Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২১শে শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ১৬ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২১শে শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ১৬ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    ইয়েমেনের হাসপাতালে আবারও সৌদি আরবের বিমান হামলা



    সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় ব্যস্ত তখন দুর্ভিক্ষপীড়িত ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি আরব। আজ বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে রাজধানী সানার কয়েকটি এলাকায় ও দেশটির বৃহত্তম মারিব প্রদেশে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

    রাজধানী সানার একটি হাসপাতালকে লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে তাসনিম নিউজ এজেন্সি।

    খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী সানার ওয়াদি ধর, হামদান, খোলান আল-টিয়াল এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে মারিব প্রদেশের মেদগাল জেলায় দুটি বোমা হামলা চালিয়েছে সৌদি সরকার। এছাড়াও হার্ফ সুফিয়ান জেলায় বিমান হামলা খবর পাওয়া গেছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/16/36411/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ঠুনকো অজুহাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের!



    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিওএইচও) অর্থায়ন সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটির অন্যতম বড় দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক প্রেস কনফারেন্সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রুসেডার ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

    ডব্লিওএইচও’র প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অর্থায়ন বন্ধের ব্যাপারে তার প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিযোগ, মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি মহামারির প্রথম থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের পক্ষে কাজ করেছে।

    প্রেস কনফারেন্সে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ‘চীনে এই ভাইরাসটির উৎপত্তির পর এর মোকাবিলায় তার মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চীনের দেওয়া তথ্যের ওপরেই বিশ্বাস করেছে তারা। এর অর্থায়ন বন্ধের জন্য আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি এবং এই নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে।’

    জাতিসংঘের এই অঙ্গ-সংস্থাটির মোট বাজেটের ১৫ শতাংশই দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর সংস্থাটিকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করে বিশ্বের সবচেয়ে কথিত ক্ষমতাধর এই দেশটি।

    মঙ্গলবার ট্রাম্পের এই ঘোষণায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ডব্লিওএইচও। তবে হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটিকে অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একে ‘দুর্যোগের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ইউনিভার্সিটির মেডিকেল ডিরেক্টর ও ইনফেকশাস ডিজিজেস স্পেশালিস্ট নাহিদ ভাদেলিয়া।

    কয়েক দিন আগেই সংস্থাটিতে অর্থায়ন বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। অবশেষে তার সেই হুমকিকে বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    চীনের সরকারি তথ্য বলছে, দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট ৮২ হাজার ১৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৩ হাজার ৩৪১ জন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/16/36405/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনাভাইরাসে মহা মন্দায় পড়বে বিশ্ব অর্থনীতি



      ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯১৩। এরমধ্যে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ আক্রান্ত দেশগুলোতে জারি করা হয়েছে লকডাউন। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।

      আইএমএফ’র প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ বলেন, চলমান সংকটে আগামী দুই বছরের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি কমে যেতে পারে ৯ লাখ কোটি ডলার।

      গোপিনাথ সতর্ক করে বলেছেন, মহামন্দার পর এই প্রথম উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় ক্যাটাগরির দেশই আর্থিক মন্দায় পতিত হতে যাচ্ছে।

      গোপিনাথ আরও বলেন, বর্তমানের ‘মহালকডাউন’ নীতিনির্ধারকদের সামনে ‘এক নিষ্ঠুর বাস্তবতা’ তুলে ধরেছে। তারা এই সংকটের মেয়াদ ও আঘাতের তীব্রতা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। উন্নত দেশগুলোর পক্ষেও ২০২২ সালের আগে ভাইরাস-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে না।

      আইএমএফ’র সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে জার্মানি, ব্রিটেন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে করোনায় সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে। তবে তাতে এটিও বলা হয়েছে যে, কোনও দেশই আসন্ন সংকট থেকে রক্ষা পাবে না।

      আইএমএফ জানিয়েছে, করোনা মহামারি যদি চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে তাহলে আগামী বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

      আইএমএফ’র পূর্বাভাস অনুসারে, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের শীর্ষ আর্থিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চলতি বছর ৫.৯ শতাংশ সংকুচিত হবে। বেকারত্বের হার ১০.৪ শতাংশে পৌঁছতে পারে দেশটিতে। ২০২১ সালের দিকে দেশটির অর্থনীতি আংশিক ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্থিক শক্তি চীনের প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১.২ শতাংশ। ১৯৭৬ সালের পর এটিই দেশটির সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। বড় সংকটে পড়বে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিও।

      সংস্থাটির মতে, এই বছঠর ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধি কমবে অবিশ্বাস্য রকম। বিশ্ব ব্যাংক চলতি আর্থিক বছরে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১.৫ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিলেও আইএমএফ বলছে তা হবে ১.৯ শতাংশ। ১৯৯১ সালের পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি এটি।

      আইএমএফ বলছে, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে বেশি বিলম্ব হলে বা ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় এটি ছড়িয়ে পড়লে বৈশ্বিক জিডিপি ৮ শতাংশ কমে যেতে পারে।

      সংস্থাটি আশঙ্কা করছে, এই সংকটে ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর পরিণতি আরও খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে এসব দেশগুলোকে বিনিয়োগকারীরা ঋণ দিতে চাইবেন না। ফলে ঋণের ব্যয়ও বেড়ে যাবে।

      সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/16/36414/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মাজলুম কাশ্মীরী বোনের দোয়া কি কবুল হয়ে গেল!



        নাফিসা উমর। কাশ্মিরের এক মেয়ে। যার একটি দোয়া (প্রার্থনা)-র কথা উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক অরবিন্দ মিশ্র। কাশ্মিরে লকডাউন ছিল দীর্ঘ সাতমাস। এটা নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা কথা উঠতে থাকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন সাংসদকে এনে কাশ্মির পরিদর্শন করানো হয়। এর আয়োজন ও ব্যবস্থা করে ভারত সরকার। সেই পরিদর্শকদলের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় দেশের কয়েকজন ‘বাছাই করা’ সাংবাদিককে, যাতে কাশ্মির নিয়ে রিপোর্টিং করা হলেও তা যেন সরকারের প্রতিকূলে না যায়। সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন ইকোনমিক টাইমসের অরবিন্দ মিশ্র। কয়েকদিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ওই কাশ্মির ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পোস্ট করেন, যেটি ভাইরাল হয়। এখানে পেশ করলাম সেই ভাইরাল হওয়া পোস্টটির অনুবাদ :

        শ্রীনগরের এক গলির মুখে একটি বাড়ির জানালায় দেখতে পাই এক পর্দানশীন মেয়েকে। মেয়েটি আওয়াজ দিতে আমি থেমে যাই। আমাকে দেখে বলেন, ‘ভাইয়া ! আপনি বিলালের বন্ধু, দিল্লিতে থাকেন, তাই না?’

        আমি বললাম, হ্যাঁ।
        তখন মেয়েটি বললেন, ‘বিলাল আপনার খুব তারিফ করে। বলে, আপনি খুব বুঝদার মানুষ। মানুষের দুঃখ বোঝেন। আমি নাফিসা উমর। বিলালের ফুফাতো বোন…’

        সময়ের স্বল্পতা বুঝে মেয়েটি তাড়াহুড়ো করে যে কথাগুলো বলেছিলেন, তাঁর সেই কথাগুলো শুনে আমি কয়েকদিন ঘুমাতে পারিনি। আর সেই কথাগুলো আজ আপনাদের কাছে বলাটা জরুরি মনে করছি। নাফিসা বলেছিলেন :

        ‘যদি কোনো জায়গায় লাগাতার সাত মাস ধরে কারফিউ চলে,
        বাড়ি থেকে বের হওয়া দূরের কথা, বাইরে উঁকি দেওয়াও কঠিন হয়,
        এলাকাজুড়ে ৮–৯ লক্ষ সেনা মোতায়েন থাকে,
        ইন্টারনেট বন্ধ থাকে,
        মোবাইল বন্ধ থাকে,
        ল্যান্ডলাইন ফোনও বন্ধ থাকে,
        বাড়ি বাড়ি থেকে শিশু-যুবক-বৃদ্ধসহ হাজারো বেকসুরদের গ্রেফতার করা হয়ে থাকে,
        ছোট-বড় সমস্ত নেতাদের জেলবন্দি করা হয়ে থাকে,
        স্কুল-কলেজ-দপ্তর সব বন্ধ থাকে,
        তাহলে কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে মানুষ?
        তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা কী হবে? অসুস্থদের অবস্থা কী হবে?
        এসব কথা ভাবার মতো কেউ নেই।
        যদি এলাকার জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ অবসাদে ভুগতে ভুগতে মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়ে পড়ে,
        বাচ্চারা আতঙ্কিত হয়ে থাকে,
        ভবিষ্যৎ থাকে অন্ধকারে,
        নির্যাতন-নিপীড়ন চরমে পৌঁছয়,
        আলোর কোনো রেখা দেখা না যায়,
        অবস্থা ভালো করার মতো কেউ যদি না থাকে
        এবং গোটা দুনিয়া চুপচাপ তামাশা দেখতে থাকে…’

        নাফিসা এরপর কাঁদতে কাঁদতে বলেন :

        ‘আমরা সব সহ্য করছি। যথেষ্ট সহ্য করছি। কিন্তু ওই সময় অন্তর কেঁদে ওঠে, মনটা বড়ো ছটফট করে, যখন শুনতে হয়, ওদিকের কিছু লোক বলে, ”ভালোই হয়েছে, ওদের সঙ্গে এরকমই হওয়া দরকার ছিল”! তবুও আমরা ওদের জন্য, কিংবা অন্য কারোর জন্যেও, কখনো বদদোয়া করিনি, অভিশাপ দিইনি। কারোর খারাপ চাইনি। শুধু একটাই দোয়া/প্রার্থনা করেছি, যাতে সমস্ত মানুষ এবং গোটা দুনিয়া আমাদের অবস্থা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারে। অরবিন্দ ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার প্রার্থনা খুব শীঘ্রই মঞ্জুর হবে।’

        এবার আমি জানতে চাইলাম, ‘আপনি কী প্রার্থনা করেছেন, বোন?’

        তখন নাফিসা ডুকরে ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে যা বলেছিলেন—আমার কানে অনেক দিন বেজেছে—এখন চোখের সামনে দেখতেও পাচ্ছি—তার ব্যথা অনুভব করার চেষ্টা করবেন, হুবহু তার কথাগুলোই তুলে ধরছি :

        ‘ইয়া আল্লাহ ! যাকিছু আমাদের ওপর হচ্ছে তা যেন অন্য কারোর উপর না হয়, শুধু তুমি এমন একটা কিছু করে দাও যাতে গোটা পৃথিবী কিছুদিনের জন্য নিজেদের ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে বাধ্য হয়, সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়, থেমে যায়। তাহলে হয়তো দুনিয়া এটা অনুভব করতে পারবে যে, আমরা বেঁচে আছি কেমন করে !’

        আজ আমরা সবাই যে যার ঘরে বন্দি। আমার কানে নাফিসার সেই কথাগুলো যেন বাজছে—

        ‘ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার দোয়া খুব শীঘ্রই কবুল হবে…!’

        উল্লেখ্য : ২৭ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় অনেকের ওয়ালে প্রকাশিত একটি পোস্টের অনুবাদ উপরে পেশ করা হয়েছে। সেই পোস্টগুলির মধ্যে কয়েকটির লিঙ্ক নিচে দেওয়া হলো।







        [কার্টেসি : Coronavirus Bangladesh গ্রুপ থেকে নেয়া মো. রাহাতের পোস্ট]

        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/16/36417/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে করোনার চিকিৎসাতেও মালাউনদের হিন্দু-মুসলিম বিভাজন



          রোগীর ক্ষেত্রেও এ বার হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করা হলো মালাউন নরেন্দ্র মোদীর ভারতে। গুজরাটের আমদাবাদে করোনা আক্রান্তদের জন্য সরকারি হাসপাতালে যে ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে সেখানে হিন্দুদের রাখার জন্য একটা ওয়ার্ড এবং মুসলিম রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। হিন্দুদের ওয়ার্ডে ঠাঁই পাবেন না মুসলিম রোগীরা এবং মুসলিমদের ওয়ার্ডে রাখা হবে না হিন্দুদের। ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালের দাবি, সরকারের নির্দেশেই এ কাজ করা হয়েছে। যদিও সরকারের বয়ান, এ বিষয়ে তাদের কিছুই জানা নেই। তবে রোগীরা জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে হিন্দু এবং মুসলিমদের পৃথক করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা। স্বাধীন ভারতের সাত দশকের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। এটি শুধু অমানবিক ঘটনা নয়, তার চেয়েও মারাত্মক।

          আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ১২০০ টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে ভর্তি ১৫০ জন। আরও ৩৬ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাঁরা একটি পৃথক ওয়ার্ডে আছেন। হাসপাতাল সূত্র বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, এর মধ্যে অন্তত ৪০ জন মুসলিম রোগী। গত সপ্তাহেই যাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তেমনই এক করোনা আক্রান্ত মুসলিম রোগীর পরিবারের সদস্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, হিন্দু এবং মুসলিম রোগীদের পৃথক ওয়ার্ডে রাখা হবে। সেই মতো রাতেই মুসলিম রোগীদের অন্য ওয়ার্ডে সরিয়ে দেওয়া হয়।

          হাসপাতালের সুপার গুণবন্ত রাঠোর জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনেই এ কাজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

          তবে রোগীদের বক্তব্য, রোববার সন্ধ্যায় আচমকাই আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঢুকে প্রাথমিক ভাবে ২৮ জনের নাম ঘোষণা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেকেই মুসলিম। তাঁদের বলা হয়, অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। এ বিষয়ে সিভিল হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলে।

          কার নির্দেশে সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটল, তা স্পষ্ট না হলেও বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ”মানবতার কথা তো অনেক পরের বিষয়। গুজরাটে যা ঘটেছে তা খুবই নিন্দনীয়।

          অমলবাবুর বক্তব্যকে সমর্থন করেন চিকিৎসক সাত্যকি হালদার। এক সময় পশ্চিমবঙ্গের একটি সরকারি হাসপাতালে সুপারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সাত্যকির বক্তব্য, ”রোগীর কোনও ধর্ম হয় না। এমবিবিএস পাশ করলেই ডাক্তারদের শপথ নিতে হয়। গোটা বিশ্বেই এ নিয়ম আছে। সেখানে বলতে হয়, রোগী দেখার সময় জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষার ক্ষেত্রে কোনও পক্ষপাতমূলক অথবা বিভেদমূলক আচরণ করা হবে না। চিকিৎসকের কাছে সকলেই সমান। গুজরাটের এই ঘটনা চিকিৎসার নৈতিকতাকেই চ্যালেঞ্জ করে বসলো। এটা অনভিপ্রেত।”

          গত কয়েক বছরে ভারতে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের বিভেদ এবং উস্কানি চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। কয়েক মাস আগেই দিল্লিতে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ মুসলিম গণহত্যা। মৃত্যু হয়েছে পঞ্চাশেরও বেশি সাধারণ মানুষের। এখনও গৃহহীন অসংখ্য। তারও আগে এনআরসি, সিএএ নিয়ে অশান্তি চলেছে মাসের পর মাস। রাস্তায় নেমেছেন মুসলিম মহিলারা। গোটা দেশ জুড়ে তাঁরা দিনের পর দিন অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররাও। তারই মধ্যে শুরু হয় করোনার প্রকোপ। ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা হয়। লকডাউনের কিছু দিন আগে দিল্লিতে ধর্মীয় সমাবেশ করে তাবলিগের প্রচারকরা। সেই সমাবেশ থেকে করোনা ছড়িয়েছে বলে বিবৃতি দেয় মালাউন সরকার। যদিও সেই একই সময়ে ঘটে যাওয়া আরও বহু হিন্দু ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সমাবেশের কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির আইটি সেল একের পর এক ‘ভুয়ো খবর’ প্রচার করতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের মূলস্রোতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমও সেই খবর প্রচার করে। যেখানে দেখানো হয় তাবলিগের প্রচারকরা রেস্তোঁরার খাবারে থুতু ফেলছেন, পুলিশের গায়ে থুতু দিচ্ছেন করোনা ছড়ানোর জন্য। পরে জানা যায়, ওই সমস্ত ছবিই ভুয়ো। এখনও পর্যন্ত ওই সমস্ত ছবি এবং খবরের প্রচারকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারগুলি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু জনমনে বিভেদের বিষ ঢুকে গিয়েছে। গুজরাটের এই ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

          বাম নেতা এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ”দেশের শাসক দল এটাই করতে চাইছিল অনেক দিন ধরে। এতদিন ভিতরে ভিতরে বিভেদের রাজনীতি চলছিল। সিএএ করে তারা বুঝিয়ে দিয়েছিল এ বার বিভেদের রাজনীতি প্রকাশ্যে হবে। গুজরাটের ঘটনা তা আরও স্পষ্ট করে দিল। বিভেদের রাজনীতি সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।

          বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু অবশ্য এর মধ্যে রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর বক্তব্য, ”চিকিৎসকরা যদি মনে করেন হিন্দু-মুসলিমকে আলাদা রাখলে চিকিৎসায় সুবিধা হবে, তা হলে আমার কিছু বলার নেই। চিকিৎসকদের পরামর্শে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” যদিও দেশের ডাক্তারদের বক্তব্য, কোনও চিকিৎসকের পক্ষে এমন পরামর্শ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ রোগ এবং চিকিৎসার সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁরা বিষয়টিকে চিকিৎসকদের পরামর্শ বলে চালানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা হয় মিথ্যা বলছেন, অথবা সত্য থেকে চোখ ঘোরানোর প্রচেষ্টায় আছেন।

          গুজরাটের সিভিল হাসপাতালের ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসায় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেরই ধারণা, এর ফলে রাতারাতি হাসপাতাল নিয়ম পরিবর্তনও করতে পারে। সে কারণেই কেউ এর দায় নিতে চাইছেন না। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/16/36420/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পা কাটা সেই মোবারক মারা গেছেন



            ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দাঙ্গাবাজদের হাতে পা হারানো মোবারক মিয়া (৪৫) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।

            গত ১২ এপ্রিল নবীনগরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাজিরহাটি গ্রামে দাঙ্গাবাজরা মোবারকের বাম পা গোঁড়ালির ওপরের অংশ থেকে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে। এরপর কাটা পা হাতে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয় দাঙ্গায় জড়িত এই আওয়ামী লীগের হামলাকারীরা। পরিবারের লোকজন জানান,তার ডান পা-ও কুপিয়ে আলাদা করার চেষ্টা হয়। দুই হাত এবং পিঠেও বেশ কয়েকটি কোপ দেয়া হয়।

            গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ দিন মুমূর্ষু অবস্থায় থেকে মারা যান মোবারক। ঘটনার পরপরই তাকে কোপানোর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেন মোবারক। তারা হচ্ছেন থানাকান্দি গ্রামের সিরাজের ছেলে খোকন, হাজিরহাটি গ্রামের মাঈনুদ্দিনের ছেলে রুমান, (রুমানের হাতেই ছিল কাটা পায়ের অংশ) জিল্লুর ছেলে শাহিন ও মালির ছেলে জাবেদ। বাকিদের তিনি চিনতে পারেননি বলে জানান। তার এই বক্তব্যের মোবাইলে করা ভিডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মোট ১২/১৩ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

            ঢাকায় রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকারী মোবারক করোনা পরিস্থিতির কারণে বাড়িতে এসেছিলেন। গ্রামে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন।

            মোবারকের স্ত্রী সাবিয়া জানান, তার সামনেই মোবারককে মাটিতে সোজা করে শুইয়ে ফেলে কোপানো হয়। এসময় তিনি অদূরেই থাকা পুলিশের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন সাহায্যের জন্যে। তার স্বামীকে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে উল্টা ধাওয়া দেয়।

            সাবিয়া জানান, ঘটনাস্থলের কাছে ৩০/৪০ জন পুলিশ অবস্থান করছিল। তারা ঝগড়া থামানোর কাজ না করে আসামি ধরতেই ব্যস্ত ছিল। মোবারক গ্রামের কোনো ঝগড়া-দলাদলিতে ছিলেন না বলেও জানান তার স্ত্রী। তার জন্ম এবং বিয়েশাদী সব ঢাকাতেই। বছর চারেক আগে পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে আসেন মোবারক। কিন্তু গ্রামের দাঙ্গা পরিস্থিতির কারনে এরমধ্যে দেড় বছর শ্বশুর বাড়িতে কাটাতে হয় তাকে । পরে আবার ঢাকায় চলে যান রিকসা চালাতে।

            সূত্র:আমাদের সময়


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/16/36398/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ত্রাণের দাবিতে মিছিল করায় বিক্ষোভকারীদের মারধর চেয়ারম্যানের



              ত্রাণের দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে লকডাউন উপেক্ষা করে ত্রাণ বঞ্চিত দুই শতাধিক অভাবি মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

              গত মঙ্গলবার এ বিক্ষোভের পর ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামের তিনটি বাড়ি ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন মো. সজিব হোসেন (৩৫) ও মাকসুদা খাতুন (২০)।

              চরকৈজুরি গ্রামের ত্রাণ বঞ্চিত দুই শতাধিক অভাবি মানুষ চরকৈজুরি বাজারে জড়ো হয়। এ সময় ত্রাণের দাবিতে কৈজুরি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আধাঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের বড় ভাই আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের তিনটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় দুইজনকে মারপিট করে আহত করা হয়।
              খবরঃ আমাদের সময়


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/16/36401/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সন্দেহের জেরে কোমরে রশি বেঁধে ৩ কিশোরকে পেটালেন আ.লীগ নেতা



                বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মুঠোফোন চুরির অপবাদে কোমরে রশি বেঁধে তিন কিশোরকে পিটিয়েছেন ইদ্রিস সরদার নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। গত রোববার দুপুরে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ভরপাশা এলাকায় নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটে। পরে নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

                নির্যাতনের শিকার কিশোররা হলো- ভরপাশা এলাকার মৃত হুমায়ুন হাওলাদরের ছেলে শুভ হাওলাদার (১৩), আয়নাল মীরের ছেলে তারেক মীর (১৫) ও তৈয়ব আলী সিকদারের ছেলে হাসান সিকদার (১৪) ।

                স্থানীয়রা জানান, ভরপাশা এলাকার ইমরান সরদার নামে এক যুবকের একটি মুঠোফোন চুরির অপবাদে গত রোববার শুভ, তারেক ও হাসানকে বাড়ি থেকে ডেকে একটি মাঠে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের কোমরে রশি বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করেন ইদ্রিস সরদার ও তার সহযোগী মো. মিজানসহ আরও কয়েকজন। এতে ওই তিন কিশোর গুরুতর আহত হয়। লাঠির আঘাতে তারেকের হাত ভেঙে যায়। তবে ইদ্রিস সরদারের হুমকির কারণে তাদেরকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। রিপোর্টঃ আমাদের সময়

                এ ঘটনার পর চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার নামে তারেক ও হাসানের পরিবারের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকাও আদায় করেন আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস সরদার। তবে নির্যাতনের বিষয়টি তিনি ধামাচাপা দিতে পারেননি বলে জানান স্থানীয়রা।

                এদিকে, নির্যাতনের ওই দৃশ্য গোপনে মুঠোফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন স্থানীয় এক যুবক। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/16/36404/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  জাযাকুমুল্লহু খইরন আহসানাল জাযা...... বারাকুমুল্লহ.........
                  আল্লাহ তায়ালা আপনাদের কে যেনো কখনো নিজ অবস্থায় ছেড়েনা দেন আমিন। আপনাদের কাজের সর্বোত্তম প্রতিদান দিন যেমন তিনার শান। আমিন।
                  ইয়া আল্লাহ আপনি মাজলুম উম্মাহ কে সকল প্রকারের জুলুম থেকে হিফাজত মকরুন আমিন।
                  ইয়া আল্লাহ আপনি জালিমদেরকে ধ্বংস করেদিন আদ সামুদ ফিরাউনদের মত। আমিন আমিন আমি৯ন,
                  ইয়া ল্লাহ আপনি আমাদের ইমান কে দৃঢ় করেদিন, আমিন আমিন আমিন,
                  হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ আপনি মুসলিমদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment

                    Working...
                    X