জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে একটি বিশেষ পরিবেশনাঃ আর তোমরা একযোগে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো
মুজাহিদীনদের জামাতগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে একটি বিশেষ পরিবেশনা
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّـهِ جَمِيعًا
আর তোমরা একযোগে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো
উৎস: আস-সাহাব মিডিয়া
পরিবেশনায়: বালাকোট মিডিয়া
– – – – – – – – – – – – – – – – –
“আজ আমরা আল্লাহর রহমতে ইসলামী বিশ্বের মানচিত্র এমনভাবে পরিবর্তন করতে যাচ্ছি যেন সকল ইসলামী দেশগুলো আল্লাহর হুকুমে খিলাফতের পতাকাতলে একটি দেশে পরিণত হয়। আমরা আজ আল্লাহর রহমতে ঈমানদার মুসলমানদের ইতিহাসের এক পবিত্র ও আলোকিত অধ্যায় রচনা করতে যাচ্ছি। এ এমন এক সময় যখন জুলুম, কুফর ও ফাসাদ পূর্ব থেকে পশ্চিমের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ভাগ্যবান কেবল ঐ ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তাআলা তাঁর তাওহীদের উপর অবিচল রেখেছেন।”
– মুজাহিদ শহীদ শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ)
– – – – – – – – – – – – – – – – –
এই প্রামাণ্যচিত্রে তিনটি বক্তব্য রয়েছে:
১। জামাত কায়েদাতুল জিহাদ (আল-কায়েদা) এর নতুন শাখা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা
– শাইখ আইমান আল জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ
২। আনুগত্যের বায়াতের নবায়ন এবং এই সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য
– উস্তায ওসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ (জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের মুখপাত্র)
৩। জিহাদই আমাদের পথ
– মাওলানা আসিম ওমর হাফিজাহুল্লাহ (জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের আমীর)
– – – – – – – – – – – – – – – – –
জামাত কায়েদাতুল জিহাদ (আল-কায়েদা) এর নতুন শাখা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা
– শাইখ আইমান আল জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ
বিসমিল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া মান ওয়া লাহ।
হে বিশ্বের সকল এলাকার মুসলমানেরা!
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
অতঃপর, সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদেরকে সাধারণভাবে, এবং উপমহাদেশে বসবাসরত মুসলমানদেরকে বিশেষভাবে আল্লাহর তাআলার অনুগ্রহ ও সাহায্যে আল কায়েদার নতুন শাখা আল কায়েদা ভারত উপমহাদেশের প্রতিষ্ঠার মুবারকবাদ জানাই।
এই পদক্ষেপটি হচ্ছে ভারত উপমহাদেশে ইসলামী ঝান্ডার উড্ডয়ন, ইসলামী হুকুমতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং উপমহাদেশের ভূমিতে ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়নের একটি প্রচেষ্টা। যে ভূমি এক সময় ইসলামের ভূমির একটি অংশ ছিল, পরে কাফেররা এটাকে দখল করে ছোট ছোট কয়েক খন্ডে বিভক্ত করে ফেললো।
এই দল একদিনেই অস্তিত্বে আসে নি, বরং এটি উপমহাদেশের বিভিন্ন জিহাদী দলকে এক পতাকাতলে নিয়ে আসার ওই প্রচেষ্টার ফল যার ধারাবাহিকতা কম-বেশী দু’বছর অব্যাহত ছিল। এই দল কেন্দ্রীয় দল কায়েদাতুল জিহাদের অধীনে কাজ করবে, আর কায়েদাতুল জিহাদ ইমারতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের সৈন্যদের একটি সৈন্যদল, যার আমীর হচ্ছেন বিজয়ী ইনশাআল্লাহ আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মদ উমর মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ।
এই দল হচ্ছে ইমাম মুজাদ্দিদ শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর ওই দাওয়াতের ঝান্ডাবাহী যার লক্ষ্য মুসলিম উম্মতকে কালেমায়ে তাওহীদের ভিত্তিতে এক করে মুসলমানদেরকে এক করে জিহাদ করা, উম্মতের দখলকৃত ভূমিসমূহকে স্বাধীন করা, এই উম্মতের কর্তৃত্ব ও উম্মতের নেতৃত্বকে দ্বিতীয়বার অর্জন করা যা খিলাফতে ইসলামী পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলছে।
আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি, তিনি যেন ওইসব অপরিচিত মুজাহিদদেরকে অশেষ সওয়াব দ্বারা পূর্ণ করেন, যারা ধৈর্য ও দৃঢ়তার সাথে এই মহান উদ্দেশ্যের লক্ষ্যে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর ইচ্ছায় এই মুবারক দল অস্তিত্বে এসেছে। আল্লাহ তাআলা জিহাদী দলসমূহের আমীরদেরকেও অসংখ্য সওয়াব দ্বারা পূর্ণ করুন, তারা অতি বিনয় এবং বিনম্রতা প্রদর্শন করে ব্যক্তিগত স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ইসলাম এবং আহলে ইসলামকে প্রাধান্য দেয়ার অনুপম উদাহরণ স্থাপন করেছেন। যার ফলস্বরূপ এই দল ভারত উপমহাদেশে ইসলামের শত্রুশক্তির বিরুদ্ধে ফরয জিহাদকে পুনর্জীবিত করেছে।
আল কায়েদার এই শাখার প্রতিষ্ঠা সব মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ, পুরো পৃথিবীতে এই সময়ে ইমারতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের ঝান্ডাতলে দাওয়াত ও জিহাদ ধারাবাহিকভাবে বিস্তৃতভাবে অতিক্রম করছে, এটা ওই ইমারতে ইসলামীয়াহ যা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কঠিন হামলার মুখে ধৈর্য-দৃঢ়তার ওই সুউচ্চ উপমা স্থাপন করেছে যা যুগ যুগ ধরে জ্যোতির মিনার বনে আগামী প্রজন্মের পথ প্রদর্শন করতে থাকবে।
এই ইমারত তার ঈমান ও বিশ্বাস এবং ধৈর্য ও আত্মবিসর্জনের ভিত্তির উপর অটল-অবিচল ছিল, যার কারণে আল্লাহ এটাকে বিজয় ও সাহায্যের নিকটবর্তী পৌঁছালেন, এবং ওই পরাজিত শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় দান করলেন যারা নিজেদেরকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শক্তিশালী শক্তি দাবি করে যুদ্ধে অবতরণ করেছিল।
আল্লাহ তাআলার দয়া ও অনুগ্রহে আমরা আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমর হাফিজাহুল্লাহের ওই ঈমানদীপ্ত কথার সত্যতা দেখতে পাচ্ছি, যা তিনি ক্রুসেড হামলার একেবারে প্রাক্কালে বলেছিলেন,
“আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিজয়ের ওয়াদা করেছেন আর বুশ আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে পরাজয়ের, আমরা অচিরেই দেখবো কোন ওয়াদা সত্য হয়।”
আমার মুসলমান ভাইয়েরা!
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা নিজেদের বিন্যাসকে এক রাখি এবং আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধরি।
এই একতা ও ঐক্যবদ্ধতাকে আল্লাহ তাআলা নিজ বান্দাদের জন্য প্রদত্ত এক মহান নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
আর তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ করো; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সেই নেয়ামতের কথা স্মরণ করো, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছো। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়াত প্রাপ্ত হতে পারো।(১)
এমনিভাবে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
আর তারা যদি তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তোমাকে শক্তি যুগিয়েছেন স্বীয় সাহায্যে ও মুসলমানদের মাধ্যমে। আর প্রীতি সঞ্চার করেছেন তাদের অন্তরে। তুমি যদি সেই সব কিছুও ব্যয় করে ফেলতে যা কিছু জমিনের বুকে রয়েছে, এরপরেও তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি পরাক্রমশালী, সুকৌশলী।(২)
সুতরাং একতা হচ্ছে নেয়ামত ও রহমত, আর অনৈক্য হচ্ছে অশুভ এবং আযাব। মুমিনদের প্রতি নম্রতা আর কাফেরদের প্রতি কঠোরতা আল্লাহ তাআলার ওই সকল নেক বান্দাদের গুণ যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং তারা আল্লাহকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পরে সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকূ ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন। তাওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জীলে তাদের অবস্থা যেমন একটি বীজ যা অঙ্কুরিত হয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীকে আনন্দে অভিভূত করে যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।(৩)
এমনিভাবে মহান আল্লাহ বলেছেন,
হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরেই আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোনো নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।(৪)
অনৈক্য এবং বিশৃঙ্খলার একটি ফল হচ্ছে ব্যর্থতা এবং শক্তি নিঃশেষ হওয়া, এজন্য আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সতর্ক করে বলেন,
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোনো বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাকো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পারো। আর আল্লাহ তাআলার নির্দেশ মান্য করো এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। যদি তা করো, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে।(৫)
সুতরাং হে আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা!
আপনারা একতাকে শক্ত করে ধরুন, এবং পরস্পরের মতের অমিল পশ্চাতে ফেলে আল্লাহর রশিকে শক্ত করে ধরুন, অনৈক্য থেকে দূরে থাকুন। আল্লাহর ইচ্ছায় এ দল এজন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যাতে সমগ্র পৃথিবীতে সকল মুসলমান ভাইয়েররা এক সাথে হয়ে কাফের উপনিবেশবাদী ইংরেজদের টেনে দেয়া সীমানা মিটিয়ে ফেলা হয়, যা তারা উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে পরস্পর থেকে দূরে রাখার জন্যে টেনেছে।
এই জন্যে উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে এই দল মৌলিক এই দাওয়াত দেয় যে, তারা যেন তাওহীদের ভিত্তিতে এক হয়ে যান, এবং আম্বিয়া ও রাসূলগণ আলাইহিমিস সালাম এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের নির্বাচিত পথ দাওয়াত ও জিহাদের পথে চলে ইসলামের সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসেন।
উপমহাদেশ এবং সমগ্র পৃথিবীতে বসবাসরত মুসলমান ভাইয়েরা!
এখন আপনাদের চোখের সামনে সেকুলার গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ব্যর্থতা সুষ্পষ্টভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে। যার মৌলিক দাওয়াত হচ্ছে এই যে, অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং ইসলামী সার্বভৌমত্বের সেই আকীদা থেকে হাত গুটিয়ে নেয়া যে আকীদা ব্যতীত ঈমানই গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।(৬)
সময় এটা প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে, এই গণতন্ত্রের রাস্তা একটি প্রতারণাপূর্ণ মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই নয়, যার মাধ্যমে ইসলামের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়া মৌলিকভাবেই অসম্ভব। এমনকি যদিও এর নাম নেয়া ব্যক্তিরা নির্বাচনে সফলতা এবং পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে, তখনি যথাসময়ে ইসলামের শত্রুরা তাদের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ করবে এবং তাদের সৈন্যরা যারা কিনা মুসলিম উম্মাহের শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছে তারা সামনে এগিয়ে এসে নিজের বিরোধী প্রত্যেক শক্তিকে কারাগারে ঢুকাবে এবং ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাবে। এই রাস্তা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতের ধ্বংসের পথ, যা ইসলামী সার্বভৌমত্ব থেকে মুক্ত হওয়া দ্বারা শুরু হয় এবং ইসলামের শত্রুদের আধিপত্য বিস্তার এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষাকে হত্যা করার মাধ্যমে শেষ হয়। সত্য ও ন্যায়-ইনসাফের প্রতিষ্ঠার ফলাফল যদি কোনো রাস্তায় আশা করা যায় তাহলে এটা হচ্ছে সে রাস্তা যেটা আমাদের মহান রব নিজের বান্দাদের জন্যে নির্ধারণ করেছেন, অর্থাৎ দাওয়াত ও জিহাদের রাস্তা। আল্লাহ বলেন,
আর আমি আদেশ করছি যে, আপনি তাদের পারস্পরিক ব্যাপারগুলোতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদানুযায়ী ফায়সালা করুন; তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না এবং তাদের থেকে সতর্ক থাকুন যেন তারা আপনাকে এমন কোনো নির্দেশ থেকে বিচ্যুত না করে যা আল্লাহ আপনার প্রতি নাযিল করেছেন। অনন্তর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে নিন, আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কিছু শাস্তি দিতেই চেয়েছেন। মানুষের মধ্যে অনেকেই নাফরমান। তারা কি জাহেলিয়াতের যুগের ফায়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফায়সালাকারী কে?(৭)
এবং তিনি বলেন,
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো যতক্ষণ না ফিত্*না-ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।(৮)
সুতরাং দ্বীনের কিছু অংশ যখন আল্লাহর জন্যে হয় এবং কিছু অংশ যখন আল্লাহ ব্যতীত অন্যের জন্যে হয়, তখন জিহাদ ফরয হয়ে যায়, যতক্ষন পর্যন্ত না ফিত্*না দূরীভূত এবং দ্বীন পুরোপুরিই আল্লাহর জন্যে হয়ে যায়। যদি কোনো সময় সামর্থ্যের অভাবে জিহাদ সম্ভব নাও হয় তখনও ইদাদের (প্রস্তুতির) ফরয রহিত হয় না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
আর প্রস্তুত করো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যা কিছুই সংগ্রহ করতে পারো নিজের শক্তি–সামর্থ্যের মধ্য থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন ভীত-সন্ত্রস্ত করা যায় আল্লাহর শুত্রুদেরকে এবং তোমাদের শত্রুদেরকে, আর তারা ছাড়া অন্যান্যদেরকেও, যাদেরকে তোমরা জানো না কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে চেনেন।(৯)
আল্লাহর ইচ্ছায় এই নতুন দল হচ্ছে উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত আশ্রয়হীন এবং দুর্বল মানুষদের জন্যে সুসংবাদ।
বার্মা, বাংলাদেশ, আসাম, গুজরাট, আহমেদাবাদ এবং কাশ্মীরের নির্যাতিত মুসলমানদেরকে আমরা এই বলতে চাই যে, আল কায়েদা আপন ভাই আপনাদেরকে কখনো ভুলে নি এবং আপনাদের উপর চালিত জুলুম-অত্যাচার ও নির্যাতনের চাকা থেকে মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে প্রত্যেক সম্ভাব্য পদ্ধতিতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
উপমহাদেশে বসবাসরত আমার প্রিয় উম্মতে মুসলিমা,
আপনারা আপনাদের মত, পরামর্শ, দোয়া, রসদ সামগ্রী দ্বারা আপন মুজাহিদ ভাইদেরকে শক্তিশালী করুন, এবং আল্লাহর নির্দেশকে লাব্বাইক বলুন, যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
হে মুমিনগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিবো যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবন পণ করে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বুঝো। তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতে দাখিল করবেন যার তলদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের সেই জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য। এবং আরও একটি অনুগ্রহ দিবেন যা তোমরা পছন্দ করো। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং আসন্ন বিজয়। মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ দান করুন।(১০)
আমি আমার কথার শেষে নিজের উদ্দেশ্যে, জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের মুজাহিদ ভাইদের উদ্দেশ্যে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত মুজাহিদ ভাইদের উদ্দেশ্যে এই নসিহত করবো, যে, জেনে রাখুন, জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ মূলত আল্লাহর দিকে দাওয়াতের একটি মাধ্যম, যেটা আম্বিয়ায়ে কেরামগণ আলাইহিমিস সালামের উদ্দেশ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, আল্লাহ তাআলা বলেন,
হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।(১১)
এমনিভাবে আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে বলেছেন,
আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।(১২)
এমনিভাবে আল্লাহ তাআলা নিজের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে বলেছেন,
আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন, পক্ষান্তরে আপনি যদি কর্কশ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে–কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন কোনো কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করুন, আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদেরকে ভালবাসেন।(১৩)
তাই কথা ও কাজে সত্যকে নিজের আদর্শ বানান, এমন লোকদের মতো হবেন না, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
হে মুমিনগণ! তোমরা যা করো না, তা কেন বলো? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।(১৪)
সুতরাং যেহেতু আপনারা এই বলেন যে, আপনাদের জিহাদের উদ্দেশ্য মুসলমানদের সম্মানের সংরক্ষণ, তাই তাদের জান-মাল ও ইজ্জত-সম্মানের উপর মোটেও হস্ত প্রসারণ করবেন না। নিজের ভাইদেরকে কোনো কথা-বার্তা দ্বারা বাড়াবাড়ি করবেন না।
যেহেতু আপনি এই বলেন, যে আপনার জিহাদের উদ্দেশ্য আল্লাহর দ্বীনের বিজয়, শরীয়তের গুরুত্ব এবং তা পূর্ণভাবে জমিনে প্রতিষ্ঠা করা। সুতরাং আপনার জন্যে আবশ্যক হলো এই যে, এই শরীয়ত সর্বপ্রথম নিজের উপর বাস্তবায়ন করা, শরীয়তের ফায়সালা আপনার উল্টোও চলে যাক না কেন, তবুও শরীয়তের ফায়সালার সামনে নিজের মাথা ঝুঁকাতে কুন্ঠাবোধ করবেন না।
আর যদি আপনি এই দাবি করেন যে, আপনার জিহাদ করার উদ্দেশ্য শুধুমাত্রই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, তাহলে কখনোই যেন এমন না হয় যে, সুযোগ পেলেই আপনি চেয়ার এবং আধিপত্যের ভুমিকায় অংশীদার হয়ে যাবেন!
আর যদি আপনি এই বলেন যে, আপনার জিহাদ করার উদ্দেশ্যের মধ্য থেকে একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্যাতিতদের সাহায্য করা, তাহলে শুরুতেই নিজেরা পরস্পরের উপর জুলুম করা থেকে বিরত থাকুন, এবং নিজেদের মুজাহিদ ভাই এবং মুসলমানদের উপর জুলুম করা থেকেও বিরত থাকুন।
গুনাহসমূহ থেকে তো সর্বদা দূরে থাকবেন, নিজের রবের কাছে ইস্তেগফার করে সাথে সাথে তাওবাহওয়ালা বনে যান। যদি ভুল হয়ে যায় তাহলে এটা মেনে নিবেন, আর যদি কোনো জুলুম হয়ে যায়, তাহলে বিনিময় আদায় করবেন, কেননা জুলুমই হচ্ছে পরাজয়ের প্রথম ধাপ।
গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনুন, যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন সম্পর্কে কী বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
যখন তোমাদের উপর একটি মুসীবত এসে পৌঁছালো, যদিও তোমরা তাদের (তোমাদের শত্রুদের) উপর দ্বিগুণ কষ্ট উপস্থিত করেছিলে, আর যখন তোমরা বলছিলে, “এটা (মুসীবত) কোথা থেকে এলো?” তাহলে বলে দাও, “এ কষ্ট তোমাদের উপর পৌঁছেছে তোমাদেরই পক্ষ থেকে (তোমাদের অশুভ কাজের ফলস্বরূপ)।” নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ের উপর ক্ষমতাশীল।(১৫)
এবং তিনি বলেন,
নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে যারা দু’টি দল সম্মুখীন হবার দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, শয়তান তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছিল তাদেরই পাপের দরুন। আল্লাহ তাদেরকে মাফ করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং সহনশীল।(১৬)
এবং জেনে রাখুন যে, কখনো নিজের শক্তি এবং সামর্থ্যের কারণে কোনো প্রতারণার শিকার হবেন না, নিজের শক্তির উপর নির্ভর ছেড়ে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের শক্তি এবং সামর্থ্যের আশ্রয় নিন, আল্লাহর এই কথাকে গভীরভাবে শুনুন,
যদি আল্লাহ তোমাদের সহায়তা করেন, তাহলে কেউ তোমাদের উপর পরাক্রান্ত হতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের সাহায্য না করেন, তবে এমন কে আছে, যে তোমাদের সাহায্য করতে পারে? আর আল্লাহর ওপরই মুসলমানগণের ভরসা করা উচিত।(১৭)
এবং তিনি বলেন,
আর সাহায্য আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হতে পারে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তির অধিকারী, হেকমত ওয়ালা।(১৮)
এমনিভাবে তিনি বলেন,
আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন অনেক ক্ষেত্রে এবং হোনাইনের দিনে, যখন তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদেরকে প্রফুল্ল করেছিল, কিন্তু তা তোমাদের কোনো কাজে আসে নি এবং পৃথিবী প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও তোমাদের জন্য তা সংকুচিত হয়েছিল। অতঃপর তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে।(১৯)
এমনিভাবে আল্লাহর ওই নির্দেশকে কখনো ভুলবেন না, যেখানে তিনি সফলতার কারণ বর্ণনা করেছেন,
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোনো বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাকো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পারো। আর আল্লাহ তাআলার নির্দেশ মান্য করো এবং তাঁর রাসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। যদি তা করো, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে। আর তাদের মতো হয়ে যেয়ো না যারা বেরিয়েছে নিজেদের অবস্থান থেকে গর্বিতভাবে এবং লোকদেরকে দেখাবার উদ্দেশ্যে। আর আল্লাহর পথে তারা বাধা দান করতো। বস্তুতঃ আল্লাহর আয়ত্বে রয়েছে সে সমস্ত বিষয় যা তারা করে।(২০)
যদি আমাদের এইসব তাওফীক অর্জন হয়ে যায় তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় এটা বিশ্বাস রাখবেন যে, আমরা সফলতা এবং বিজয়ের এই রাস্তায় আছি।
এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই মহান সুসংবাদ গ্রহণ করুন,
“আমার উম্মতের দু’টি দল এমন যাদেরকে আল্লাহ আগুন থেকে মুক্ত করেছেন, একটি দল হচ্ছে তারা যারা হিন্দের যুদ্ধ করবে। এবং অন্য দলটি হলো তারা যারা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালামের সাথী হবে।”(২১)
ওয়া আখিরু দাওয়ানা আনিল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া সাল্লাম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
– – – – – – – – – – – – – – – – –
আনুগত্যের বায়াতের নবায়ন এবং এই সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য
– উস্তায ওসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ (জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের মুখপাত্র)
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, নাসিরিল মুসতাজয়াফীন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা ইমামিল মুজাহিদীন, সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া সাল্লিম আজমাঈন।
অতঃপর,
আল্লাহ তাআলা বলেন, (আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাজীমের পর)
আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ করো; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সেই নেয়ামতের কথা স্মরণ করো, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছো। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পারো।(২২)
তিনি আরও বলেন,
পক্ষান্তরে তারা যদি তোমাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তোমাকে শক্তি যুগিয়েছেন স্বীয় সাহায্যে ও মুসলমানদের মাধ্যমে। আর প্রীতি সঞ্চার করেছেন তাদের অন্তরে। যদি তুমি সেই সব কিছু ব্যয় করে ফেলতে যা কিছু জমিনের বুকে রয়েছে, এরপরেও তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি পরাক্রমশালী, সুকৌশলী।(২৩)
আল্লাহু আয্*যা ওয়া জাল্ল্* আরও বলেন,
আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে যেন তারা সীসাঢালা প্রাচীর।(২৪)
প্রিয় মুসলমান ভাইয়েরা!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!
আমি সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে সাধারণভাবে এবং পাকিস্তান, ইন্ডিয়া সহ পুরো উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে বিশেষভাবে “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ” এর একটি নতুন শাখা “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর প্রতিষ্ঠার মুবারকবাদ জানাচ্ছি।
আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি তিনি যেন এই জামাতকে কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ (আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করা) এর তাওফীক দান করেন।
এই জামাত এমন সব জিহাদী সংগঠনের সম্মিলনের মাধ্যমে অস্তিত্ব লাভ করেছে যারা দীর্ঘ সময় যাবত জিহাদ ও কিতালের পথে ছিলেন এবং যারা উম্মাহ এর ইত্তেহাদ ও ইত্তেফাকের (ঐক্য ও সম্মিলন) ইলাহী হুকুম واعتصموا بحبل الله جميعا ولا تفرقوا (তোমরা সবাই আল্লাহর রজ্জুকে মজবুত করে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যেয়ো না) এর আহবানে লাব্বাইক বলেছেন। তারা নিজেদের প্রাণপ্রিয় আমীর শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ এর দেয়া নির্দেশনাকে জামাতের সমস্ত কার্যক্রমে বাস্তবায়ন করার প্রত্যয়ে মাওলানা আসিম উমার হাফিজাহুল্লাহ এর নেতৃত্বে একত্রিত হবার মুবারক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা শাইখ মুস্তফা আবু ইয়াযিদ, শায়খ আত্তিয়্যাতুল্লাহ, শায়খ আবু ইয়াহইয়া, উস্তায হাসান গুল, কমান্ডার বদর মানসূর, উস্তায ফয়েজ উমার আকদাস রহিমাহুমুল্লাহ এবং ঐ সকল হযরতদের অসংখ্য সওয়াব দান করুন, যাদের ইখলাস ও প্রচেষ্টায় এই একতা সম্ভব হয়েছে। যাদের মনযোগিতা ও নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর মৌলিক চিন্তা ও কার্যপদ্ধতি রাখা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা এই জামাতকে ঐ মুবারক রাস্তায় দৃঢ়তার সাথে চলার তাওফীক দান করুন যার পথপ্রদর্শক মুজাদ্দিদে জিহাদ শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ। যে রাস্তাকে মুহসিনে উম্মাহ শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ স্বীয় রক্ত দ্বারা সুগম করেছেন। একইভাবে আমি এই মহেন্দ্রক্ষণে আমাদের সেই সকল শহীদ মুজাহিদগণ নিজেদের অনেক দোয়ায় স্মরণ করছি যাদের শিষ্টাচারের বরকতে এই ভূমিতে জিহাদের বৃক্ষ বিস্তৃত হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন- উস্তায আমজাদ ফারুকী, কমান্ডার ও উস্তায ইলিয়াস কাশ্মীরী, উস্তায হারুন আদনান ভাই, কমান্ডার আব্দুল হাদী ফয়সাল, শায়খ আহসান আযীয, ড. আরশাদ ওয়াহীদ রহিমাহুমুল্লাহ।
আর এই আনন্দঘন মুহূর্তে আমাদের অন্তর নিজেদের সকল শুহাদা ও সাথী ভাইদের জন্যে বিশেষভাবে দোয়া করছে, যাদের কুরবানি ও ত্যাগের বদৌলতে এই জমিনে জিহাদের সূর্য পূর্ণ উজ্জ্বলতার সাথে জ্বলজ্বল করছে।
হে আল্লাহ! আপনি তাঁদের সবার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান!
হে আল্লাহ আমাদের ভাইদেরকে আপনার খাস রহমতের দ্বারা পরিপূর্ণ করুন!
আর আমাদের শুহাদাগণকে কিয়ামতের দিন আম্বিয়া, শুহাদা, সিদ্দিকীন, সালেহীনদের সঙ্গী হিসেবে কবুল করে নিন! (আমীন)
“জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর মৌলিক উদ্দেশ্যসমূহ
প্রথম উদ্দেশ্য
আমেরিকা এবং তার সহযোগীদের দাসত্বে আবদ্ধ সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত কুফরী শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করা। এই শাসনতন্ত্রকে এর শিকড়সহ চিরতরে উৎখাত করার চেষ্টা করা। আর এই কুফরী শাসনব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে কালিমায়ে তাওহীদকে সমুন্নত করা। কেননা এটাই সেই অভিশপ্ত শাসনব্যবস্থা যার মাধ্যমে খিলাফতে উসমানিয়াকে ভেঙে আল্লাহর জমিন থেকে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রথম কিবলাহকে ইহুদীরা কব্জা করে নিয়েছে। হারামাইনের পবিত্র ভূমিতে আমেরিকা ও এর মিত্রবর্গ চড়াও হয়েছে। বসনিয়া ও চেচনিয়া থেকে শুরু করে কাশ্মীর এবং বার্মা পর্যন্ত কাফেরদের পদভার দৃঢ় হয়েছে, অর্থনীতিতে পুঁজিবাদী সুদী লেন-দেন মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আল্লাহর বান্দাদের উপর সেকুলার গণতন্ত্রের রাজনীতির ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে, সমাজ থেকে ইসলামী আকীদা এবং দ্বীনী আচার-ব্যবহার নিশ্চিহ্ন হতে যাচ্ছে। আর এটাই সেই শাসনব্যবস্থার কুফল যার কারণে মুসলমানদের ভূমির উপর কাফেরদের সেবাদাস মুরতাদ সেনাবাহিনী এবং দ্বীনের শত্রু শাসকদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য
শরীয়ত বাস্তবায়ন ও ইসলামী জীবন ব্যবস্থার পুনর্জীবনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানো, এই উদ্দিষ্ট অর্জনে এমন ওই সকল পদ্ধতি বাছাই করা যার প্রতি কিতাব ও সুন্নাহ উদ্বুদ্ধ করেছে। যেই পদ্ধতিগুলোর সর্বাগ্রে আছে: কিতাল ফী সাবিলিল্লাহ।
তৃতীয় উদ্দেশ্য
সমস্ত দখলকৃত মুসলিম ভূমিকে মুক্ত করা এবং বিশেষ করে হিন্দুস্তানের নিপীড়িত মজলুম মুসলমানদের স্বাধীনতার জন্য উম্মাতে মুহাম্মাদি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জাগ্রত করা। আর এই উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করা। আর এ কাজ করতে গিয়ে কোনো (শরীয়ত বহির্ভূত) আইন-কানুন এবং চুক্তিকে বিন্দু পরিমাণ পরোয়া না করা, যেই আইন-কানুন মুসলমানদেরকে তাদের স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং তাদেরকে জিহাদের ফরয আদায় করতে বাধা প্রদান করে।
চতুর্থ উদ্দেশ্য
নবুয়্যতের আদলে খিলাফত কায়েম করার জন্য জিহাদ করা। এমন এক খিলাফত হবে যার উপর সমস্ত উম্মাহ একত্রিত হয়। এমন এক খিলাফত যা মুসলমানদের জান-মাল, সম্মান-সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধান করবে। যেথায় যুগের খলীফা হক্কানি উলামাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করবেন ও তাঁদের নির্দেশনা মেনে চলবেন। যেথায় দুর্বল এবং শক্তিশালী কেউই জবাবদিহির উর্ধ্বে থাকবে না। যার বরকতে মুসলিম কৃষকদের জমিতে সোনার ফসল উৎপাদিত হবে, মুসলিম ব্যবসায়ীগণ সুদী লেন-দেন এবং অনৈতিক ট্যাক্সের খড়গ হতে মুক্ত হয়ে থাকবে। আর যেথায় গরিব-দুঃখীদের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে যুগের খলীফাও স্বয়ং রাতের অন্ধকারে ব্যাকুল হয়ে ঘুরে বেড়াবেন। এমনকি খিলাফতের অধীনে বসবাসকারী জিম্মি কাফেররাও নিরাপত্তার সাথে জীবনযাপন করতে পারবে।
পঞ্চম উদ্দেশ্য
ইমারতে ইসলামীয়্যাহ আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা করা। কারণ তাদের উপরই সমস্ত উম্মাহের খিলাফতের পুনর্জীবনের আশা, আকাঙ্ক্ষা নির্ভর করছে। তাই ইমারতে ইসলামীয়্যাহ আফগানিস্তানের দিকে নিক্ষিপ্ত সকল তীর ও কামানের গোলা নিজের বুক দিয়ে ঠেকিয়ে দেয়া। ইমারতের শক্তিবৃদ্ধি ও সুসংহতির লক্ষ্যে সকল সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আর সর্ব উপায়ে ইমারতের সাহায্য সহযোগিতা করা।
ষষ্ঠ উদ্দেশ্য
এমন এক ইসলামী সমাজব্যবস্থা কায়েম করা, যেখানে জালেমের হাতকে রুখে দিয়ে মজলুমকে সাহায্য করা হয়, চাই মজলুম কাফেরই হোক না কেন। এমন এক সমাজব্যবস্থা যাতে নেক কাজ করা সহজ হয় এবং গুনাহে লিপ্ত হওয়া কঠিন হয়ে যায়। এমন এক সমাজব্যবস্থা যেথায় নারীকে সম্মান ও ইজ্জত প্রদান করা হয়, যাতে সন্তান পিতামাতার খেদমতে তাদের পথে পালক বিছিয়ে দেয়। আর যাতে প্রতিটি ঘরে শান্তি বিরাজ করে।
হে আমার প্রিয় উম্মতের নির্যাতিত মুসলমানেরা!
মুজাহিদদের উদ্দেশ্য তো হচ্ছে মানুষকে মানুষের দাসত্ব থেকে মুক্ত করে তাদের প্রতিপালকের বন্দেগীতে নিযুক্ত করা। আর সমস্ত ধর্মের সঙ্কীর্ণতা ও অত্যাচারে পিষ্ট মানবতাকে ইসলামের প্রশস্ততা, রহমত ও বরকতের ছায়াতলে নিয়ে আসা।
আমার ভাইয়েরা!
এই দাওয়াত হলো ফরয আদায় করার দাওয়াত। এমন দাওয়াত যা ফুরুয়ী ইখতেলাফকে তাকের উপরে রেখে ফরয আদায় করার দিকে আহবান করছে। এই আহবানে লাব্বাইক বলা এবং জিহাদের ডাকে সাড়া দেয়া শুধু যে আপনার দুনিয়াবী মান, সম্মান, নিরাপত্তা, প্রতিপত্তির কারণ হবে তা নয়, বরং মৃত্যুর পরের জীবনেও সফলতা অর্থাৎ জান্নাত লাভের মাধ্যম হবে।
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূল কে সাড়া প্রদান করো যখন রাসূল তোমাদেরকে এমনকিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদেরকে জীবন দান করবে। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মধ্যস্থলে অন্তরায় হয়ে থাকেন, পরিশেষে তাঁর কাছেই তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।(২৫)
আমরা এই ক্ষণে তানযীম কায়েদাতুল জিহাদের প্রধান আমীরুল মুজাহিদীন শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ এর হাতের জিহাদের বাইআতকে নবায়ন করছি। আর তাঁর মধ্যস্থতায় আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার মুজাহিদ (আল্লাহ তাঁকে বিজয়ী করুন) এর হাতে বাইআতকে পুনরায় নবায়ন করছি। আর আমরা আমীরুল মুমিনীনকে আশ্বস্ত করছি যে, ইমারতে ইসলামীয়্যাহ এর প্রতিরক্ষাকে আমরা নিজেদের প্রথম ফরয হিসেবে বিশ্বাস করি এবং ইনশাআল্লাহ আপনি আমাদেরকে ইমারতের শক্তিবৃদ্ধি ও সুসংহতির জন্য সদা প্রস্তুত পাবেন। এই সম্পর্কের খাতিরে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে জিহাদরত মুজাহিদীন, বিশেষ করে জামাত কায়েদাতুল জিহাদের অন্যান্য শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট আল্লাহর সিংহদের কাছে বার্তা পৌঁছাচ্ছি যে,
হে আমার প্রিয় মুজাহিদীন ভাইগণ!
আপনাদের “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর ভাইয়েরা খিলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বাইতুল মুকাদ্দাসের পবিত্র ভূমি মুক্ত করার মুবারক সফরে আপনাদের সহযোগী ও সহযাত্রী হয়েছে। আপনারা আমাদের শরীরের অংশ। আমরা আল্লাহর জন্য আপনাদেরকে ভালবাসি। আমাদের সকল দোয়া আপনাদের সাথে আছে। আপনাদের বিজয় আমদেরই বিজয়। আর আপনাদের কোনো প্রকার কষ্ট আমাদের জন্য দুঃখের কারণ। আমরা প্রত্যাশা করি যে, আপনারা আমাদেরকে আপনাদের দোয়া, নসীহাত ও পরামর্শের দ্বারা আমাদেরকে পথ-প্রদর্শন, সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আল্লাহ যেন আপনাদেরকে সাহায্য করেন।
আর এই ক্ষণে আমরা আমাদের মুহতারাম উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনের দায়ীগণকে এই ব্যাপারে আশ্বস্ত করছি,
আমরা আপনাদেরই সন্তান, আপনাদেরই ছাত্র। যেই আল্লাহর কথা ও যেই রাসূলের কথা মানুষের অন্তরে বসানোর জন্য আপনারা দিন-রাত মেহনত করেন আমরা সেই আল্লাহর কথা ও সেই রাসুলের কথাকে রাষ্ট্রব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা ও অর্থনীতির ময়দানে বিজয়ী করতেই জিহাদ করি। আমরা আপনাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিধান করাকে আমাদের ফরয হিসেবে জানি। আপনাদের খেদমত করাকে নিজেদের সৌভাগ্য মনে করি। আর সকল ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের শিক্ষা বাস্তবায়ন করাকে আমাদের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে বিশ্বাস করি। আমরা আপনাদের পৃষ্ঠপোষকতার মুখাপেক্ষী, জিহাদী কাফেলায় আপনাদের কার্যত অংশগ্রহণের অপেক্ষা করছি, একইসাথে আপনাদের সাহায্য ও দোয়া-প্রার্থী।
আমরা এই ক্ষণে পাকিস্তানে জিহাদরত মুজাহিদীন ভাইদেরকে এই বার্তা প্রদান করছি যে, লাল মসজিদের শহীদগণের মহান কুরবানির পর মুহসিনে উম্মাহ শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ এর হুকুমে “হয়তো শরীয়ত নয়তো শাহাদত” এর স্লোগান নিয়ে যে কিতালের রাস্তায় আমরা অবতরণ করেছি, আমরা সেই রাস্তায় আরও অধিক মজবুতির সাথে চলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। এবং এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, এই মুবারক জিহাদ উপমহাদেশের মুসলমানদের স্লোগান “পাকিস্তান কা মতলব কিয়্যা? লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কে কার্যতভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকৃত পথ “গাযওয়ায়ে হিন্দ” এর তোরণ হবে, আর ইমারতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা।
আমরা এই অঞ্চলে বিদ্যমান সমস্ত জিহাদী সংগঠনগুলোর কাছে সৎ প্রত্যাশা ও শুভকামনার সাথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। আর তাদেরকে এই আশ্বাস দিচ্ছি যে, আপনাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব, নেকীর কাজে সাহায্য করার উপর ভিত্তি করেই হবে। আর আল্লাহর কাছে দৃঢ়ভাবে আশা করি যে, “জামাত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ” এর অস্তিত্ব আপনাদের কল্যাণ ও শক্তিবৃদ্ধির করার কারণ হবে ইনশাআল্লাহ।
হে আল্লাহ! আমাদের জাতিকে ইসলামের বসন্ত দেখান!
এই অঞ্চলকে শরীয়তের ঠাণ্ডা ছায়া ও নিরাপত্তা দিয়ে ছেয়ে দিন!
হে আমাদের রব, দ্বীনের বিজয়, উম্মাহর শান্তি, মুসলমানদের কল্যাণের জন্য আপনার যে বান্দারা জিহাদের ময়দানে আছে, তাদের কমজোরিকে সংশোধন করে দিন!
হেদায়াতের উপর তাদের অটল রাখুন! আর তাদের সাহায্য করুন!
ইয়া ইলাহী! যে সমস্ত লোক আপনার দ্বীনকে মিটিয়ে পৃথিবীকে দ্বীনদ্রোহ ও ফাসাদে পরিপূর্ণ করতে চায় আপনি তাদেরকে আপনার মুজাহিদ বান্দাদের হাতে পরাজিত করে দিন!!!! (আমীন)
হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা না জেনে ভুল করি তজ্জন্যে আমাদেরকে দোষারোপ করবেন না, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেরূপ ভার অর্পণ করেছিলেন আমাদের উপর তদ্রূপ ভার অর্পণ করবেন না; হে আমাদের প্রভু! যা আমাদের শক্তির অতীত ঐরূপ ভার বহনে আমাদেরকে বাধ্য করবেন না এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে দয়া করুন; আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।(২৬)
Comment