিতে কাঁচামালের সমস্যা আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিট কাপড়ে প্রায় ৮৫ শতাংশ নিজেরাই তৈরি করি। এটিতে সমস্যা হচ্ছে না। তবে নন-কটন বেশি দামের পণ্যের কাঁচামাল কিছু সঙ্কট রয়েছে। এছাড়া পোশাক খাতের যেসব পণ্য আমদানি হয় তার ৪৯ শতাংশ আসে চীন থেকে। যন্ত্রপাতি কাঁচামালের সঙ্কটে গত দেড় মাস বিশাল ধাক্কা খেয়েছি। এটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। কিন্তু এ সময় ক্রেতারা সমস্যা করছে। এতে উভয় সঙ্কটে পড়ছে বলে জানান এ পোশাক মালিকদের নেতা।

            বিজিএমইএর তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে পোশাক কারখানা রয়েছে চার হাজার ৫৬০টি। যেখানে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। দেশের মোট রফতানির পোশাকের অবদান ৮৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্যান্য রফতানির উপখাত হিসাব করলে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এক দশক ধরে দেশের জিডিপি ৬ শতাংশের ওপর থাকার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে এ পোশাক খাত। তৈরি পোশাকের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো অর্থনীতিতে।

            রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় কমেছে। অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি শেষে পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ১৮৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। একই সময়ে রফতানি প্রবৃদ্ধিও কমেছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

            এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে কথা বলা যাবে না। ইউরোপ, আমেরিকায় এটি দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব দীর্ঘায়িত হলে আমাদের রফতানি বাণিজ্য ভয়াবহ রূপ নেবে।

            তিনি বলেন, আগের তুলনায় আমাদের ব্যবসা কমে গেছে। এর মধ্যে যদি ক্রয়াদেশ স্থগিত হয় তাহলে বড় সঙ্কটের মধ্যে পড়বে। আগামীতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে। তাই ক্রয়াদেশ প্রত্যাহার না করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি চলমান দুরবস্থা থেকে উত্তরণে জরুরি ভিত্তিতে এ খাতের জন্য নগদ প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানান এ তৈরি পোশাক উদ্যোক্তা।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/17/34573/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              রাজবাড়ীতে রাতে ঘুমন্ত ইমামকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম



              রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে গভীর রাতে ঘুমন্ত ইমামকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। সজিব (১৮) নামে মসজিদের এক ইমামকে রাকিব শেখ (১৮) নামে এক কিশোরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

              আহত ইমাম গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রমজান মাতুব্বর পাড়ার মো: সিরাজ সরদারের ছেলে। রাকিবুল একই এলাকার মৃত আ: কুদ্দুস শেখের ছেলে। জানা যায়, সজিব গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া মাদ্রাসাতুল সাবি-ইল হাসানের দশম শ্রেণীর ছাত্র।

              মসজিদের পাশেই তৈরি একটি টিনের ছাপড়া ঘরে তিনি থাকেন। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে এশার নামাজ শেষে খাবার খেয়ে ওই ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। রাত ২টার দিকে রাকিবুল টিনের বেড়া কেটে ইমাম সাহেবের রুমে ঢুকে ধরালো দা দিয়ে মাথা-ঘাড়-কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।

              এক পর্যায় তাকে মৃত ভেবে রাকিবুল পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ইমাম সাহেবের গোঙানী শুনে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাৎক্ষনিক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

              ইমাম সাহেবকে কুপিয়ে জখম করার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ইমাম সাহেবের মামা রইচ উদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে সজিবের ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া বোনকে বিবাহ করার জন্য সজিবের কাছে প্রস্তাব দেয় রাকিব। সজিব সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বরং তার বোনকে বিয়ে করার প্রস্তাব না দেয়ার জন্য রাকিবকে সাবধান করেন। এ কারণে তার সাথে দ্বন্দ্ব হতে পারে বা আক্রোশ থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/17/34579/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                হে আল্লাহ আপনি মুসলামদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment

                Working...
                X