Announcement

Collapse
No announcement yet.

যেমন প্রজা তেমন রাজা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যেমন প্রজা তেমন রাজা

    যেমন প্রজা, তেমন রাজা

    এক দরবেশ এবং তার কম বয়সী এক চেলাকে নিয়ে দূরবর্তী কোনো জঙ্গলে বসবাস করতেন। দরবেশ সব সময় আল্লাহর স্মরণে ব্যস্ত থাকতেন। আর তার কম বয়সী চেলাটি নিকটবর্তী গ্রামে গিয়ে ভিক্ষা করে দরবেশের খেদমত করতেন।

    দরবেশ ছিলেন একজন মানবদরদী মানুষ। তিনি সকাল-সন্ধ্যায় অত্যন্ত বিনয়ের সাথে এই দুআ করতেন:
    “আমার পরওয়ারদেগার! আমি এক সহায় সম্বলহীন মানুষ। তোমার বান্দাদের জন্য কোনো খেদমত করতে পারছি না। কিন্তু যদি তুমি আমাকে বাদশাহ বানিয়ে দাও তাহলে আমার জিন্দেগীর প্রতিটি শ্বাস ক্ষুধার্ত,অসহায় মানুষের সেবায় ওয়াকফ করে দেবো। এতিম, বিধবা এবং দরিদ্র মানুষের দেখাশোনা করবো। অসহায়দের জন্য আমি লঙ্গরখানা চালু করবো। ন্যায় ও ইনসাফের বাণী সমুন্নত করবো। ঘুষখোর ও অসাধু কর্মকর্তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবো। মজলুম আমাকে নিজের জন্য ঢাল মনে করবে এবং জালিম আমার নামে কেঁপে উঠবে। অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতার অভিশাপকে ধ্বংস করে দেবো। নেক ও কল্যাণের ফরমান জারি করবো। জুয়ার আড্ডা ধ্বংস করে দিয়ে ইবাদাতখানা এবং মাদরাসা নির্মাণ করবো।”

    কম বয়সী চেলার এই বিশ্বাস ছিল যে, কোনো একদিন তার মোরশেদের দুআ অবশ্যই কবুল হবে। তখন তার দিন পাল্টিয়ে যাবে। কিন্তু সময় বয়ে চলল। চেলা জওয়ান হল। আর নেককার দরবেশের চেহারায় বার্ধ্যক্যের ছাপ ফুটে উঠল। ধীরে ধীরে চেলার বিশ্বাসে পার্থক্য আসতে লাগল। এক পর্যায়ে অবস্থা এমন দাঁড়ালো যে, দরবেশ হাত উঠালে সে তার নিকটে বসার পরিবর্তে কয়েক কদম দূরে গিয়ে বসত এবং নিচু আওয়াজে এই দুআ করতো:
    “হে আমার রব! আমার মোরশেদ এখন বুড়া হয়ে গেছে। তার চুল সাদা হয়ে গেছে এবং দাঁত খসে পড়ছে, আর দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীণ হয়ে আসছে। এখন আমার কাছে তাকে সিংহাসনের তুলনায় কবরের অধিক নিকটবর্তী মনে হচ্ছে। যদি আপনার কাছে একজন নেককার মানুষের বাদশাহ হওয়া পছন্দ না হয় তাহলে আমাকে বাদশাহ বানিয়ে দিন। আমি এই অঙ্গীকার করছি যে, আমার সব কাজ আমার মোরশেদের চাহিদার বিপরীত করবো। আমি সত্য দিলে এই অঙ্গীকার করছি যে, আমি দরিদ্রদেরকে আরও বেশি দরিদ্র, অসহায়দেরকে আরও বেশি অসহায় এবং মজলুমদেরকে আরও বেশি মজলুম বানানোর চেষ্টা করবো। আমি চোর-ডাকাতদের দেখা-শোনা করবো, সম্মানিদেরকে অসম্মানের আসনে এবং অসম্মানিদেরকে সম্মানিদের আসনে বসাবো। আমি ঘুষখোর ও অসাধু কর্মকর্তাদেরকে পুরস্কৃত করবো। মসজিদ ও মাদরাসায় তালা ঝুলিয়ে দেবো এবং জায়গায় জায়গায় অশ্লীলতার আড্ডাখানা চালু করবো।”
    শুরুর দিকে চেলা চুপে চুপে এই দুআ করতো। কিন্তু ধীরে ধীরে তার দুঃসাহস বেড়ে গেল। কিছু দিন পর তার এই অবস্থা হল, যখন মোরশেদ দুআর জন্য হাত উঠাতো তখন সে তার কাছেই বসে জোর আওয়াজে নিজের দুআ শুরু করে দিত। দরবেশ নিজের চোখের অশ্রু বিসর্জন দিয়ে বলতেন, যদি বাদশাহ হতে পারো তাহলে ন্যায় ও ইনসাফের বাণী সমুন্নত করবে। চেলা অট্টহাসি দিয়ে বলতো, যদি আমি বাদশাহ হয়ে যাই তাহলে জুলুম ও অন্যায়ের ঝান্ডা উড্ডয়ন করবো। দরবেশ বলতেন, আমার ভান্ডার থেকে অক্ষম ও দরিদ্র লোকদেরকে বেতন দেয়া হবে। আর চেলা বলত, আমি এদের ওপর জরিমানা আরোপ করবো। দরবেশ তাকে অনেক ধমকাতেন এবং অনেক সময় বেত্রাঘাতও করতেন। কিন্তু চেলা তার ঐতিহ্যবাহী কাজের সাথে সাথে নিজের অবস্থানে অবিচল রইল।
    এরপর তাই ঘটল যা আগের যুগে ঘটত। অর্থাৎ দেশের বাদশাহ মারা গেলে কয়েকজন মিলে দেশের সিংহাসনের দাবি করে বসল। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে তরবারি উন্মুক্ত করে ময়দানে বের হয়ে আসল। বিচক্ষণ উজির রাতারাতি তাদের সবাইকে একত্রিত করে বললেন, দেশকে এখন গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষার একটিই উপায় বাকি আছে। রাতের বেলা শহরের সকল গেইট বন্ধ করে দিতে হবে। তারপর সকালবেলা সর্বপ্রথম যে লোক পূর্ব গেইট দিয়ে প্রবেশ করবে তাকেই বাদশাহি প্রদান করা হবে।

    তার এই প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল। এরপর এই ঘটনা ঘটল। নেককার দরবেশের সেই চেলা আজ ছোট খাটো কোনো বস্তিতে যাওয়ার পরিবর্তে দেশের রাজধানীর দিকে রওয়ানা শুরু করল। ঘটনাক্রমে সে পূর্ব গেইট দিয়ে গিয়ে উঁকি মারল। প্রহরী গেইট খুলে তাকে সালাম জানালো এবং আমিরগণ জরুরী বৈঠকের উদ্দেশ্যে তাকে শাহি মহলে নিয়ে গেল।
    নতুন বাদশাহ সিংহাসনে বসেই এই আদেশ জারি করলেন যে, আমার সাম্রাজ্যে যত দরবেশ, ফকির ও সাধু আছে তাদেরকে কোন বিলম্ব ছাড়াই গ্রেফতার করা হোক। আদেশ মানা হল। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বাদশাহর মোরশেদ কোনোভাবে এই সংবাদ পেলেন যে, চেলার দুআ কবুল হয়ে গেছে। ফলে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে চলে গেলেন।

    এরপর যা ঘটেছে তা কোনো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই। নতুন বাদশাহ পূর্ণ দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে নিজের সমস্ত অঙ্গীকার পূরণ করেছেন। ঝর্ণার পানি বন্দ করে দিয়েছেন, কূপ ও পুকুরগুলো নাপাকি দ্বারা পূর্ণ করে দিয়েছেন। চোর ও ডাকাতদেরকে জেল থেকে বের করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োগ দিয়েছেন। নেককার ও আল্লাহভীরু লোকদেরকে ইবাদাতখানা থেকে বের করে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
    মোটকথা, ঐসব জ্ঞানীদের দেশে মাথা ঠুকার মতো কোনো জায়গা রইল না যারা দেশের কল্যাণে এক ভিক্ষুককে সিংহাসনে বসিয়ে দিয়েছেন। নতুন বাদশাহর জুলুম যখন চূড়ান্তরূপ ধারণ করল তখন সাধারণ নেতারা তার বংশ পরিচয় অবগত হওয়া জরুরী মনে করলেন। সাবেক প্রধান উজিরের নেতৃত্বে একটি দল বহু অনুসন্ধানের পর বাদশাহর মোরশেদের খেদমতে হাজির হয়ে তার কাছে আবেদন করল যে, আল্লাহর ওয়াস্তে আমাদেরকে এই মহা বিপদ থেকে মুক্তি দিন।

    শেষ বয়সী এই দরবেশ নিজের চেলার সামনে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রতিনিধি দলের করুন অবস্থায় প্রভাবিত হয়ে নিজের আশঙ্কাকে পদদলিত করলেন। যখন তিনি রাজদরবারে উপস্থিত হলেন তখন বাদশাহ নিজের মোরশেদকে দেখতেই পিছনের সব কিছু স্মরণ হয়ে গেল। বাদশাহ মোরশেদকে দেখে ভীত হয়ে গেলেন এবং বললেন:
    “পীর ও মোরশেদ! বলুন, আমি আপনার কী খেদমত করতে পারি?”
    দরবেশ উত্তর দিলেন:
    “আমি নিজের জন্য কিছুই চাচ্ছি না। আমি শুধু তোমার প্রজাদের ব্যাপারে আপিল নিয়ে এসেছি। তুমি সম্মানের সিংহাসনে বসে ঐ সময়ের কথা ভুলে গেছ যখন তুমি ভিক্ষা করতে। এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। যদি পারো তাহলে মৃত্যুর আগে কোনো নেক কাজ করে নাও।”

    বাদশাহ বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলেন:
    “দেখুন কেবলা! আপনি আমার সহ্যশক্তির পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এটি আপনার সৌভাগ্য যে, আপনি আমার মোরশেদ এবং আমি আপনার গায়ে হাত দিতে ভয় পাচ্ছি। আপনি আমাকে সারা জীবন গালি দিতে পারেন। কিন্তু এই লোকগুলোর সাথে ভালো আচরণের পরামর্শ দেবেন না। আপনার কি স্মরণ আছে যে, আমরা একই সময়ে দুআ করতাম। তারপরেও এর পিছনে কী কারণ যে, আপনার দুআ কবুল হল না এবং আল্লাহ আমাকেই বাদশাহ বানিয়ে দিলেন? যদি এই লোকদের কাজকর্ম ঠিক হত এবং আল্লাহ এদের কল্যাণ চাইতেন তাহলে আপনি এদের বাদশাহ হতেন। কিন্তু এরা ছিল বদবখত। এরা ভালো মন্দের পার্থক্য করতো না। আল্লাহ তাআলা এদের বদ আমলের শাস্তি দিতেই আমাকে বাদশাহ বানিয়েছেন। এখন আমি মৃত্যু পর্যন্ত নিজের প্রোগ্রাম পূর্ণ করবো। যদি এদের করুণ অবস্থার প্রতি আল্লাহ তাআলার দয়া হয় এবং আমার জিন্দেগীর দিন শেষ হয়ে যায় তাহলে ভিন্ন কথা। অন্যথায় এব্যাপারে আমার পক্ষ থেকে কোনো ত্রæটি হবে না।”
    নেককার দরবেশ জবাব দিলেন:
    “খুব ভালো কথা! তুমি ঠিকই বলেছো। যদি এরা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ভালো পুরস্কারের যোগ্য হত তাহলে আমার সারা জীবনের দুআ ব্যর্থ হত না। এরা যারা আমার পরিবর্তে তোমার মাথায় মুকুট রেখেছে তারা এর যোগ্য নয় যে, তাদের প্রতি দয়া করা হবে। তুমি সানন্দের সাথে নিজ কাজ করতে থাকো।”
    একজন গেরিলা যুদ্ধা একজন কমান্ডোর মত, সে যে কোন পরিস্থিতির মোকাবেলায় সক্ষম

  • #2
    জাযাকাল্লাহ। আপনার গল্পটি খুব চমৎকার লাগল। আপনি বাস্তব কথাই ফুটিয়ে *তুলেছেন। সাধারণ মানুষের ব্যাপক অধপতনের ফলেই তাদের অনুরূপ শাসক নিযুক্ত হয়। বর্তমান সমাজে তা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ মারাত্মক স্বার্থবাদি ও মুনাফিক চরিত্রের হয়ে গেছে। আমি স্বার্থবাদিতা ও মুনাফিকির বিভৎস চিত্র দেখাতে গেলে প্রায় সবই চলে আসবে। শুধু দুয়েকটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করি:

    এক জায়াগায় অনেকগুলো ভারাটিয়া। নিয়মিত পানির কষ্টে ভোগে। বাড়িওয়ালা পানি ছাড়া নিয়ে খুব কৃপণতা ও অবহেলা করে। এই অবস্থা অনেক বছর ধরে সহ্য করে আসছে। বাড়িওয়ালাদের পিছনে পিছনে ভাড়াটিয়ারা অনেক কথা বলে। কিন্তু সামনে আসলে ভালোবাসার কথা ছাড়া ভিন্ন কথাই বলে না। এমনকি কেউ বললে, তখন একটুও সমর্থন করে না। বরং উল্টো বাড়িওয়ালাদের পক্ষেই থাকার চেষ্টা করে।

    আমার আশ্চর্য লাগল, এত দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত পানির কষ্ট সহ্য করছে, প্রতিদিন পিছনে বাড়িওয়ালাকে বকা দিচ্ছে, অনেক কিছু বলছে। অথচ একদিন কয়েকজন গিয়ে একটু নিয়মের ভাষায় কথা বললেই হয়। যথেষ্ট। মাত্র একদিন একটু নিয়মের ভাষায় কথা বলবে। কিন্তু তবু সবাই যার যার স্বার্থ দেখছে। দীর্ঘদিন যাবত কষ্ট সহ্য করে পিছনে অনেক কিছু বলবে। তবু সামনে বলবে না। এমনকি বাড়িওয়ালার আপন হওয়ার চেষ্টা করবে।

    এই অধপতন সর্বত্র। এক জায়াগায় সরকারি রাস্তার পাশে কতগুলো দোকান বসে। এলাকার আওয়ামীলীগের নেতারা প্রতি দোকান থেকে চাঁদা নিচ্ছে। এমনকি ভ্রাম্যমান ভ্যান গাড়ির দোকান থেকেও!! এলাকার একটি রাস্তা। ওখানে সব দোকানি চাঁদা না দিলে কখনোই নেতারা চাঁদা নিতে পারবে না। কিন্তু এত দৃশ্যমান চাঁদাবাজিটা সবাই মুখ বুজে সহ্য করছে। সবাই নিজে বাঁচার চেষ্টা করছে। যেভাবেই হোক, ১০০ টাকা চাঁদা দিলেও তো বাকি ৮০০-১০০ দৈনিক লাভ হচ্ছে। ব্যস, তাহলে আর প্রতিবাদ করে ঝামেলা করার দরকার কী?
    সকলেই পিছনে পিছনে অনেক কিছু বলে। বলে এটা মারাত্মক জুলুম। একেবারে সামান্য ক্ষুদে দোকানদারের কাছ থেকেও ১০০ করে চাঁদ নিচ্ছে, এটা বড় জুলুম। কিন্তু কেউই প্রতিবাদ করছে না। বা দুয়েকজনের মনে আসলেও অসমর্থনের ভয়ে চুপ থাকছে। বা প্রতিবাদ করার জন্য সবাই এক হতে পারছে না। অর্থাৎ মুনাফিকি ও স্বার্থবাদিতা একেবারে রক্তের ভিতরে মিশে গেছে।
    কেউ একজন প্রতিবাদ করলেও বাকিরা সমর্থন করবে না। এমনকি নেতার পক্ষেই থাকবে। এত নিকৃষ্ট!!!

    আমি সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে সত্যবাদিতার এই চরম অধপতন দেখতে পাচ্ছি। কী মাদরসায়, কী মসজিদে, কী সমাজে, সব জায়াগায়.... আল্লাহ এই সমাজকে উন্নত ন্যায়-নীতি ও মূল্যবোধে উন্নিত হওয়ার তাওফিক দান করুন!

    Comment


    • #3
      সালাহউদ্দিন ভাইয়ের কথাগুলো বাস্তব। আমাদের সমাজ আজ এমনই হয়ে গেছে। প্রতিটা সেক্টরে শুধু পেছনে নিন্দার ঝড় তুলে, কিন্তু সামনে আসলে নিজেকে বক্ত হিসেবে প্রকাশ করে।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        Originally posted by salahuddin aiubi View Post
        আমার আশ্চর্য লাগল, এত দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত পানির কষ্ট সহ্য করছে, প্রতিদিন পিছনে পিছনে বাড়িওয়ালাকে বকা দিচ্ছে, অনেক কিছু বলছে। অথচ একদিন কয়েকজন গিয়ে একটু নিয়মের ভাষায় কথা বললেই হয়। যথেষ্ট। মাত্র একদিন একটু নিয়মের ভাষায় কথা বলবে। কিন্তু তবু সবাই যার যার স্বার্থ দেখছে। দীর্ঘদিন যাবত কষ্ট সহ্য করে পিছনে অনেক কিছু বলবে। তবু সামনে বলবে না। এমনকি বাড়িওয়ালার আপন হওয়ার চেষ্টা করবে।
        আসলে ভাই! মানুষ সব সময় শক্তিশালির অনুসরণ করে। যদি আমরা একটু শক্তি নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি তাহলে দেখবেন এরা কীভাবে আমাদের দিকে ছুটে আসছে। তারা এখন জুলুম সহ্য করছে কারণ এছাড়া বিকল্প কিছু দেখছে না। সে হয়ত এখন জুলুমের প্রতিবাদ করবে, সে এজন্য মরতেও রাজি। কিন্তু যদি দেখে যে তার মরাটা কোন কাজে আসবে না তাহলে সে কি মরতে যাবে? কিন্তু যদি দেখে আমি মরে গেলেও একটি দল এর প্রতিশোধ নেবে তাহলে দেখবেন তারা কিভাবে জুলুমের প্রতিরোধ করে।
        একজন গেরিলা যুদ্ধা একজন কমান্ডোর মত, সে যে কোন পরিস্থিতির মোকাবেলায় সক্ষম

        Comment


        • #5
          আল্লাহ এই সমাজকে উন্নত ন্যায়-নীতি ও মূল্যবোধে উন্নিত হওয়ার তাওফিক দান করুন! আমিন আমিন আমিন, মুহতারাম পোষ্টকারী ভাই একেবারে সমাজেরর মূলদৃশ্যটাই ফুটিয়ে তুলেছেন,

          গত কয়েকদিন আগে আলফিরদাউস এর মুহতারাম ভাইগন একটি নিউজ প্রকাশ করেছে, যে সিঁধ কেটে চুরি করতে যাওয়া আওয়ামী নেতা জনতার মাইর খেয়ে লুটিয়ে পড়ে আছে, মজার ও দু:খের বিষয় হল এই যে, সে যেই এলাকার নেতা , ঐ এলাকার লোকেরাও জানতো যে, এই লোক চোর বরং সে চোর বলেই স্বীকৃত ছিল, তার পরেও জনগন তাকে নেতা বানিয়েছে, নির্বোধ এই উদ্যেশ্যে যে, সে যেন চুরি থেকে ফিরে আসে, বাহ কি সুপার বুদ্ধি!

          তো আসলে ঘটনাটা যথার্থই বলা হয়েছে এদের কপালে ভালো সইবেনা খারাপই এদের প্রাপ্য তাই আল্লাহ ন্যায়পরায়ন বাদশা এর যায়গায় জালিম বাদশাহ দিয়েছেন, সুবহানাল্লাহি মা আ'দালাক।
          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment

          Working...
          X