Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ১৯শে এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ১৯শে এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি থাকায়, ব্যবহৃত গাউন পরার নির্দেশ



    যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও নার্সদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) ছাড়াই এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম একাধিকবার ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশনা জারি করেছে। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতলে মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশের পরই এই নির্দেশনা জারি করা হলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

    জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের আগের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের লম্বা হাতা, একবার ব্যবহারযোগ্য ও তরলনিরোধ গাউন পরতে হবে। কিন্তু এখন গাউনের সংকট দেখা দেওয়াতে কর্মীদের মেডিক্যাল গাউন ধুয়ে পরা বা তরলনিরোধ নয় এমন সরঞ্জাম পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৬০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি মানুষ। দেশটিতে অন্তত ৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে করোনার সংক্রমণে। এই অবস্থায় যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন এমন ব্যক্তির থেকে ২০ সেন্টিমিটারের মতো দূরত্বে থেকে কাজ করতে বলা হচ্ছে ডাক্তারদের। অথচ যেখানে সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে ২ মিটার হতে হবে ন্যূনতম দূরত্ব।

    যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ এক নির্দেশনায় বলেছে, উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হাসপাতালগুলোতেই কেবল পূর্ণাঙ্গ পানিনিরোধক সার্জিক্যাল গাউন পরতে হবে।

    নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যখন গাউন শেষ হয়ে যাবে, তখন বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্লাস্টিকের অ্যাপ্রন পরতে হবে অথবা অন্য হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করতে হবে। এ ছাড়া চিকিৎসক ও নার্সদের একটি গাউন একাধিকবার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

    ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান ড. রব হারউড বলেছেন, যদি গাউন পুনরায় ব্যবহার করতে বলা হয় তাহলে সেটি হওয়া উচিত বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে, প্রাপ্যতার ভিত্তিতে নয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে কোনও ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

    এর আগে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের কর্মীরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ময়লা ফেলার ব্যাগ মাথায় দিয়ে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ব্যক্তিগত সুরক্ষা দেয়া সরঞ্জামের অভাব প্রকট, এমনও হয়েছে যে পিপিইর অভাবে ময়লা ফেলার পলিথিন, প্লাস্টিকের অ্যাপ্রোন ও স্কিইং করার চশমা পরে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন তারা।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/19/36710/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    উত্তরপ্রদেশে খিদের জ্বালায় বিস্কুট কিনতে গিয়ে মালাউন পুলিশের মারে প্রাণ গেল মুসলিম কিশোরের



    করোনা প্রতিরোধের সঠিক ব্যবস্থা না করে ভারতে চলছে অপরিকল্পিত লকডাউন। আর সেই লকডাউন মানতে কড়া নজরদারি। নিয়ম ভাঙলেই অনেকক্ষেত্রে কপালে জুটছে মালাউন পুলিশের লাঠি। এবার সেই লাঠির ঘায়েই উত্তরপ্রদেশে এক মুসলিম কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ভারতের উত্তরপ্রদেশে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে বিস্কুট কিনতে বেরিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে রিজওয়ান (১৯) নামের এক মুসলিম কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    খাবার কিনতে বেরিয়ে পুলিশের অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতেই গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’দিন মৃত্যুর শয্যায় থেকে শনিবার সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ছাজ্জাপুরের কিশোরের মৃত্যুতে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলছেন গ্রামবাসীরা।

    ভারতীয় বার্তা সংস্থা সংবাদ প্রতিদিন সূত্রের খবর, লকডাউনের পর থেকেই ভাঁড়ারে টান পরেছে। বৃহস্পতিবার রাতে খিদের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে বিস্কুট কিনতে বেরিয়েছিলেন আম্বেদকর নগরের ছাজপুর গ্রামের বছর উনিশের রিজওয়ান। লকডাউন ভাঙার অভিযোগ সেই সময় মালাউন পুলিশ তাকে বেধরক মারধর করে বলে দাবি। প্রত্যদর্শীদের অভিযোগে, দোকানে আরও খরিদ্দাররা ছিল, কিন্তু তাঁদের কিছু বলেনি পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে রিজওয়ানের বাবা মুহাম্মদ ইজরায়েলি বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে আমার ছেলে আর খিদের জ্বালা সহ্য করতে পারছিল না। বিস্কুট কিনতে বেরিয়েছিল। সেইসময় পুলিশ তাকে বেধড়ক মারধর করে।” কাঁদতে কাঁদতে তাঁর হাহাকার, “করোনা নয়, পুলিশই আমার ছেলেকে কেড়ে নিল।”

    গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, লকডাউন থাকায় পুলিশ রিজওয়ানকে বিস্কুট কিনতে দিচ্ছিল না। রিজওয়ানের কাকা মুন্নার কথায়, সেখা আরও খরিদ্দাররা ছিলেন, তাদের পুলিশ আটকাল না। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলল, পুলিশ রাইফেলের বাট, লাঠি দিয়ে তাকে মারছিল। তাঁদের আরও অভিযোগ, “লকডাউননের মেয়াদ বৃদ্ধির পরই প্যানিক-বাইয়িং চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বাড়ি বাড়ি খাবর পৌঁছে দিয়ে যাবেন। কিন্তু ২৫ মার্চ থেকে কোনও সাহায্যই পাইনি। বাড়িতে যা রসদ ছিল সব শেষ। বাইরে বের হলেই পুলিশ মারছে। জানিনা এরপর কীভাবে চলবে!”


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/19/36713/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সিঁধ কেটে চুরি করতে গিয়ে ধরা, আ’লীগ নেতাকে গণধোলাই



      টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দ পাড়ায় সিঁদ কেটে চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েছে ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহীন খান (৪২)। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। শাহীন সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়ার মৃত ছামু খানের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি।

      রাইজিং বিডি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাশেম মিয়ার বাড়িতে সিঁদ কেটে চুরি করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

      এলাকাবাসী জানায়, সহবতপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শাহীন অনেক দিন যাবৎ চুরি করছে। সে একজন দাগী চোর। এর আগে একাধিক বার চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাও পড়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগও রয়েছে। এলাকাবাসী তার উৎপাত থেকে রেহাই পেতে ভোট দিয়ে তাকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করে। মেম্বার হওয়ার পর কিছুদিন ভালো চললেও আবার তার উপদ্রব বেড়ে গেছে।

      মুক্তিযোদ্ধা হাশেম মিয়ার ছেলে ওসমান গনি বলেন, আমি শুক্রবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের জমিতে ইরিস্কিম থেকে জমিতে পানি দিয়ে বাড়িতে এসে টর্চের আলো জ্বালালে চোর শাহীনকে দৌড় দিতে দেখি। এসময় আমি ও আমার পরিবারের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গ্রামবাসী শাহীনকে পিটিয়ে গাছের সাথে বেঁধে পুলিশকে খবর দেয়।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/19/36707/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        লকডাউন উপেক্ষা করেই ভারতে হয়ে গেল মালাউনদের মনগড়া ধর্মীয় সমাবেশ!



        এবার ভারতের কর্নাটকে। লকডাউন উপেক্ষা করেই একের পর এক উদযাপিত হচ্ছে মালাউনদের বিভিন্ন মনগড়া উৎসব। এবার আরেকটি ধর্মীয় সমাবেশ হয়ে গেল কালবুর্গিতে। যে জায়গায় ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, সেই জায়গাটি আবার করোনা হটস্পট হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কীভাবে এতবড় ধর্মীয় সমাবেশ হয়ে গেল বিজেপি শাসিত কর্নাটকের কালবুর্গিতে?* তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। লকডাউন চলাকালীন ধর্মীয় সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দেয়া আছে। কিন্তু কর্নাটকের কালবুর্গি এলাকার সিদ্ধলিঙ্গেশ্বর মন্দিরে দেখা গেল নিয়মভঙ্গের ভয়াবহ ছবি। লকডাউন ভেঙে বার্ষিক রথযাত্রা উৎসবে মেতে উঠল সাধারণ মানুষ। অথচ এই কালবুর্গি করোনা হটস্পট এবং এই জেলায় মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের প্রথম মৃত্যুও হয়েছিল এখানেই। সূত্র: আজকাল

        অথচ, ইতিপূর্বে তাবলিগ জামাতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে মালাউন সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভারতে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার বিদ্বেষমূলক গুজব ছড়িয়ে ছিল।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/19/36717/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সকল কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

          Comment


          • #6
            প্রতিটি উম্মাহ নিউজ হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টিকারী, ইয়া আল্লাহ আপনি মাজলুম উম্মাহকে জালিমের কবল থেকে হিফাজত করুন, আমিন। ইয়া আল্লাহ মাজলুম উম্মাহর পক্ষে আমাদেরকে জালিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করুন, আমিন।

            ইয়া আল্লাহ প্রচারকারী ভাইদেরকে আপনি আপনার শান অনুযায়ী সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন, আমিন। আমিন, আমিন।
            হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

            Comment

            Working...
            X