Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল্লাহর রজ্জু আকড়ে ধর.........

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল্লাহর রজ্জু আকড়ে ধর.........


    জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে একটি বিশেষ পরিবেশনাঃ আর তোমরা একযোগে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো

    মুজাহিদীনদের জামাতগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে একটি বিশেষ পরিবেশনা


    وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّـهِ جَمِيعًا
    আর তোমরা একযোগে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো



    উৎস: আস-সাহাব মিডিয়া

    পরিবেশনায়: বালাকোট মিডিয়া

    – – – – – – – – – – – – – – – – –

    “আজ আমরা আল্লাহর রহমতে ইসলামী বিশ্বের মানচিত্র এমনভাবে পরিবর্তন করতে যাচ্ছি যেন সকল ইসলামী দেশগুলো আল্লাহর হুকুমে খিলাফতের পতাকাতলে একটি দেশে পরিণত হয়। আমরা আজ আল্লাহর রহমতে ঈমানদার মুসলমানদের ইতিহাসের এক পবিত্র ও আলোকিত অধ্যায় রচনা করতে যাচ্ছি। এ এমন এক সময় যখন জুলুম, কুফর ও ফাসাদ পূর্ব থেকে পশ্চিমের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ভাগ্যবান কেবল ঐ ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তাআলা তাঁর তাওহীদের উপর অবিচল রেখেছেন।”

    – মুজাহিদ শহীদ শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ)

    – – – – – – – – – – – – – – – – –

    এই প্রামাণ্যচিত্রে তিনটি বক্তব্য রয়েছে:

    ১। জামাত কায়েদাতুল জিহাদ (আল-কায়েদা) এর নতুন শাখা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা

    – শাইখ আইমান আল জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ

    ২। আনুগত্যের বায়াতের নবায়ন এবং এই সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য

    – উস্তায ওসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ (জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের মুখপাত্র)

    ৩। জিহাদই আমাদের পথ

    – মাওলানা আসিম ওমর হাফিজাহুল্লাহ (জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের আমীর)

    – – – – – – – – – – – – – – – – –


    জামাত কায়েদাতুল জিহাদ (আল-কায়েদা) এর নতুন শাখা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা

    – শাইখ আইমান আল জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ

    বিসমিল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া মান ওয়া লাহ।

    হে বিশ্বের সকল এলাকার মুসলমানেরা!

    আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

    অতঃপর, সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদেরকে সাধারণভাবে, এবং উপমহাদেশে বসবাসরত মুসলমানদেরকে বিশেষভাবে আল্লাহর তাআলার অনুগ্রহ ও সাহায্যে আল কায়েদার নতুন শাখা আল কায়েদা ভারত উপমহাদেশের প্রতিষ্ঠার মুবারকবাদ জানাই।

    এই পদক্ষেপটি হচ্ছে ভারত উপমহাদেশে ইসলামী ঝান্ডার উড্ডয়ন, ইসলামী হুকুমতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং উপমহাদেশের ভূমিতে ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়নের একটি প্রচেষ্টা। যে ভূমি এক সময় ইসলামের ভূমির একটি অংশ ছিল, পরে কাফেররা এটাকে দখল করে ছোট ছোট কয়েক খন্ডে বিভক্ত করে ফেললো।

    এই দল একদিনেই অস্তিত্বে আসে নি, বরং এটি উপমহাদেশের বিভিন্ন জিহাদী দলকে এক পতাকাতলে নিয়ে আসার ওই প্রচেষ্টার ফল যার ধারাবাহিকতা কম-বেশী দু’বছর অব্যাহত ছিল। এই দল কেন্দ্রীয় দল কায়েদাতুল জিহাদের অধীনে কাজ করবে, আর কায়েদাতুল জিহাদ ইমারতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের সৈন্যদের একটি সৈন্যদল, যার আমীর হচ্ছেন বিজয়ী ইনশাআল্লাহ আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মদ উমর মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ।

    এই দল হচ্ছে ইমাম মুজাদ্দিদ শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর ওই দাওয়াতের ঝান্ডাবাহী যার লক্ষ্য মুসলিম উম্মতকে কালেমায়ে তাওহীদের ভিত্তিতে এক করে মুসলমানদেরকে এক করে জিহাদ করা, উম্মতের দখলকৃত ভূমিসমূহকে স্বাধীন করা, এই উম্মতের কর্তৃত্ব ও উম্মতের নেতৃত্বকে দ্বিতীয়বার অর্জন করা যা খিলাফতে ইসলামী পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলছে।

    আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি, তিনি যেন ওইসব অপরিচিত মুজাহিদদেরকে অশেষ সওয়াব দ্বারা পূর্ণ করেন, যারা ধৈর্য ও দৃঢ়তার সাথে এই মহান উদ্দেশ্যের লক্ষ্যে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর ইচ্ছায় এই মুবারক দল অস্তিত্বে এসেছে। আল্লাহ তাআলা জিহাদী দলসমূহের আমীরদেরকেও অসংখ্য সওয়াব দ্বারা পূর্ণ করুন, তারা অতি বিনয় এবং বিনম্রতা প্রদর্শন করে ব্যক্তিগত স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ইসলাম এবং আহলে ইসলামকে প্রাধান্য দেয়ার অনুপম উদাহরণ স্থাপন করেছেন। যার ফলস্বরূপ এই দল ভারত উপমহাদেশে ইসলামের শত্রুশক্তির বিরুদ্ধে ফরয জিহাদকে পুনর্জীবিত করেছে।

    আল কায়েদার এই শাখার প্রতিষ্ঠা সব মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ, পুরো পৃথিবীতে এই সময়ে ইমারতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের ঝান্ডাতলে দাওয়াত ও জিহাদ ধারাবাহিকভাবে বিস্তৃতভাবে অতিক্রম করছে, এটা ওই ইমারতে ইসলামীয়াহ যা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কঠিন হামলার মুখে ধৈর্য-দৃঢ়তার ওই সুউচ্চ উপমা স্থাপন করেছে যা যুগ যুগ ধরে জ্যোতির মিনার বনে আগামী প্রজন্মের পথ প্রদর্শন করতে থাকবে।

    এই ইমারত তার ঈমান ও বিশ্বাস এবং ধৈর্য ও আত্মবিসর্জনের ভিত্তির উপর অটল-অবিচল ছিল, যার কারণে আল্লাহ এটাকে বিজয় ও সাহায্যের নিকটবর্তী পৌঁছালেন, এবং ওই পরাজিত শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় দান করলেন যারা নিজেদেরকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শক্তিশালী শক্তি দাবি করে যুদ্ধে অবতরণ করেছিল।

    আল্লাহ তাআলার দয়া ও অনুগ্রহে আমরা আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমর হাফিজাহুল্লাহের ওই ঈমানদীপ্ত কথার সত্যতা দেখতে পাচ্ছি, যা তিনি ক্রুসেড হামলার একেবারে প্রাক্কালে বলেছিলেন,

    “আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিজয়ের ওয়াদা করেছেন আর বুশ আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে পরাজয়ের, আমরা অচিরেই দেখবো কোন ওয়াদা সত্য হয়।”



    আমার মুসলমান ভাইয়েরা!

    নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা নিজেদের বিন্যাসকে এক রাখি এবং আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধরি।

    এই একতা ও ঐক্যবদ্ধতাকে আল্লাহ তাআলা নিজ বান্দাদের জন্য প্রদত্ত এক মহান নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন,

    আর তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ করো; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সেই নেয়ামতের কথা স্মরণ করো, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছো। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়াত প্রাপ্ত হতে পারো।(১)

    এমনিভাবে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

    আর তারা যদি তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তোমাকে শক্তি যুগিয়েছেন স্বীয় সাহায্যে ও মুসলমানদের মাধ্যমে। আর প্রীতি সঞ্চার করেছেন তাদের অন্তরে। তুমি যদি সেই সব কিছুও ব্যয় করে ফেলতে যা কিছু জমিনের বুকে রয়েছে, এরপরেও তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি পরাক্রমশালী, সুকৌশলী।(২)

    সুতরাং একতা হচ্ছে নেয়ামত ও রহমত, আর অনৈক্য হচ্ছে অশুভ এবং আযাব। মুমিনদের প্রতি নম্রতা আর কাফেরদের প্রতি কঠোরতা আল্লাহ তাআলার ওই সকল নেক বান্দাদের গুণ যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং তারা আল্লাহকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

    মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পরে সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকূ ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন। তাওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জীলে তাদের অবস্থা যেমন একটি বীজ যা অঙ্কুরিত হয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীকে আনন্দে অভিভূত করে যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।(৩)

    এমনিভাবে মহান আল্লাহ বলেছেন,

    হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরেই আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোনো নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।(৪)

    অনৈক্য এবং বিশৃঙ্খলার একটি ফল হচ্ছে ব্যর্থতা এবং শক্তি নিঃশেষ হওয়া, এজন্য আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সতর্ক করে বলেন,

    হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোনো বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাকো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পারো। আর আল্লাহ তাআলার নির্দেশ মান্য করো এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। যদি তা করো, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে।(৫)

    সুতরাং হে আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা!

    আপনারা একতাকে শক্ত করে ধরুন, এবং পরস্পরের মতের অমিল পশ্চাতে ফেলে আল্লাহর রশিকে শক্ত করে ধরুন, অনৈক্য থেকে দূরে থাকুন। আল্লাহর ইচ্ছায় এ দল এজন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যাতে সমগ্র পৃথিবীতে সকল মুসলমান ভাইয়েররা এক সাথে হয়ে কাফের উপনিবেশবাদী ইংরেজদের টেনে দেয়া সীমানা মিটিয়ে ফেলা হয়, যা তারা উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে পরস্পর থেকে দূরে রাখার জন্যে টেনেছে।

    এই জন্যে উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে এই দল মৌলিক এই দাওয়াত দেয় যে, তারা যেন তাওহীদের ভিত্তিতে এক হয়ে যান, এবং আম্বিয়া ও রাসূলগণ আলাইহিমিস সালাম এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের নির্বাচিত পথ দাওয়াত ও জিহাদের পথে চলে ইসলামের সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসেন।

    উপমহাদেশ এবং সমগ্র পৃথিবীতে বসবাসরত মুসলমান ভাইয়েরা!

    এখন আপনাদের চোখের সামনে সেকুলার গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ব্যর্থতা সুষ্পষ্টভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে। যার মৌলিক দাওয়াত হচ্ছে এই যে, অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং ইসলামী সার্বভৌমত্বের সেই আকীদা থেকে হাত গুটিয়ে নেয়া যে আকীদা ব্যতীত ঈমানই গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,

    অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।(৬)

    সময় এটা প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে, এই গণতন্ত্রের রাস্তা একটি প্রতারণাপূর্ণ মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই নয়, যার মাধ্যমে ইসলামের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়া মৌলিকভাবেই অসম্ভব। এমনকি যদিও এর নাম নেয়া ব্যক্তিরা নির্বাচনে সফলতা এবং পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে, তখনি যথাসময়ে ইসলামের শত্রুরা তাদের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ করবে এবং তাদের সৈন্যরা যারা কিনা মুসলিম উম্মাহের শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছে তারা সামনে এগিয়ে এসে নিজের বিরোধী প্রত্যেক শক্তিকে কারাগারে ঢুকাবে এবং ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাবে। এই রাস্তা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতের ধ্বংসের পথ, যা ইসলামী সার্বভৌমত্ব থেকে মুক্ত হওয়া দ্বারা শুরু হয় এবং ইসলামের শত্রুদের আধিপত্য বিস্তার এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষাকে হত্যা করার মাধ্যমে শেষ হয়। সত্য ও ন্যায়-ইনসাফের প্রতিষ্ঠার ফলাফল যদি কোনো রাস্তায় আশা করা যায় তাহলে এটা হচ্ছে সে রাস্তা যেটা আমাদের মহান রব নিজের বান্দাদের জন্যে নির্ধারণ করেছেন, অর্থাৎ দাওয়াত ও জিহাদের রাস্তা। আল্লাহ বলেন,

    আর আমি আদেশ করছি যে, আপনি তাদের পারস্পরিক ব্যাপারগুলোতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদানুযায়ী ফায়সালা করুন; তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না এবং তাদের থেকে সতর্ক থাকুন যেন তারা আপনাকে এমন কোনো নির্দেশ থেকে বিচ্যুত না করে যা আল্লাহ আপনার প্রতি নাযিল করেছেন। অনন্তর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে নিন, আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কিছু শাস্তি দিতেই চেয়েছেন। মানুষের মধ্যে অনেকেই নাফরমান। তারা কি জাহেলিয়াতের যুগের ফায়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফায়সালাকারী কে?(৭)

    এবং তিনি বলেন,

    আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো যতক্ষণ না ফিত্*না-ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।(৮)

    সুতরাং দ্বীনের কিছু অংশ যখন আল্লাহর জন্যে হয় এবং কিছু অংশ যখন আল্লাহ ব্যতীত অন্যের জন্যে হয়, তখন জিহাদ ফরয হয়ে যায়, যতক্ষন পর্যন্ত না ফিত্*না দূরীভূত এবং দ্বীন পুরোপুরিই আল্লাহর জন্যে হয়ে যায়। যদি কোনো সময় সামর্থ্যের অভাবে জিহাদ সম্ভব নাও হয় তখনও ইদাদের (প্রস্তুতির) ফরয রহিত হয় না। আল্লাহ তাআলা বলেন,

    আর প্রস্তুত করো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যা কিছুই সংগ্রহ করতে পারো নিজের শক্তি–সামর্থ্যের মধ্য থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন ভীত-সন্ত্রস্ত করা যায় আল্লাহর শুত্রুদেরকে এবং তোমাদের শত্রুদেরকে, আর তারা ছাড়া অন্যান্যদেরকেও, যাদেরকে তোমরা জানো না কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে চেনেন।(৯)

    আল্লাহর ইচ্ছায় এই নতুন দল হচ্ছে উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত আশ্রয়হীন এবং দুর্বল মানুষদের জন্যে সুসংবাদ।

    বার্মা, বাংলাদেশ, আসাম, গুজরাট, আহমেদাবাদ এবং কাশ্মীরের নির্যাতিত মুসলমানদেরকে আমরা এই বলতে চাই যে, আল কায়েদা আপন ভাই আপনাদেরকে কখনো ভুলে নি এবং আপনাদের উপর চালিত জুলুম-অত্যাচার ও নির্যাতনের চাকা থেকে মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে প্রত্যেক সম্ভাব্য পদ্ধতিতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে।



    উপমহাদেশে বসবাসরত আমার প্রিয় উম্মতে মুসলিমা,

    আপনারা আপনাদের মত, পরামর্শ, দোয়া, রসদ সামগ্রী দ্বারা আপন মুজাহিদ ভাইদেরকে শক্তিশালী করুন, এবং আল্লাহর নির্দেশকে লাব্বাইক বলুন, যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

    হে মুমিনগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিবো যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবন পণ করে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বুঝো। তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতে দাখিল করবেন যার তলদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের সেই জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য। এবং আরও একটি অনুগ্রহ দিবেন যা তোমরা পছন্দ করো। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং আসন্ন বিজয়। মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ দান করুন।(১০)

    আমি আমার কথার শেষে নিজের উদ্দেশ্যে, জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের মুজাহিদ ভাইদের উদ্দেশ্যে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত মুজাহিদ ভাইদের উদ্দেশ্যে এই নসিহত করবো, যে, জেনে রাখুন, জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ মূলত আল্লাহর দিকে দাওয়াতের একটি মাধ্যম, যেটা আম্বিয়ায়ে কেরামগণ আলাইহিমিস সালামের উদ্দেশ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, আল্লাহ তাআলা বলেন,

    হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।(১১)

    এমনিভাবে আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে বলেছেন,

    আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।(১২)

    এমনিভাবে আল্লাহ তাআলা নিজের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে বলেছেন,

    আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন, পক্ষান্তরে আপনি যদি কর্কশ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে–কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন কোনো কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করুন, আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদেরকে ভালবাসেন।(১৩)

    তাই কথা ও কাজে সত্যকে নিজের আদর্শ বানান, এমন লোকদের মতো হবেন না, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

    হে মুমিনগণ! তোমরা যা করো না, তা কেন বলো? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।(১৪)

    সুতরাং যেহেতু আপনারা এই বলেন যে, আপনাদের জিহাদের উদ্দেশ্য মুসলমানদের সম্মানের সংরক্ষণ, তাই তাদের জান-মাল ও ইজ্জত-সম্মানের উপর মোটেও হস্ত প্রসারণ করবেন না। নিজের ভাইদেরকে কোনো কথা-বার্তা দ্বারা বাড়াবাড়ি করবেন না।

    যেহেতু আপনি এই বলেন, যে আপনার জিহাদের উদ্দেশ্য আল্লাহর দ্বীনের বিজয়, শরীয়তের গুরুত্ব এবং তা পূর্ণভাবে জমিনে প্রতিষ্ঠা করা। সুতরাং আপনার জন্যে আবশ্যক হলো এই যে, এই শরীয়ত সর্বপ্রথম নিজের উপর বাস্তবায়ন করা, শরীয়তের ফায়সালা আপনার উল্টোও চলে যাক না কেন, তবুও শরীয়তের ফায়সালার সামনে নিজের মাথা ঝুঁকাতে কুন্ঠাবোধ করবেন না।

    আর যদি আপনি এই দাবি করেন যে, আপনার জিহাদ করার উদ্দেশ্য শুধুমাত্রই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, তাহলে কখনোই যেন এমন না হয় যে, সুযোগ পেলেই আপনি চেয়ার এবং আধিপত্যের ভুমিকায় অংশীদার হয়ে যাবেন!

    আর যদি আপনি এই বলেন যে, আপনার জিহাদ করার উদ্দেশ্যের মধ্য থেকে একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্যাতিতদের সাহায্য করা, তাহলে শুরুতেই নিজেরা পরস্পরের উপর জুলুম করা থেকে বিরত থাকুন, এবং নিজেদের মুজাহিদ ভাই এবং মুসলমানদের উপর জুলুম করা থেকেও বিরত থাকুন।

    গুনাহসমূহ থেকে তো সর্বদা দূরে থাকবেন, নিজের রবের কাছে ইস্তেগফার করে সাথে সাথে তাওবাহওয়ালা বনে যান। যদি ভুল হয়ে যায় তাহলে এটা মেনে নিবেন, আর যদি কোনো জুলুম হয়ে যায়, তাহলে বিনিময় আদায় করবেন, কেননা জুলুমই হচ্ছে পরাজয়ের প্রথম ধাপ।

    গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনুন, যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন সম্পর্কে কী বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন,

    যখন তোমাদের উপর একটি মুসীবত এসে পৌঁছালো, যদিও তোমরা তাদের (তোমাদের শত্রুদের) উপর দ্বিগুণ কষ্ট উপস্থিত করেছিলে, আর যখন তোমরা বলছিলে, “এটা (মুসীবত) কোথা থেকে এলো?” তাহলে বলে দাও, “এ কষ্ট তোমাদের উপর পৌঁছেছে তোমাদেরই পক্ষ থেকে (তোমাদের অশুভ কাজের ফলস্বরূপ)।” নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ের উপর ক্ষমতাশীল।(১৫)



    এবং তিনি বলেন,

    নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে যারা দু’টি দল সম্মুখীন হবার দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, শয়তান তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছিল তাদেরই পাপের দরুন। আল্লাহ তাদেরকে মাফ করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং সহনশীল।(১৬)

    এবং জেনে রাখুন যে, কখনো নিজের শক্তি এবং সামর্থ্যের কারণে কোনো প্রতারণার শিকার হবেন না, নিজের শক্তির উপর নির্ভর ছেড়ে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের শক্তি এবং সামর্থ্যের আশ্রয় নিন, আল্লাহর এই কথাকে গভীরভাবে শুনুন,

    যদি আল্লাহ তোমাদের সহায়তা করেন, তাহলে কেউ তোমাদের উপর পরাক্রান্ত হতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের সাহায্য না করেন, তবে এমন কে আছে, যে তোমাদের সাহায্য করতে পারে? আর আল্লাহর ওপরই মুসলমানগণের ভরসা করা উচিত।(১৭)

    এবং তিনি বলেন,

    আর সাহায্য আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হতে পারে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তির অধিকারী, হেকমত ওয়ালা।(১৮)

    এমনিভাবে তিনি বলেন,

    আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন অনেক ক্ষেত্রে এবং হোনাইনের দিনে, যখন তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদেরকে প্রফুল্ল করেছিল, কিন্তু তা তোমাদের কোনো কাজে আসে নি এবং পৃথিবী প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও তোমাদের জন্য তা সংকুচিত হয়েছিল। অতঃপর তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে।(১৯)

    এমনিভাবে আল্লাহর ওই নির্দেশকে কখনো ভুলবেন না, যেখানে তিনি সফলতার কারণ বর্ণনা করেছেন,

    হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোনো বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাকো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পারো। আর আল্লাহ তাআলার নির্দেশ মান্য করো এবং তাঁর রাসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। যদি তা করো, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে। আর তাদের মতো হয়ে যেয়ো না যারা বেরিয়েছে নিজেদের অবস্থান থেকে গর্বিতভাবে এবং লোকদেরকে দেখাবার উদ্দেশ্যে। আর আল্লাহর পথে তারা বাধা দান করতো। বস্তুতঃ আল্লাহর আয়ত্বে রয়েছে সে সমস্ত বিষয় যা তারা করে।(২০)

    যদি আমাদের এইসব তাওফীক অর্জন হয়ে যায় তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় এটা বিশ্বাস রাখবেন যে, আমরা সফলতা এবং বিজয়ের এই রাস্তায় আছি।



    এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই মহান সুসংবাদ গ্রহণ করুন,

    “আমার উম্মতের দু’টি দল এমন যাদেরকে আল্লাহ আগুন থেকে মুক্ত করেছেন, একটি দল হচ্ছে তারা যারা হিন্দের যুদ্ধ করবে। এবং অন্য দলটি হলো তারা যারা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালামের সাথী হবে।”(২১)

    ওয়া আখিরু দাওয়ানা আনিল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া সাল্লাম।

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

    – – – – – – – – – – – – – – – – –


    আনুগত্যের বায়াতের নবায়ন এবং এই সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য

    – উস্তায ওসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ (জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের মুখপাত্র)

    আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, নাসিরিল মুসতাজয়াফীন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা ইমামিল মুজাহিদীন, সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া সাল্লিম আজমাঈন।

    অতঃপর,

    আল্লাহ তাআলা বলেন, (আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাজীমের পর)

    আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ করো; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সেই নেয়ামতের কথা স্মরণ করো, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছো। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পারো।(২২)

    তিনি আরও বলেন,

    পক্ষান্তরে তারা যদি তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তোমাকে শক্তি যুগিয়েছেন স্বীয় সাহায্যে ও মুসলমানদের মাধ্যমে। আর প্রীতি সঞ্চার করেছেন তাদের অন্তরে। যদি তুমি সেই সব কিছু ব্যয় করে ফেলতে যা কিছু জমিনের বুকে রয়েছে, এরপরেও তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি পরাক্রমশালী, সুকৌশলী।(২৩)



    আল্লাহু আয্*যা ওয়া জাল্ল্* আরও বলেন,

    আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে যেন তারা সীসাঢালা প্রাচীর।(২৪)



    প্রিয় মুসলমান ভাইয়েরা!

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!

    আমি সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে সাধারণভাবে এবং পাকিস্তান, ইন্ডিয়া সহ পুরো উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে বিশেষভাবে “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ” এর একটি নতুন শাখা “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর প্রতিষ্ঠার মুবারকবাদ জানাচ্ছি।

    আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি তিনি যেন এই জামাতকে কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ (আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করা) এর তাওফীক দান করেন।

    এই জামাত এমন সব জিহাদী সংগঠনের সম্মিলনের মাধ্যমে অস্তিত্ব লাভ করেছে যারা দীর্ঘ সময় যাবত জিহাদ ও কিতালের পথে ছিলেন এবং যারা উম্মাহ এর ইত্তেহাদ ও ইত্তেফাকের (ঐক্য ও সম্মিলন) ইলাহী হুকুম واعتصموا بحبل الله جميعا ولا تفرقوا (তোমরা সবাই আল্লাহর রজ্জুকে মজবুত করে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যেয়ো না) এর আহবানে লাব্বাইক বলেছেন। তারা নিজেদের প্রাণপ্রিয় আমীর শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ এর দেয়া নির্দেশনাকে জামাতের সমস্ত কার্যক্রমে বাস্তবায়ন করার প্রত্যয়ে মাওলানা আসিম উমার হাফিজাহুল্লাহ এর নেতৃত্বে একত্রিত হবার মুবারক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা শাইখ মুস্তফা আবু ইয়াযিদ, শায়খ আত্তিয়্যাতুল্লাহ, শায়খ আবু ইয়াহইয়া, উস্তায হাসান গুল, কমান্ডার বদর মানসূর, উস্তায ফয়েজ উমার আকদাস রহিমাহুমুল্লাহ এবং ঐ সকল হযরতদের অসংখ্য সওয়াব দান করুন, যাদের ইখলাস ও প্রচেষ্টায় এই একতা সম্ভব হয়েছে। যাদের মনযোগিতা ও নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর মৌলিক চিন্তা ও কার্যপদ্ধতি রাখা হয়েছে।

    আল্লাহ তাআলা এই জামাতকে ঐ মুবারক রাস্তায় দৃঢ়তার সাথে চলার তাওফীক দান করুন যার পথপ্রদর্শক মুজাদ্দিদে জিহাদ শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ। যে রাস্তাকে মুহসিনে উম্মাহ শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ স্বীয় রক্ত দ্বারা সুগম করেছেন। একইভাবে আমি এই মহেন্দ্রক্ষণে আমাদের সেই সকল শহীদ মুজাহিদগণ নিজেদের অনেক দোয়ায় স্মরণ করছি যাদের শিষ্টাচারের বরকতে এই ভূমিতে জিহাদের বৃক্ষ বিস্তৃত হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন- উস্তায আমজাদ ফারুকী, কমান্ডার ও উস্তায ইলিয়াস কাশ্মীরী, উস্তায হারুন আদনান ভাই, কমান্ডার আব্দুল হাদী ফয়সাল, শায়খ আহসান আযীয, ড. আরশাদ ওয়াহীদ রহিমাহুমুল্লাহ।

    আর এই আনন্দঘন মুহূর্তে আমাদের অন্তর নিজেদের সকল শুহাদা ও সাথী ভাইদের জন্যে বিশেষভাবে দোয়া করছে, যাদের কুরবানি ও ত্যাগের বদৌলতে এই জমিনে জিহাদের সূর্য পূর্ণ উজ্জ্বলতার সাথে জ্বলজ্বল করছে।

    হে আল্লাহ! আপনি তাঁদের সবার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান!

    হে আল্লাহ আমাদের ভাইদেরকে আপনার খাস রহমতের দ্বারা পরিপূর্ণ করুন!

    আর আমাদের শুহাদাগণকে কিয়ামতের দিন আম্বিয়া, শুহাদা, সিদ্দিকীন, সালেহীনদের সঙ্গী হিসেবে কবুল করে নিন! (আমীন)



    “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর মৌলিক উদ্দেশ্যসমূহ
    প্রথম উদ্দেশ্য

    আমেরিকা এবং তার সহযোগীদের দাসত্বে আবদ্ধ সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত কুফরী শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করা। এই শাসনতন্ত্রকে এর শিকড়সহ চিরতরে উৎখাত করার চেষ্টা করা। আর এই কুফরী শাসনব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে কালিমায়ে তাওহীদকে সমুন্নত করা। কেননা এটাই সেই অভিশপ্ত শাসনব্যবস্থা যার মাধ্যমে খিলাফতে উসমানিয়াকে ভেঙে আল্লাহর জমিন থেকে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রথম কিবলাহকে ইহুদীরা কব্জা করে নিয়েছে। হারামাইনের পবিত্র ভূমিতে আমেরিকা ও এর মিত্রবর্গ চড়াও হয়েছে। বসনিয়া ও চেচনিয়া থেকে শুরু করে কাশ্মীর এবং বার্মা পর্যন্ত কাফেরদের পদভার দৃঢ় হয়েছে, অর্থনীতিতে পুঁজিবাদী সুদী লেন-দেন মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আল্লাহর বান্দাদের উপর সেকুলার গণতন্ত্রের রাজনীতির ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে, সমাজ থেকে ইসলামী আকীদা এবং দ্বীনী আচার-ব্যবহার নিশ্চিহ্ন হতে যাচ্ছে। আর এটাই সেই শাসনব্যবস্থার কুফল যার কারণে মুসলমানদের ভূমির উপর কাফেরদের সেবাদাস মুরতাদ সেনাবাহিনী এবং দ্বীনের শত্রু শাসকদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
    দ্বিতীয় উদ্দেশ্য

    শরীয়ত বাস্তবায়ন ও ইসলামী জীবন ব্যবস্থার পুনর্জীবনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানো, এই উদ্দিষ্ট অর্জনে এমন ওই সকল পদ্ধতি বাছাই করা যার প্রতি কিতাব ও সুন্নাহ উদ্বুদ্ধ করেছে। যেই পদ্ধতিগুলোর সর্বাগ্রে আছে: কিতাল ফী সাবিলিল্লাহ।
    তৃতীয় উদ্দেশ্য

    সমস্ত দখলকৃত মুসলিম ভূমিকে মুক্ত করা এবং বিশেষ করে হিন্দুস্তানের নিপীড়িত মজলুম মুসলমানদের স্বাধীনতার জন্য উম্মাতে মুহাম্মাদি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জাগ্রত করা। আর এই উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করা। আর এ কাজ করতে গিয়ে কোনো (শরীয়ত বহির্ভূত) আইন-কানুন এবং চুক্তিকে বিন্দু পরিমাণ পরোয়া না করা, যেই আইন-কানুন মুসলমানদেরকে তাদের স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং তাদেরকে জিহাদের ফরয আদায় করতে বাধা প্রদান করে।
    চতুর্থ উদ্দেশ্য

    নবুয়্যতের আদলে খিলাফত কায়েম করার জন্য জিহাদ করা। এমন এক খিলাফত হবে যার উপর সমস্ত উম্মাহ একত্রিত হয়। এমন এক খিলাফত যা মুসলমানদের জান-মাল, সম্মান-সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধান করবে। যেথায় যুগের খলীফা হক্কানি উলামাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করবেন ও তাঁদের নির্দেশনা মেনে চলবেন। যেথায় দুর্বল এবং শক্তিশালী কেউই জবাবদিহির উর্ধ্বে থাকবে না। যার বরকতে মুসলিম কৃষকদের জমিতে সোনার ফসল উৎপাদিত হবে, মুসলিম ব্যবসায়ীগণ সুদী লেন-দেন এবং অনৈতিক ট্যাক্সের খড়গ হতে মুক্ত হয়ে থাকবে। আর যেথায় গরিব-দুঃখীদের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে যুগের খলীফাও স্বয়ং রাতের অন্ধকারে ব্যাকুল হয়ে ঘুরে বেড়াবেন। এমনকি খিলাফতের অধীনে বসবাসকারী জিম্মি কাফেররাও নিরাপত্তার সাথে জীবনযাপন করতে পারবে।
    পঞ্চম উদ্দেশ্য

    ইমারতে ইসলামীয়্যাহ আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা করা। কারণ তাদের উপরই সমস্ত উম্মাহের খিলাফতের পুনর্জীবনের আশা, আকাঙ্ক্ষা নির্ভর করছে। তাই ইমারতে ইসলামীয়্যাহ আফগানিস্তানের দিকে নিক্ষিপ্ত সকল তীর ও কামানের গোলা নিজের বুক দিয়ে ঠেকিয়ে দেয়া। ইমারতের শক্তিবৃদ্ধি ও সুসংহতির লক্ষ্যে সকল সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আর সর্ব উপায়ে ইমারতের সাহায্য সহযোগিতা করা।
    ষষ্ঠ উদ্দেশ্য

    এমন এক ইসলামী সমাজব্যবস্থা কায়েম করা, যেখানে জালেমের হাতকে রুখে দিয়ে মজলুমকে সাহায্য করা হয়, চাই মজলুম কাফেরই হোক না কেন। এমন এক সমাজব্যবস্থা যাতে নেক কাজ করা সহজ হয় এবং গুনাহে লিপ্ত হওয়া কঠিন হয়ে যায়। এমন এক সমাজব্যবস্থা যেথায় নারীকে সম্মান ও ইজ্জত প্রদান করা হয়, যাতে সন্তান পিতামাতার খেদমতে তাদের পথে পালক বিছিয়ে দেয়। আর যাতে প্রতিটি ঘরে শান্তি বিরাজ করে।



    হে আমার প্রিয় উম্মতের নির্যাতিত মুসলমানেরা!

    মুজাহিদদের উদ্দেশ্য তো হচ্ছে মানুষকে মানুষের দাসত্ব থেকে মুক্ত করে তাদের প্রতিপালকের বন্দেগীতে নিযুক্ত করা। আর সমস্ত ধর্মের সঙ্কীর্ণতা ও অত্যাচারে পিষ্ট মানবতাকে ইসলামের প্রশস্ততা, রহমত ও বরকতের ছায়াতলে নিয়ে আসা।



    আমার ভাইয়েরা!

    এই দাওয়াত হলো ফরয আদায় করার দাওয়াত। এমন দাওয়াত যা ফুরুয়ী ইখতেলাফকে তাকের উপরে রেখে ফরয আদায় করার দিকে আহবান করছে। এই আহবানে লাব্বাইক বলা এবং জিহাদের ডাকে সাড়া দেয়া শুধু যে আপনার দুনিয়াবী মান, সম্মান, নিরাপত্তা, প্রতিপত্তির কারণ হবে তা নয়, বরং মৃত্যুর পরের জীবনেও সফলতা অর্থাৎ জান্নাত লাভের মাধ্যম হবে।

    হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূল কে সাড়া প্রদান করো যখন রাসূল তোমাদেরকে এমনকিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদেরকে জীবন দান করবে। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মধ্যস্থলে অন্তরায় হয়ে থাকেন, পরিশেষে তাঁর কাছেই তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।(২৫)

    আমরা এই ক্ষণে তানযীম কায়েদাতুল জিহাদের প্রধান আমীরুল মুজাহিদীন শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ এর হাতের জিহাদের বাইআতকে নবায়ন করছি। আর তাঁর মধ্যস্থতায় আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার মুজাহিদ (আল্লাহ তাঁকে বিজয়ী করুন) এর হাতে বাইআতকে পুনরায় নবায়ন করছি। আর আমরা আমীরুল মুমিনীনকে আশ্বস্ত করছি যে, ইমারতে ইসলামীয়্যাহ এর প্রতিরক্ষাকে আমরা নিজেদের প্রথম ফরয হিসেবে বিশ্বাস করি এবং ইনশাআল্লাহ আপনি আমাদেরকে ইমারতের শক্তিবৃদ্ধি ও সুসংহতির জন্য সদা প্রস্তুত পাবেন। এই সম্পর্কের খাতিরে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে জিহাদরত মুজাহিদীন, বিশেষ করে জামাত কায়েদাতুল জিহাদের অন্যান্য শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট আল্লাহর সিংহদের কাছে বার্তা পৌঁছাচ্ছি যে,

    হে আমার প্রিয় মুজাহিদীন ভাইগণ!

    আপনাদের “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর ভাইয়েরা খিলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বাইতুল মুকাদ্দাসের পবিত্র ভূমি মুক্ত করার মুবারক সফরে আপনাদের সহযোগী ও সহযাত্রী হয়েছে। আপনারা আমাদের শরীরের অংশ। আমরা আল্লাহর জন্য আপনাদেরকে ভালবাসি। আমাদের সকল দোয়া আপনাদের সাথে আছে। আপনাদের বিজয় আমদেরই বিজয়। আর আপনাদের কোনো প্রকার কষ্ট আমাদের জন্য দুঃখের কারণ। আমরা প্রত্যাশা করি যে, আপনারা আমাদেরকে আপনাদের দোয়া, নসীহাত ও পরামর্শের দ্বারা আমাদেরকে পথ-প্রদর্শন, সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আল্লাহ যেন আপনাদেরকে সাহায্য করেন।

    আর এই ক্ষণে আমরা আমাদের মুহতারাম উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনের দায়ীগণকে এই ব্যাপারে আশ্বস্ত করছি,

    আমরা আপনাদেরই সন্তান, আপনাদেরই ছাত্র। যেই আল্লাহর কথা ও যেই রাসূলের কথা মানুষের অন্তরে বসানোর জন্য আপনারা দিন-রাত মেহনত করেন আমরা সেই আল্লাহর কথা ও সেই রাসুলের কথাকে রাষ্ট্রব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা ও অর্থনীতির ময়দানে বিজয়ী করতেই জিহাদ করি। আমরা আপনাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিধান করাকে আমাদের ফরয হিসেবে জানি। আপনাদের খেদমত করাকে নিজেদের সৌভাগ্য মনে করি। আর সকল ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের শিক্ষা বাস্তবায়ন করাকে আমাদের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে বিশ্বাস করি। আমরা আপনাদের পৃষ্ঠপোষকতার মুখাপেক্ষী, জিহাদী কাফেলায় আপনাদের কার্যত অংশগ্রহণের অপেক্ষা করছি, একইসাথে আপনাদের সাহায্য ও দোয়া-প্রার্থী।

    আমরা এই ক্ষণে পাকিস্তানে জিহাদরত মুজাহিদীন ভাইদেরকে এই বার্তা প্রদান করছি যে, লাল মসজিদের শহীদগণের মহান কুরবানির পর মুহসিনে উম্মাহ শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ এর হুকুমে “হয়তো শরীয়ত নয়তো শাহাদত” এর স্লোগান নিয়ে যে কিতালের রাস্তায় আমরা অবতরণ করেছি, আমরা সেই রাস্তায় আরও অধিক মজবুতির সাথে চলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। এবং এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, এই মুবারক জিহাদ উপমহাদেশের মুসলমানদের স্লোগান “পাকিস্তান কা মতলব কিয়্যা? লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কে কার্যতভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকৃত পথ “গাযওয়ায়ে হিন্দ” এর তোরণ হবে, আর ইমারতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা।

    আমরা এই অঞ্চলে বিদ্যমান সমস্ত জিহাদী সংগঠনগুলোর কাছে সৎ প্রত্যাশা ও শুভকামনার সাথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। আর তাদেরকে এই আশ্বাস দিচ্ছি যে, আপনাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব, নেকীর কাজে সাহায্য করার উপর ভিত্তি করেই হবে। আর আল্লাহর কাছে দৃঢ়ভাবে আশা করি যে, “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর অস্তিত্ব আপনাদের কল্যাণ ও শক্তিবৃদ্ধির করার কারণ হবে ইনশাআল্লাহ।



    হে আল্লাহ! আমাদের জাতিকে ইসলামের বসন্ত দেখান!

    এই অঞ্চলকে শরীয়তের ঠাণ্ডা ছায়া ও নিরাপত্তা দিয়ে ছেয়ে দিন!

    হে আমাদের রব, দ্বীনের বিজয়, উম্মাহর শান্তি, মুসলমানদের কল্যাণের জন্য আপনার যে বান্দারা জিহাদের ময়দানে আছে, তাদের কমজোরিকে সংশোধন করে দিন!

    হেদায়াতের উপর তাদের অটল রাখুন! আর তাদের সাহায্য করুন!

    ইয়া ইলাহী! যে সমস্ত লোক আপনার দ্বীনকে মিটিয়ে পৃথিবীকে দ্বীনদ্রোহ ও ফাসাদে পরিপূর্ণ করতে চায় আপনি তাদেরকে আপনার মুজাহিদ বান্দাদের হাতে পরাজিত করে দিন!!!! (আমীন)

    হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা না জেনে ভুল করি তজ্জন্যে আমাদেরকে দোষারোপ করবেন না, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেরূপ ভার অর্পণ করেছিলেন আমাদের উপর তদ্রূপ ভার অর্পণ করবেন না; হে আমাদের প্রভু! যা আমাদের শক্তির অতীত ঐরূপ ভার বহনে আমাদেরকে বাধ্য করবেন না এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে দয়া করুন; আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।(২৬)
    "নিশ্চয়ই আমার সৈন্যরাই বিজয়ই হবে" (সূরা আস-সাফফাত ৩৭:১৭৩)


  • #2

    জিহাদই আমাদের পথ

    – মাওলানা আসিম ওমর হাফিজাহুল্লাহ (জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের আমীর)

    আলহামদুলিল্লাহি ওয়াহদাহ, আল্লাযী ফাদ্দালা আলাল আলামীনা কাসীরা, বি আন্নাহু ফারাদাল কিতালা আলা উম্মাতি হাবীবিহী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল্লাযী বুয়িছা রাহমাতাল্লিল আলামীনা বি আরবাতি সুয়ুফিন, বিরাফয়ী কালিমাতিল ইসলামী ওয়া তাশয়ীদিহা, ওয়া তাহয়ীনি কালিমাতিল কুফরি ওয়া তাওহীনিহা, ওয়ানাশদু আন্*(ল্*) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ফিল খালকি ওয়াল আমর, ওয়া নাশহাদু আন্না সায়্যিদানা ওয়া নাবিয়্যানা মুহাম্মাদিউ আবদুহু ওয়া রাসূলুহু, আলমাবউসু বিল হুদা ওয়া দ্বীনিল হাক, লি ইয়ুযহুরাহু আলা দ্দীনি কুল্লিহী ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিল্* ল্লাযিনা কানু রুহবানাম বিল্* লাইলি ওয়া ফুরসান বিন নাহার।

    অতঃপর,

    আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাজীম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,

    অতএব আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো, তোমার নিজের ছাড়া তোমার উপর অন্য কোনো ভার অর্পণ করা হয় নি এবং বিশ্বাসীদেরকে উদ্বুদ্ধ করো; অচিরেই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের সংগ্রাম প্রতিরোধ করবেন এবং আল্লাহ শক্তিতে সুদৃঢ় ও শাস্তি দানে কঠোর।(২৭)

    ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

    “আমি কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে তরবারি নিয়ে প্রেরিত হয়েছি, যাতে একমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা হয়, এবং আমার রিযিক প্রস্তুত করা হয়েছে আমার বর্শার ছায়াতলে।”(২৮)

    আমি এই ক্ষণে জামাতে কায়েদাতুল জিহাদের আমীর শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ এর হাতে জিহাদের বাইআত নবায়ন করছি। আর উনার মধ্যস্থতায় আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ এর কাছে দেয়া বাইয়াতেরও নবায়ন করছি যে, আমরা প্রত্যেক সৎ কাজে আপনাদের কথা শুনবো ও মানবো, মুসলমানদের রক্তের হেফাজত করবো এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিহাদের এই বরকতময় আমলকে অব্যাহত রাখবো যাকে আমাদের রব আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর ফরয করেছেন। যেমনটি আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

    فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ ۚ وَحَرِّ*ضِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ عَسَى اللَّـهُ أَن يَكُفَّ بَأْسَ الَّذِينَ كَفَرُ*وا ۚ وَاللَّـهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنكِيلًا

    অতএব আল্লাহর পথে যুদ্ধ করুন, আপনি নিজের ছাড়া আপনার উপর অন্য কোনো ভার অর্পণ করা হয় নি এবং বিশ্বাসীদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন; অচিরেই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের সংগ্রাম প্রতিরোধ করবেন এবং আল্লাহ শক্তিতে সুদৃঢ় ও শাস্তি দানে কঠোর।(২৯)

    এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَحَرِّضِ ٱلْمُؤْمِنِينَ আর আহলে ঈমানদেরকে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন, তাদেরকে জিহাদের দাওয়াত দিতে থাকুন। কিন্তু কেউ যাক বা না যাক, কেউ বের হোক বা না হোক, আপনি তো কেবল আপনার নিজের ব্যাপারে কর্তৃত্বশীল।

    প্রথম খলিফা সাইয়্যেদুনা আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে কিতালের ঘোষণা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, لو خالفتنى يمينى لجاهدت بشمالى (যদি আমার ডান হাত বিরোধিতা করে তাহলে আমি বাম হাত দিয়ে জিহাদ করবো) এদের বিরুদ্ধে কিতালে কেউ আমার সহযোগী হোক বা না হোক, আমি এদের সাথে কিতাল করেই ছাড়বো। সম্পূর্ণ একাই কিতাল করবো। এমনকি আমার শরীরের অর্ধেকও যদি কিতাল করতে অস্বীকার করে, আমার সাথে শরীক হতে অস্বীকার করে, আমি তারপরও এদের বিরুদ্ধে কিতাল করবো। যারা শরীয়তের একটি হুকুমও মানতে অস্বীকার করবে, আমি তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করবো। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন, لو خالفتنى يمينى لجاهدت بشمالى (যদি আমার ডান হাতও কিতাল করতে অস্বীকার করে, আমার সঙ্গ ত্যাগ করে, তারপরও আমি তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করবো)। তারপর, ইসলামের ইতিহাস সাক্ষী; এই উম্মাতের উলামাগণ জিহাদের জন্য দাওয়াত দিতে থাকেন, এরপর যে ক’জনই জিহাদের ডাকে লাব্বাইক বলেছিল তাদেরকে নিয়েই তারা আল্লাহর দুশমনদের মোকাবেলা করতে বেরিয়ে পড়েন।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একাকী কিংবা কোনো প্রকার সাজ-সরঞ্জাম ছাড়াই কি কুফরের মোকাবেলা করা সম্ভব? কাফেরদেরকে কিভাবে পরাজিত করা যাবে? এর জবাব স্বয়ং আল্লাহ এই আয়াতে দিয়েছেন, عَسَى ٱللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأْسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ۚ وَٱللَّهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنكِيلًا (অচিরেই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের সংগ্রাম প্রতিরোধ করবেন এবং আল্লাহ শক্তিতে সুদৃঢ় ও শাস্তি দানে কঠোর)। আল্লাহ কাফেরদের শক্তি শেষ করে দিবেন। তোমাদের সাজ-সরঞ্জাম-হীন অবস্থায় বের হবার ফলাফল এমন হবে যে, আল্লাহ তাদের অত্যাধুনিক টেকনোলজিকে নিষ্ক্রিয় করে দিবেন। এদের সেনা হয়তো অনেক থাকবে, এদের শক্তি হয়তো অনেক বেশী হবে, এদের ড্রোন হয়তো রাত-দিন তোমাদের মাথার উপর চক্কর লাগাবে, তাদের নৌবহর উপস্থিত থাকবে। কিন্তু তোমরা যদি আমার উপর ভরসা রেখে আমার হুকুমসমূহ পূরণ করে কিতাল করতে থাকো, তাহলে এসব কিছু থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ এদের লড়াই করার মনোবল ভেঙ্গে দিবেন, তাদের অন্তরে তোমাদের ভয় ঢুকিয়ে দিবেন।

    ব্যস, শর্ত শুধু একটাই, এদের বিরুদ্ধে কিতালকে কখনোও ছেড়ো না। إنفرو خفافا وثقالا সমস্ত অবস্থায়ই আল্লাহর রাস্তায় বের হও। এই কিতালের রাস্তায় বের হও। এই কিতাল করতে থাকো। আল্লাহ তাআলা রাশিয়ার মত সুপার-পাওয়ারের অহংকার মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন। দুনিয়ার খোদা বনে যাওয়া আমেরিকা এমন অপদস্থ হবে যে, আমেরিকার পূজারীরা আমেরিকার প্রভুত্ব নিয়ে সন্দেহ করা শুরু করবে। ব্যস, তোমরা কিতালের আমলকে শুধু জারি রেখো। সারা দুনিয়ার রাজনীতি উলট-পালট হয়ে যাবে। ক্ষমতার অধিকারী পাল্টে যাবে। শত্রুতা-মিত্রতার সংজ্ঞা বদলে যাবে। দুনিয়ার মানচিত্র পরিবর্তিত হয়ে যাবে। ঐক্যবদ্ধ কাফেরদের সমস্ত চাল কিতালের মাধ্যমে নস্যাৎ করে দেয়া হবে। ক্ষমতার লোভে বসে থাকা কাফেরদের সকল শক্তিগুলো একের পর এক ময়দান থেকে ভাগতে থাকবে।

    আরে জেনে রাখো! হে ঈমানদারগণ! জেনে রাখো!

    আল্লাহর এই ওয়াদা কেয়ামত পর্যন্ত। জ্বী হ্যাঁ। চৌদ্দশত সাল পরেও আল্লাহর এই ওয়াদা একই রকম তরতাজা আছে যে, যদি কিতাল করো, তো এর দ্বারা আল্লাহ কুফরকে পরাস্ত করে ছাড়বেন। যে চায় সে যেন নিজের চোখ মেলে দেখে নেয়, আল্লাহ এই কিতালের আমলের মধ্যে কি অমিত শক্তি রেখেছেন। আমাদের কাছ থেকে আফগানিস্তান ছিনিয়ে নেয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা আমেরিকা আজ খোলা চোখে কত আফগানিস্তানের জন্ম প্রত্যক্ষ করছে। কাল পর্যন্ত যে ফেরাউন সারা দুনিয়াকে নিজের ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে সন্ত্রস্ত করে রেখেছিল, আজকে আমাদের শত আহবান করার পরেও সোমালিয়া, ইয়েমেন আর শামে আসতে ভয় পাচ্ছে।



    হে আমার উম্মতের নওজোয়ানেরা!

    চোখ মেলে চেয়ে দেখো। ইসলামের উন্নতির যুগ শুরু হয়ে গেছে। দুনিয়ার চিত্র আর এর ক্ষমতা বদলে যাচ্ছে। মুজাহিদীনদের বিন্যাস আর সৈন্যের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। পাহাড়ে মুজাহিদীনগণ বিদ্যমান আছে, সমুদ্রেও তাদের হুংকার শোনা যায়, আকাশে বাতাসে তাদের তাওহীদের স্লোগান প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আরে! একটিবার দুনিয়ার মানচিত্রটা তো হাতে নিয়ে দেখো।

    আফগানিস্তানে আল্লাহ তাআলা ইতিহাসের এক মহান বিজয় দিচ্ছেন। এডেন উপসাগরে – যা কিনা সুয়েজ ক্যানেল দিয়ে পশ্চিমা বাহিনীর ঢোকার রাস্তা – সেটাকে ইয়েমেনী মুজাহিদগণ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সাথে কিতালের ময়দান বানিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে লোহিত সাগর সোমালিয়ার মুজাহিদগণের নিয়ন্ত্রণে আছে। আর ভূমধ্য সাগরে মিসর, লিবিয়া, আলজেরিয়া, তিউনেশিয়া পর্যন্ত দেখুন; সবখানেই মুজাহিদগণ বিজয়ীর বেশে আছেন। আর তিউনেশিয়ার উপকূল থেকে ইতালির উপকূল এত বেশী দূরেও না। মাত্র ১৫০ কিলোমিটার।

    আল্লাহ এই জন্যই এই উম্মাহর জন্য কিতালকে ফরয করেছেন যেন এর দ্বারা কুফরের ক্ষমতা ধূলিসাৎ করা হয়। আর খিলাফত কায়েম করা হয়। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করা যায়। সমস্ত দ্বীন আর সমস্ত শাসনব্যবস্থাকে আল্লাহওয়ালা বানিয়ে দেয়া যায়। আল্লাহ তায়ালা নিজের সত্য কিতাবে ঘোষণা করেছেন,

    وَقَٰتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِ

    ফিত্*না-ফাসাদ দূরীভূত হয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাও।(৩০)

    এদের সাথে কিতাল করুন। স্রেফ এক বছরের জন্য নয়, স্রেফ দুই বছর কিংবা কয়েক বছরের জন্য নয়। বরং حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِ যতক্ষণ পর্যন্ত না কুফর ও সমস্ত ইসলাম বিরোধীদের ক্ষমতা চূর্ণ হয় এবং শরীয়ত পরিপূর্ণরূপে বিজয়ী হয়। আল্লাহ তায়ালা এখানে বলেছেন, وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِ অর্থাৎ সমস্ত শাসনব্যবস্থা পুরাপুরি শরীয়তের অনুগত হয়ে যায়, আল্লাহ-ওয়ালা হয়ে যায়, কোরআন-ওয়ালা হয়ে যায়। কিছু ইসলামী আর কিছু কুফরী – এটা আমরা মেনে নেবো না। বরং আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِ আর সমস্ত শাসনব্যবস্থা পুরাপুরি শতভাগ আল্লাহ-ওয়ালা হয়ে যায়, কোরআন-ওয়ালা হয়ে যায়।

    এজন্য খুব ভাল করে বুঝে রাখুন, আমরা একেকজন মুজাহিদ ততক্ষণ পর্যন্ত আরাম করে বসবো না, যতক্ষণ না এই দুনিয়া থেকে কুফরের বিজয়ী অবস্থা ও তাদের সমস্ত শক্তি গুড়িয়ে দেয়া হবে। যতক্ষণ না আল্লাহর কোরআন বিজয়ী হবে। আল্লাহ তাআলা স্বীয় হাবীব মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এই কোরআন দিয়ে এজন্য পাঠিয়েছেন যেন সকল শাসনব্যবস্থাকে মিটিয়ে এই কোরআনের শাসনব্যবস্থাকে কায়েম করা হয়।

    هُوَ الَّذِي أَرْ*سَلَ رَ*سُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَ*هُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِ*هَ الْمُشْرِ*كُونَ

    তিনিই তাঁর রাসূলকে প্রেরণ করেছেন হেদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে যেন তা সকল দ্বীনের ওপরে বিজয়ী হয়, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।(৩১)

    এই কিতাব দিয়ে, এই হেদায়াত দিয়ে আমাদের মনিব মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে পাঠানো হয়েছে যাতে করে কোরআনের শাসন বিজয়ী হবে। কোরআন সবকিছুর উপরে থাকবে। এর শাসনব্যবস্থা কায়েম থাকবে। এজন্য পাঠানো হয় নি যে এর পরিবর্তে ইংরেজদের শাসনব্যবস্থা উপরে থাকবে কিংবা হিন্দুদের শাসন উপরে থাকবে কিংবা পার্লামেন্টের শাসন উপরে থাকবে। না! না! لِيُظْهِرَ*هُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ আমার রবের শাসনব্যবস্থা কায়েম থাকবে। আমার রবের শাসনব্যবস্থা বিজয়ী থাকবে। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনীত শাসনব্যবস্থা এই দুনিয়াতে বিজয়ী থাকবে। সবার উপরে থাকবে, لِيُظْهِرَ*هُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِ*هَ الْمُشْرِ*كُونَ । আল্লাহ তায়ালা স্বীয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এই শাসনব্যবস্থা এর জন্যেই সঙ্গে দিয়ে পাঠিয়েছেন।



    সুতরাং হে আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা!

    এই কিতালকে অবশ্যই জারি রাখতে হবে। যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশা করো, তবে এই কিতালকে অবশ্যই জারি রাখতে হবে। যদি কুফরের শক্তি ধ্বংস করতে চাও, জিহাদের সংগীত বুনতে থাকো। যদি এই দ্বীনকে বাস্তবায়ন করতে চাও, আল্লাহর নবীর সম্মানকে অক্ষুণ্ণ রাখতে চাও, নবীর সাহাবাদের ইজ্জত সুরক্ষিত দেখতে চাও, কিতালকে মুহূর্তের জন্য হলেও থামতে দিও না। তোমাদের কদম যেন ঢিলে না হয়ে যায়। হয় আমাদের মস্তক গর্দান থেকে আলাদা করে দেয়া হবে, আমাদের শরীরের চামড়া খুলে ফেলে দেয়া হবে – যেমনটা আমাদের পূর্বসূরি এবং বন্ধুদের সাথে হয়েছে, নয়তো আল্লাহ আমাদের বিজয়ী করে দিবেন। কিন্তু এর পূর্বে এক মুহূর্তের জন্যও যেন কিতাল বন্ধ না হয়।



    কাবার রবের কসম!

    বিজয় তো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনীত দ্বীনেরই হবে। বাকি তো আমার প্রভুর দ্বীনই থাকবে। এর শাসনই বিজয়ী হবে।



    হে মুজাহিদগণ!

    তোমাদের মুখে হতাশার কোনো বাক্য এনো না। এটা তোমাদের পূর্বসূরিদের ঐতিহ্য নয়। কোরআন খুলে দেখো। আল্লাহ তায়ালার এরশাদ আছে,

    وَكَأَيِّن مِّن نَّبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِ*بِّيُّونَ كَثِيرٌ* فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا ۗ وَاللَّـهُ يُحِبُّ الصَّابِرِ*ينَ

    এবং নবীদের মধ্যে অনেকেই আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করেছেন এবং তাদের সাথে মিলে বড় সংখ্যায় যুদ্ধ করেছেন দ্বীনের শিক্ষায় শিক্ষিত জ্ঞানী ব্যক্তিগণ। কিন্তু আল্লাহর রাস্তায় তাদের উপর যা আপতিত হয়েছিল তাতে তারা মনোবল হারান নি, না তারা দুর্বল হয়েছিলেন আর না তারা অধঃপতিত হয়েছিলেন। এবং আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন।(৩২)

    কত নবী ছিলেন যাদের সাথে মিলে আল্লাহ-ওয়ালারা কিতাল করেছেন। আর কিতালের রাস্তায় যত বিপদাপদ এসেছে, বাধা এসেছে, আহত হয়েছেন, ক্ষতে ঝাঁজরা হয়ে গেছেন, শরীর টুকরা টুকরা হয়ে গেছে, পা অবশ হয়ে গিয়েছে। فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ তারা মনোবল হারান নি وَمَا ضَعُفُوا۟ وَمَا ٱسْتَكَانُوا۟ আর না দুশমনের সাথে লড়তে লড়তে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এক বছর নয়, দুই বছর নয়, দশ বছর নয়, চল্লিশ বছর জিহাদ করতে থাকেন, তবুও দুশমনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন নি।فَمَا وَهَنُوا۟ لِمَآ أَصَابَهُمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا۟ وَمَا ٱسْتَكَانُوا۟ ۗ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلصَّٰبِرِينَ আল্লাহ এমন পাগলদেরকেই পছন্দ করেন, এমন অটল-অবিচলদের ভালোবাসেন, এমন দৃঢ়পদীদেরকেই ভালোবাসেন। চাই সারা দুনিয়া এসে যাক, চল্লিশ দেশের সৈন্য এসে যাক, পয়তাল্লিশ দেশ এসে যাক, সমস্ত কাফের সৈন্যবাহিনী এসে যাক, চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলুক, তারা যা কিছুই করুক না কেন وَمَا ضَعُفُوا۟ وَمَا ٱسْتَكَانُوا۟ ۗ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلصَّٰبِرِينَ তারা না থেমে যায়, না ক্লান্তি তাদের গতিকে রুখে দেয়। তাদের বাহুতে বিদ্যুৎ চমকাতেই থাকে, তাদের দুশমনের উপর তারা অগ্নিবর্ষণ করতেই থাকে। وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلصَّٰبِرِينَআল্লাহ আসমান-জমিনে তাদের সাথে নিজের ভালোবাসার ঘোষণা জানিয়ে দেন।

    সারা পৃথিবীতে উপস্থিত আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা!

    বিশেষকরে উপমহাদেশে বসবাসরত শরীয়ত প্রতিষ্ঠায় জিহাদরত আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা, আপনাদেরকে নিজেদের পূর্বসূরীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে হবে। এই চৌদ্দশত বছরের সোনালী ইতিহাস আছে। আছে ত্যাগের ধারাবাহিকতা, বন্দীদের ধারাবাহিকতা, জিন্দানখানা তোমাদের দ্বারা ভরা হয়েছে, জেলখানা তোমাদের দ্বারাই আবাদ হয়েছে, কুয়ার ভেতর তোমাদেরকেই ফেলে মৃত্যু দেয়া হয়েছে, তোমাদের পায়েই শিকল বাধা হয়েছে, তোমাদের উপরেই তো চাবুক মারা হয়েছে, এটা তোমাদের পূর্বসূরীর লম্বা উপাখ্যান।

    নিকট অতীতেই দেখুন, সায়্যিদ আহমদ শহীদ হয়েছেন, শাহ ইসমাঈল শহীদ হয়েছেন।

    আরেকটু সামনে বাড়ুন, শহীদ হয়েছেন শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম, উসামা বিন লাদেন শহীদ, যিনি পৃথিবীতে জিহাদের দাওয়াত দিয়েছেন, যিনি পৃথিবীর ফেরআউনকে উত্তেজিত করেছেন, প্রভু বনে যাওয়া ফেরআউনকে উত্তেজিত করেছেন, এরা হচ্ছেন মোল্লা বুরজান, মোল্লা দাদুল্লাহ, আবু মুসআব জারকাভী, এরা হচ্ছেন মুফতি নিজামুদ্দীন শামজাঈ, যার কলম কুফরের প্রাসাদের কম্পন সৃষ্টি করেছে, এরা হচ্ছেন আব্দুর রশীদ গাযী যারা এমন উপাখ্যান চিত্রায়িত করেছেন, এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, তিনি শাহাদত পেয়েছেন যে কুফরও কেঁপে উঠলো। এরা শাইখ আনওয়ার আল-আওলাকি, যার বক্তৃতা যুবকদের অন্তরকে উষ্ণ করে দিয়েছে, যুবকদের শহর ত্যাগে বাধ্য করেছে, আল্লাহর দ্বীনের জন্যে কুরবানি হওয়া মুজাহিদ এবং উলামাদের খুন-রক্ত তোমাদেরকে এই বলে ডাকছে,

    হে আল্লাহর রাস্তায় নিজের যৌবনকে উত্তোলনকারী! হে উম্মতের বিষন্নতাকে নিজের অন্তরে স্থান দানকারী! ইসলামের প্রদীপকে নিজের রক্ত দিয়ে প্রজ্জ্বলনকারী! সময়ের দীর্ঘতা তোমাদের কদমকে যেন অলস না করে দেয়, শরীয়ত প্রতিষ্ঠার মনযিলকে দূরে ভেবো না যে, তোমাদের উপর নৈরাশ্য ছেয়ে যায়, আল্লাহ বলেন, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন।

    অতএব হে মুজাহিদেরা! শরীয়ত এবং শাহাদতের যে স্লোগান আপনারা শুরু করেছেন, এখন তা বাস্তবায়নের সময় এসে গেছে।

    বিশ্বাস করুন, আল্লাহ তাঁর দ্বীনের সিদ্ধান্ত করে দিয়েছেন, এখন কালেমায়ে তাওহীদকে সীমান্তে বন্দী করা যাবে না, এর বিরুদ্ধে যে শক্তি, যে সীমা, যে বাধা আসবে তা তাওহীদের সন্তানদের পদতলে পিষ্ট হবে, কুফরের দেয়াল ধসে পড়ছে, জাহেলী সভ্যতার রঙে রঙিন মূর্তির কম্পন শুরু হয়েছে, কুফরের এই আন্তর্জাতিক মূর্তির পতনকে নিজের চোখ দিয়ে দেখুন, তাওহীদপ্রেমীদের যে রক্ত এই কাননকে সঞ্জীবিত করার জন্য পতিত হয়েছে, প্রত্যেক মসলক-মশরব, প্রত্যেক ভাষা এবং প্রতিটি স্থানের ঈমানদারের রক্ত পতিত হয়েছে, আরবের রক্ত পতিত হয়েছে, রাসূলের আওলাদের রক্ত পতিত হয়েছে, সাহাবা সন্তানদের রক্ত পতিত হয়েছে।

    আফগান জাতি নিজের রক্তের নদী ভাসিয়ে দিয়েছে, উপমহাদেশের মুসলমানদের রক্ত তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, এবং এই কালেমাকে সমুন্নত করার জন্যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রূহানী কন্যারা বীরত্বের ঐ উপাখ্যান রচনা করেছেন, যা হযরত খাওলা-খানসা এবং সুমাইয়্যাহ-বরীরা রাদিয়াল্লাহু আনহুন্নার স্মৃতিকে স্মরণ করে দিলো। এই বোনেরা কালেমার ঝান্ডা সমুন্নত করার লক্ষ্যে হিজরত করলেন, দুনিয়ার বসবাসরত বোনেরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বীনের জন্যে আয়েশ-বিশ্রাম ছেড়ে খোরাসান ভূখন্ডে নিজেদের আবাসস্থল বানিয়েছেন, শরীয়ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হওয়ায় জামিয়া হাফসার ছাত্রীদের শরীরকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, মাদেরকে বিভিন্ন জেলে গুম করা হয়েছে।

    এগুলো কি বৃথা যাবে? না, কক্ষনো নয়, কসম সেই আল্লাহর যার রাজত্বে কারো অংশীদারিত্ব নেই। এই রক্ত অবশ্যই বর্ণের রূপ ধারণ করবে, শুধু পাকিস্তানে নয় বরং এই জিহাদের পতঙ্গরা ভারতের খুনিদেরকে পদদলিত করতে করতে দিল্লী পর্যন্ত যাবে, জেনে নাও আমাদের কাছে এমন সব সাহসীরাও আছেন যারা দিল্লী অতিক্রম করে ঢাকা ও বার্মায় ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় রাখেন।

    আমাদের এই মুজাহিদ সাথীদের মধ্য থেকে যারা এই মুহূর্তে বিদ্যমান আছেন, যারা দীর্ঘ বয়স পাবেন ইনশাআল্লাহ তাঁরা এই মহান কাজে শরীক হবেন, যাতে এই উপমহাদেশকে ইসলামী উপমহাদেশে পরিবর্তন করেন।

    এসো এবং নিজের চোখ দিয়ে দেখে নাও, আমরা থাকি বা না থাকি, তবুও এই পরম্পরার হাতে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই বিজয় প্রদান করবেন। এটা হচ্ছে চল্লিশ বছরের কুরবানীর ধারাবাহিকতা, এটা ত্যাগের এক লম্বা শিকল, যা খোরাসানের ভূমি থেকে ছড়িয়ে মরক্কো পর্যন্ত পৌঁছেছে, এটা কোনো সাধারণ রক্ত নয়, এটা হচ্ছে এই উম্মতের আত্ম-মর্যাদাশীল যুবকদের রক্ত, যাদের শিরা-উপশিরায় দ্বীনি আত্মমর্যাদার রক্ত বিদ্যুত বনে উৎসরিত হচ্ছিল।

    সুতরাং শুনে রাখুন, এই রক্ত বৃথা যাবে না, এটা আল্লাহওয়ালাদের রক্ত, এটা আল্লাহর বন্ধুদের রক্ত, এগুলো বিপ্লব নিয়ে আসবে, ইসলামের বসন্ত নিয়ে আসবে, সুতরাং এই উপমহাদেশে বসবাসরত আমার মুসলমান ভাইয়েরা, নক্ষত্রের পূর্ব পর্যন্ত যেথায় হোক না কোনো শরীয়ত অথবা শাহাদত পর্যন্ত এই যুদ্ধ অব্যাহত রাখা উচিৎ, একথা আভিজাত্য এবং পৌরুষত্বের উল্টো যে, মুসলমান বোনেরা জিহাদ ও হিজরতের ময়দানে অটল-অবিচল আছেন আর আপনি যুবক হয়ে নিরাশায় আক্রান্ত হচ্ছেন, ছোট-ছোট বাচ্চারা ইসলামের বিজয় এবং কুফরের পরাজয়ের স্লোগান দিচ্ছে আর আপনি যুবক হয়েও বলছেন যে, আমাদের কী হবে?

    মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রভুর কসম! এই কুফরী বিশ্বব্যবস্থা চূর্ণ-বিচূর্ণ হতেই হবে, আমেরিকাকে ময়দান থেকে পলায়ন করতেই হবে, ভাড়াটে মুরতাদ সেনাদেরকে ময়দান ছাড়তে হবে।

    অতিরিক্ত বচন, প্রপাগান্ডা, মিথ্যা প্রচারণা সবই অনর্থক গেলো, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের খরচ বৃথা গেলো। বরং ভাড়াটে সেনারা কাপুরুষতার পরিচয় দিয়ে পলায়ন করছে। আমার আল্লাহ সত্য বলেছেন,

    যারা কাফের তারা নিজেদের মাল খরচ করবে তোমাদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরানোর জন্যে, তারা এগুলোকে খরচ করবে, তারপর এটা তাদের জন্যে আক্ষেপের কারণ বনবে, অতঃপর তারা পরাজিত হবে। এবং যারা কাফের তাদেরকে জাহান্নামে একত্রিত করা হবে।(৩৩)

    নিঃসন্দেহে কাফেররা নিজেদের মাল খরচ করে যাতে তারা আল্লাহর রাস্তা থেকে বাধা দেয়, তারা এভাবে খরচ করতে থাকবে, অতঃপর খরচ করার পর যখন হিসেব করবে তখন আক্ষেপ করে বলতে থাকবে কিছুই অর্জিত হয় নি।

    এই ইসলামের পতঙ্গদেরকে আমরা শেষ হতে দিবো না, আমরা উসামা বিন লাদেনের চিন্তাকে নিঃশেষ করতে পারবো না, তারপর এটা আক্ষেপের কারণ বনবে, আমার প্রভু বলেছেন, অতঃপর তারা পরাজিত হবে।

    এই দ্বীনের প্রদীপকে মেটানোর জন্যে যত চাও বিশ্বব্যাপী জোট বানিয়ে নাও, আমাদের রব ঘোষণা দিয়েছেন,

    যাতে আল্লাহ মন্দকে ভালো থেকে পৃথক করেন(৩৪)

    তাদের জোট, তাদের মেধা তাদের বিজয়ের পলিসি নয়, বরং আল্লাহ তাদের বুদ্ধি লোপ করে দিয়েছেন, তাদের জোট হওয়ার সুযোগ আল্লাহ এজন্য করে দিয়েছেন যাতে পবিত্র লোককে অপবিত্র লোক থেকে পৃথক করে দেন। যাতে বিশ্ববাসী জানতে পারে কে কাদের জোটে, কে ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদ করে আর কে ভারতের সাথে চুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে যায়। কে হিন্দুদেরকে প্রকৃত শত্রু ভাবে এবং কে মুসলমানদের হত্যাকারীদের সাথে হাত মেলায়। আল্লাহ জগতবাসীকে অবশ্যই দেখাবেন।

    আমাদের জানা আছে, আমাদের বিরুদ্ধে জিহবা প্রসারিত করা হবে, আমাদের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া হবে, তখন আমরা ঐ কথাই বলবো যা আমাদের প্রিয় সাহাবারা বলেছেন, আমাদের জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট! আমাদের জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট! তিনিই উত্তম অভিভাবক।

    জিহবা যতই প্রসারিত করা হোক, আমাদের বিরুদ্ধে যতই প্রপাগান্ডা চলুক, যতই অপবাদ আমাদের উপর লাগানো হবে, আল্লাহ বাস্তবতা অবশ্যই দুনিয়াবাসীকে দেখাবেন।

    আল্লাহ এই সমস্ত নাপাকদেরকেই একসাথে জড়ো করে একসাথে জাহান্নামের ইন্ধন বানান।

    আল্লাহ তাআলা বলেন,

    (হে নবী) আপনি কাফেরদেরকে বলে দিন, যদি তারা ইসলাম কবুল করে নেয় এবং কুফর থেকে বিরত হয়ে যায় তাহলে তাদের অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, আর যদি বিরত না হয় তাহলে তাদের প্রথমদের অবস্থা অতিবাহিত হয়েছে।(৩৫)

    তাই আমরা আমাদের রবের এই আয়াত বিশ্বের সমগ্র কুফরী শক্তি এবং মুরতাদদেরকে শুনাই, ভারতের সকল মুশরিকদেরকে শুনাই যে, তোমরা ইসলামের শত্রুতা এবং মুসলমানদের উপর নির্যাতন থেকে বিরত হয়ে যাও, এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, আর যদি তোমরা বিরত না হও তাহলে আমরা আল্লাহর সাহায্যে আল্লাহর গোলা বনে তোমাদের উপর বর্ষিত হবো, যদি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের শত্রুতা থেকে বিরত না হও, আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর এমন যুবক পুরুষদেরকে পাঠাবেন, যারা শরীয়ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজেদের মাথা দিয়ে দিবে, নিজেদের জানকে বিক্রি করে দিবে, মৃত্যুকে আনন্দের সাথে গলায় মিলাবে, ইসলামের বিজয়ের লক্ষ্যে শরীয়ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ এমন যুবকদের সৃষ্টি করবেন, যারা আল্লাহর প্রেমে উত্তেজিত হতে থাকবে, নিজের প্রভুর সাক্ষাতের জন্যে তারা এমন ব্যাকুল হবে যেমনিভাবে তোমরা হে কাফেরেরা, মদ পানের জন্যে ব্যাকুল হও, তাঁরা এমন ইতিহাস রচনা করবে, যাতে ইতিহাসও আনন্দে উদ্বেলিত হবে, ভালোবাসা সন্ধানীরা ভালোবাসার পথ শিখবে, বিশ্বস্তরা বিশ্বস্ততার নিয়ম শিখবে।

    তারা অগ্নিধারী হবেন, যারা আল্লাহর ভালোবাসা, নিজের দ্বীনের ভালোবাসা, নিজের পেয়ারা হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসায় শরীরে বারুদ স্থাপন করে মুখে তাওহীদের স্লোগান লাগিয়ে তোমাদের বিন্যাসকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিবে, বারুদ নিয়ে আল্লাহর শত্রুদের মধ্যে এমনভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে যে জান্নাতের হুরেরাও তাদের উপর ঈর্ষা করবে। তাদের থেকে মৃত্যু পলায়ন করবে যেমনিভাবে তোমরা মৃত্যু থেকে পলায়ন করো, তাদের লড়াইয়ের কৌশলে তোমাদের সমস্ত প্রশিক্ষণ, সমস্ত প্রযুক্তি, স্ট্রেটেজি অহেতুক প্রমাণিত হবে। এটা আমাদের প্রভুর নিয়ম, এটা আল্লাহর নিয়ম, আমরা আমাদের প্রভুর নিয়মকে বারবার নিয়ে আসবো এমনকি কুফরী শৃঙ্খলাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আইন বাস্তবায়ন করবো।

    তোমরা পৃথিবীতে নিরাপত্তার স্লোগান লাগিয়ে পৃথিবীকে ধোঁকা দিচ্ছো, তোমাদের কুফরী আইনের মাধ্যমে কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে যে জায়গায় এরাই ফাসাদের উৎসস্থল এবং শয়তানের খেলনা।

    আমরা সমস্ত মানবতাবাদীকে আহবান জানাই যে, সমস্ত মানবতার ইতিহাস অধ্যয়ন করুন, দেখবেন পৃথিবীতে যে শান্তিই এসেছে আল্লাহর কিতাবের মাধ্যমেই এসেছে, আল্লাহর কিতাব বাস্তবায়ন হওয়ার মাধ্যমে এসেছে, চৌদ্দশত বছরের সমগ্র ইসলামী ইতিহাসের বিশ্লেষণ করুন, দেখবেন, কারা এই পৃথিবীকে শান্তি দিয়েছেন, এবং কারা এই পৃথিবীকে ফাসাদ উপহার দিয়েছে।

    যতদিন পর্যন্ত এই পৃথিবীর নেতৃত্ব আমাদের হাতে ছিল, আমরা পৃথিবীকে শান্তি দিয়েছি, এমনকি খিলাফতের ছায়ায় বসবাসকারী জিম্মী কাফেররাও শান্তিতে বসবাস করতে পারতো।

    হে আল্লাহর শত্রু ইয়াহুদীরা! আমাদের কাছে তো ঐ আইন আছে, যে তোমরা ইউরোপ থেকে মার খেয়ে বহিষ্কৃত হচ্ছিলে, তখন একমাত্র ইসলামী খিলাফতই ছিল যা তোমাদেরকে শুধু আশ্রয়ই দেয় নি বরং শান্তি-নিরাপত্তাও তোমাদেরকে দান করেছিল, কিন্তু তোমরাই আমাদের সাথে গাদ্দারি এবং বিশ্বাসঘাতকতা করেছো।

    হে ভারতের মুশরিকরা! এটা আমাদের ইসলামী শাসনই ছিল যা তোমাদেরকে মানবতা শিক্ষা দিয়েছে, বাঁচার যোগ্যতা দান করেছে, অন্যথায় তোমরাতো তারা যারা নিজেদের নারীদেরকে জীবিতাবস্থায় চিতায় জ্বালিয়ে দিতে, এবং তাদেরকে উত্তরাধিকারের অংশও দিতে না, সাপ-বিচ্ছু এবং প্রাণীদের গোবরকে তোমরা প্রভু বানিয়ে ফেলতে, জীবিকার্জন এবং বেঁচে থাকার পদ্ধতি তো আমরাই তোমাদেরকে শিখিয়েছি, সভ্যতাতো আমরাই তোমাদেরকে শিখিয়েছি, এই দুনিয়াকে সভ্যতা আমরাই শিখিয়েছি, মুসলমানরাই শিখিয়েছে।

    সুতরাং ভারত ও পাকিস্তানের মুসলমানরা জেনে নাও, এবং কাফেররাও শুনে নাও, যদি এই দুনিয়ায় শান্তি মিলে, নিরাপত্তা মিলে তাহলে এটা একমাত্র দ্বীন, একমাত্র শাসন, এই পৃথিবীর বাদশাহের আইন, এই পার্থিব জাহানকে পরিচালনকারীর আইন, রাহমাতুল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনীত আইন।

    এটা ছাড়া না পূর্বে শান্তি হয়েছে না বর্তমানে তোমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে, বরং খিলাফত শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা এবং পতনের মাত্র বিশ বছরের ভেতরে তোমরা দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধ এই পৃথিবীকে উপহার দিয়েছো।

    পৃথিবীকে বিশৃঙ্খলা দ্বারা তোমরাই পরিপূর্ণ করেছো, মানবতাকে অত্যাচারের যাতাকলে তোমরাই পিষো, নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্যে, নিজেদের শয়তানি কারসারি বাস্তবায়নের জন্যে তোমরাই পৃথিবীকে ভুক্তভোগী বানাও, এবং লোকদেরকে ভাড়াটেভাবে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে পাঠাও।

    সুতরাং আমরা তোমাদেরকে সতর্ক করছি, তোমরা নিজেদের নাপাক লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে পৃথিবীকে জুলুমের যাতাকলে পিষো না, তোমরা বিরত হয়ে যাও, হে আল্লাহর শত্রুরা তোমরা বিরত হয়ে যাও, অন্যথায় কান পেতে শুনে নাও,



    তোমাদের ঘাঁটির দিকে ধেয়ে চলেছে মৃত্যুর কিছু ঘূর্ণিঝড়, কিছু আগ্নেয়গিরি

    সাহসের আওয়াজ, স্পর্ধার প্রতীক, আবাবীলের ন্যায় কিছু শহীদী যুবক

    নাও, নিজেদের ধ্বংসের উপর তামাশা করো!

    বাকি জীবন নিজের জখম ধুতে থাকো, নিজের উপর কাঁদতে থাকো

    অপমানের বিষ পান করতে থাকো, প্রতিদিনই বাঁচতে থাকো মরতে থাকো

    আমাদের জন্য কাঁদে আমাদেরই মায়েরা সদা, আমরা যদি তোমাদের ___ রক্তের অশ্রু না কাঁদাই!

    আহলে ঈমানের বসতিসমূহ ধ্বংস করে জান্নাতের মতো কোনো বসতির স্বপ্ন দেখছো???

    এটা তো সম্ভব নয় যে, তোমরা আয়েশে থাকবে…

    শুনে নাও…!



    এটা তো সম্ভব নয় যে, তোমরা আয়েশে থাকবে আর আমার জাতি যন্ত্রণায় থাকবে!

    এখন অপেক্ষায় থাকো!

    এখন অপেক্ষায় থাকো!

    আল্লাহ বলেন,

    আপনি বলুন, “তোমরা তো আমাদের জন্য দু’টি কল্যাণের একটি কল্যাণের প্রতিক্ষায় আছো (শাহাদাত অথবা বিজয়)। আর আমরা তোমাদের জন্য এই প্রতীক্ষা করছি যে, আল্লাহ তোমাদের উপর কোনো শাস্তি প্রদান করবেন নিজের পক্ষ থেকে অথবা আমাদের হাত দ্বারা, অতএব তোমরা অপেক্ষা করতে থাকো, আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষমান রইলাম।”(৩৬)

    ওয়া আখিরু দাওয়ানা আনিল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।



    – – – – – – – – – – – – – – – – –

    (১) সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০৩

    (২) সূরা আনফাল, আয়াত: ৬২-৬৩

    (৩) সূরা ফাত্*হ, আয়াত: ২৯

    (৪) সূরা মায়িদা, আয়াত: ৫৪

    (৫) সূরা আনফাল, আয়াত: ৪৫-৪৬

    (৬) সূরা নিসা, আয়াত: ৬৫

    (৭) সূরা মায়িদা, আয়াত: ৪৯-৫০

    (৮) সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৯

    (৯) সূরা আনফাল, আয়াত: ৬০

    (১০) সূরা সফ, আয়াত: ১০-১৩

    (১১) সূরা আহযাব, আয়াত: ৪৫-৪৬

    (১২) সূরা কলম, আয়াত: ৪

    (১৩) সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯

    (১৪) সূরা সফ, আয়াত: ৩

    (১৫) সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৫

    (১৬) সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৫

    (১৭) সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৬০

    (১৮) সূরা আনফাল, আয়াত: ১০

    (১৯) সূরা তাওবাহ, আয়াত: ২৫

    (২০) সূরা আনফাল, আয়াত: ৪৫-৪৭

    (২১) বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমদ ও ইমাম নাসাঈ (রহিমাহুমাল্লাহ)

    (২২) সূড়া আলে ইমরান, আয়াত: ১০৩

    (২৩) সূরা আনফাল, আয়াত: ৬২-৬৩

    (২৪) সূরা সফ, আয়াত: ৪

    (২৫) সূরা আনফাল, আয়াত: ২৪

    (২৬) সূরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬

    (২৭) সূরা নিসা, আয়াত: ৮৪

    (২৮) ইমাম আহমদ ও ইমাম তাবারানী (রহিমাহুমাল্লাহ) থেকে বর্ণিত

    (২৯) সূরা নিসা, আয়াত: ৮৪

    (৩০) সূরা বাকারা, আয়াত: ১৯৩

    (৩১) সূরা সফ, আয়াত: ৯

    (৩২) সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৪৬

    (৩৩) সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৬

    (৩৪) সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৭

    (৩৫) সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৮

    (৩৬) সূরা তাওবাহ, আয়াত: ৫২
    (collected)
    "নিশ্চয়ই আমার সৈন্যরাই বিজয়ই হবে" (সূরা আস-সাফফাত ৩৭:১৭৩)

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ নতুন ভাবে পোষ্ট দেওয়ার জন্যে।

      Comment

      Working...
      X